ইউজার লগইন
রাজনীতি
দুঃস্বপ্নের ৪০ ঘন্টা
১৪ জুন ২০১১, দুপুর ১২.১৫ মিনিট
আমার পরিচিত একজন ব্যবসায়ী তার অফিস থেকে বেরুলেন। গাড়ি না নিয়ে রিকশায় রওয়ানা হলেন। সাথে তার অফিসের একজন যেতে চাইলে না করলেন। বললেন, কস্তুরি হোটেলে যাচ্ছি। একটি সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার সাথে মিটিং আছে। এরপর থেকে সে ভদ্রলোকের সব কটি মোবাইল ফোন বন্ধ। তাকে আর ট্রেস করা গেল না। সেদিন গেল, তার পরদিন ও তার কোনো খোঁজ পেলোনা তার অফিস বা পরিবারের কেউ। হাসপাতাল, থানাসহ সব সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার অফিসেও তার কোনো তথ্য পাওয়া গেলো না। রাশেদ নামের একটা ছেলেকে সন্দেহ করলো পরিবারের লোকজন। তার নামে জিডি করা হলো থানায়।
১৫ জুন ২০১১, বিকাল ৫.১০ মিনিট
মগের মুল্লুকে আমি যখন ছাত্রলীগের ক্যাডার
আমি যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করি, সেই জগৎটাকে আমি বলি মগের মুল্লুক। এখানে নিয়ম-নীতির কোনো বালাই নেই। অনিয়ম-অনৈতিকতার এ রাজ্যে কেউ নীতি দেখাতে গেলে তাকে স্রেফ গাধা বলা হয়। মগের মুল্লুকের শত বৈশিষ্ট্যের একটামাত্র বলি। এই ২০১১ সালে এসেও এখানকার শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় নকল করে। বাধা দিতে গেলে শিক্ষকরা লাঞ্ছিত হন। মারও খান।
তো, একদিন পরীক্ষার হলের একটি ঘটনা বলার জন্যই এই পোস্ট।
“সিফফিনের যুদ্ধ ও আমিনীর হরতাল”
দুটো ঘটনাই অতীতের, একটা সুদূর অতীত আরেকটা নিকট অতীতের। গত দুই দিন ধরেই আমার মন কেবল খচ খচ করছে, তাই খচখচানি থামানোর জন্য লিখতে বসলাম।
১) সিফফিনের যুদ্ধঃ-
সময়ঃ- জুলাই মাস, ৬৫৭ খৃষ্টাব্দ।
স্থানঃ- সিফফিন, ইউফ্রেটিস নদীর তীর, ইরাক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা।
প্রথম পক্ষঃ- হজরত আলী- (ফাতিমার স্বামী ও নবীজির জামাতা, বহুল পরিচিত, তাই অধিক পরিচয়ের দরকার আছে বলে মনে করছিনা)।
দ্বিতীয় পক্ষঃ- হযরত মাবিয়া – (পিতা আবু সুফিয়ান, মাতা- হিন্দা, এই সেই হিন্দা যিনি নবিজীর চাচা আমির হামজার হৃদপিন্ড কাঁচা চিবিয়ে খেয়েছিল। আর আবু সুফিয়ান- যিনি সারা জীবন নবীজির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে শেষ বয়সে প্যাদানির ডরে মুসলমান হয়ে পিঠ বাঁচানোর জন্য নিজের মেয়েকে নবীর সাথে বিয়ে দেন। মাবিয়ার আরো একটা বড় পরিচয় আছে, তিনি হলেন বহুল পরিচিত ‘ইয়াযিদ’- মানে এযিদের পিতা)।
সেনাবাহিনী কি কোন রাজনৈতিক দলের অংগ-সংগঠন?
গত কয়েকদিন ধরে আমাদের স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোতে ‘আমার সেনাবাহিনী আমার গর্ব’ নামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি অনুষ্ঠান প্রচার করা হচ্ছে। গতকাল দেখলাম, অনুষ্ঠানটি চ্যানেল আই’তে প্রচার করা হল। এতে সেনাসদস্যদের প্রাত্যহিক জীবনের কঠোর প্রশিক্ষণ, পেশাগত কর্তব্য পালন ও সেনাবাহিনীর ইতিহাসসহ অন্যান্য বিষয়াদি তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, মহান স্বাধীনতার মাস ও স্বাধীনতা দিবসের চল্লিশতম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানটি প্রচার করা হচ্ছে।
একাত্তরের এদিনে-বঙ্গবন্ধু বললেন -এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ। বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসের অবিস্মরণীয় একটি দিন। একাত্তরের এই দিনে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রমনার রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে ঘোষণা করেছিলেন পাকিস্তানের অপশাসন ও নিষ্পেষণ থেকে বাঙালির মুক্তির মূলমন্ত্র। এই ভাষণটির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষকে স্বাধীনতা যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করা।কবি নির্মলেন্দু গুণ শেখ মুজিবের সাত মার্চের ভাষণকে বলেছেন একটি মহাকাব্য। আর সেই মহাকাব্যের মহাকবি হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কবি গুণের কবিতায় বঙ্গবন্ধুকে কবি অভিহিত করার প্রতিধ্বনি শোনা গেছে লন্ডনের সানডে টাইমস পত্রিকার মতো কাগজে। কাগজটি শেখ মুজিবকে নাম দিয়েছিল 'এ পোয়েট অব পলিটিক্স' ।
চলুন ফিরে যাই একাত্তরে-
একাত্তরের এদিনে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন শাজাহান সিরাজ
৩ মার্চ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ঢাকায় পার্লামেন্টারী পার্টিসমূহের নেতৃবৃন্দের এক গোল টেবিল বৈঠক আহ্বান করেন । আওয়ামী লীগ, পিপলস পার্টি, মুসলিম লীগ, ন্যাপ, জামায়াতে ওলামায়ে পাকিস্তান, জামায়াতে ইসলামী ও পিডিপির নেতাদের বৈঠকে আহ্বান করা হলে বঙ্গবন্ধু এ বৈঠককে ‘নিষ্ঠুর তামাশা’ বলে আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাখ্যান করেন।
একাত্তরের এদিনে বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করা হয়
আজ ২ মার্চ। একাত্তরের উত্তাল মার্চের দ্বিতীয় দিন। এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় লাখ লাখ ছাত্র-জনতার সামনে বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করা হয়।
গো.আযমের ভাষাসৈনিক স্ট্যাটাস এবং উমরের কলাম 'ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভেলকিবাজি'
দৈনিক আমাদের সময় গু.আযম বাংলাভাষা আন্দোলনের একজন সেনানী কিনা এবিষয়ে জরিপ পরিচালনা করে। ভাষা আন্দোলনে জড়িত থাকুক আর না থাকুক ভোটিংয়ে জয়লাভ করায় (জরিপে ছাগুরা অংশ নিয়েছে এটা বলাবাহুল্য) ছাগুরা চ্রম অর্গাজম লাভ করছে এবং ব্লগাস্ফিয়ারে (বিশেষত সামুতে) জাবর কাটছে ।
এ জার্নি বাই বাস ফ্রম মহাখালি
নামটাই যার খালি, তায় সেইটা যদি হয় আবার “মহা”, তাহলে অবস্থা কিরকম হবে সেটা তো সহজেই অনুমেয়! না পাওয়া যায় বাস, না আসতে চায় কোন সি.এন.জি.। গরীবের সি.এন.জি রিকসা ছিলো শেষ ভরসা, বিদ্যুতবিভাগের ঔদার্য্যে রাস্তাভাঙ্গার অযুহাত, ভাড়া আকাশ ছোঁয়া। মানুষ পয়সা খরচ করে সিনেমা দেখতে যায় “আকাশছোঁয়া ভালোবাসা”, আর আমরা ভাড়ার ঊর্ধমুখিতায় উত্তপ্ত রিকসাচালকের কাছে পাত্তাই পাই না নিয়মিত ভাড়ার কথা বলে! ঝাড়ি খেয়ে মুখ উদাস করে ইতি- উতি তাকাই পাশে দাঁড়ানো কোন তরুণী দেখে ফেললো না তো আমার দৈন্যদশা! আমাদেরও অবশ্য সেরকম মাহেন্দ্রক্ষণ আসে, যখন কোন তরুণীকেও কোন এক রিকসাচালক মুখের উপর না করে দেয়। আমরা আড়ে-ঠাড়ে তাকাই আর আরেকদিকে মুখ ঘুরিয়ে মুচকি হাসি!
খালেদা জিয়া তোমাকে বলছি - মনে কি পরে সেই নিকট অতীতদিনের কথা ???
দেখেনতো হাসপাতালের বেডে কে শুয়ে আছে ?
মনে কি পরে খালেদা জিয়া দেখেন তো চেনা যায় এই মহিলাকে ?
দেখেনতো কার শরীর রক্তাক্ত । চেনা যায় ?
আচ্ছা খালেদা এই লাশের ওজোন কত হতে পারে ??
আর এইটা -
খালেদা, পর্ণো, মদ এবং বিটিভির খবর !
রাজনীতিবিদগো এইসব অপরাজনীতি দেইখা , আমরা যারা তথাকথিত রাজনীতিরে ঘৃণা করি, তাগো বিয়াপক আমোদ হয় ! আমোদ হয় কারণ, রাজনৈতিক দলগুলার অন্ধ অনুরক্ত ভক্তগো লাইগা,- রাজনীতিবিদরা নিত্য নতুন সবক রাখেন, এইসব দেইখা ভক্ত অনুরক্তরা অশেষ এলেম হাসিল করতে সমর্থ হয় !
সেইসব ভক্ত অনুরক্তরা , যারা মাঠে-ময়দানে, পথে -প্রান্তে এমনকি অন্তঃর্জালে অন্তরজ্বালায়, বাকযুদ্ধ ছাপিয়ে কখনও সখনও 'বাঘযুদ্ধে' ঝাপিয়ে পড়েন ! কে কার চে' বড় বাঘ তা প্রমাণের জন্যই সে মল্লযুদ্ধ !
খালেদার বাড়ি তল্লাশি করতে গিয়া, কেচু খুঁড়তে পর্ণো ম্যাগাজিন আর মদের বোতল বাইরইয়া আসছে-- খবর বিটিভির !
বিটিভি আওয়ামীলীগারদের চে' বড় আওয়ামীলীগ-- কথাটা আওয়ামী নেতা ওবায়দুল কাদেরের , মাত্র ক'দিন আগেই যিনি কথাখানি ফরমাইছেন ।
তো বিটিভির এই খবর থেইকা রাজনৈতিক দলগুলার অন্ধ ভক্ত অনুরক্তরা এই এলেম হাসিল করলো যে, 'প্রতিহিংসার রাজনীতি , বাপ-বেটা, পোলাপাইন মিইলা এক সঙ্গে পর্ণো দেখার মতনই নোংরা ! তয়, সে নোংরা রাজনীতিও তাগোরে করতে অয় !
রক্তাক্ত পঁচাত্তরঃ চারটি অবশ্যপাঠ্য বই
বিখ্যাত তর্জনী উঁচিয়ে বঙ্গবন্ধু
যে কোন কারনেই হোক, গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর গঠন ও ক্রমবিকাশ নিয়ে যৎকিঞ্চিত পড়াশোনা করছি। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সৃষ্ট আমাদের এই প্রতিষ্ঠান স্বাধীনতা পরবর্তী এক দশকে নানাবিধ চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে তবেই আজকের অবস্থানে এসেছে । এই পুরো দশকের মাঝেও আবার ’৭৫ এর মধ্য আগষ্ট থেকে নভেম্বরের প্রথমভাগ পর্যন্ত এই পৌনে তিনমাস সবচেয়ে বেশি ঘটনাবহুল। এদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একের পর এক মোড় ঘুরিয়ে দেয়া তিনটি অভ্যুত্থান ঘটেছে এ সময়ে।
১৫ আগষ্ট, ৩ নভেম্বর এবং ৭ নভেম্বর।
টুকরো ইতিহাস-১
এইটা আমার নতুন ব্লগ প্রকল্প। ইতিহাসের ছোট ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিয়ে ছোট ছোট পোস্ট লেখা। সবাই পছন্দ করলে এটা চলতে পারে।
শুরুটা মওদুদ আহমদকে নিয়ে।লেখক মওদুদকে আমার খানিকটা পছন্দ। তাঁর বলা ও লেখার মধ্যে কিছুটা পার্থক্য আছে। তাঁর একটা বই চলমান ইতিহাস-জীবনের কিছু সময় কিছু কথা ১৯৮৩-১৯৯০। দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড থেকে প্রকাশ, ২০০৯ সালে। সেখানে তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের অনেক কিছুই লিখছেন। তবে আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে এ বিষয়টি।
তিনি লিখেছেন,
দলের জন্য আমি কোন চাঁদাও তুলিনি, আর তাই অন্যায়ভাবে কোন কাজও আমাকে কারো জন্য করতে হয়নি। ......এই চাঁদা নিয়ে প্রেসিডেন্ট জিয়ার সাথে আমার ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। মাসে তিন লাখ টাকা করে দশজন মন্ত্রীকে দলের জন্য চাঁদা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু আমি এভাবে চাঁদা দেওয়ার পদ্ধতির বিরোধিতা করেছিলাম।
রেখেছ বাঙালী করে মানুষ করো নি....
সময় বহিয়া যায়... ঘাট অঘাট হয়... চারদিকে কলিকাল.. ঘোর কলিকাল। মানবিকতা, মূল্যবোধ, ন্যায়, অন্যায় শুধু বাংলা একাডেমির ডিকশনারির পাতার নিচে চাপা পড়ে যায়। চারদিকে শরতের ফুরফুরে হাওয়া শুধুই বদ্লে যাওয়ার আহ্বান জানায়। তবে এটা যদি পজেটিভ হতো... দেশের মানুষের কোন দু:খ থাকত না... কষ্টটা এইখানেই বাজে বারবার।
গতকাল সংসদেরর স্পিকার মানিক মিয়া এভিনিউতে স্পিড ব্রেকার দেবার জন্য সিটি কর্পোরেশনকে তাগাদা দিয়েছেন। অবশ্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ। কেন? কারণ ন্যাম ফ্ল্যাট থেকে সংসদ ভবনে যাতায়াতে সাংসদদের প্রচুর সমস্যা হয়।
ভাল ব্রেকিং নিউজ : তাহেরের বিচার ছিলো অবৈধ: হাইকোর্ট
আমরা অনেক দিন ধরে দাবি করছি কর্নেল তাহের বিচার (আসলে প্রহসনমুলক বিচারের নামে হত্যা) এর নথি প্রকাশের ।
আজ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এম এ তাহেরের সামরিক আদালতে গোপন বিচারের নথি তলব করেছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি তাহেরের গোপন বিচারের জন্য জারি করা সমারিক আইনে জারি করা আদেশ ও এর আওতায় গোপন বিচার ও তাহেরের ফাঁসি কার্যকর করাকে কেনো অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানাতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। (বিস্তারিত প্রতিবেদন এখানে )
প্রাসঙ্গিক বিবচনায় কর্নেল তাহেরকে নিয়ে আমার এক পুরনো রচনা নিচে তুলে দেয়ার জন্য দুঃখিত ।