ইউজার লগইন
শিক্ষা
হরতাল বনাম..…।
এস এস সি পরীক্ষা শুরু হয়ে গেল। আর এ উপলক্ষ্যে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীকে টিভিতে দেখলাম করুণ স্বরে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে প্রার্থনা করছেন তারা যেন পরীক্ষার সময়ে কোন হরতাল না দেয়। এটা দেখে একটা ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল, মেয়ে যখন গণধর্ষনের শিকার হচ্ছে তখন তার মা তাকে ধর্ষণ থেকে বাঁচানোর কোন উপায় না পেয়ে ধর্ষকদের কাছে করজোড়ে মিনতি করছেন, "বাবারা! ধর্ষণ করছ কর, কিন্তু দেখো আমার মেয়েটা যেন মরে না যায়।" কিন্তু বিধাতার (পড়ুন রাজনৈতিক দলগুলোর) কি লীলাখেলা! শিক্ষামন্ত্রীর এই আকুল আবেদনের এক সপ্তাহ না পেরোতেই একটি রাজনৈতিক দল লাগাতার হরতাল দিয়ে বসল। সত্যি বিচিত্র এই দেশ! বাংলাদেশই মনে হয় পৃথিবীর একমাত্র দেশ যে দেশে হরতালের কারনে পাবলিক পরীক্ষা নির্ধারিত দিন থেকে পিছিয়ে দেওয়া হয়। এটা শুধুমাত্র বাংলাদেশ বলেই সম্ভব। অথচ এই দেশের রাজনীতিবিদ্দরাই দেশের উন্নয়ন নিয়ে বড় বড় গালভরা ফাঁকা বুলি আওড়ান। আসলে এক শ্রেণীর ভন্ড সাধু আছে যারা কখনোই চায় না আমাদের দেশটার উন্নতি হোক। চাইবে কিভাবে? দেশের যুবসমাজ যদি শতভাগ শিক্ষিত হয়ে যায় তাহলে এসব ভন্ড সাধুদের কুকর্মে সহায়তা করবে কারা?
’৫২ সালের সময়ের উপর ভিত্তি করে ধারাবাহিক গল্পঃ সময়ের লাশ ১ম পর্ব
স্বপ্নের হাত ধরে কৃষ্ণপক্ষের রাত্রির অন্ধকারে অনন্তের পথে ছুটে চলা স্মৃতিগুলো প্রত্যেক মানুষের জীবনে জোনাকীর মত জ্বলে আর নিভে। ‘সময়ের লাশ’--গল্পে বৃদ্ধ বয়সে উত্তম পুরুষের বাচন শৈলীতে নায়িকা নায়কের সাথে তার প্রেমের কাহিনী এবং ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভুমির কিয়দংশ বর্ণনা করেছেন। এখানে নায়ক ’৫২ সালের সময়ের ধারক, নায়িকা মাতৃভূমির ধারক অর্থাৎ গল্পটি যেন, ’৫২ এর সময়ের সাথে লাজুক মাতৃভূমির ভালোবাসা-লুকোচুরি-মিছিল-আন্দোলন-যুদ্ধ-মৃত্যুর খেলা।
সময়ের লাশ
--শাশ্বত স্বপন
’৫২ সালের সময়ের উপর ভিত্তি করে ধারাবাহিক গল্পঃ সময়ের লাশ
স্বপ্নের হাত ধরে কৃষ্ণপক্ষের রাত্রির অন্ধকারে অনন্তের পথে ছুটে চলা স্মৃতিগুলো প্রত্যেক মানুষের জীবনে জোনাকীর মত জ্বলে আর নিভে। ‘সময়ের লাশ’--গল্পে বৃদ্ধ বয়সে উত্তম পুরুষের বাচন শৈলীতে নায়িকা নায়কের সাথে তার প্রেমের কাহিনী এবং ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভুমির কিয়দংশ বর্ণনা করেছেন। এখানে নায়ক ’৫২ সালের সময়ের ধারক, নায়িকা মাতৃভূমির ধারক অর্থাৎ গল্পটি যেন, ’৫২ এর সময়ের সাথে লাজুক মাতৃভূমির ভালোবাসার লুকোচুরি-মিছিল-আন্দোলন-যুদ্ধ-মৃত্যুর খেলা।
সময়ের লাশ
--শাশ্বত স্বপন

জীবন থেকে নেয়া (ঘুষাঘুষি)
১.
ছোটবেলায় পড়াশোনার করার সময় খুব আদর্শ মানুষ হওয়ার একটা স্বপ্ন দেখতাম, দেশের দশের জন্যে কিছু করব, অন্যায় করব না টাইপ ইত্যাদি। কালের আর্বতনে সব এখন গর্তে চলে গেছে। ভাইবোনদের মধ্যে এনিয়ে কখনো সরব প্রতিজ্ঞা হয়নি কিন্তু মনে মনে আমরা সবাই জানতাম, আমরা সবাই খুবই আদর্শ কিছু হবো। আমি বিয়ে করে দেশ ত্যাগ করে এলেও, দেশে যারা আছেন তাদের কাছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের আশা রেখে দিয়েছিলাম নিজের অজ্ঞাতেই হয়তো। একবার ঈদ করতে দেশে গিয়েছি। একদিন দেখি আম্মি ভাইয়াকে বলছে, ঈদে কিছু কিনে নাই কেনো? কালকে ঈদ? ভাইয়া বললো হাতে টাকা পয়সা নাই কি দিয়ে কিনবে? এই কথা শুনে মাতৃদেবীর কলিজা ফেটে যাওয়ার উপক্রম। তিনি তাড়াতাড়ি তিনার ব্যক্তিগত রিজার্ভ ভেঙ্গে পুত্রকে ঈদের কাপড়ের যোগাড় দিতে ছুটলেন। চার কন্যা ইস্টু এক পুত্র বিধায়, পুত্রের পাল্লা অলওয়েজ এই ভদ্রমহিলার কাছে ভারী। ঠিক হলো, আমিও যাবো কাপড় পছন্দ করে দিতে আর বাইরের ভাল মন্দ খেতে। রেডী হয়ে এসে দেখি বারান্দায় চোখ মুখ কুঁচকে মাতৃদেবী আর তার পুত্রজান দাঁড়িয়ে আছেন। নীচে এক ভদ্রলোক বেশ আনন্দিত ভঙ্গীতে চলে যাচ্ছেন। ভাইয়া কষে একখানা গালিও দিলো। ব্যাপার কি?
ঝরা পাতার গান পর্ব-2
মনে পড়ে, কাজের সন্ধানে কয়েকবার যেতে হয়েছে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ। বর্ষায় দিগন্তবিহীন হাওর--কূল নাই, কিনারা নাই--এযেন, সাগর। শীতের আগমনে ছোট ছোট নদী-নালা-খাল-বিল হাওর থেকে যেন, জেগে উঠে ফসলের মাঠ। নদী-নালা-খাল-বিল-পুকুর-ডোবা মিলেই এ সুবিশাল হাওর। শীতকালে হাওরের সীমানায় দাঁড়িয়ে অবিশ্বাস্য চোখে আমি তাকিয়ে থাকি। ভাবি, হাওরের পানি কোথায় চলে যায়। দেখি, চারদিকে মাছ ধরার মেলা; কোন কোন নৌকার খোলা, মাছে পরিপূর্ণ। কোথাও হাঁটু পানি; গরু-মহিষ সেই পানি পেরিয়ে যাচেছ সবুজ তৃণভুমিতে। বিল-ঝিল হাওরের অতি আপন বৃক্ষ হল হিজল গাছ; মাসের পর মাস পানিতেই কেটে যায় এদের জীবন। শকুন, ভূবন চিল মাছ শিকারের ফাঁকে এ গাছের ডালে ডালে বিশ্রাম করে। ঝাঁকে ঝাঁকে পানকৌড়ি, বক, শালিক ইত্যাদি জানা-অজানা বিদেশী পরিযায়ী পাখিরা ভীড় করে হিজল গাছে, জেগে উঠা জলাশয়ে খুঁজে খাবার। কাজের অবসরে আনমনে ভাবতে থাকি--বর্ষাকালের জলডুবা হাওর আর শীতকালে সেই হাওরে ঢেউ খেলানো সবুজ ফসলের মাঠ--প্রকৃতির কি বিচিত্র খেলা!
এ বাংলার, শাশ্বত শীত প্রকৃতির গল্প ঃ `ঝরা পাতার গান ' পর্ব-১
কুয়াশার অন্ধকারে হাজার বছর ধরে শীত কন্যা আসে ষড়ঋতুর লীলা বৈচিত্রের হেমন্তের ফসলে আঁকা মেঠো পথ ধরে। স্থান, কাল ভেদে এ শীত কন্যায় রূপ নানা অঞ্চলের দেব-দেবীর মত নানা সজ্জায় সজ্জিত হয়। হেমন্তের মাড়াই করা ধান বড় বড় কড়াওয়ালা মাটির হাড়িতে রাখতেই শীত রূপসী শীতের নানা উপকরণ কুয়াশার চাদরে ঢেকে এনে রাখে গৃহস্তের আঙ্গিনায়; কড়াওয়ালা মাটির হাড়িতে টোকা দিয়ে বলে, ‘এই গৃহস্ত আমি এসেছি ; চল, পিঠা-পুলি-পায়েস বানাই।’
উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ
১৯৪৭-এ বিতর্কিত দ্বিজাতি তত্ত্বের আলোকে দেশ ভাগ, ’৫২-এর স্বাধীনতার আন্দোলন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণ অভ্যুত্থান, ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা লাভ, '৯০-এ স্বৈরাচার পতন--এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ, আজ কোথায়, কোন অবস্থায় আছে ! কেমন আছে আমার দেশ, দেশের মানুষ, আমার মাতৃভূমি, আমার প্রিয় জন্মভূমি, আমার স্বাধীনতা? এ বিজয়ের মাসে পরাজিত রাজাকার আর তাদের বংশধররা কার বা কাদের সহযোগিতায় ’৭১-এর মানবতাবিরোধী, কুখ্যাত রাজাকারদের মুক্তির জন্য আন্দোলন করে, দেশ ব্যাপী হরতাল করে ? কোথা থেকে তারা এত সাহস পায়? পৃথিবীর কোন দেশ ধর্মীয় জাতি সত্ত্বার কারণে বিভাজিত হয়নি, শুধু ভারত ছাড়া; কোন দেশে স্বাধীনতার যুদ্ধে পরাজিতরা মাথা তোলে কোনদিন দাঁড়াতে পারেনি; শুধু বাংলাদেশ ছাড়া।
তৃষ্ণা
তৃষ্ণা আরো প্রবল হয়ে ওঠে ,
পানের পর পান চলতে থাকে ,
পানের পর পান অবিরত,
কাপের পর কাপ ,
উষ্ণ হাহাকার ,
গলবিল বেয়ে পাকস্থলি ,
সব ছারখার করে ,
শীতল হয় হৃতপিন্ড ।
তবু আবার ,
প্রাণের তৃষ্ণা জাগে ,
প্রাণের তৃষ্ণা প্রবল হয় ,
প্রবল থেকে প্রবলতর হয় ,
জেগে ওঠে রক্তের মোচড় ,
বাড়তে থাকে হৃদস্পন্দন ,
নীলাভ হতাশা নির্বিঘ্নে বেয়ে চলে ,
রক্তের সাথে মিলে মিশে চলে ,
ধমনী থেকে ধমনীতে ,
হৃদয় থেকে হৃদয়ে ,
হৃতপিন্ড উষ্ণ হয়ে ওঠে ,
উষ্ণতা বাড়তে থাকে ,
বাড়তে থাকে অদৃশ্য ক্ষত ,
হৃদয়ের ক্ষত ।
পানের বস্তু সুপেয় না হতে পারে ,
তবু তৃষ্ণা জাগে ,
পানের তৃষ্ণা ,
তৃষ্ণা আরো প্রবল হয়ে ওঠে ,
পানের পর পান চলতে থাকে ।
কিন্তু প্রাণের তৃষ্ণা
প্রবল থেকে প্রবলতম হয় ,
প্রাণের তৃষ্ণা মেটেনা কোনো কালে ।
আ-কি-হ
আ-কি-হ = আমি কি হলামরে হইলো মুই কি হনুরে এই রোগের মর্ডান ভার্সান। যাহাকে অন্তত জলিল ভাইয়ের ইংলিশে “সিকিং এটেনশন ডিসঅর্ডার” ও বলা হইয়া থাকে। আমরা অনেকেই এই রোগে অল্প বিস্তর আক্রান্ত। আজিকে ইহার লক্ষন ও প্রতিকার নিয়া আলোচনা করিবো প্রিয় পাঠকরা, ধৈর্য্য ধরিয়া বসুন, বিজ্ঞাপন বিরতিতেও টিভির রিমোট ঘুরাইবেন না। যাহা মিস করিবেন তাহাই মিস হইয়া যাইবে। মিসকে মিসেস করিবার আর সুযোগ পাইবেন না।
এনাদ্দার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য
ভুমিকাঃ- শিলাজিতভাইয়ে কৈয়া গেসিলেং,
শুনো ঠিক শুরুরয়াগে ভুমিকাটা জমিয়ে বলি
যদিউ অনেক বলার্তবুও অনেক্কমিয়ে বলি............ ইত্যাদি ইত্যাদি লৈয়েই আমগোর আইজকার ইত্যাদি.........
তো যেইটা কইতেছিলাম, প্রাচীন যুগে এক্ষান ইয়ে লিক্সিলাম। ইয়ে মাইনে আসলে সেইযে, লুগজনে যেইটারে কবিতা কয় সেডিই লিক্সিলাম আর কি। মাইনশে এই কবিতা সেই কবিতা লেখে। আমি লিক্সিলাম উত্তরাদুনিকেরো পরের্ভার্সনের কাইব্য। নিজের পের্শংসা নিজেরে কর্তে না কৈরা গেসেন মুরুব্বারা। মাগার বাট লেকিন নিজের ঢুল আবার্ফের নিজেরেই বাজাইতে কইয়া গেসেন মুরুব্বারাই। তাই কি আর করা, আমার্সেই কাইব্য মাশাল্লা খুবেক্টা খ্রাপয়নাই। সেই দুর্দুর থিকা লুগজনে ফুন্দিয়া, চিডি দিয়া পের্সংসা কর্ছিলো। তাই যারে বলে ইন্সপিয়ার্ড হৈয়া আবারো কাইব্য জগতের্খাতাত নিজের নাম লিখাইতে চইলা আইলাম এনাদার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য লৈয়া। শুইনা কৈয়েঙ্গো, কেরাম হৈলো
এনাদার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য
ওওই দেখা যায় যাত্রাবাড়ী ওওই যে ফেলাই ওভার
টেরাক ভৈরা গরু আইয়া বাড়াইয়া দিসে পেশার।
পেশার মামা পেশার মামা থাকো তুমি কৈ?
ইংলিশ ভিংলিশ আর ডাচ ভাচ
খুব ছোটবেলা থেকেই আমি হার্ডকোর হিন্দী সিনেমা ভক্ত। একদম কুট্টিকালের সিনেমা জীবনই ধরতে গেলে শুরু হয়েছে ভিসিআর, ভিসিপি তারপর জিটিভি ভিটিভি সনি এলটিভি দিয়ে। এরমধ্যে জিতেন্দ্র মানে জিতুজী আর মিঠুন চক্রবর্তী ছিলেন সেই সময়ের প্রিয় নায়ক। জিতুজী নায়ক মানে নায়িকা হলো শ্রীদেবী কিংবা জয়াপ্রদা। জয়াপ্রদার মধ্যে আবার ভাল মেয়ে ভাল মেয়ে ভাব প্রবল আর শ্রীদেবীর মধ্যে একটা উইটি লুক ছিল যার ছিলাম আমি যাকে বলে ফিদা। মাওয়ালী সিনেমা এতোটাই ভাল লাগল, এতোটাই ভাল লাগল যে চান্স পেলেই রামা রামা রামা রামা রে। চান্স কি করে পাবো? গ্রামের বাড়ি থেকে কেউ এলে কিংবা এমনিতেও কেউ বেড়াতে এলে, ভিসিআর দেখতে চাইতো। দেখতে চাইলেই হলো আমি আর ভাইয়া পটিয়ে পটিয়ে মাওয়ালী আর জাষ্টিজ চৌধুরী আনাতাম। পম পম, ছোটবেলা থেকেই নাচ গানের বিশাল ভক্ত তাও যদি হয় আবার জিতুজীর। একটা সময়ের পর সেই ক্রেজ আবার মধ্যগগনে আনিল কাপুর আর মাধুরী উড়িয়ে নিয়ে গেলেন।
শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি নিয়ে এতো জটিলতা কেন?
গত সেপ্টেম্বরের ২ তারিখে বেসরকারি কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ঢাকায় এসে এমপিওভুক্তির দাবিতে পুনরায় আন্দোলন শুরু করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ঢাকায় আন্দোলন করেছিলেন এবং সেসময় বিভিন্ন ধরনের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের আন্দোলন সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছিল। সম্ভবত তাঁদের আশা ছিল- সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এমপিওভুক্তির দাবি মেনে নেবে। রাস্তাঘাট অবরোধ করে বা এ ধরনের কর্মসূচি দিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে আন্দোলন করাটা আইনের চোখে অপরাধ কিনা জানি না; তবে মানুষজন আজকাল এ ধরনের কর্মসূচি ভালো চোখে দেখে না। অন্যদিকে এদেশে যতোক্ষণ না মানুষজন রাস্তায় নামছে ততোক্ষণ তাদের কথা সরকার কানে তুলে না। সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ পর্যন্ত স্থগিত আন্দোলন তাই স্বাভাবিকভাবেই দুই তারিখ থেকে নতুনভাবে শুরু হয়েছে। তার বেশ কিছু আগের আন্দোলনে শিক্ষকরা রাস্তা অবরোধ করেছিলেন শাহবাগে। সরকারের পুলিশ বাহিনী বীরত্ব দেখিয়েছিল শিক্ষকদের পিটিয়ে। অবশ্য এবার পুরোপুরি রাস্তা অবরোধ না করে শিক্ষকরা প্রেসক্লাবে রাস্তার পাশে শুয়ে-বসে আন্দোলন চালাচ্ছেন। সরকার তাঁদের দাবি কতোটুকু শুনছে বা শুনলেও আদৌ পাত্তা দিচ্ছে কিনা জান
তাফসীর ও হাদিস গ্রন্থ সহ পৃথিবী বিখ্যাত ২ শতাধিক বাংলা ইসলামী বই ডাউনলোড ফ্রি !
''কুরআন হাদিসের আলোকে ধর্মিয় জ্ঞান অর্জনের গুরত্ব''
পেডাগগি
বিল গেটস ডেস্কটপ কম্পিউটার সহজলভ্য করে তুলবার আগে বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষ গবেষকগণ কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এ দক্ষ ছিলেন, তাদের গবেষণাগারের বাইরে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর আবেদন ততটা ছিলো না, শুধুমাত্র বিজ্ঞানের ছাত্রদের একাংশ কম্পিউটার প্রোগ্রামিং সম্পর্কে জানতো, ফোরট্যান শিখতো , অন্য সব কম্পিউটার প্রোগ্রাম তখনও সম্ভবত জন্ম নেয় নি, কিন্তু উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম বাজারে আসবার পর মূলত পরিস্থিতি বদলে যায়, আইসিটি ক্লাশরুমের ধারণাটা ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠে, শিক্ষাগবেষণাক্ষেত্রে আইসিটি ক্লাশরুমের প্রয়োজনীয়তা সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো কতটা বাণিজ্যিক প্রয়োজনে, কতটা মূলত শিক্ষাবিস্তারের আন্তরিকতায় এ সংশয়টুকু রয়েই যাচ্ছে।
বাজেট: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বলির পাঁঠা
হাত-পা বাঁধা থাকলে, যে কোন মানুষকে সহজেই নির্যাতন করা যায়। একজন অপেক্ষাকৃত দুর্বল ব্যক্তিও তাকে আঘাত করার ক্ষমতা রাখে। কারন, বাঁধা অবস্থায় নির্যাতিত ব্যক্তির কেবল নির্যাতনের শিকার হওয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অনেকটা সেরকমই মনে করা হয়, অন্তত সরকার সংশ্লিষ্টরা সেটাই মনে করে। তাই তাদের বলির পাঠা বানিয়ে রক্ত চুষে খাওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার।
সম্প্রতি ২০১২-১৩ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত নতুন বাজেটের আলোকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি’র ওপর ১৫ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হয়েছে। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ওপর থেকে ৯ শতাংশ হারে কর আদায়ের মাধ্যমে কার্যত শিক্ষার্থীদের নিকট থেকেই অর্থ আদায়ের পরিকল্পনা করেছে সরকার। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে এখন থেকে পূর্বের তুলনায় শিক্ষার্থীদের অপেক্ষাকৃত বেশি টাকা গুনতে হবে ।