ইউজার লগইন
স্যাটায়ার
আমরা ভালো আছি!
খুব স্বাভাবিক আর অন্য দশটা দিনের মতোই কেটে যাচ্ছে দিন।তরকারিতে লবন হলো কিনা, মাংসটা আরেকটু সেদ্ধ হলে ভালো হতো, চায়ের লিকারটা একটু পাতলা হয়ে গেছে এই বোধগুলো যখন এখনো জীবিত তার মানে সব ঠিক ঠাক আছে। শীতটা আসি আসি করছে।আলমারিতে তুলে রাখা শীতের কাপড়্গুলো নাড়াচাড়া করি। সেখান থেকে কর্পুরের গন্ধ ভেসে নাকে লাগে। শীতের প্রসাধনী কেনার লিস্ট করি। জীবনযাত্রা তো স্বাভাবিকই আছে।বাজার নিয়ে ভাবতে হয়। অফিসে যাওয়া, সংসার করা , এই শীতে কোথাও বেড়াতে যাব কিনা সেসব ভাবনা ও তো ঠিকই চলছে।রোজকার নিয়ম অনুসারে সকালে ঘুম থেকে ওঠা, রাতে ঘুমাতে যাওয়া, দিনভর নিত্য রুটিন কাজ সবই যখন ঠিক্টহাক আছে তাহলে নিশ্চয়ই আমরা ভালো আছি। হয়তো বেশ ভালোই আছি।
রাতের অন্ধকার ছাড়িয়ে এখন দিনের ফকফকা আলোয় যতই কুপিয়ে হত্যা চলুক না কেন আমরা ভালো আছি।
প্যারেডি গানের কী ছিরি...
অনেকদিন আগে কোনো একজন বিবাহিত লোকের মুখে শোনা গান।
'তুমি কি দেখেছো কভু, জীবনের পরাজয়। দুখের দহনে করুন রোদনে তিলে তিলে তার ক্ষয়' এর প্যারেডি গান এটি:
সাধে কি বলিগো আমি
এ জীবন জ্বালাময়
বিয়ার পরেতে
বউয়ের জ্বালায়
তিলেতিলে মোর ক্ষয়।।
প্রতিদিন কত শালা-শালী আসে
বোনের খবর নিতে
সারারাত মোর বাইরে কাটে
মশার কামড়েতে।
নিউমার্কেটে পকেট আমার
শূণ্য হয়ে যায়
মুদির দোকানে বাকীর খাতাটা
পূর্ণ রয়ে যায়।
এক সাধের বউ তবু মোর
মুখ ভার করে রয়...
বিয়ের পরেতে বউয়ের জ্বালায়
তিলে তিলে মোর ক্ষয় ।।
স্নো-পাউডার-গহনা পর্লার
প্রতিদিন বায়না
হাইহিল আর সিনেমা ছাড়া
তাকে মানায় না
এই করে করে পকেট আমার
শূণ্য হয়ে যায়
মুদির দোকানী আমার দিকে
আড় চোখে তাকায়
এত সাধের বউ তবু মোর
মুখ ভার করে রয়...
বিয়ার পরেতে
বউয়ের জ্বালায়
তিলেতিলে মোর ক্ষয়।।
সাধে কি বলিগো আমি
এ জীবন জ্বালাময়
বিয়ার পরেতে
খেলা
পাঁচকড়ি হালদারের এখন ক্রাচের সাহায্য নিয়ে হাটতে হয়। আমরা যারা তাকে দেখি তারা তাকে ক্রাচে ভর দিয়েই হাটতে দেখি। আমরা তখন তার পা ভাঙ্গার রহস্য উদঘাটনে ব্যস্ত হয়ে পরি এবং আমরা অনুসন্ধানে থাকি।
আমাদের ছাতা অনুভুতিতে আঘাত!
ছাতা আমাদের ঐতিহ্য। আবহমান কাল ধরেই আমরা দেখে আসছি একজন সৎ ব্যাক্তি তার ছাতাখানি বোগল দাবা করে দরিদ্র জীবনের বিভিন্ন চড়াই উতরাই পার হচ্ছেন, দুয়ারে দুয়ারে উষ্ঠা লাত্থে খাচ্ছেন। বাংলা সিনেমার গরীব বাবা সবসময় বাড়ি থেকে বের হবার সময় ছাতা হাতে নিতে ভুলেননা। বাংলা সিনেমার সৎ কেরানীর চরিত্রটিকে যখন কোন প্রাইভেটকার বা ট্রাক এসে নির্দয় ভাবে চাপা দেয় তখন সবার আগে ছাতাটিকে দেখা যায় আকাশ পানে ছুড়ে দিতে।
আবার ছাতা হচ্ছে বাঙালীর সন্মানের একছত্র প্রতিক। বিভিন্ন জমিদার বাড়ির সামনে দিয়ে ছাতা মাথায় দিয়ে হাটা ছিল চরম বেয়াদবী ও অন্যায়। এই ক্ষেত্রে নায়কের বাবা যখন জমিদার বাড়ির সামনে দিয়ে বেখেয়ালে ছাতা মাথায় দিয়ে হেটে যান তখন তাকে পেয়াদা দিয়ে ধরে এনে চাবুকের আঘাতে আঘাতে রক্তাক্ত করা হয়। বেয়াদব কত্তোবড় সাহস, ছাতা মাথায় দিয়ে জমিদারের ইজ্জত মারিস।
ডামি লেখক বইয়ের ফ্ল্যাপ লিখলে...
অনেক তরুণ লেখকই চান বইয়ের ফ্যাপটি বিশিষ্ট কোনো লেখককে দিয়ে লিখিয়ে নিতে। এতে মূল্যায়নের পাশাপাশি একটা ‘সনদ’ও জুটে যায়! দুর্ভাগা তরুণরা জানতেই পারেন না, প্রিয় মানুষটি ব্যস্ততা কিংবা উন্নাসিকতার কারণে বই ছুঁয়েও দেখেন না! নবীন লেখক যদি নাছোড়বান্দা হন, প্রতিষ্ঠিত লেখক অবলম্বন করেন ভিন্ন পদ্ধতি! অগুরুত্বপূর্ণ কাউকে দিয়ে ফ্ল্যাপ লিখিয়ে, সেটা নিজের নামে চালিয়ে দিয়ে তরুণ লেখককে ‘বুঝ’ দেন! হাতে ললিপপ ধরিয়ে দেয়া ফ্যাপগুলো কেমন? দেখুন-
লেখকের বউয়ের ফ্ল্যাপ
বই : বাঁশগাছের মাথার উপর চাঁদবাগান (গল্পগ্রন্থ)
গুজব রিলোডেড
জব একটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ শব্দ। ইহার আগে পিছে কিছু লাগাইলেই ভয়াবহ আকার ধারন করে।
যেমন ধরেন জব এর আগে যদি ব্লো লাগায়া দেই তাইলে পুরাই ১৮+ ব্যাপার ঘইটা যাইবেক।
আবার যদি আগে আ লাগায় দেই তাইলে সবাই অবাক হইযাবে।
আবার যদি গু আজমের গু কে আগে লাগায়া দেই তাইলে অবস্থা তো আরো ভয়াবহ! এতই ভয়াবহ যে এই গুজব এ গজব আইসা পরতারে। ওইত্তেরি, গ লাগাইলেও দেখি ঘটনা ঘইট্যা যায়!!!!
এইবার ভিন্ন কথায় আসি। মাঠেঘাটে বিভিন্ন সময় শিয়াল, কুত্তায় হাইগা দেয়। ওই গু মাঠের মাঝে একলা পইরা থাকে। কিছু অতি উতসাহি জব লেস মানুষ বেহুদা মাঠেঘাটে ঘুরাঘুরির সময় ওই গু কে পায়ে করে লোকালয়ে নিয়ে আসে। আর লোকালয়ে গু ছড়ানোকে নিজের জব মনে করে। আর ঠিক তখনই গুজবের সৃষ্টি হয়।
যাউকগা অতশত কতা কইয়া লাভ নাই। শুনলাম গুজব শোনা যাইতাছে। ব্যাচেলর গো নাকি ঢাকায় বাড়িভাড়া নিয়ে থাকতে দিবে না? এইডা নিয়ে নাকি আবার সবাই টেনশন ও করিচ্ছে? ক্যামনে কি রে মমিনুল হক? তুই বিয়া করস নাই বইলা কি ঢাহায় থাকতি পারবি না?
শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার অপ্রকাশিত ফোনালাপ
দেশের সর্বত্রই বর্তমানে একটাই আলোচনা- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার ফোনালাপ। সাধারণ, অসাধারণ সব মানুষের আগ্রহ, কৌতূহলের পরিধি এতটাই ব্যাপক- সূর্য পশ্চিমে উঠলেও আরো কম ‘পাত্তা’ পেতো। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া ফোনালাপটি গুরুত্বের সাথে প্রচার প্রকাশ করেছে। কিন্তু তা খণ্ডিত, ভগ্নাংশমাত্র। শুধু ৩৭ মিনিট নয়, তারা আলাপ করেছেন আরো বেশি সময় ধরে। মিডিয়ার অগোচরে। কথোপকথনের বাদ পড়া অংশটুকু স্বপ্নলোক থেকে জানাচ্ছেন কল্পলোকের বাসিন্দা শফিক হাসান
শেখ হাসিনা : হ্যালো! কেমন আছেন?
খালেদা জিয়া : আবার হেলানোর ফন্দি! হেলাতে হেলাতে আমার পীঠ দেয়ালে ঠেকিয়ে দিলেন। আর কত হেলাবেন?
শেখ হাসিনা : ছি ছি, এভাবে বলছেন কেন? হাজার হলেও আপনি আমার বন্ধু মানুষ।
খালেদা জিয়া : বন্ধুত্বের দরজায় আপনি খিল লাগিয়ে রেখেছেন। নইলে এডিসিকে দিয়ে ফোন করাতেন না। নিজেই করতেন!
শেখ হাসিনা : এডিসি আপনার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের ফোনে...।
নূতন বউ গো মারিস না গো
ফারলু (বি.এ) করল বিয়ে
পঞ্চাশে।
বউটি পুঁটি বয়েস ঊনিশ
(কাঞ্চা সে)।
বাসর রাতে ধুসর দাঁতে
পান খেয়ে,
বউকে বশের চৌকা রসের
গান গেয়ে;
ফারলু ভাবে যাবেই যাবে
পার পেয়ে।
ফোকলা বরাত! কাটল সে রাত
মার খেয়ে।
থাবড়া খেয়ে ফারলু (বি.এ)
গাল খোটে;
‘নূতন বউ গো মারিস না গো’-
বোল ফোটে।
‘টুনটুনিরে অফ যা ওরে
আজ রাতে;
কাল সকালে যাস গে চলে
বজরাতে’।
মিষ্টি পুঁটি চালায় লাঠি
তার পিঠে;
মারের চোটে ফুটল পিঠে
কালসিটে।
কাঞ্চা পুঁটি বলল উঠি
(চালাক সে),
‘খামোশ বুড়া করব খোঁড়া
তালাক দে’।
হেঁচকি তুলে ফারলু বলে,
‘এক তালাক’।
‘কাবিন নামার ছ’ লাখ টাকার
চেকটা লেখ্’।
পুঁটির মুখে খাতির দেখে,
চেক লেখা!
চোখের ভুলে, নাকের জলে
মুচলেকা।
হ্যাপি মাহে রমজান, ক্ষুধা ও খাদ্য বিলাস শুভ হোক
রমজান মাস এসে গেল। বাঙ্গালী মুসলিমদের ‘হ্যাপী মাহে রমজান’ জানাতেও দেরি করে ফেললাম। এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
বেহেশত নিশ্চিত করার জন্য এ মাসে মুসলিমদের ছোটাছুটির অন্ত থাকে না। যদিও রমজানের মানে শুনি সংযম। কিন্তু মুসলিমদের দিকে তাকালে দেখা যাবে বাস্তবতা ভিন্ন। রোজা হলো সচ্ছল মুসলিমদের ক্ষুধা ও খাদ্য বিলাস। বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। যদিও কট্টোর ডানপন্থী মুসলিমরা এ কথায় গোসসা করতে পারেন, কারন তাদের কাছে কোনো জবাব নেই। অন্ধ ব্যক্তিকে অন্ধ বললে যেমন তিনি রেগে যান বিষয়টা অনেকটা সেরকম। অবচেতনে হলেও তারা জানে কথাটা সত্য।
বিষয়টা আর একটু ন্যাংটা করে বলি, নানা কিসিমের খাদ্যের নিশ্চয়তা থাকার পরও অনাহারে থেকে যে বিলাসিতা করা হয় সেটাই ক্ষুধা বিলাস। আর খাদ্য বিলাস নিয়ে তো বেশি কিছু বলার নেই। ক্ষুধা লাগিয়ে ইফতারির সময় ফল-ফাকড়া থেকে শুরু করে নানা কিসিমের খাদ্য প্রতিদিন ইফতারির সময় যেভাবে মাক মাক করে সেঁটে দেওয়া হয়, তাতে খাদ্য বিলাস সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়ার আবশ্যকতা থাকে না।
ছাগুকাব্য
যদি থাকে এই নাস্তিক সরকার
থাকবে না ঈমান, থাকবে না মান
করো সবে জামায়াতের জয়গান
ধর্ম থাক বা না থাক, মাথায় থাকবে টুপি
সাঈদীর মতো কামনা মেটাব চুপি চুপি
সামনে থাকবে ধর্মের লেবাস
লুকিয়ে লুকিয়ে চলবে ভোগ বিলাস
ইহকালে নারী, পরোকালে হুর
ভোগের বস্তু থাকবে ভরপুর
ইহকাল ও পরোকাল নিশ্চিত করতে চাইলে
চলে এসো সাইদীর মেশিনের ছায়াতলে
করো সবে জামায়াতের জয়গান
যদি থাকে তিল পরিমাণ ঈমান
গায়েবি বুক
ফেসবুকে এখন গায়েবি বুকে(নগরীতে) পরিনত হয়েছে। সর্বত্র চলছে গায়েবি ফুউউউউউ।
আজ অমুক সেলিব্রেটির আইডি গায়েব তো কাল তমুক সেলিব্রেটির স্ট্যাটাস। আর পরশু আরেকজনের ফটো।
এভাবেই চলছে আইডি , স্ট্যাটাস আর ফটোর গুম।
এইতো গতকাল গুম হওয়া একটি আইডি পুনরুদ্ধার করা গেছে। এরপর তার কাছথেকে আমরা জানতে পেরেছি যে তাকে নাকি কতিপয় ছাগল খাওয়ার চেষ্টা করেছিলো।
এই কথা শুনে জনৈক মহাপুরুষ বলেছেন, “ আসলেই ছাগলে কি না খায় ?”
ছাগু সর্দার অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, “ এই গায়েবের সাথে ছাগু সম্প্রদায়ের কোনো সম্পৃক্ততা নেই, ইহা শফি সাহেবের ফুউউউউ এর কারসাজি।”
আবেগঘন কন্ঠে তিনি আরও বলেন, “আমরা ছাগু, আমরা কাঁঠাল পাতা খাই; আর মাঝেমাঝে বাঁশের কেল্লায় গিয়ে বাঁশপাতা খাই, কিন্তু আমরা আইডি খাই না। ”
তাদের এই কথা শুনে প্রতিবাদী কন্ঠে সরকার সাহেব বলেন, “ আপনারা জানেন ছাগলে সবই খায়, আর তারই ধারাবাহিকতায় ছাগুরা বিভিন্ন চেতনাধারীদের আইডি খেয়ে দিচ্ছে।”
নিশ্চয় তাঁর মধ্যে কিছু আছে, আসুন সবাই রেশমার মুরিদ হই
সাভারে ভবন ধসে বহু মানুষ মারা গেলো। ১৭ দিন পর শুধু রেশমা জীবিত ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হলো। কি আচানক কাহিনী!।
নিশ্চয়ই রেশমার মধ্যে বাতেনী এলেম রয়েছে বিধায় সৃষ্টিকর্তা কেবল তাঁর প্রতিই সহায় হয়েছেন। আসুন আমরা রেশমার মুরিদ হই। তাঁহার পড়া পানি পান করি। এতে অশেষ নেকী হাসেল হওয়ার পাশাপাশি রোগবালাই এবং বালা-মুসিবতও হয়তো দুর হবে। রেশমা যদি একটু ভেগ ধরেন তবে ব্যবসাও হবে বেশ।
রেশমাকে জীবিত উদ্ধারের ঘটনার পর বহু মানুষ যেন নতুন করে ঈমান ফিরে পেয়েছেন। পথেঘাটে, বাসে, ব্লগে, ফেসবুকে বহু মানুষ ঘটনাটিকে অলৌকিক অ্যাখ্যা দিয়ে এবং ঈশ্বরের কুদরতের কথা ভেবে পাগলপাড়া হয়ে পড়ছেন। বাসে যাতায়াতের সময় উত্তেজিত কোনো কোনো যাত্রীর কণ্ঠ থেকে আক্রোশমূলক বচন ঝড়ে পড়তে দেখেছি। কি? ‘এরপরও যদি কেও অবিশ্বাস করে...সে কি মানুষ? এদের উচিত শিক্ষা দেওয়া উচিত’।
হঠাৎ করে ঈমানের তেজ অনেকের এতোটাই বেড়ে গেছে যে, মনে হয় কোনো অবিশ্বাসীকে কাছে পেলে ওই যাত্রী নগদে হত্যা করবেন।
হেলিকপ্টার
হেলিকপ্টার :
হেলিকপ্টার একটি রহস্যময় যান। ইহা ব্যাবহার করিয়া খুবই স্বল্প সময়ে একস্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করা যায়। ইহার ব্যাবহার বাংলাদেশে বহুবিধ।
মুল্য :
একটি ব্যাটারী চালিত হেলিকপ্টারের মূল্য ১৫০০ - ২০০০ টাকা। ইহাকে অতি সহজেই রিমোট কন্ট্রোল ব্যাবস্থার সাহায্যে শূন্যে ওড়ানো যায়। তবে একটি সত্যিকারের হেলিকপ্টারের মূল্য অনেক। ইহা ক্রয়করা সকলের পক্ষে সম্ভব নহে।
ব্যাবহার :
ইহা ব্যাবহার করিয়া সাধারনত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী শূন্যে থেকে পরিস্থিতি অবলোকন করে। তবে মাঝে মাঝে বড় অপরাধী বহনের ক্ষেত্রেও হেলিকপ্টারের ব্যাবহার পরিলক্ষিত হয়। তবে এই সকল কাজে ইহার ব্যাবহার অনেকেরই অপছন্দ; তাহারা হেলিকপ্টারের যত্রতত্র ব্যাবহারকে জামাই আদর বলিয়া থাকে।
যাতায়াত খরচ:
যেহেতু হেলিকপ্টার খুবই আরামদায়ক বাহন তাই ইহার যাতায়াত খরচ ও অত্যাধিক। সাধারনত জামাইগন ইহাতে চাপিয়া শশুর বাড়ি যায়। যেমন আমাদের সুপারস্টার এ জে অর্থাত অনন্ত জলিল। উনি ইহাতে চড়িয়া তাহার শশুর বাড়ি বেড়াইতে গিয়েছিলেন। তিনি একজন সি আই পি তাই তিনি এই খরচ বহনে সক্ষম।
বিলাসী (২০১৩) - শেষ পর্ব
অবশেষে একদিন আন্দোলনের সহিত মিশিয়া গেলাম। সবাই বলাবলি করিতে লাগিল, হ্যাঁ, ন্যাড়া একজন গুণী লোক বটে। এত দ্রুত আন্দোলনে মিশিয়া যাইতে দেখিয়া সকলে বাহবা দিতে লাগিলো।
শ্লোগানের মাঝে মাঝে চোখাচোখি হইলে বিলাসী একখানা স্মিত হাসি দিতো। আসল কথা হইতেছে আমরা যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্য একাত্ম হইয়াছি। খাইয়া না খাইয়া দিন-রাত প্রজন্ম চত্বরে পড়িয়া রহিয়াছি।
আমাদের এরূপ অবস্থা যখন চলিতেছে ঐদিকে মৃত্যুঞ্জয়ের খুড়ো গেল গেল সব গেল বলিয়া কলরব করিতেছে। তিনি সমাবেশ ডাকিয়া সকলকে বুঝাইতে লাগিলেন ইহা নাস্তিক দের মিলনমেলা, শাহবাগে সকল প্রকার খারাপ কাজ হইয়া থাকে। ছেলে-মেয়ে একত্রে মিলামিশা করিতেছে, উহারা গাঞ্জা মদ খাইতেছে । এখানে কেহ ধার্মিক নহে। খুড়োর কথায় কেহ কেহ সায় দিয়া কহিলো - তাহা হইলে শাহবাগ বন্ধ করিতে হইবে বৈকি ! । এরূপ তো চলিতে দেয়া যায়না। দেশ জাতি ধর্ম সব উচ্ছন্নে যাইবে। ৪২ বছর আগের বিষয় নিয়া রাস্তা বন্ধ করিয়া এরূপ তো চলিতে পারে না ।
বিলাসী (২০১৩) - ৪
বছর খানেক গত হইয়াছে। ছাগুর উৎপাত সহ্য করিতে না পারিয়া ব্লগিং এ ইস্তফা দিয়া ফেসবুকে ফিরিয়াছি। একদিন ফেসবুকে নানান প্রোফাইল ঘাটিতে ঘাটিতে হঠাৎ দেখি মৃত্যঞ্জয়ের ছবি। শাহবাগে বসিয়া শ্লোগান দিতেছে। কপালে "রাজাকারের ফাঁসি চাই" লেখা কাপড় লাগানো , হাত মুষ্ঠিবদ্ধ। কে বলিবে এ আমাদের সেই মৃত্যুঞ্জয়! ধীর স্থির ছেলে এরই মধ্যেই জাত দিয়া একেবারে পুরাদস্তুর আন্দোলনকারী হইয়া গেছে। তৎক্ষণাৎ তাহাকে ফ্রেন্ড রিকোসেট পাঠাইলাম।
আমিও শুনিয়াছিলাম শাহবাগে একদল ব্লগার রাজাকারের ফাঁসির দাবীতে আন্দোলন শুরু করিয়াছে। আশে পাশে অনেকেই গিয়াছে, তদ্যাপি আমি যাই নাই। কী দরকার বাবা !!! গা বাঁচাইয়া চলিতে পারিলেই তো হইলো। নাম ধাম হইয়াছে, টক শোতে যাইতেছি , এখন এই আন্দোলন করিয়া আবার কী না কী ঝামেলায় পড়িতে হয়। আমি ফেসবুকে বসিয়া বসিয়া আন্দোলনকারী দের স্ট্যাটাস দেখিলেই "সাথে আছি" কমেন্ট করিয়া আমার দায় সারিতেছি।