ইউজার লগইন
১৮+
শখৎ মামার চোখে কেন শসা দেয় না
যদ্যপি আমার গুরু
শুঁড়ি বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু
শ্রী নিত্যানন্দ রায়।
তারপরেও গুরুর ইদানিং কালের কার্যকলাপ কেমন যেন! চিন্তায় ফেলে দেয়। কিছুদিন আগেও যে কাজে তাকে নিয়ে চিন্তাও করা যেতনা বর্তমানে একটার পর একটা সে কাজ করে আমাদের ভাবনায় ফেলে দিচ্ছেন।
মাসুম ভাইয়ের এহেন পরিবর্তন নিয়া আমরা টাস্কিত। যারা গত বছর উনার পিকনিকের পারফরমেন্স সম্পর্কে সম্যক অবগত আছেন, এবছর অনুরূপ পারমেন্স না দেখে হতাশ হয়েছেন। কারণ কী এ পরিবর্তনের?
উনি আগে কখনো কোনো ছেলের সাথে কোলাকুলির ধারে কাছে যেতেননা। রাসেলরা দুই একবার ট্রাই করলে বলতেন, দুরে গিয়া মর। কিন্তু কি আশ্চর্য্য! সেদিন দেখলাম মীরকে বুকে নিতে চাচ্ছেন।
আমি কি আমাকে হারিয়েছি বাঁকে
প্রতিটি দিন প্রতিটি মূহুর্ত কি লম্বা যায়। চব্বিশ ঘন্টা এতো লম্বা হয় কেনো তিতলি ভেবে পায় না। সপ্তাহের ছয়টা দিনকে তিতলির মাঝে মাঝে বছরের চেয়েও লম্বা মনে হতে থাকে। মনে হয় এ নিদারুন সপ্তাহ আর শেষ হবে না সায়ানের সাথে আর তিতলির দেখা হবে না। শুধু সায়ান যখন পাশে থাকে ঘড়িটা তখন উড়ে চলতে থাকে। এতো আনফেয়ার কেনো এই পৃথিবীটা। অপেক্ষার সময়টা এতো লম্বা আর .........। সায়ান পাশে থাকলে সেই ঘন্টাগুলো যেনো মিনিট থেকে সেকেন্ড - মাইক্রো সেকেন্ড হয়ে উড়ে যায়। কতো কি ভেবে রাখে, দেখা হলে সে সায়ানকে এটা বলবে ওটা জিজ্ঞেস করবে কিন্তু ও সামনে এসে দাঁড়ালে এমন ঝড়ের কাঁপন শুরু হয়, সময় কোথা দিয়ে ওড়ে, ভেবে রাখা কিছুই আর মনেও থাকে না, বলাও হয় না। আর তিতলির মাথাটাকে সায়ানতো কাজও করতে দেয় না। হলে ফিরে ব্যাগ গুছাতে গুছাতে তিতলির আবার রাগ হতে লাগলো। একটু দ্বিধায়ও পরে গেলো। রক্ষনশীল পরিবারের মেয়ে সে। বাবা মা তাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন
রান্ধা কামেল ও অন্যান্য পেচ্ছাপেচ্ছি
১
মিশর দেশে একসময় লোকজন যাইতো পিরামিড, নীল নদ আর স্ফিঙস দেখতে... সেটাই জানতাম।
কিন্তু মাসুম ভাই মিশর ঘুরে এসে জানালেন ওসব কিছুই না... মিশরে যেতে হবে রানধা কামেলকে দেখতে।
আমাদের যাদের পোড়া কপাল, তাদের তো আর মিশরে গিয়ে "সশরীরে" রানধা কামেল দেখার ভাগ্য নাই, তাই বিকল্প পথই ভরসা..
ছোটবেলায় একটা ছড়া পড়েছিলাম- এক যে বোকা শেয়ালে, মুরগী এঁকে দেয়ালে, চাটতে থাকে আপন খেয়ালে [ভুলে গেছি, মূল ভাবটা শুধু মনে আছে]। আমরাও সেইভাবেই রানধা কামেলকে দেখি। [তবে চাটি না কিন্তু ]
এলোমেলো প্রেমের গল্প
তখন থেকে টেবিলের ওপর মোবাইলটা নেচে যাচ্ছে। হ্যা বেজে যাচ্ছে না নেচে যাচ্ছে। তিতলি বই খুলে বসে আছে বটে টেবিলে কিন্তু সেকি পড়ছে নাকি মোবাইলকে দেখছে বোঝা যাচ্ছে না। আনমনা প্রচন্ড শুধু সেইটুকুই বোঝা যাচ্ছে। তিতলি ভীষন রেগে আছে সায়ানের ওপর। সায়ান বিকেল থেকে সামান্য বিরতি দিয়ে দিয়ে ফোন করেই যাচ্ছে করেই যাচ্ছে, কিন্তু তিতলি কিছুতেই ফোন ধরছে না। বাসায় যেনো কারো কানে না যায়, মোবাইলটাকে ভ্রাইব্রেশনে দিয়ে রেখেছে তিতলি। বিকেল থেকে কতো এসএমএস, কতো কাঁকুতি মিনতি সায়ানের, ফোনটা একবার তোল জান। না তিতলি তুলবেই না, গতো দুই দিন ধরে কি কম কষ্ট পেয়েছে সে যে এখুনি সায়ানের ফোন ধরতে হবে? সায়ানের সব সময় কাজের দোহাই, সে খুব ব্যস্ত। আর তিতলি? তিতলির কি সায়ানের ফোনের অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন কাজ নেই। গতো দুদিন সারাক্ষণ মোবাইল চেক করেছে, নাই কোন ম্যাসেজ, নাই কোন মিসড কল। কাজ থাকলে কি তিতলিকে ভুলে যেতে হবে?
আমার সেই বন্ধুর সরল স্বীকারোক্তি - ৩
মাঝে মাঝে অনেক বেশি ঝগড়া হতো, কিন্তু তারপর আবার দেখা হলেই সব ঠিক। রেস্টুরেন্টে খুব কাছাকাছি বসে যখন ওর গালে হাত দিতাম তাতেই ওর সব রাগ ঠান্ডা। এভাবে কেটে গেল তিনটি বছর। মাঝে মাঝে রাত জেগে বন্ধুদের সাথে কার্ড খেলার খুব নেশা ছিল আমার, সাথে হাল্কা দেশী কিংবা বার পকেটের অবস্থা বুঝে বিদেশী রঙ্গীন পানীয়।
আমার সেই বন্ধুর সরল স্বীকারোক্তি - ২
এরপর প্রায় দেখতাম মেয়েটিকে। দেখা হলে মুচকি মুচকি হাসতো। এমনি একদিন দুপুর আড়াইটার দিকে, ৩ বন্ধু মিলে দোকানের সামনে বসে আছি। দুপুরের সময় আবাসিক এলাকার রাস্তায় লোকজনের আনাগোনা কম থাকে সাধারণত। তাই যত কু্কীর্তি আছে করার সময় তখনই। সেই ক্যাসেটের দোকানদার রিয়াজ ভাই এই সময় প্রতিদিন দুপুরের খাবার খেয়ে এসে গাজা টেনে বসে থাকতো দোকানে। আমরা তখন দোকানের রাজা। বেশি ভলিউম দিয়ে গান শোনা ছিল সেই বয়সের ফ্যাশন। তার উপর ক্যাসেটের দোকান মানেই অনেকগুলো বড় বড় স্পীকার। সেদিন কি যেন মনে হয়েছিলো, রিয়াজ ভাই থেকে চেয়ে নিয়ে আমরাও গাজা ধরালাম। জীবনে প্রথম গাজা ধরালাম সেদিন, প্রথম কয়েক টান দেয়ার সময় সিগারেটের সাথে কোন পার্থক্য খুঁজে পাইনি। ৫/৬ মিনিট পরে যখন উঠে দাঁড়াতে গেলাম তখনি বুঝতে পেরেছিলাম সিগারেট এবং গাজার পার্থক্যটা কোথায়। যাই হোক, ততক্ষণে স্পীকারের প্রত্যেকটা শব্দের মাঝেই হারিয়ে যাচ্ছিলাম আর মনে হচ্ছিলো এভাবে য