স্বর্গপতন
একটা দুইটা করে দশটা বৃষ্টির ফোঁটা
শুষে নেয় দশ বিশ করে নব্বইটা মরুর কণা।
একটা দুইটা কান্নার শব্দ মাটিতে না পড়ে
যায় হারিয়ে দৈরথের ডামাডোলে।
. . . . তারা আশ্বাসে পাশে থাকে!
টাকার থলের দামে যৌনতা বেচে
. . . . . . . . . . . . জীবন বাঁচে
মায়ের দামে একাত্তোর বেচে
. . . . . . . . . . . . বেশ্যা সাঁজে।
প্রশংসা সকল সানির দ্বারে
আমার অনুভুতি সকাল বিকাল মরে।
চেতনার মরুভূমিতে বেড়ে ওঠা বিছে
চেপে ধরেছে মুখের স্বাধীনতা।
. . . . আজ তাদের চোখে গান্ধারীর পট্টি!
সুন্দর কবিতা, তবে একটু বানান-সচেতন হলে ভালো হতো। উদাহরণ দিচ্ছিঃ ১) 'দ্বৈরথ' বানান শুদ্ধ, 'দৈরথ' নয়।
২) 'সাজে' বানান শুদ্ধ, 'সাঁজে' নয়।
৩) 'একাত্তর' বানান শুদ্ধ, একাত্তোর নয়।
'প্রশংসা সকল সানির দ্বারে'- এই বাক্যের অর্থ বোধগম্য হলো না।
'গান্ধারীর পট্টি'- এই চিত্রকল্প আপনি ব্যবহার করেছেন নেতিবাচক অর্থে, আদতে গান্ধারী, যিনি ছিলেন মহাভারতে বর্ণিত ধৃতরাষ্ট্রের স্ত্রী, তাঁর চোখ দুটি একফালি কাপড় বা পট্টি দিয়ে বাঁধা থাকলেও তিনি অত্যন্ত সচেতন এক অভিজাত রাজবধূ ছিলেন। কেন তিনি তাঁর চোখ দুটি আবৃত করেছিলেন, সেটি ভিন্ন প্রসঙ্গ, তবে তাঁর এই অভ্যাস মোটেই নেতিবাচক ছিলোনা।
আরো লেখা আশা করছি।
বানানের ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞ
গান্ধারীর ক্ষেত্রে আমি বলব এটা ধর্মান্ধতা। কারণ সে স্বেচ্ছায় চোখ বন্ধ করে রেখেছিল, অর্থাৎ সে চোখ থাকতেও অন্ধ।
এখানে গান্ধারীর পট্টি বলার কারণ হচ্ছে তারা স্বেচ্ছায় চোখ বন্ধ করে রেখেছে।
'প্রশংসা সকল সানির দ্বারে'- নিজেকে নগ্নভাবে দেখানোর পরও সানি লিওন কত প্রশংসা পাচ্ছে!! ওই প্রশংসার কি আদৌ দাম আছে?
পড়ার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। ঠিক এইরকম আলোচনা আমি চেয়েছিলাম।
একাত্তোর বানানটা কবিতায় ইচ্ছে করেই দিয়েছি শ্রুতিতে ভাল লাগার জন্য।
মন্তব্য করুন