আমরা চলিব পশ্চাতে ফেলি পঁচা অতীত
যে সব লোকেরা মতিঝিলে হাজার হাজার লাশ পড়েছে বলে কান্না করছে তারা ভুল বলছে না। আমি দেখতে পাচ্ছি তাদের চেতনার গুমট কালো কালো লাশ পড়ে আছে রাস্তাঘাটে। এই লাশের সংখ্যা গুনে গুনে তাদের স্বস্তি, কিন্তু আমাদের অস্বস্তি এই এত্তগুলো জিন্দা লাশ জাতি কী করে বয়ে নিয়ে যাবে! মহাকালের কোন কৃষ্ণগহ্বরে ঠাঁই হবে এই সব লাশপ্রিয় চলন্ত লাশদের! যেখানে একটা মৃত্যুও অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক সেখানে তারা লাশের রাজনীতি করার জন্য কওমি মাদ্রাসার নাবালক বাচ্চাদের মিছিলে সওয়ার হয়ে বিশৃঙ্খলা শুরু করে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
এত কম লাশে কালবৈশাখীর পোষায় না তাই আজ নানা সময় ও নানা দেশের লাশ হয়ে যাচ্ছে মতিঝিলে। অন্ধকার রাত্রে ট্রাকে ট্রাকে করে লাশ চলে যাচ্ছে সীমান্তে অথচ মৃতের দাবী নিয়ে কেউই আসছে না! টিনের চশমা পড়া চোখ দেখে না টিভি রিপোর্ট, দেখে না পত্রিকা। সবাই তাদের সাথে বিরোধীতা করছে। করবেই তো। জিন্দালাশের জন্য কার মায়া হবে? কেউই হিসাব করতে পারেনা জিন্দালাশের। তাদের বিবেক কোথায় কখন কিভাবে পড়ে মারা যাচ্ছে তার ভাবনা ব্যস্ত মানুষের করা সাঁজে না। কিন্তু তাদের মুর্দা ঠিকই আমাদের ভুতের মত ভয় দেখায়, নাকি সুরে বলে, "আমি সমাজের কীট, পঁচা সংস্কৃতিতে আমার বেড়ে উঠা। রাস্তার পাশের নর্দমায় আমাদের দেখেও দেখ না তোমরা, কিন্তু আমরা ঠিকই আছি। যখনই নর্দমা সাফ করার জন্য কেউ অগ্রসর হয়, আমরা বাধা দিয়েছি, দিব।"
নষ্ট নাস্তিক ইত্যাদি উপাধী মাথায় নিয়েও প্রজন্ম বসে আছে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেখার জন্য। কোন বাধাতেই তারা পিছু হটবে না আর। মৌলবাদ দমনের মধ্য দিয়ে একদিন এই দেশ থেকে মানুষের কাছ থেকে বহু দূরে থাকা মিথ্যাচারের নোংরা রাজনীতিকেও বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিবে এই আশায় হাত মুষ্টি করেছে। হয়ত নিহারিকা বহুদূরের পথ তবু যেতে হবে তাই গুটি গুটি পায়ে চলি চন্দ্রে, মঙ্গলে, একদিন সৌরজগৎ পেরিয়ে যাবে এই আশায়। আশাবাদী হয়ে কিছু পাগল এই বিশ্বকে গড়েছে আর কিছু পাগল হতাশার সমুদ্রে ডুবে ভিক্ষার থালা নিয়ে প্রলাপ বকে। পৌরাণিক দেবীর পূজার সময় মানুষ আজো আহত পরাজিত মহিষাশুরের মূর্তি বানায় তেমনি আজকের ওই আবর্জনাকে একদিন মানুষ ঘৃণা করার জন্য স্মরণ করবে।
মৌলবাদীরা বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছে... যাক.. মুড়ি খাক তারা... আমরা লড়বই
মৌলবাদীরা এভাবে ভাগবে
নষ্ট নাস্তিক ইত্যাদি উপাধী মাথায় নিয়েও
@দাদা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, প্রায় প্রতিদিন
কোরান পড়ার পরও যখন হুমকি পেতে হয়।
তখন আপনার সেরু পাগলা, হতে পারে আহসান হাবিব,
অকিঞ্চনের বৃথা আস.হতে পারে অন্য
যে কেউ।
তবুও আমি সব সময় আশা বাদী।
কিন্তু দুঃখ হয় আশাহতদের জন্য।
তাই তাদের জন্য
পদ্মার ঢেউরে, মোর শুন্য হৃদয়
নিয়ে যা যা রে।
বা যেই ঢাল ধরি ভাংগ্যা পড়ি। এখন
আমি কি যে করি।
আপনার লেখায় যে বাস্তবতা তুলে
ধরেছেন তা যে কতজনের অন্তজ্বালা হবে।
অতীত পচা হলেও তাকে মনে করেই সন্মুখে
এগিয়ে যাব। তাতে পচাতে পড়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
ভাল, অনেক ভাল হয়েছে।
ভাল থাকবেন, সাবধানে থাকবেন।
ইতিহাসের বড় দুঃখ তা হল, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। আমরা ইতিহাসের শিক্ষাতে ও শক্তিতে বলীয়ান হয়ে আবর্জনা দুর করব।
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
লতিফ, আইরিন তোমরা এত কষ্ট করে আমার লেখা পড়। আমাকে উৎসাহ দেও। আমি অনেক কৃতজ্ঞ তোমাদের প্রতি। বন্ধুরা সুদুর কানাডা ও আমেরিকাতে থাক। কিন্তু মনে হয় পাশাপাশিই আছি।
হাজার হাজার লাশ হওয়ায় মিলিয়ে গ্যাছে।
মৌলবাদ নিপাত যাক, বাংলাদেশ এগিয়ে চলুক....
মন্তব্য করুন