“ব”তে বাংলাদেশ, “ব”তে বুরুন্ডি..

বাসায় প্রাণী তিন খানা, এর মধ্যে অধম মোটামুটি ১৪-১৫ ঘণ্টা বাহিরে থাকি। সারা মাসে এসি ঘণ্টা খানেকও চলে না। বাকি যাহা কিছু যন্ত্রপাতি – অতি নগন্য, ব্যবহারের হার ও অতি সাধারণ। গত মাসের বৈদ্যুতিক বিল আসিয়াছে ৩,৯৭৩ টাকা মাত্র। ইহা ইতিপূর্বের যেকোন সময়ের সর্বোচ্চ বিলের চাইতে দ্বিগুনেরও বেশী। বিদ্যুত অফিসে কমপ্লেন দিয়াছিলাম, চেক করিয়া বলিলো সব নাকি ঠিক আছে।
এই ৩,৯৭৩ টাকার ব্যক্তিগত বৈদ্যুতিক বিল ব্যতীত, এপার্টমেন্টের কমন বৈদ্যুতিক বিল ও জেনারেটরের তৈলের খরচের আনুপাতিক হিসাবে আরো ২,০০০ টাকার উপর আমাকে বহন করিতে হইবে। তাহা হইলে, তিন সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের মোট বৈদ্যুতিক খরচ দাঁড়ায় ৬,০০০ টাকা, মাথাপিছু ২,০০০ টাকা। এই হিসাবে জেনারেটরের রক্ষণাবেক্ষণ কিংবা অবচয় ধরা হয় নাই। এমনকি, অতি সাম্প্রতিক বর্ধিত বৈদ্যুতিক বিলের প্রভাবও ইহাতে পড়ে নাই।
এমতাবস্থায়, তিনি বলিলেন, জনগণ যাতে লোড শেডিংয়ের কষ্ট ভুলিয়া না যায় সেই জন্য প্রতিদিন দুই ঘন্টা করিয়া বিদ্যুৎ বিভাগ যেন লোড শেডিংয়ের চালায়। কি মহান উদ্যোগ! কি যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত! আরো ভাল হইতো যদি তিনি প্রতিদিন চব্বিশ ঘন্টা করিয়া লোড শেডিংয়ের চালাইতে বলিতেন। তাহাতে আমিও এই বাল-ছাল লিখিতে পারিতাম না আর মিডিয়াও আবুল-পদ্মা-বিশ্বব্যাংক-তৌওমর-সামিট-সাগর/রুনি-হলমার্ক ইত্যাদি নিয়া ক্যাওম্যেও করিতে পারিতো না; শুধু বাংলাদেশের নাম বুরুন্ডির সাথে উচ্চারিত হইতো, এই যা..
~
ছবিঃ সংগৃহীত।





বাংলাদেশকে ভূতে ধরছে।
ভুল কহিলেন, পেত্নী ধরিছে..

আমার স্কুলের এক বান্ধবী পেত্নী বলতে পারতো না, বলতো "ফেচকুরনী"..মনে হয় ফেচকুরনী শব্দটাই এইখানে যথাযথ..
হতাশিত নয়নে চেয়ে দেখছি সব।
মাঝে মধ্যে ছোট খাটো ভুল হইতেই পারে! ঐ মাসটা সবার বিদ্যুৎ বিল একটু এদিক সেদিক হইসে! কুনো ব্যাপার না!!!
আগামী মাসে বিদ্যুতের বর্ধিত রেটের প্রভাব পড়া শুরু হবে। এখন আবার জেনারেটর বেশী চলা শুরু হইছে। তাইলে বিদ্যুত বিল কমবে কেমনে রে?
~
আমার মতে তো, বিদ্যুৎ বিল আরো বাড়ানোর দরকার! সরকারের উপর থেকে ভর্তুকির চাপটা কমুক! সরকারকে আমরা সাহায্য করি শক্ত ভাবে নিজ পায়ে দাঁড়ানোর জন্য
আমার এই মাসের বিল আসছে ৩৭০০+
এর পর কমনের বিল গতমাসে আইছিল ৩৮,০০০/৪০ টা ইউনিট = ৯৫০
এই মাসে এক লাফে ৫৮০০০/৪০=১,৪৫০ টাকা
তো মাস শেষে ৩,৭০০ + ১,৪৫০ = ৫,১৫০ টাকা শুধু মাত্র ইলেক্ট্রিসিটি বিল (জেনারটরের খরচ বাদেই)
ভাবতেছি ২৪ ঘন্টাই রোজা রাখা যায় কিনা
আমার বিদ্যুৎ বিল আইছে ৯৮০ টেকা। তাও ভাড়িওয়ালী চুরি করে বৈলা। বেটি নিজের বিদ্যুৎ বিল সব বাসার মধ্যে ভাগ কৈরা দেয়। কোনো মাসেই আমাগো কাউরে বিলের কপি দেয়না। হাতে লেখা কাগজে দেয়। এই ভাবে চলতেছে ১০/১২ বছর এক বাসায়। ৩০০০ টাকায় উঠছিলাম এই বাসায়। এখন দেই ৯৫০০ টেকা। আগে প্রতি বছর বাড়াইতো ৫০০ কৈরা। গত বছর থেইকা বাড়ায় ১০০০ কৈরা। কিছু কৈ না। এত সস্তায় বাসা পামু কৈ...
কিছু কইবেন মাইনে? একদম চুপ করে থাকেন! প্রতি মাসে যেই পরিমান টাকা কম দিচ্ছেন বা সেইভ হচ্ছে ওই টাকা দিয়া ব্লগের পোলাপান্রে আপনি খিচুরি খাওয়াবেন!
হয়ো!
আমাদের পাশেরবাড়ির খালাম্মা ৩মাস বাড়িতে ছিলেন না, কারেন্ট ব্যাবহার হয় নাই স্বাভাবিক ভাবেই। এসে দেখেন উনার লাইন কাটা। বিল দেখলেন যে একেক মাসে প্রায় ৫০০০ টাকার উপরে আসছে!! অনেক অনেক দেন দরবার করে বিদুৎ অফিসে চক্কর দিয়ে দিয়ে ১৫০০০ রে ৪৫০০ টাকায় এনে একটা সিস্টেম পুনরায় সংযোগ নিছেন!!
আমাদের বাসার বিলের কথা উল্লেখ নাই করলাম!! বিল দেখে আত্মারাম নাই হাল!
একটা রুমের বাসায় থাকি তাও বিল বেড়েছে ৩০০ টাকা!
অবাক ব্যাপার হলো, পরিচিত সবাই অস্বাভাবিক হারে বিদ্যুৎ বিল দিলেও আমার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়েছে। অর্থাৎ স্বাভাবিক বিলই দিচ্ছি গত কয়েকমাস ধরে।
হতাশিত নয়নে চেয়ে দেখছি সব।
বিল আরেক দফা বাড়ল!
চিন্তা কইতেন না, সামনে বিলের অঙ্ক আরও বড় হবে !
মন্তব্য করুন