ঈশান মাহমুদ'এর ব্লগ
রম্য লেখার প্রচেষ্টা: দাম্পত্য রঙ্গ
“আমার ‘স্ত্রী‘ হারাইয়া গেছে, খুঁজে পাইতেছি না, ভাই আপনার ঘরে ‘স্ত্রী‘ আছে? আমাকে দিবেন? দুইটা ‘ডলা‘ দিয়া ফেরত দিবো।“
দুপুরে খেয়েদেয়ে ভাত ঘুম দিচ্ছিলাম। এমন সময় কোন বেয়াক্কেল ডোর বেল টিপে ঘুমের বারটা বাজিয়ে দিলেন। দরজা খুলে দেখি তিনতলায় চলতি মাসে আসা নতুন ভাড়াটে। আমাকে দেখে ভদ্রলোক উপরের কথা গুলো দ্রুত উগরে দিলেন। প্রচণ্ড বিরক্তি নিয়ে তার দিকে তাকালাম। মনে মনে রেগে গেলাম, বলে কি হারামজাদা!
আমার রাগী চোখ দেখে ভদ্রলোক নিরীহ কন্ঠে বলেন, “ভাই বিকেলে আমার একটা পার্টি আছে। স্যুটটা এক্ষুনি ‘স্ত্রী‘ করতে হবে, কিন্তু এই সময় লন্ড্রি খোলা থাকে না, তাই আপনার কাছে আসছি। দিবেন একটু স্ত্রী‘টা?“
ভদ্রলোকের কথা এতোক্ষণে বোধগম্য হলো, তিনি ইস্তিরিকে ‘স্ত্রী‘ উচ্চারণ করাতেই যতো বিভ্রান্তি।
একটি খারাপ দিন (২য় পর্ব}
[১ম পর্ব পড়তে হলে ক্লিক করুন এখানে।] অফিস ছুটির পর রিকশা নেয়ার চেষ্টা না করে এবার বাসে উঠি। প্রচন্ড ভীড়ে কে যেন জুতা দিয়ে আমার পা মাড়িয়ে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে চেঁচিয়ে উঠি, ‘আমার পা পিষ্ট করেছে কোন পাপিষ্ঠ রে’। কথাটি বলেই সন্দেহভাজন ব্যক্তিটির দিকে তাকাই। ‘এমন মাগুর মাছের মতো কুত কুত কইরা চাইয়া থাইকেন না ভাই, গা শিরশির করে। বাসে উঠলে একটু আধটু লাগবোই, সহ্য না হলে নাইমা ট্যাক্সি ক্যাবে গিয়া উঠেন’। এক নি:শ্বাসে কথা কয়টি বলে দম নেন ভদ্রলোক।
‘ভাই, পকেটে ট্যাক্সি ক্যাবের ভাড়া থাকলে কি আর বাসে উঠে ছাগলের সঙ্গে ঝগড়া করি’ ! আমার নির্লিপ্ত বলার ভঙ্গিতে সারা বাসে হাসির হুল্লোড় পড়ে যায়। একটু পর কন্ডাক্টর এসে ভাড়া চায়। কিন্তু প্যান্টের পেছনের হাত দিয়েই মাথায় যেন বাজ পড়ে আমার। হিপ পকেটে মানিব্যাগটা নেই। বাসে উঠার মুহূর্তেই কেউ...।
একটি খারাপ দিন
ভাগ্য খারাপ হলে যা হয়, সকালে ঘুম থেকে উঠেই বউয়ের পা ধরতে হলো। শুধু পা ধরা হয়, রীতিমতো পায়ে তেলও মালিশ করতে হলো। বউয়ের আপন ছোটভাই, মানে আমার শ্যালক থাকে আবুধাবি। শালা সারাটা রাত ফোন যন্ত্রণা দিয়েছে। রিং হয়, ধরলেই লাইন কেটে যায়। ‘হ্যালো আমি মোতালেব......’। ব্যাস, এটুকু বলেই মোতালেব গায়েব। লাইনে শুধু ঘর ঘর শব্দ। টেলিফোনের এই তামাশা চলে মাঝ রাত পর্যন্ত। আমার শালা মোবাইল ব্যবহার করলেও পয়সা বাঁচানোর জন্য সাধারনত কোম্পানীর ফোন থেকেই আমার ল্যান্ডফোনে ফোন দেয়। শেষ রাতের দিকে চোখটা একটু লেগে এসেছে, এমন সময় কর্কশ শব্দে আবার রিং বেজে উঠে। বউ আমার শয্যা ছেড়ে পড়িমড়ি করে ছুঁটে ফোন ধরতে। কিন্তু তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে বেকায়দা ভঙ্গীতে মেঝেতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। অতপর গগনবিদারী আর্তচিৎকার, ‘ও মাগো ,মরে গেলাম....’। তাড়াতাড়ি বিছানা ছেড়ে বউকে মেঝে থেকে টেনে তুলি। তার কর্কশ কন্ঠের অসহ্য চিৎকারে কানে তালা লাগার মতো
ঈদ শপিং বিড়ম্বনা
কেনাকাটা শব্দের আভিধানিক অর্থ যাই হোক না কেন, এর অন্তর্নিহিত ভাবার্থ হলো, ‘কিনতে গিয়ে কাটা পড়া’। অন্তত ঈদ মৌসুমে এ কথাটি ১০০% সত্যি। ঈদের মার্কেটে ঢুকলেই আমার নিজকে বকরি বকরি মনে হয়, আর দোকানীকে মনে হয়, ‘খড়গহস্ত-ধারী এক কসাই’। কোন কিছু কিনতে গেলেই সে ‘মূল্য’ নামক খড়গের এক কোপে আমার ‘সামর্থ্য’ আর ক্রয় ক্ষমতাকে জবাই করে দেবে। এ প্রসঙ্গে নিজের একটি অতি তিক্ত অভিজ্ঞতার বয়ান দিচ্ছি।
তখন সবেমাত্র বিয়ে করেছি। ‘প্রেস্টিজ’ রক্ষার জন্য বিয়েতে হাত খুলে খরচও করেছি। তাই বিয়ের পর পকেট রীতি মতো আউটার স্টেডিয়াম। ধার-দেনা করে চলতে হচ্ছে। এমন সময় ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ এর মতো উদয় হলো ঈদ। আমি দু’চোখে তারাবাতি দেখতে শুরু করলাম...। ঈদের চাঁদকে মনে হলেন ‘কাস্তের ফলার মতো বাঁকানো ছুরি’।
সে আমাকে সহ্য করেছে, আমি তাকে সহ্য করেছি-দীর্ঘ বারোটি বছর।
দিনটি ছিল ১৯৯৯’এর ১২ মার্চ । তার আর আমার জীবনের সবচে স্মরণীয় দিন (নাকি ধরা খাওয়ার দিন !)। আজ থেকে একযুগ আগে ঠিক এই দিনটিতে আমরা একে অন্যের হাত ধরেছিলাম, জীবনের পথে একসঙ্গে হাঁটবো বলে (মাঝে মাঝে ঝগড়া করবো বলে !), জীবন সঙ্গী (নাকি জীবন যন্ত্রণা !)হবো বলে । শপথ নিয়েছিলাম সারাজীবন পাশাপাশি থাকবো (মাঝে মাঝে ঘর পালাই, সেও রাগ করে বাপের বাড়ি যায়)। তারপর... দেখতে দেখতে বারটি বছর । এই দীর্ঘ সময় আমরা একই ছাদের নিচে বাস করেছি (না করে উপায় নাই), একে অন্যকে সহ্য করেছি, ভালোবেসেছি, ঝগড়া করেছি (পাড়া প্রতিবেশী সাক্ষী), সুখ-দু:খ শেয়ার করেছি, একে অন্যের নি:শ্বাসের ব্যবধানে থেকে রচনা করেছি কতো আনন্দ-বেদনার কাব্য; নির্মাণ করেছি কত স্মৃতি, যাপন করেছি একটি টক-ঝাল-মিষ্টি (এবং তিতা) দাম্পত্য জীবন।
পুলিশের ‘ভালোবাসা’ এবং একজন গিয়াস আহমেদ
বলা হয়ে থাকে পুলিশ ‘জনগণের বন্ধু’। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কথাটি আষাঢ়ে গল্পের মতো শুনায়। এদেশে পুলিশ যার বন্ধু তার আর শত্রুর প্রয়োজন হয় না। পুলিশ এমন এক কথিত ‘বন্ধু’, যে বন্ধুকে কেউ বাসায় নিমন্ত্রণ করে না। কখনো অযাচিত ভাবে পুলিশ যদি কারো বাসায় ঢুকে পড়ে ; অমঙ্গল আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে পড়ে গোটা পরিবার। প্রবাদ আছে, বাঘে ছুঁলে এক ঘা, আর পুলিশ ছুঁলে আঠারো ঘা। বন্ধুর চেয়ে পুলিশকে মানুষ মূর্ত মান আতঙ্ক বলেই মনে করে। কোন অপরাধে কিংবা বিনা অপরাধেও এদেশে পুলিশ যে কোন সময় যে কাউকে ধরে নিয়ে যেতে পারে। আর একবার পুলিশের ‘হেফাজতে’ গেলে কেউ যে সুস্থ শরীরে ফিরে আসবে কিংবা আদৌ ফিরবে কিনা, এ নিশ্চয়তা অন্তত এদেশে নেই।
একটি বাংলাদেশ
অনেকদিন ধরে ব্লগ লিখি না, লেখা আসে না। নানা আইডিয়া মাথার মধ্যে গিজ গিজ করছে...কিন্তু লিখতে পারিনা। লিখতে বসলেই রাজ্যর ক্লান্তি এসে ভর করে, কী-বোর্ডে আঙ্গুল চলে না। অল্পতেই ধৈর্য হারাই। জানিনা এমন কেন হচ্ছে ! কিছুদিন কম্পু থেকে দুরে ছিলাম, এই জন্যই কি এমন হচ্ছে ! কে জানে !
আজ অনেকটা ধনু ভাঙ্গা পণ করে কম্পুতে বসেছি, এলেবেলে যাই মনে আসে, লিখবো। অন্তত একটা কিছু না লিখে আজ আর উঠছি না।
নিজের দেশে বিশ্বকাপ হচ্ছে। চারিদিকে উৎসবের আমেজ। রাজধানী ঢাকাকে নববধূর মতো সাজানো হয়েছে। আমরা জানি বধূটি মোটেও সুন্দরী নয়, কসমেটিক পলিশের মাধ্যমে তার কুশ্রী অঙ্গে কৃত্রিম সৌন্দর্যের প্রলেপ দেয়া হয়েছে। তবুও তাকে দেখতে সুন্দর লাগছে। বিশেষ করে রাতের ঢাকা এখন যেন এক যৌবনবতী তরুণী, যার শরীরের পরতে পরতে লুকিয়ে আছে রহস্যময় সৌন্দর্য আর অনাবিল আকর্ষন।
নতুন বছরে কি ভাবছেন ?
নতুন শতাব্দীর দশম বছরটিকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দিয়ে এসেছে নতুন বছর। সবার মনে এখন নতুন ভাব, চোখে নতুন খোয়াব। তাই...মানুষ কি ভাবছে নতুন বছরে ? বছরের প্রথম দিনে মনে এই প্রশ্নের উদয় হতেই বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের অনুভূতি জানতে ইচ্ছে হলো। ‘চ্যারিটি বিগেইনস এট হোম’-এই প্রবাদ বাক্যের অনুসরণে প্রথমে জানতে চাইলাম নিজের স্ত্রীর প্রতিক্রিয়া। ‘নতুন বছরে কি ভাবছো ?’ আমার এই প্রশ্নের উত্তরে প্রথমে একটু থমকে যান তিনি। তারপর... সরাসরি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলবো ? ‘হ্যাঁ নি:সংকোচে বলতে পার’। আমি অভয় দেই। ‘ভাবছি তোমাকে কিভাবে সাইজ করা যায়’। ‘তার মানে ?’ ভড়কে গিয়ে প্রশ্ন করি। ‘ইদানীং তুমি কেমন জানি বদলে যাচ্ছ, আগের মতো আমাকে আর ভালোবাসো না। গত ঈদে একটা ভালো শাড়ীও দাওনি, ইদানীং আবার বড্ড রাত করে বাসায় ফির, বাসায় এসে আবার কম্পিউটার নিয়ে বসে পড়ো...। আচ্ছা তুমি আমাকে কি মনে করো বলতো !
বউ কাব্য
উদরাজী নাকি বউরে ভীষণ ভয় পায় (আমার কথা না মেসবাহ’র মত ) । সেদিন জানা গেলো টুটুলও তার বউকে....। অবশ্য জগতে দুই-একজন বীর পুরুষ ছাড়া সবাই বউকে কম-বেশি সমীহ করে। এজন্যেই অনেকে পিকনিকে বউ নিয়া যাইতে সাহস পায় নাই। উদরাজী নাকি একবার বিড়ম্বনায় পড়ছিল...। আমি নিজেও খুব একটা সাহসী পুরুষ নই। বিয়ের আগে মানুষ যখন বউ নিয়া নানা রঙ্গীন স্বপ্নে বিভোর থাকে, আমি তখন দাম্পত্য জীবন এবং বউ সম্পর্কিত কিছু অনুকাব্য রচনা করেছিলাম। যার অনেকগুলোই পরবর্তিতে দাম্পত্য জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতার সংগে কাকতালীয় ভাবে মিলে গেছে। সেইসব অনুকাব্যের বেশ কয়েকটি এবির বন্ধুদের জন্য এখানে উদ্ধৃত করলাম। আগেই বলে রাখছি, এই অনুকাব্য গুলোর বেশ কয়েকটি ইতিপুর্বে বিভিন্ন পত্র/পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
১.মা বলে বউয়ের ভেড়া
বউ বলে বলদ
জানিনি কোথায় গলদ !
২.আমার বউ আমায়
পেয়ে অভিভূত
আমি তার বশীভূত
জব্বর একখান পিকনিক হইলো
আহারে যারা যায় নাই, তারা কি মিসটাই না করলো... ! সারাদিন আনন্দ-ফুর্তি, হৈচৈ, গানা-বাজনা আর...খাওয়া-দাওয়াতো ছিলোই। স্পেশাল আইটেম হিসেবে আরো ছিল গরম গরম ভাপাপিঠা। পিকনিক স্পটটাও ছিল দেখার মতো। ছবির মতোই সাজানো,গোছানো এবং সুন্দর। সুন্দর,মনোরম পিকনিক স্পট জোগাড় করার জন্য শওকত মাসুমকে এবং সুন্দর পিকনিকের সফল আয়োজনের জন্য মেসবাহ য়াযাদকে পন্চাশ কেজি ধইন্যাপাতা (ধইন্যাপাতা এখন খুবই সস্তা,তাই বেশী কইরা দিতে অসুবিধা নাই)। বেশী কথার প্রয়োজন নাই, আসেন ছবি দ্যাখেন আর যাইতে না পারার দু:খে আফসোস করতে থাকেন...। কি আছে দুনিয়ায়,আজ মরলে কাইল দুই দিন....।(আমার না এইটা উদরাজীর ডায়লগ)।
নারী তুমি ঝলসে ওঠো সদ্য কেনা ছুরির ধারে...
ওপরের শিরোনামটি এবির এক বন্ধুর কবিতা থেকে নেয়া, ব্ন্ধুটির নাম মনে নেই, কিন্তু...বাক্যাটি স্মৃতিতে গাঁথা ছিলো (বনধুটির প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা)। নারী -" ডান হাতে খড়গ জ্বলে, বাঁ হাত করে শংকাহরণ" (জেবিনের লেখা থেকে)। সত্যি মহিয়সী নারী এখন কি না করছে!
রাজনীতির রঙ্গ
দু’জন বৃটিশ এক হলে নাকি আবহাওয়া নিয়ে আলাপ শুরু করেন। দু’জন ফরাসী এক হলে শিল্প-সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনায় করেন। দুজন আমেরিকান এক হলে মশগুল হয়ে পড়েন শেয়ার মার্কেট নিয়ে। আর দু’জন বাঙ্গালী এক হলে নির্ঘাত রাজনীতি নিয়ে ঝগড়া শুরু করে দেন। গণতান্ত্রিক দেশ অথচ গণতন্ত্রের কোন চর্চা নেই, যতটা না রাজনীতির চর্চা হচ্ছে। পল্টন ময়দান থেকে চায়ের দোকান পর্যন্ত, প্রধানমন্ত্রী থেকে রিকশাচালক পর্যন্ত-এদেশে সবাই রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত।
সব ব্ন্ধুকে ঈদ মোবারক
'আমার বন্ধুতে' আমার পদার্পণ নতুন হলেও ব্লগের জগতে আমি একেবারে নতুন নই, প্রায় সাত আটটা ব্লগে রেজিস্ট্রেশন করা আছে, দু'একটিতে লেখাও দিয়েছি। কিন্তু ব্লগিং-এর আসল মজাটা কোথাও পাইনি। বেশীভাগ ব্লগেই রাজনীতির নোংরামী নিয়ে অসুস্থ ক্যাচাল। দীর্ঘ-ক্লান্তিকর, অপ্রয়োজনীয় সব বিতর্ক, সে সংগে অশ্লীল, রুচিহীন মন্তব্য আর খিস্তি-খেউড়। খুব পুরাতন-‘জনপ্রিয়’ এক ব্লগে সে দিন দেখি এক ব্লগার বছরব্যাপী পর্যবেক্ষন করে ব্লগিং করতে গিয়ে যেসব ব্লগার গত এক বছরে কোন অশালীন ভাষা কিংবা একটিও অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেননি, তাদের একটা তালিকা প্রকাশ করেছেন। বলাবাহুল্য সে তালিকায় স্থান পাওয়া ব্লগারদের সংখ্যা অত্যন্ত নগণ্য। তাই ওইসব ব্লগের পরিবেশের সংগে খাপ খাওয়াতে না পেরে ব্লগিং থেকেই নিজেকে দীর্ঘ দিন বিরত রেখেছিলাম।
হঠাৎ একদিন এ ব্লগে ঢু মেরে দেখি, বাহ্ চমৎকার আবহ। রাজনৈতিক প্যাচাল-ক্যাচাল নেই বললেও চলে, আনেক বেশী বন্ধুত্বপূর্ণ এবং আন্তরিক পবিবেশ। নামটাও সুন্দর, ‘আমরা বন্ধু’।সবচে বড় কথা হলো এ ব্লগে আমার অত্যন্ত প্রিয়ভাজন বন্ধু মেসবাহ য়াযাদ এবং শাহাদাত উদরাজীর সরব উপস্হিতি আমাকে অনেকটাই অনুপ্রাণিত করলো। বন্ধু মমিনুল ইসলাম লিটনের উৎসাহের কথা এক্ষেত্রে না বললই নয়। তাছাড়া রশিদা আফরোজ, মইনুল এইচ সিরাজী, নুশেরা, তানবীরা-এ নাম গুলো এবং মানুষ গুলো আমার অনেক দিনের চেনা। অত:পর.... কিছুদিন নীরব পর্যবেক্ষন শেষে অবশেষে একদিন অতিথি হয়ে ঢুকে পড়লাম। সংগে সংগে নতুন-পুরাতন, চেনা-অচেনা সব বন্ধুদের কাছ থেকে যে অভাবিত উষ্ণ অভ্যর্থনা পেলাম, তাতে আমি যার পর নাই মুগ্ধ এবং অভিভূত হলাম। বন্ধুদের আন্তরিকতায় কিছুদিনের মধ্যেই আমিও এবি পরিবারের একজন হয়ে উঠলাম।
একটি মেয়ের গল্প
আমি যে মেয়েটির গল্প বলতে চাই, সে কখনো ঈভ-টিজিং’র শিকার হয়নি, গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ‘সারমেয়’ গুলো তার দিকে হিংশ্র-লালসার দৃষ্টিতে তাকায়নি, ‘তার রূপে মুগ্ধ হয়ে’ কোন ভয়ন্কর সন্ত্রাসী তাকে প্রেম নিবেদন করেনি, পাড়ার কোন বখাটে তার কাছে কখনো কুৎসিত ভাষায় উড়ো চিঠি পাঠায়নি, মোবাইলে মিসকল দিয়ে কেউ কখনো তাকে অতিষ্ঠ করেনি। কলেজে যাওযার পথে বাসে কোন ‘হেল্পার’ (যাদের সে ‘মামা’ বলে সন্বোধন করে) তার গায়ে হাত দেয়নি, কলেজ বা ভার্সিটির কোন বিকৃত মনা শিক্ষক তাকে কখনো যৌন হয়রানী করেনি, ফ্ল্যাটের কোন ‘বড় ভাই’ সিঁড়িতে একা পেয়ে গভীর আবেগে জড়িয়ে ধরেনি। মা কখনো তাকে এক একা ঘরের বাহিরে যেতে নিষেধ করেনি, পিতা তাকে বাল্যবিবাহ দেয়ার চেষ্টা করেনি, কোন গৃহশিক্ষক পড়াতে এসে পড়া বুঝিয়ে দেয়ার ফাঁকে তার হাত ধরেনি, প্রেমিকের হাত ধরে রাস্তায় হেঁটেছিল বলে ‘ধার্মিক’ পুরুষেরা তাকে ‘বেহায়া মেয়েছেইলা’ বলে
তিন ব্লগার ও একটি মনোরম সন্ধ্যা
আসলে ব্লগার ছিলাম আমরা চারজন...না-না পাঁচজন। গিয়াস আহমেদও ছিল, এবিতে যিনি ‘বন্ধু’ নামে নিবন্ধিত। দিনটি ছিল শুক্রবার, অক্টোবর-২৯। আমরা মিলেছিলাম একটি বৈঠকে। পুরোনো বন্ধুদের প্রাণবন্ত আড্ডাবাজী (নাকি গলাবাজী!....মতান্তরে চাপাবাজী)। চলে প্রায় তিন ঘন্টা...। সঙ্গে চা ,কফি আর সিগারেট। (সিগারেটের প্রতি বন্ধুদের ভালোবাসা দেখে ভাবি, নিজের জীবনের প্রতি এদের ভালোবাসা এতো কম কেন !)আমি আড্ডায় পৌঁছি বিকেল চারটায়। গিয়ে দেখি মেসবাহ য়াযাদ আর রানাভাই বসে আছেন ।‘আমারা বন্ধু’তে মেসবাহ’র জনপ্রিয়তা(নাকি ব্লগারপ্রিয়তা!) ঈর্ষনীয়। জিজ্ঞেস করি, এতো কম লিখেও বেশী আলোচিত হওয়ার রহস্য কি ! মেসবাহ তার সেই বিখ্যাত হাসিটা ডেলিভারী দিলেন (এই রহস্যময় হাসি দিয়েই নাকি একদা তিনি মনুভাবীর মন জয় করেছিলেন)। তারপর...