জাহিদ জুয়েল'এর ব্লগ
হতবাক !!!!!!!!!!!!
আমি চাই নি এমন আনন্দের দিনে এই পোষ্টটা দিতে , কিন্তু ছবিটা দেখে খুব খারাপ লাগল !!!!!!
আনন্দও আমিও অনেক করেছি গতকাল, কিন্তু এভাবে আনন্দ করতে গিয়ে যদি মুল্যবান কিছু ধ্বংস করে ফেলি ????
যে ওইটার উপরে উঠছে সে হয়তো এভারেস্ট জয় করার মত কিছু করে ফেলছে এই ভাব নিয়া পোজ দিছে
কিন্তু সে নিজেও জানে না কাজটা কত খারাপ করেছে।
একটু ভাবা দরকার !!!
ছাদের উপরে কে - কে ওখানে????
বছর দুয়েক আগের ঘটনা। ক্যাম্পাস অনির্দিষ্ট কালের বন্ধ। তাই ভাবলাম বাসা থেকে ঘুরে আসা যাক। রাজশাহী থেকে টংগী তে আসলাম । অনেক পর বাসায় আসলে যা হয় আর কি? স্বাস্থ্য হাজার ভাল থাকলেও মায়ের চোখে মুখে শুধুই হতাশার কথা।
কি করস তুই? না খাইয়া খাইয়া শরীরটারে কি বানাইছোস !! ৭৪ এর দুর্ভিক্ষ থেকে আইলি নাকি, এই রকম কত কথা।
তারপর মায়ের কথা শেষ হইলে বলতাম, মা আমার ওজন দশ কেজি বাড়ছে জানো?
ক্যাম্পাসের বন্ধু বান্ধব ছেড়ে বাসায় প্রথম দুই তিনদিন ভালই লাগে কিন্তু পরের সময়টা কাটতেই চায় না। টংগী তে ফ্রেন্ড সার্কেল তেমন একটা বেশি নাই যেও বা আছে তাদের বাসা আমার বাসা থেকে বেশ দুরে। অবশ্য কাছের কিছু ছোট আর বড় ভাই আছে যাদের সাথে আড্ডা ভালই জমে। কাম কাজ নাই কবে ক্যাম্পাস খুলবে তারো ঠিক নাই।
বিদায় !!!
উৎসর্গ : শ্রদ্ধেয় নানা।
তখন ক্লাস থ্রী তে পড়ি , বড় আপু ফোরে আর ছোট খালামনি ক্লাস ফাইভে।
নানা বাড়িতে থাকতাম আমরা। বাবা ঢাকায় চাকুরী করত একাটা প্রাইভেট কোম্পানিতে।
গ্রামের একমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তাম আমরা তিনজন।
নানা ছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক।
নানা বাড়ি থেকে স্কুলের পথ মাইল দেড়েক হবে।
আপু আর খালামনি ওদের বান্ধবী দের সাথে স্কুলে হেটে যেত। আর আমি নানার প্রিয় সেই দিচক্রযানের পিছনে বসে যেতাম। আসার সময় ও তাই হত।
এভাবে করে চলছে স্কুলের জীবনের দিনগুলো।
দেখতে দেখতে বার্ষিক পরীক্ষার সময় ঘনিয়ে এল।
পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুদিন আগে নোটিশ হল অমুক দিন বিদায় অনুষ্ঠান হবে।
বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে ভালই আয়োজন শুরু হয়ে গেছে।
যথারীতি বিদায় অনুষ্ঠানের দিন সবাই একত্রিত হলাম। স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার থেকে শুরু করে গ্রামের গন্য মান্য ব্যক্তি বরগ উপস্থিত।
অতঃপর অভিমানী আঁখি পল্লব !!!!!
সেই ভোরবেলা উঠেছি শুধু তোমার কারনে, তোমার যে কি হয়েছে কিছুই বুঝে আসে না আমার। আমাকে কি তুমি একটুও বিশ্রাম নিতে দিবে না, হ্যাঁ কি শুরু করছো, বলবা আমায় প্লিজ!!!!
ঘুম থেকে উঠে দাত ব্রাশ করবা ভাল কথা, আমাকে কেন সংগে নিবা? আমাকে ছাড়া চলতে পার না তুমি?
আচ্ছা মানলাম রাতে ভাল ঘুম হয় নাই,তাই তুমি টায়ার্ড। কিন্তু নাস্তার টেবিলে একা একা খেতে পার না, তা না আমাকে ছাড়া একফোটা জলও খাবে না। তোমার এইসব ঢং আমার আর সহ্য হয় না। যখন দরকার হয় তখন ভালবাসা উতলাইয়া পড়ে......
তারপর খাওয়া শেষে রেডি হতে গেলেও আমাকে লাগবে। শার্টের কোথায় ময়লা আছে কিনা তা আমাকেই দেখতে হবে।
আশা
শুধু একটাই আশা
সুখ নয়, চাই শান্তি,
হোক না সে এক চিমটি
স্রষ্টার কাছে এই মোর মিনতি।
শুধু একটাই আশা
সরকারী কিংবা প্রাইভেট, হোক না সে একটা চাকুরী
যেন করতে পারি শুধু হালাল রুজি।
শুধু একটাই আশা
সুন্দর চেহেরা নয়,চাই সুন্দর মন
হোক না সে কৃষঙ্কলির মতন।
শুধু একটাই আশা
অট্টলিকা নয়, চাই একটা কুঁড়েঘর
যেখানে হবে মোর স্বপ্নের বাসর।
শুধু একটাই আশা
ছেলে কিংবা মেয়ে নয়,চাই সুসন্তান
যে করবে মা –বাবায় সম্মান।
শুধু একটাই আশা
মরুভুমি নয়,চাই সবুজে ঘেরা গ্রাম
যা দেখলে জুড়াবে মন ও প্রান।
শুধু একটাই আশা
এ প্লাস নয়, চাই শিক্ষার আলো
যা দিয়ে শিশুরা ঘুচাবে সমাজের কালো।
শুধু একটাই আশা
ইডেন গার্ডেন চাই না, চাই ছোট একটা মাঠ
যেখানে খেলবে শিশুরা এক ঝাক।
শুধু একটাই আশা
ঝগড়া কিংবা বিবাদ নয়, চাই শান্তির বার্তা
মিলেমিশে থাকবে প্রজা আর কর্তা।
শুধু একটাই আশা
অপেক্ষা !!!
অপেক্ষা!!!
ব্যস্ত মানুষ, ব্যস্ত গাড়ী
রাস্তায় দাঁড়িয়ে একলা আমি।
ব্যস্ত রাস্তায় খুজি তাকে
হারিয়েছি যাকে অনেক আগে।
ভোরের শিশির হয়ে আসবে সে
হয়তো কোন সবুজ মাঠে,
বলাকা বাসের জানালা দিয়ে
হয়তো সে ডাকবে আমাকে।
ক্লান্ত দুপুর কিংবা পড়ন্ত বিকেলে
আসবে সে নদীর জলে।
কোন এক গোধূলি লগ্নে
আসবে সে চায়ের কাপে।
মাঝ রাতে সপ্নের ঘোরে
হয়তো আসবে সে গল্প শোনাতে,
কোন এক ছুটির সকালে
হয়তো আসবে সে চিলেকোঠার কোনে।
আসবে যখনি পাবে আমায়
আছি শুধু তোমারি অপেক্ষায়!!!
ট্রেন থেকে লিখছি.........
উৎসর্গঃ প্রিয় দাদী
৫ ডিসেম্বর, সকাল ৭.৩০। রাজশাহী রেলস্টেশন থেকে গল্পটা যখন লিখছি তখন আমি সিল্কসিটি ট্রেনের ‘ঝ’ বগির ৩৯ নম্বর সিটের যাত্রী, গন্তব্য ঢাকা। পাশের সিটে আমার খুব কাছের প্রিয় এক মানুষ, আমার দাদী।
৭৪ এর দুর্ভিক্ষে আমার আপন দাদীকে হারিয়েছে, তাই আমার সৌভাগ্য হয়নি তাকে দেখা দাদু পরে আর বিয়ে করেনি। বাকিটা জীবন একা কাটিয়ে দিয়েছেন। ২০০৫ সালে এসে দাদুকেও হারালাম।
তারপর থেকে রাজশাহীতে বাবার এক চাচা-চাচীকে দাদু আর দাদী বলে ডাকি। আপন দাদীর যে আদর থেকে বঞ্চিত হয়েছি তা অনেকটাই পূরণ করেছেন এই দাদী।
দু জনে বসে গল্প করছি আর রাস্তার দু ধারের সরিষা ক্ষেতের মনোরম দৃশ্য দেখছি
কখনো বা আসেপাশের সিটে বসা মানুষের গল্প শুনছি। আমাদের সামনের সিটগুলোতে দশ জনের এক বিশাল পরিবার। খুব মজা করছে ওরা। ওদের কথার সাথে আমরাও একটু আধটু তাল মিলাচ্ছি।
মুক্তিযুদ্ধ- আমাদের গৌরব আমাদের অহংকার
শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা আর সকল আহত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি লাখো সালাম ও শ্রদ্ধা।
পশ্চিম পাকিস্তানের জুলুম-শোষণ আর অত্যাচার এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের অতিস্ঠ না হওয়ার কোন উপায় ছিল না জনগণের মধ্যে যদিও আগে থেকেই ধারনা ছিল যেকোন মুহূর্তে দেশে যুদ্ধ শুরু হবে কিন্তু সবাই ছিল ঘোষণার অপেক্ষায়। অবশেষে ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে শুরু হল আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ।
৭১ এর ভয়াল মার্চ, পাকবাহিনীরা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র। । নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা ছিনিয়েছিলাম মহান বিজয়। অর্জিত হয়েছে একটি স্বাধীন দেশ নাম তার বাংলাদেশ। আমাদের সপ্নের দেশ লাল সবুজের বাংলাদেশ
মার্চ আর ডিসেম্বর মাস আসলেই মুক্তিযুদ্ধের কথা বেশি মনে পড়ে কারন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের পাতায় এই দু মাসের তাৎপর্য অনেক।
দুর্বার বাংলা
প্রতি বছর শীত আসলে বোঝা যায় আমাদের দেশের গরীব মানুষগুলোর কষ্টের মাত্রা কতটা তীব্রতর
ছোট এই গরীব দেশের গ্রামের বেশীর ভাগ লোক দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে । আর আমাদের উত্তরাঞ্চল মঙ্গা পীড়িত অঞ্চল নামে বেশি পরিচিত বলতে আমার আপত্তি নেই, তবে এটা বলতে পারি গরীব এই মানুষগুলার মন যে কতটা আকাশের মত বিশাল, তা নিজের চোখে না দেখলে বুঝতে পারবেন না কেউ!!!!!!
পড়াশুনার জন্য রাজশাহীতে জীবনের পাঁচ পাচটি বছর কাটাতে হয়েছে। আমের জন্য বিখ্যাত এই শহরের আবহাওয়া যে কি পরিমান অদ্ভুত তা বুঝতেই আমার কয়েক বছর লেগেছে। দেখা গেল প্রচন্ড মেঘলা আকাশ ,মনে হচ্ছে এই বুঝি আকাশ থেকে অঝোর ধারায় বর্ষন শুরু হবে কিন্তু বাস্তবে ঠিক উল্টা। মূহুরতের মধ্যে আকাশ পরিস্কার। গরমের দিনে যেমন গরম, শিতের দিনে তেমন প্রচুর ঠাণ্ডা
সততা !!!
প্রতিদিনের মত সেই দিনেও মায়ের ফোন ......
তবে মা সাধারণত সন্ধ্যা বেলায় কখনও ফোন দিত না। সারাদিন ক্লাস আর আড্ডা বিকেলে ঘুম, সন্ধ্যায় পদ্মার চড়ে ঘুরে বেড়ানো তারপর রুমে ফেরা। যা কথাই তা রাত নয়- দশটা ছাড়া হত না।
কিন্তু অন্য আর দশ দিনের মত সেদিন ছিল না। ফোন রিসিভ করার সাথেই ওপাশের কন্ঠটা কিছুটা বিচলিত। কুশল বিনিময় করার আগেই মায়ের মুখে গুরুগম্ভীর কথা শুনে কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। হঠাৎ মা কেনই বা এসব কথা বলছে। তারপর যা শুনলাম তা রীতিমতই কাল্পনিক, যদিও তা বাস্তব ছিল।
থ্রী- টু -ওয়ান -জিরো একশন !!!!!
থ্রী- টু -ওয়ান -জিরো একশন !!!!!
ছোটবেলায় নাটক সিনেমা দেখার সময় কাহিনী বোঝার থেকে বেশী ভাবতাম, কিভাবে নাটক সিনেমা তৈরি করে। আর নায়ক মারা যাওয়ার পর কিভাবে আবার জীবিত হয়! আর ভিলেনের শত শক্তি থাকা সত্তেও কেনই বা সে নায়ক কে হারাতে পারে না???
মাথার ভিতর এইসব প্রশ্ন গিজ গিজ করতে করতেই এক সময় টিভি স্ক্রীন এ লেখা আসত দ্যা এন্ড!
২০০২ সালে পরিচিত গণ্ডি পেরিয়ে অচেনা এক ব্যস্তমুখী শহর ঢাকায় এসেছিলাম পড়াশুনার জন্য, পথে আসার সময় যমুনা সেতু (তখন পৃথিবীর ১১ তম দীর্ঘ সেতু) দেখার আনন্দ ওহ সে এক অদ্ভুত অনুভুতি তা না হয় আর একদিন বলব।
আমার রাজহাঁস আর স্বপ্নের ঘোড়া!!!
ছোটবেলা থেকেই আমার পশুদের প্রতি একটা আলাদা আকর্ষণ ছিল। নদীর তীরে জেগে উঠা সবুজের সমারোহে ঘেরা আর রাস্তার দু ধারে গাছগাছালি তে ভরা অঁজপাড়া এক গ্রামেই কেটেছে আমার শৈশবকাল। তখন বাবা ঢাকায় থাকতেন, মা আর আপুসহ আমি নানার বাড়িতেই থাকতাম, কারন আমার দাদার বাড়িতে লেখাপড়া করার মত পরিবেশ না থাকায় বাবার এই সিধান্ত, যদিও অনেকে এই সিধান্তটা ঠিক মনে করে নি তখন।
সরি বন্ধু!!!
শৈশব আর কৈশোরের স্কুল জীবনের দিনগুলি সত্যিই অনেক আনন্দের ছিল। মফঃস্বল এলাকায় লেখাপড়ার মান যাই থাকুক না কেন সেটা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যথাই ছিল না, কারন মান জিনিসটাই আমি সেইসময় বুজতাম না। জীবনের লক্ষ বলে কিছু একটা থাকা আমার ভিতর তখনো ছিল না আজ ও নেই। মাঝে মাঝে ক্ষণিকের জন্য কিছু লক্ষ জন্মালেও তা পরক্ষণেই বিনাশ হয়ে যেত।
বাবা মায়ের একটাই কথা ছিল মানুষের মত মানুষ হতে হবে, আমি এখনো জানি না কি করলে বাবা মায়ের সংজ্ঞা অনুসারে আমি মানুষ হতে পারব।
থাক এবার আসল কথাই আসি, আমি থাকতাম অজপাড়া এক গ্রামে যেখানে ছিল না আধুনিকতার কোন ছোঁয়া, কিন্তু ছিল প্রকৃতির এক নিরমল ছোঁয়া ,সবুজ প্রান্তর পাখির কলতান যা শুনলে জুড়াত মন ও প্রাণ............