ইউজার লগইন

জাকির'এর ব্লগ

জীবনযাপন

মাঝে মাঝে জীবনের প্রতি প্রচন্ড আক্রোশ জন্মে, কারণ খুঁজতে গিয়ে যেন কিছুই খুঁজে পাই না। আলো ছায়ার মত দুম করে মনে আসে তো আবার হারিয়ে যায়। নিঃসঙ্গ দুপুরে মনের উপর পীড়াটা আরো বাড়ে। খানিক পর পর চোখ বন্ধ করে নিজেকে হাতড়ে ফিরি, স্মৃতিরা আনাগোনা বাড়িয়ে দেয়, হৃৎ যন্ত্রে কম্পন বাড়ে কিন্তু খুঁজে পাই না কিছু। সন্ধ্যার আঁধার মেখে চলতে গিয়ে মনে হয় পৃথিবী কত গতিময়, কেবল একাকী সন্ধ্যাগুলো স্থবির হয়ে আছে। খুব করে আগের মত ইচ্ছে হয় না চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিতে, অলস বিকেলে আকাশ দেখতে কিংবা র্জীণ প্রেমের পুরোনো ছবি আঁকতে। অথচ চোখের সামনেই বেড়ে উঠছে ধান ক্ষেতগুলো, কচি লাউ ডগাটা, বড় হয়ে যাচ্ছে আমার লাগানো আম গাছটা। প্রভাতের হিম হিম হাওয়া, স্নিগ্ধ মায়ার পৃথিবী এসব পর্যন্ত এখন আর টানে না। বয়স বেড়ে যাচ্ছে মনের, প্রেম ফুরিয়ে যাচ্ছে, বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাও ডুবে যাচ্ছে চোখের জলে। আজকের পরে কালকের কথা ভাবতে ধাঁধা লাগে, হৃদ

শ্রাবণের সন্ধ্যা...

শ্রাবণের ঘোলাটে মেঘের বিকেলে, সরু পাকা পথ ধরে হেঁটে এসেছি বহুদূর। তেজহীন মৃদু আলোর বিষণ্ণ বিকেল, বরষার আহাজারি, মেঘদলের অন্তহীন ছুটে চলা, প্রেমাসক্ত হৃদয়ে ক্ষরণ, চঞ্চল হওয়ার উন্মাদ ছুটে চলা সবই প্রাণ ছুয়ে গেছে। দেখেছি– সীমানা ছেড়ে আসা গরুর পাল, ভেজা বাতাসে কাকের স্বর, সীমান্তহীন আকাশের অকারণ গর্জন, সন্ধ্যার আধারের স্বচ্ছ আচ্ছাদন। ভেজা কাপড়ে পথিক চলেছে উওর দক্ষিণ বরাবর। এখানে জীবনের স্থবিরতা আছে, তবু মিলে চাঞ্চল্যের দৃশ্য। দূরের বিলে জাল ঠেলে যাচ্ছে কেউ, কেউ ছুটছে গরু নিয়ে, রিক্সা চলছে দুই একটা, আকাশ মিলে যাওয়া দূরের গ্রাম থেকে আসছে আযানের ধ্বণি। আমি তবু হেঁটে চলেছি নিরুদ্দেশ পথে, অকারণে। দিনান্তে ঘরে ফেরা পথিক, সাদা আকাশে ডানা মেলা বলাকা, আপন দ্রুতিতে ছুটে চলা রেল, পাটের আঁশ ছাড়ানো বৃদ্ধ কেউ ভ্রুক্ষেপ করছে না আমায়। দিন দিন ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে মন, আজকের দিনকে অর্ভ্যথনা জানাতে ইচ্ছা হয় না, কৌ

উদ্ভট বাংলাদেশ

পত্রিকা পড়া বাদ দিয়েছি বহুদিন, যদিও বা কখনো পড়ি তাহলে তার পরিধি খেলার পাতাতেই সীমাবদ্ধ থাকে। পত্রিকা খুললেই আমরা যে একখন্ড নরকে বাস করছি তার চিত্রগুলো চোখের সামনে ভেসে ওঠে। হত্যা, র্ধষণ, মিথ্যা, অনাচার-অত্যাচার, নিপীড়ন, বিবেকহীনতা, ভন্ডামীর যেন এক মুক্ত রাজ্য এই দেশ। সারা পত্রিকা খুঁজে ভালো সংবাদ পাওয়া যায় হতে গোনা। দিনকে দিন আমরা একটা লক্ষ্যহীন, ভন্ড আর মানসিক ভারসাম্যহীন জাতিতে পরিণত হচ্ছি। সাম্প্রতিক সময়ে দেশ জুড়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রবাহগুলোই এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের কোন কাজই যে ঠিকঠাক হচ্ছে কিংবা হবে এবং তার উপরে কেউ ভরসা করে কিংবা করবে এমন একজনও হয়ত খুঁজে পাওয়া যাবে না। রাষ্ট্রীয় কর্তাব্যক্তিদের কর্ম পরিকল্পনার অসংগতি, অসারতা, সীমাহীন র্দুনীতি, অসাদুপনার পরিমাণ সহ্য সীমাও পার হয়ে গেছে বহু আগে। এখন সবার সামনেই সবকিছু ঘটছে, সবাই সবকিছু দেখছে কিন্তু সবাই কেবল নির্বাক। কেউ মু

কাঠবিড়ালির দিনযাপন

আমার যা ভাল লাগে না তা আমি কোন সময়ই করি না। এমন কী কেউ যদি আমার অপছন্দের কাজগুলো করে তাও সহ্য করতে পারি না। তবু ক্ষমতা আর দম্ভের পূজারী এই দুনিয়াকে অস্বীকার করা যায় না। আজকাল চোখ বুজে থাকার চেষ্টা করছি; কিছুই দেখিনি বলে কিছুই হয় নি, কাকের কাছ থেকে শেখা এই নিয়মে ভিত্তি করেই দিন যাপন করছি। দুর্বলের কাছে অনিয়মের প্রতিবাদ করার চেয়ে শত নিয়ম পালনের দোহাই দেয়াটাই শ্রেয়, তাই করছি আর কি! মাস খানেক হয় মানিকগঞ্জে আসছি। নিরব, নিথর, শান্ত, ছোট শহর। ছোট বলতে ত্রিশ মিনিট হাঁটলেই শহরের এই প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে যাওয়া যাবে। এখানে মানুষের কোলাহল নেই, যানযটের মত উদ্ভট যন্ত্রণার বালাই নেই, বিশ্রী রাজনৈতিক ঝামেলারও খুব একটা প্রধান্য নেই, নেই ঢাকার মত ধূলিবালির এত বাতাসও। সব মিলে ভালই।

নীল তারা

মাঝে মাঝে ভাবতে ইচ্ছে করে যদি ঐ আকাশের নীল তারাটা খসে পড়ে কোনদিন তবে এই মর্তবাসীদের মধ্যে কোন বিচলতা দেখা যাবে কী না? আমার মনে হয় হবে না, বরং অথযা কেউ যদি লক্ষ্য করেই ফেলে তবে বিশ্বলোক হয়ত তাকে পাগল বলে ধিক্কার দিতে দিতে ছুটে চলবে অলীক পানে। আর ঐ বেচারা হয়ত বিশ্ববাসীর দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে থাকবে আর ভাববে, 'বোকা লোকগুলো সময়ের মহাশূন্যে দিব্যি ঝাঁপিয়ে পড়ে মন নামক বস্তুটার আত্নহনন করছে। অথচ দিগন্তের ওপারে তাকিয়ে নীল তারাময় এই মধুক্ষণটা দেখার এক মুর্হূত অবকাশ করতে পারল না। কিন্তু ঘড়ির কাটা যদি মিনিট দশেকের জন্য থেমে যায় তো তারাই দুনিয়া জুড়ে হুলস্থুল ফেলে দেবে। কী ব্যস্ততা! তাদের জন্য একফোঁটা আফসোস।

মনের মানুষ

আজকাল আমি অনেক ব্যস্ত ধরণের ম্যাড় ম্যাড়ে দিন কাটাচ্ছি। বিষয়টা এমন দাড়িয়েছে যে, রাত দিন মিলে আমার দম ফেলার ফুরসত নেই আবার কোন কাজ আছে বলেও মনে করতে পারি না। কী অদ্ভুত যন্ত্রণা!

ফেরা !!

"কত দিন চেষ্টা করেও ফেরা হয় নি,
তখন আকাশ ভরা মেঘ ছিল আর এখন—
আকাশ ভরা কুয়াশা।
নিপুণ চাঁদের আলোয় ভরা রাত,
হেমন্তের শেষ বলে আহাজারিময়
হাসনাহেনার সদ্য ভালবাসার নিপাত।
হ্যাঁ, আমি ফিরেছি।
নির্মল, শুদ্ধ ভালবাসার টানে।"

ছয় মাস পর আবারো ফিরলাম। সবচেয়ে ভাল লাগার বিষয় হচ্ছে আবারো কিছু প্রিয় মানুষের লেখা পড়তে পারব। একটা নতুন বছর, নতুন স্বপ্ন সব মিলে নতুন যাত্রা। শুভ কামনা থাকল সকলের জন্য। সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা।

বির্বণ দিনরাত্রি

মন মেজাজ প্রচন্ড মাত্রায় খারাপ। দুই দিন থেকে যেন জীবন যাত্রার গতিও থেমে গেছে। শুধু আফসোস করছি আর বলছি, পারল না মেসি এবারো পারল না। এত কাছে এসেও পারল। আগে যদি কখনো মন খারাপ হত তো রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতা বইটা পড়তাম। এই বই অসম্ভব ক্ষমতায় আমার মন ভালো করে দিত। কিন্তু এই মেসি আর্জেন্টিনার ব্যাপারটায় গুরু রবীন্দ্রনাথও ফেল। বইটা নিয়ে বসার মত সাহসও নাই। আমার ত শুধু মন খারাপ কিন্তু শুনলাম অনেকে নাকি আত্নহত্যা করছে আবার দেশের অনেক জায়গায় নাকি দাঙ্গা হাঙ্গামাও হয়েছে। ব্যাপারটা অনেকটা হাস্যকর হলেও সত্য যে বিপরীত গোর্ধাধের এই দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি যত না ভালবাসা তার চেয়ে ঐ দেশের খেলোয়ারদের দুই পায়ের প্রতি আমাদের ভালবাসা অনেক বেশী। শুনেছিলাম নব্বইয়ের দশকে নাকি আমাদের দেশেও এই ফুটবল খেলা সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল। দলের অবস্থাও অনেক ভাল ছিল। মোহামেডান আবহানীর খেলা হলে রীতিমত যুদ্ধ বেধে যেত। কিন্তু কা

আষাঢ়...

অনেক দিন পর এই ব্লগে কিছু লিখতে যাচ্ছি। দুই মাস পেরিয়ে গেছে। তবে মাঝে মাঝেই ব্লগে আসি, অন্যদের লিখা পড়ি তারপর ভাল লাগলে পোষ্টটি পছন্দ করুন অপশন চেপে বের হয়ে যাই। যখন ব্লগে প্রথম এসেছিলাম তখন ভেবেছিলাম নিয়মিত কিছু লিখতে চেষ্টা করব। কিসের কী এখন নিয়মিত পোষ্ট পড়ে মন্তব্যই করতে পারি না। বড় অবাক লাগে নিজের দিকে তাকালেই। মানুষ কিভাবে বদলে যায় সময় আর্বতনে। এক সময়ের সেই চটপটে আমি কিভাবে পাল্টে যাচ্ছি অনায়াসে। এক সময় লেখা লেখি নিয়েও আগ্রহ ছিল অনেক। দিনকে দিন যেন তাও কমে যাচ্ছে। আমিও যেন হারিয়ে যাচ্ছি আমার থেকে অজানা কোন এক বিশ্বে। যেখানে স্বপ্ন নেই, সুখ নেই, জীবনের রং নেই, ভালবাসাও নেই। কেমন যেন আধার ভরা র্নিলিপ্ত হাহাকার শুধু। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে এই হাহাকার বিভীষিকাকে গলা চেপে ধরি কিন্তু সে এত সহজে কাবু হবার নয়, উল্টো আমাকেই কাবু বানিয়ে মজা নেয়। যেন আমি শুধু তার দুঃখকেই বুকে ধারণ করতে জন্মেছি।

সোনালি রোদের আশায়...

অভিযোগের পালা শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। এখন অনুযোগ আর অনুশোচনার পালা, একা একা নীরবে, অশ্রুজল দিয়ে। কিছু দিন থেকে দিনগুলো বড্ড অসহ্য যাচ্ছে, কেমন যেন উল্টা পাল্টা। প্রিয় গান গুলো শুনতেও অসহ্য লাগে, সহ্য করতে কষ্ট হয়। কী হয়েছে বুঝা কঠিন। ফাল্গুন ত শেষ হয়েছে বহুদিন, চৈত্র ও গেল গেল। বসন্ত চলে যাচ্ছে তার নিয়ম বেধেই, অজস্র ফুল, রং, সৌরভ, কীট উপহার দিয়ে। সাথে কিছু ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার উপদ্রব ত রেখেই গেল। কিন্তু আফসোস মন ভাল করার কিছু পেলাম না। হতাশায় ডানায় ভর করে মাঝে মাঝে উড়াল দেই সুরের দুনিয়ায়। লতা মুঙ্গেশকরের গান গুলো আবারো প্লে লিস্টে জমা হচ্ছে। একেই হয়ত বলে ওস্তাদের খেলা শেষ রাতে। মাঝে মন দিয়েছিলাম আধুনিক শিল্পী নামক ভাইরাসদের দলে। বলা বাহুল্য, এদেশে সংগীত সাধনা হয় না কিন্তু সংগীত ব্যবসা ঠিকই হয়। তিন বছরের ক্যারিয়ার, লক্ষ্য ত্রিশ বছরের অর্থ উর্পাজন। এসব ভেবে লাভ আছে কি না তাও আপেক্ষিক বিষয়। তব

কল্পিত একাত্তর

১৯৭১ সাল। ১৫ ই মে।

কষ্টে মাখা দিনগুলোই

প্রতিদিনই ব্লগে আসি, কিছু লিখতেও ইচ্ছে করে কিন্তু কেন যেন হয়ে ওঠে না। বড্ড বদলে যাচ্ছি আজকাল। আসলেই বদলে গেছি বড় ভয়নকভাবে। ভাবতেই আজব লাগে এই আমি একসময় ঐ আমার মত ছিলাম। তখনো জাকির ছিলাম এখনো আছি মাঝে আপেক্ষিক সময়টাই যা সব করল। বলে লাভ নেই, তাই পুরানো দিনের গান শুনি। আবদুল হাদির "কেউ কোন দিন আমারে ত কথা দিল না।" এক সময় ভোর হত শত ব্যস্ততা আর কলেজ, কোচিং আর র্নিমম শত কাজ নিয়ে আর এখন ভোর একরাশ হতাশা নিয়ে। আরো একটা র্দীঘ অলস দিনের কিভাবে সমাপ্তি করা যায় তার পরিকল্পনা নিয়ে। সত্যি বিরক্তিকর।

তনুশ্রী

মসজিদ খেকে ভেসে আসছে আযানের ধ্বনি।ক্রমে তার পাল্লাটা ছড়িয়ে পড়ছে আশেপাশের লোকালয়ে।আবার এই ধ্বণিটাই মিলিয়ে যাচ্ছে দূরের সীমাহীন প্রান্তরে।কী অন্যবদ্য এক প্রাকৃতিক খেলা ।এটাই অনুভব করছিলাম এতক্ষণ।কী আর্শ্চয আর বিচিত্র এই পৃথিবী। সারা রাতের নির্ঘুম একজোড়া চোখে কুয়াশা ভেজা সকালের মত জড়িয়ে আছে কয়েক ফোঁটা অশ্রু।সারাটা রাত কেটেছে ঘুমহারা চাতকের মত ভোরের প্রতীক্ষায়। আর পারছি না ?আমি জানি,ভোরের কুয়াশার স্থায়িত্বকাল কতটুকু , আমার এই অশ্রুর সময়ও হয়ত ততটুকুই তবু হৃদয়ের বেষ্টনী থেকে যে অদৃশ্য
যন্ত্রনা ক্ষরিত হচ্ছে তার বাধ আমি কী দিয়ে দিব ?

জানালা প্রেম

মেয়েটা প্রতিদিন জানালা দিয়ে তাকিয়ে থাকে। এক দৃষ্টিতে ; ড্যাব ড্যাব করে। মাঝে মাঝে আমিও তাকাই; ভর্য়াত চোখে। আসলে এই রকম হয় ঢাকা শহরের প্রতিটি বহুতল বাড়ির জানালাতেই। একে কী বলা যায়? জানালা প্রেম? হু, চালানো যায়। জানালা প্রেম ; কথাহীন, রিক্সাহীন, ঘোরাঘুরিহীন নির্বাক প্রেম।

আমারো একটা জানালা প্রেম আছে। একান্তই আমার। তখন থাকতাম বাড্ডায়। একটা ৭ তলা ভবনের ৩য় তলায়। ব্যাচেলর বাসা। নিজের রুমে থাকতাম তিনজন। আমার বেড জানালার পাশে, দক্ষিনমুখী। বাতাস আসত। সুশীতল বাতাস।

জানালার সাথে বরাবরই আমার সর্ম্পক শীতল। জানতাম না জানালার প্রেমে পড়া যায়। তাই হয়ত সপ্তাহান্তে একবার জানালা খুলতাম আকাশ দেখার জন্য। কালো আকাশ, আলোময় আকাশ, মেঘলা আকাশ ! মধ্য রাতেও উটে মাঝে মাঝে হোসেন র্মাকেটের উপরে লেখা এ জি হাইয়েস্ট লেখা লাল আলোটা দেখতাম। দিনগুলো যাচ্ছিলো ভালোই।

আমার পিচ্চিবেলা : Part1

তখন ছোট ছিলাম, কতটুকু ছোট মনে নেই তবে খুবই ছোট্র। ঘুম থেকে উটতাম সকাল ছয়টায় তারপরে কয়দা নিয়া বসতাম মায়ের কাছে। ঘন্টা খানেক চলত তারপর ছোট ছোট জামা গুলা গায়ে দিয়া স্কুলে ছোট দেয়া। মাঝে নাস্তা আর গোসল করার ধাপটাও থাকত আর এটা বাংলার ছয় ঋতু জুড়েই। গোসলের জন্য মার খাওয়াটা ছিল তখনখার নিত্য নৈমন্তিক ব্যাপার।

কী লিখছি জানি না, তবে আমার ছেলে বেলা আজো আমায় টানে তার নিজস্ব শক্তিতে। হু, তখন হয়ত জীবনের এত রং, ইচ্ছা, ভালবাসা, দুংখ কিংবা বন্ধু ছিল না তারপরেও জীবনটা যেন ছিল একান্তই আমার মত। আমার জেগে জেগে দেখা স্বপ্নগুলোর মত। সত্যি, এখন ভাবতেও কষ্ট লাগে যে, আমি বড় হয়ে গেছি।