আষাঢ়...
অনেক দিন পর এই ব্লগে কিছু লিখতে যাচ্ছি। দুই মাস পেরিয়ে গেছে। তবে মাঝে মাঝেই ব্লগে আসি, অন্যদের লিখা পড়ি তারপর ভাল লাগলে পোষ্টটি পছন্দ করুন অপশন চেপে বের হয়ে যাই। যখন ব্লগে প্রথম এসেছিলাম তখন ভেবেছিলাম নিয়মিত কিছু লিখতে চেষ্টা করব। কিসের কী এখন নিয়মিত পোষ্ট পড়ে মন্তব্যই করতে পারি না। বড় অবাক লাগে নিজের দিকে তাকালেই। মানুষ কিভাবে বদলে যায় সময় আর্বতনে। এক সময়ের সেই চটপটে আমি কিভাবে পাল্টে যাচ্ছি অনায়াসে। এক সময় লেখা লেখি নিয়েও আগ্রহ ছিল অনেক। দিনকে দিন যেন তাও কমে যাচ্ছে। আমিও যেন হারিয়ে যাচ্ছি আমার থেকে অজানা কোন এক বিশ্বে। যেখানে স্বপ্ন নেই, সুখ নেই, জীবনের রং নেই, ভালবাসাও নেই। কেমন যেন আধার ভরা র্নিলিপ্ত হাহাকার শুধু। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে এই হাহাকার বিভীষিকাকে গলা চেপে ধরি কিন্তু সে এত সহজে কাবু হবার নয়, উল্টো আমাকেই কাবু বানিয়ে মজা নেয়। যেন আমি শুধু তার দুঃখকেই বুকে ধারণ করতে জন্মেছি।
থাক এসব কথা। এসব বলে কয়ে কোন লাভ নেই। মিছে শুধু নিজের ক্ষতেই আঘাত করা। আজ ৭ আষাঢ়। তবে এটা যে আষাঢ় মাস তা বুঝতে পারছি, বিগত তিন দিন ধরে। প্রথম তিন দিন গ্রীষ্মময় উত্তাপের পর থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সেই যে শুরু হয়েছে শেষ হওয়ার কোন কথা নেই। দিন রাত, সকাল সন্ধ্যা নিরবিচ্ছিন্ন র্সাভিস চলছেই। বর্ষার প্রধান ফুল ও প্রতীক কদম। বর্ষার সাত দিন চলে যাচ্ছে আর এখনো কদম ফুলই দেখা হয় নি। আজ সকালে পুকুর পাড়ে দাড়ানো লম্বাটে কদম গাছে খুঁজতে গিয়েছিলাম। সবে সাদা গুটি বের হয়েছে। কয়েকটা গুটিতে লাল পাপড়িও এসে গেছে তবে সাদা শুং এখনো আসে নি তবে দুই একদিনের মধ্য এসে যাবে। ছোট বেলায় এই লম্বাটে কদম গাছ থেকে অনেক কদম ফুল একসাথে নিয়ে আসতাম। তারপর পাপড়ি ছাড়িয়ে মানুষের গায়ে ছুড়ে মারতাম আর গুটিতে ঝাড়ুর কাটি লাগিয়ে লাটিম বানাতাম। তারপর চলত প্রতিযোগিতা কার লাটিম কত বেশী ঘুরবে। কত দিন ফুটবল খেলতে অন্যের গাছ থেকে জাম্বুরা চুরি করেছি আল্লাহ মালুম। কোন দিন হয় স্কুলের ক্লাস রেখেই নেমে গেছি ফুটবল খেলতে তারপর পরের দিন ক্লাসে স্যারের বেত্রাঘাত! তবু তখনকার বর্ষাটাই আমার কাছে ভালছিল। বর্ণময় ছিল। এখনো ভুলতে পারি না।
দিন যে কিভাবে বদলে যায়! ছোট বেলার সেই বৃষ্টিতে ভিজা, ফুটবল, দৌড়াদৌড়ি এগুলো এখন কেবল স্মৃতি। এখন বৃষ্টিতে ভিজি না। ভয় হয় আবার যদি জ্বর হয়। শেষ পর্যন্ত জয় হয়েছে ভয়েরই। অনিচ্ছা থাকতেই ভিজতে হয়েছে দুই আর শুরু হয়ে গেছে র্সদি, জ্বর। সাথে আবার হাঁচি নামক উপদ্রব। একেবারে হৃদপিন্ডসহ পুরো শরীরই কাপিয়ে দেয়। এখনো শুয়ে হাঁচি কাশির রির্হাসেলই করে যাচ্ছি। জানি না কবে নাগাত এর হাত থেকে মুক্তি মিলবে। জীবন একেবারে শেষ...
আর কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে না। আজ আর্জেন্টিনার ম্যাচ আছে। আমি নীল সাদার দলে। ভালো কিছু দেখার আশায় আছি। আর ব্লগে নিয়মিত হওয়ার চেষ্টায় আছি দোয়া করবেন সবাই....
তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে উঠুন, শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ। চেষ্টা ত করছিই । বাকিটা সৃষ্টির্কতার কৃপা ।
দোয়াগো
আপনার ক্ষতের যন্ত্রনাগুলোকে ছাপিয়ে আশেপাশের প্রকৃতির সবুজ রুপ ফুটে উঠেছে লেখায়।
লিখতে থাকুন, ক্ষত ছড়িয়ে দিলে অনুভুতিটা সুখকর হয়
ধন্যবাদ । দোয়া করবেন যেন দুঃসময় কাটিয়ে উটতে পারি ।
মন্তব্য করুন