ইউজার লগইন

জুলিয়ান সিদ্দিকী'এর ব্লগ

পরস্পর

জীবনের এতগুলো পথ পেছনে ফেলে এলেও তাকে মানসিক সঙ্গ দেওয়ার মতো কাউকে পায়নি আজাহার। হতে পারে সে নিজেই ততটা জরুরি মনে করে সন্ধান করেনি বা সেই সময়গুলোতে এগিয়ে আসতে আগ্রহ বোধ করেনি কেউ। মোটকথা প্রেম বলতে যতটা বোঝায় তার ছিঁটেফোঁটাও তার জীবনে নেই বললেও চলে। যদিও একজন ভালো আর দায়ীত্ববান স্বামী হয়ে দুটো সন্তানের যাবতীয় নির্ভরতার স্থল হয়ে উঠতে পেরেছিলো। প্রেম যে একেবারেই নেই তা বলাটাও হয়তো মিথ্যারই নামান্তর হবে। প্রেম বলতে আছে দাম্পত্য প্রেম। আর সে প্রেমও যেই সেই নয়। কখনো কখনো নিদারুণ অশান্তির দ্রোহে জ্বলে ওঠে সেই প্রেমের লকলকে বহ্নি। যে কারণে এক সময় নিজের সঙ্গেই ক্রমশ যুঝতে যুঝতে এক সময় আপস করে নিয়েছিলো। যে আপসের ফল স্বরূপ নিজেকে ভাগ করে নিতে বাধ্য হয়েছিলো দুটো সত্ত্বায়। তখনই আরো ভালো করে সে অনুভব করতে পেরেছিলো যে, প্রতিদিনকার ঔজ্জ্বল্যের ভেতরও আছে আরেকটি আজাহার। যে বড্ড নিঃসঙ্গ। লাজুক। মিতভাষী। আশপাশের যাবতীয় দুখ-যন্ত্রণা যাকে মোটেও স্পর্শ করে না।

আসন

রুশনি আর কুলসুম
রুশনি যখন স্বামী-সন্তান নিয়ে নিদারুণ অভাবের তাড়নায় দুদিন উপোষ থেকে গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে যাওয়ার কঠিন সিদ্ধান্তে অবিচল, ঠিক তার মাস খানেক আগেই তার সুপ্রিয় পড়শি কুলসুম অন্ন-বস্ত্রের সন্ধানে গ্রাম ছেড়ে সপরিবার চলে গিয়েছে। যে কুলসুমকে একদিন না দেখলে, যার সঙ্গে দু-দণ্ড কথা বলতে না পারলে মনে হতো আজ কী একটা জরুরি কাজ যেন বাকি রয়ে গেছে। সেই কুলসুম কেমন যেন অচেনার মতোই কারো দিকে না তাকিয়ে সন্তানদের হাত ধরে আতাউল্লার পিছন পিছন চলে গিয়েছিলো। এমনকি রুশনিকে একবার বলে যাবারও প্রয়োজন বোধ করেনি।

জীবিকা অথবা জীবন

এদিকটায় সকাল হলেই নানা রকম বিচিত্র হাঁক-ডাক আর নানাবিধ খুটখাট-ধুমধাম শব্দের খই ফুটতে থাকে অবিরাম। পাশেই কয়েকটি ওয়ার্কসপ, দুটি লেদ-কারখানা আর একটি টিনের বালতি তৈরির কারখানা। বলতে গেলে এগুলোই এ এলাকার প্রাণ। লোকজনের জগতও এই কটি কর্মক্ষেত্রকে ঘিরেই। এখানকার যতগুলো ঘরবাড়ি আছে প্রতিটি ঘর থেকেই কেউ না কেউ এখানকার কোনো একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। আর এ কারণেই গাড়ির ওয়ার্কসপের কর্মচারী গলা বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করতে পারে টিনের বালতির কারখানার জিয়াকে, তর বিটির জ্বরের কী অবস্থা?

জীবিকা অথবা জীবন (শেষাংশ)

শোনা যাচ্ছিলো শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী হবেন। এ বিষয়ে রহমান সাহেব বা সালমা বেগমের বিশ্বাসের ভিত বেশ পোক্ত হলেও শৈলেশ বর্মণ নিজের মনে সে কথা ঠাঁই দিতে পারেন না। তিনি আরো নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানতে পেরেছেন যে, ভুট্টো কখনোই বাঙালিদের ক্ষমতায় বসতে দেবে না। এমনকি পশ্চিম পাকিস্তানের একটি শিশুও মনে প্রাণে চাইবে না যে, পূর্ব পাকিস্তানকে শোষণের পথ চিরতরে রুদ্ধ হয়ে যাক। লোকসানের রাজপুরীর চেয়ে লাভের আস্তাকুর ভালো। আর সে কথা পশ্চিম পাকিস্তানের শকুনগুলো ভালোই বোঝে।

শৈলেশ বর্মণ আর রহমান সাহেব ছয় দফা দাবির বিষয়গুলো নিয়ে আলাপের এক ফাঁকে সালমা বেগম বললেন, আপনেরা কি কিছু টের পাইতাছেন?
রাহমান সাহেব অবাক হয়ে বললেন, কোন ব্যাপারটা?

এই যে আমাগো চাইরো দিকে বিহারি মানুষ হঠাৎ কইরাই যেন বাইড়া গেছে।

বাই

রমিজ উদ্দিনের বয়স খুব একটা কম হয়নি। গত সাতাশ ডিসেম্বরে আটষট্টিতে পড়েছেন। মাঝখানের কয়েক বছর বলতে গেলে নারী সঙ্গ থেকে বঞ্চিতই ছিলেন প্রায়। কিন্তু আর যেন শরীরের চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছিলেন না। স্ত্রী সামসুন্নাহারের বয়সও প্রায় একান্ন হতে চললো। এ বয়সে তিনি স্ত্রীর সঙ্গ বলতে নারী সঙ্গের জন্য যেন হন্যে হয়ে উঠলেন। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কয়েকবার মৃদু ঝগড়াও হয়ে গেছে। কিন্তু তিনি স্ত্রীকে বোঝাতে পারেন না যে, বয়স বেশি হলেও তিনি এখনও ফুরিয়ে যাননি।

লেবার মার্কেট


মানুষের ভিড় দেখে ভেতরে ভেতরে ক্লান্ত হয়ে পড়ে আব্দুল মজিদ। এত মানুষ শহরে করে কি? থাকেই বা কোথায়? আর তার মতো সব হা-ভাতে অভাবী মানুষগুলো কি ঢাকা শহর ছাড়া আর কোনো শহর দেখে না? একটা সময় নৌকা বেয়ে তার সংসার চলেছে। স্ত্রী সন্তানদের ভরণ-পোষণ শেষে উদ্বৃত্ত কিছু থাকলে নানা পার্বণে ভালো মন্দ কিছু হয়ে যেতো। কিন্তু ব্রহ্মপুত্র শুকিয়ে যাওয়াতে তার ভাগ্য বলতে গেলে খরায় পুড়ছে তখন থেকে। তার ওপর ছেলেরা যার যার সুবিধা মতো আলাদা হয়ে যে যেদিক পারলো চলে গেল। নয়তো এই বয়সে তাকে এখন কাজ খুঁজতে হতো না। সে শুনেছে, লেবার মার্কেট বলে শহরের বাজার বা স্টেশনের পাশেই গরু-ছাগলের হাটের মতো জন-কামলাদের হাট বসে। লোকজন এসে দেখে শুনে নিজেদের পছন্দ মতো লোকজন নিয়ে যায় প্রয়োজনীয় কাজ করাতে।

জীবিকা অথবা জীবন- ১১, ১২, ১৩

১১
সেদিন শহিদ মিনার থেকে ফিরে আসার পর মনু মিয়ার জীবনটা যেন আরো জটিলতার ঘেরাটোপে আটকে গেল। সবার আগে ঘোড়াগাড়ি থেকে নেমে গেটে ধাক্কা দিতেই ভেতর থেকে কেমন হুটোপুটির শব্দ ভেসে আসে। সে যেন মৃদু কথাবার্তাও শুনতে পেলো বলে মনে হলো। তাই সে আরো জোরালো আর দ্রুত শব্দ তোলে গেটের ধাতব পাতে। সেই সঙ্গে খানিকটা চিৎকার করে ডেকে ওঠে, আজগর বাই! ওই আজগর বাই! হুনছেন

খানিক পর আজগর গেট খুলে সবাইকে একই সঙ্গে দেখতে পেয়ে কেমন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়। তরা আইতে না আরো দেরি হওনের কথা আছিলো? কথা বলার সময় জিভের আগায় শব্দগুলো যেন জড়িয়ে যায় আজগরের।

পেছন থেকে সালমা বেগম ধমকে উঠে আজগরকে বললেন, এতক্ষণ কি করতাছিলি?

আজগরকে অকস্মাৎ দিশেহারা মনে হয়। কেমন এক শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলে

জীবিকা অথবা জীবন- ১০

ঘোড়ার গাড়ি চলতে আরম্ভ করলে কালো রাস্তার ওপর দিয়ে হালকা ছন্দে ছুটন্ত ঘোড়ার ক্ষুরের ঠকাঠক শব্দ কান পেতে শোনে মনু মিয়া। বড্ড অদ্ভুত সে ধ্বণি! কেমন যেন নেশা ধরে যায়। ঘোড়ার ক্ষুরধ্বণি শুনতে শুনতে হঠাৎ তার মনে হয় যে, ঘোড়ার গাড়ি চালানোর কাজটা খুব একটা মন্দ না হলেও মানুষের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকাটা খুব বেশি সুবিধার বলে মনে হয় না। প্রতিদিন কাজ খোঁজার মতই, যা না পেলে পুরো দিনই মাটি বলতে গেলে। আর এভাবেই শ্রমজীবী মানুষেরা সুবিধাবাদী মানুষের ইচ্ছা-অনিচ্ছার কাছে বাঁধা পড়ে যায় ধীরে ধীরে।

চলতি রিকশায়ও অনেক যাত্রীর হাতে ফুল দেখা যায়। কারো হাতে অনেক ফুল দিয়ে বানানো তোড়া। কেউ বা কোলে দাঁড়া করিয়ে নিয়ে যাচ্ছে চাকার মত গোলাকার কিছু। নানা বর্ণের পাতার চাকতির মাঝে লাল-হলুদ ফুলের আরেকটি চাকতি।

জীবিকা অথবা জীবন- ৯

খুব ভোরবেলা ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে রহমান সাহেব মনু মিয়ার রুমে উঁকি দিয়ে তাকে দেখতে না পেয়ে কিছুটা অবাক হয়ে গেলেন। তারপর কিছু একটা ভাবতে ভাবতে গেট খুলে বাইরে বেরোবার আগে আজগরকে ডেকে তুলে বললেন, আমি আইতাছি। ঘুমাইয়া পরিস না জানি!

আজগর বিছানায় উঠে বসে চোখ ডলতে ডলতে হাই তুলে বললো, আইচ্ছা যান!
আজগর তার ঘরের জানালা দিয়ে একবার বাইরে উঁকি দিয়ে ফের বিছানায় গিয়ে বসে। জানালা পথে দেখতে পায় মনু মিয়া মোরগ-মুরগিগুলোকে খোঁয়াড় থেকে বের করে তারের খাঁচায় ঢুকিয়ে দিচ্ছে। তখনই সে আবার উঠে জানালায় মুখ বাড়িয়ে শব্দ করে থুতু ফেলে।

শব্দ শুনে মনু মিয়া একবার ফিরে তাকালেও কিছু বললো না। বাসিমুখে কেউ কথা বললে তার মনে হয় যে, সেই মুখ থেকে ভকভক করে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে।

জীবিকা অথবা জীবন- ৮

সকালের দিকে হঠাৎ করেই বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রহমান সাহেব। তাদের ডাক্তার বন্ধু শৈলেশ বর্মন এসে খানিকটা রাগারাগি করলে রহমান সাহেব বন্ধুর হাত ধরে বললেন, দোস্ত তুই আগে আমার কথাটা হোন!

ডাক্তার সরোষে রহমান সাহেবের হাত সরিয়ে দিয়ে বললেন, তরে কইছিলাম দুধ-ডিম আর এইসবের তৈরী হাবিজাবি কিছু না খাইতে। এক ঠ্যাং কবরে গিয়া রইছে অখনও নোলা সামলাইতে পারছ না! কই নাই তর নোলা তরে একদিন শেষ করবো!

খানিকটা বিষন্ন হাসি হেসে রহমান সাহেব বললেন, দোস্ত দশ বছর ধইরা তো একই কথা কইতাছস, অখনও তো মরলাম না!

তাইলে মর! আমি যাই!

না দোস্ত, আমারে অষুধ দিয়া যা। কাইলকা সকালের আগেই আমারে যেমনে হউক সুস্থ হইতে হইবো।

এবার ডাক্তার শৈলেশ বর্মনের মুখে কেমন তাচ্ছিল্যের হাসি ফুটে উঠলো। বললেন, কাইলকা শহিদ মিনার যাইবা। ফুল দিবা। তারপরে তোমার দেশ উদ্ধার হইয়া গেল! অথচ পোলা মাইয়াগুলারে বানাইছস আম্রিকান-জার্মান!

জীবিকা অথবা জীবন- ৭

সকালের দিকে রাতের বাসি ভাত-তরকারি খাওয়ার পর আর কিছু করার থাকে না মনু মিয়ার। দুপুরের খানিকটা আগে দিয়ে যদি সালমা বেগম তাকে রান্নাঘরে ডাকেন তো কিছু তরি-তরকারি বা মাছ-গোস্ত কেটেকুটে চাল ধূয়ে দেওয়ার পর ফের খাওয়ার আগ পর্যন্ত তার তেমন কাজকর্ম থাকে না। দুপুরের খাওয়ার পর হাঁড়ি-বাসন-কোসন পরিষ্কার করে গাইটাকে কিছু খেতে দেয়। কোনো দিন কলের মুখে দীর্ঘ পাইপ লাগিয়ে সেই পানি দিয়ে ফেলে দেওয়া গন্ধসাবান দিয়ে ডলে গাইটাকে গোসল করায়। গাইয়ের জন্য সাবান দেখে একদিন রহমান সাহেব আর সালমা বেগম দুজনেই হাসতে হাসতে যেন পড়ে যাবেন এমন হয়। রহমান সাহেব বলেছিলেন, গরুরে সাবান দিয়া গোসল দিতে কই দেখছস? আরো জমিদারেও মনে কয় এমন করবো না!

মনু মিয়া গাইটার শরীরে সাবান ডলতে ডলতে হেসে বলেছিলো, টুকরা-টাকরা সাবান কতডি জমছে! হালায় না দিয়া কাম লাগাইতাছি!

জীবিকা অথবা জীবন- ৬

চারটা মোরগ আর ষোলোটা মুরগির ভেতর দশটা মুরগি ডিম দেয়। প্রতিদিন সকালে গোয়াল ঘরের কাজ সেরে গুনেগুনে মোরগ মুরগিগুলোকে পাশের দেয়ালের সঙ্গে লাগানো তিনদিকে তারের জাল দিয়ে ঢাকা আলাদা খাঁচায় ঢুকিয়ে দিয়ে খুদ-কুঁড়ো খেতে দিয়ে মুরগির খোঁয়াড় পরিষ্কার করার আগে ডিম আছে কি না উঁকি মেরে দেখে মনু মিয়া। সে এখানে আসার আগে সব ডিম নিয়ে যেতো আজগর চকিদার। রহমান সাহেব আর সালমা বেগম স্বাস্থ্য আর বয়সের কারণে ডিম-দুধ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন অনেক দিন।

মনু মিয়া অবাক হয়ে বলেছিলো, কন কি নানি? মুরগার পিছে যত খাওন খরচ যায় হেই ট্যাহা ডিমা বেইচ্যাই পাওনের কতা! চহিদাররে দিলে খরচ কমলো কেমনে?

মনু মিয়ার কথা শুনে সালমা বেগম হাসতে হাসতে বাঁকা হয় যান। শেষে রহমান সাহেবকে ডেকে বলেন, মন্টুর বাপ হুনছো পাগলের কথা?

রহমান সাহেব স্ত্রীর কথা বুঝতে না পেরে বলেন, কোন কথা?

জীবিকা অথবা জীবন- ৫

রান্নাঘরে খুটখাট শব্দ শুনে মনু মিয়া এগিয়ে গিয়ে দেখলো সালমা বেগম একটি টিন হাতে নিয়ে কিছু করছেন। হয়তো খুলতেই চেষ্টা করছিলেন। তা দেখে সে বললো, নানি আমি কিছু করনের আছে?

করলে তো অনেক কিছুই করা পারছ।

কন কি করন লাগবো? বলতে বলতে এগিয়ে গিয়ে সালমা বেগমের পাশে দাঁড়ায় সে।

তিনি টিনটা এগিয়ে দিয়ে বললেন, এইটার ঢাকনাটা দেখ দেখি খোলা পারছ কি না!

চুলোর পাশেই পেতলের একটি খুন্তি পড়েছিলো মেঝেতে। সেটি তুল নিয়ে টিনের ঢাকনার পাশে লাগিয়ে সামান্য চাড় দিতেই সেটা উঠে এলো। সালমা বেগম খুশি হয়ে বললেন, আরে করছস কি? এই বুদ্ধিটা তো আমারও জাননের কথা আছিলো!

মনু মিয়া হাসে। বলে, নানি, অহন আফনের বুদ্ধিরও বয়স অইছে। এইসব ছোডমোডো বুদ্ধি আফনের মাতাত কাম করে না!

ঠিকই কইছসরে! আমার বয়স হইছে। এই কথাটা মনে থাকে না। অনেক বছর ধইরা নিজে নিজেই সব করতাছি তো, তার লাইগ্যা বুঝা পারি না!

জীবিকা অথবা জীবন- ৪

বেশ নিশ্চিন্ত মনে কাজে লেগে যায় মনু মিয়া। গরুছাগল আর হাঁস-মুরগির যত্ন-আত্তি সে ভালোই পারবে। কিন্তু রাতের বেলা যখন রান্নাঘরে বসে হাঁড়ি-পাতিল, এঁটো বাসন-পেয়ালা ধুতে বসলো তখনই তার মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিলো কিছুক্ষণের জন্য।

জীবিকা অথবা জীবন- ৩