ইউজার লগইন

জ্যোতি'এর ব্লগ

আমরা বন্ধু ব্লগ সংকলন ১ : ম্যুরাল

টুকটুক গল্প-৮

যেইদিন থেকে একা থাকা শুরু সেইদিন থেকেই আমার এই বাসস্থানে আমার ছড়িয়ে ছিটিয়ে অগোছালোভাবে বসবাস । দিনশেষে, সবকাজ শেষে এখানেই আমি ফিরে আসি। এটা আমার ঘর নয়, বাসস্থান।কর্তব্যের খাতিরে, প্রয়োজনে, সুবিধা-অসুবিধায় বাসস্থান বদলায় মানুষ। একদিন আমিও আমাদের ছোট্র বাড়ীটা ছেড়ে এসেছিলাম ইট কাঠের এই মমতাহীন শহরে। কিন্তু আমার সেই বাড়িতে আমি আজীবন বারবার ফিরে যেতে পারব, সেটা আমারই। তাই হয়ত খুব বেশী কষ্ট হয়নি।বাবার সাথে খন কোয়ার্টারে থাকতাম , সেখানে থাকতে থাকতে সবাই পরিচিত হয়ে উঠেছিলো, সমবয়সীদের সাথে বন্ধুত্বও হলো। বাবার চাকরী শেষে যখন চলে আসলাম তখন কষ্ট হয়েছে বলে মনে পড়ে না। আমার এই একা থাকার জায়গা ছেড়ে যখন অন্য কোথাও যাব এই জায়গাটাতে আমার মন পড়ে থাকবে।এখানকার সবকিছু আমি চিনি, জানি। ঘুটঘুটে অন্ধকারেও কোথায় কি আছে প্রতিটা জিনিস খুঁজে পাব, প্রতিটা সিঁড়ি, চলার পথ সবকিছুই প্রতিটা ইন্দ্রিয় সেট করে নিয়েছে।। যখন ভ

টুকটুক গল্প-৭

রায়হান ভাই মাঝে মাঝেই বলে আড্ডাটা আমাদের এডিকশনের পর্যায়ে চলে গেছে। দুই/একদিন পর পর কোন না কোন উছিলায় একটা আড্ডা। কোন উছিলা না থাকলে এমনেই আড্ডা আর অফিস ফাঁকি দেওয়ার পায়তারা। যে অফিস ফাঁকি দিতে পারে না তাকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য উস্কানো এবং ফাঁকি দিতে না পারলে ধিক্কার দেওয়া...এই চলছে। আড্ডা শেষে কখনও লীনাপার সাথে রিক্সায় ফিরলে প্রায়ই জোর করে বাসায় যেতে, রাতে থাকতে অথবা রাতে বাসায় পৗঁছে দিবে এমন বলবেই। যাওয়া হয় না, বলি-যাব একদিন। একদিন বললাম, কাল বৃহস্পতিবার, কাল যাবো। সকালেই লীপনাপা ফোন করেছে যে না গেলে আর কথাই বলবে না, উনার বাসার খালাকে ফোনে ধরিয়ে দিলো। খালাও বলে, আসেন, আমি রান্না করব। শুক্রবার জাহাঙ্গীরনগর যাব বলে আর গেলাম না সেদিন, বললাম পরের সপ্তাহে যাব।

টুকটুক গল্প-৬

কথায় বলে মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত। আমার দৌড় ঢাকা-নরসিংদী। একা মানুষ তেমন কোথাও যাওয়া হয়ে উঠে না। অবশ্য আমার মত আমজনতার জন্য এখন খেয়ে পরে মাস পার করার পর ভ্রমনবিষয়ক বিনোদনের কথা ভাবা এখন বিরাট বিলাসিতা। প্রয়োজন বলি, বিনোদন বলি, আর বিলাসিতা বলি সেটা হলো ইন্টারনেট।ইন্টারনেট ছাড়া আমার চলেই না!আবার আমি তো এমনি এমনিই ইন্টারনেটে বসে থাকি। যেহেতু নরসিংদী যাওয়ার সময়ে ইটাখোলা পর্যন্ত রাস্তা এখনও আস্ত আছে, এর পরেরটুকু ভাঙ্গা হলেও কোরান খতম হওয়ার আগেই দোয়া দুরুদ পড়তে পড়তে বাড়ী চলে যেতে পেরেছি এখনও পর্যন্ত। তবে সবসময়ই সবার জন্যই আতংক লাগে, এই দেশের রাস্তাঘাটকে এতটুকু বিশ্বাস করা যায় না, নিরাপদ ভাবা যায় না। যোগাযোগ ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকা মন্ত্রীর প্রমোশন হলো। যোগাযোগের সাথে যোগ হলো তথ্য ওপ্রযুক্তি। আমার মত কপালপোড়াদের কপাল বুঝি এইবার ফাটলো! গরীবের একটুখানি বিনোদনেও নজর পড়লো বুঝি!

টুকটুক গল্প-৫

১. এবার ঈদে বাড়ি যাওয়া হয়নি। যদিও ঈদ যে একটা বিশেষ দিন সেই বিশেষ দিনের আনন্দ সেই কোন শৈশবেই ফেলে এসেছি। তবু টের পেলাম বাবা-মায়ের কাছ থেকে দূরে থেকে দিনটাতে বুকের ভেতরের বাতাসাটা অনেক বেশী ভারী হয়ে যায়।ঈদের দিনের ভোরবেলা থেকে সারাদিনে বাবা- মায়ের কার্যকলাপে মনে হলো আমি সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে আছি। কিন্তু কিছু ঝামেলায় আটকে থাকতে হলো কিছুদিন। এর মধ্যেই ঈদের একদিন পর ঘুম থেকে উঠেই বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হলাম বাসা থেকে।বাসা থেকে সায়দাবাদ যেতে তিনবার রিক্সা সিএনজি বদলাতে হলো। অবশেষে সায়দাবাদ থেকে বাসে উঠলাম ভালোভাবেই। কাঁচপুরের আগে একটা বাস নষ্ট হওয়াতে সেই বাসের কয়েকটা যাত্রী আমাদের বাসে উঠালো। তাদের মধ্যে তিনজন মানুষ এমন যাদের আমরা বলি হিজড়া। দেথে বুঝার কোন উপায় নেই, দুইজন শাড়ি পড়েছে, একজন সালোয়ার কামিজ পড়েছে। সালোয়ার কামিজ পড়া মানুষটা দেখতে খুবই সুইট। হঠাৎ দেখলাম সামনে বসা একটা লোককে সে

টুকটুক গল্প-৪

এমনি করেই সব হারিয়ে যায়। কিছু একটা লেখার চেষ্টা করি...কি বোর্ড থেকে চোখ তুলে দেখি স্ক্রিনে কিছু নেই। অনেকটা সময় ধরে নিজের মত করে যা লিখতে চাইলাম হারিয়ে গেলো।সবগুলো অপশন খুঁজে খুঁজে দেখি যদি কোথাও পাওয়া যায়! পাইনি কোথাও, আমি জানার, বোঝার আগেই হারিয়ে গেলো। এমন করে কত কি যে হারালো! একজন বলেছিলো, সবার অবস্থার পরিবর্তন হলো, আপনি তো যেমন ছিলেন তেমনই রইলেন, আপনার অবস্থার পরিবর্তন হলো না।ভেবে দেখলাম সত্যি তো!সবকিছু আগের মতোই আছে। ক্লান্ত দুপুরে সেই বারান্দায় সেই চড়ুইপাখিদের কিচিরমিচির, সেই দুটি কবুতরের একজন আরেকজনকে ঠোঁট দিয়ে আদর করে দেওয়া....কিছুই বদলায়নি।

শুভ জন্মদিন ময়না পাখি!!!

আমরা বন্ধু ব্লগের সব বন্ধুদের চোখের সামনে পুচকু থেকে একটু একটু করে বড় হলো ঋহান, সমুদ্দুর, এশা, আয়লা, মাধুর্য। এই ব্লগের প্রত্যেকে এই পুচকুগুলার বেড়ে উঠার, হাসি-কান্নার ক্ষণগুলোর সাথে জড়িয়ে থেকেছে। শুধু এই কজন ই না ... মেঘ, রাইয়ান, রিমঝিম, শ্রেয়া, পিয়ন্তী, ছোট মামদো ভূত, রোদ্দুর, নিধি, ২ রাজকন্যা (পিয়াল ভাই, মানিক ভাই এর মেয়ে) সহ প্রত্যেকটা বাচ্চা আমাদের সবার জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে। এরা সবাই আমাদের বুকের ভেতর গভীর মমতার একটা জায়গা তৈরী করেছে। স্বর্গের এই দেবশিশুদের হাসি আমাদের মন জুড়িয়ে দেয়। সৃষ্টিকর্তাকে সবসময় বলি এই হাসি যেনো অমলিন থাকে। ঋহান সোনা , চাঁদের কণা, গুলুগুলু ময়না পাখিটার কাল প্রথম শুভ জন্মদিন। সেই ছোট্র পোটলা ঋহান এখন হাঁটতে শিখেছে, দাঁত বের করে কি সুন্দর করে হাসে! আহারে কি মায়া! ঋহানের প্রথম জন্মদিনে সবার পক্ষ থেকে অনেক অনেক অনেক আদর আর দোয়া। অনেক বড় হও বাবা!

বরষার প্রথম দিনে ছবি ব্লগ

ঘুমানোর আগে রোজই মোবাইলে এলার্ম দিয়ে রাখি। আর সকালে এলার্ম বাজতে শুরু করলেই বন্ধ করে দিয়ে আরাম করে ঘুম দেই। আর যখন চোখ মেলে তাকাই তখন ঘড়ির দিকে একবার চোখ পড়তেই লাফ দিয়ে উঠে মোটামুটি দৌড়াদৌড়ি করে অফিসের জন্য রওনা দেই। প্রতিদিনের এই রুটিনের আজই ব্যতিক্রম হলো। ভোরবেলায় ঘুম ভাঙ্গতেই বিছানা ছেড়ে দরজা খুলে বারান্দায় দাঁড়ালাম। কি মিষ্টি একটা সকাল! অনেকগুলো চড়ুই পাখি কিচিরমিচির করছে, বারান্দার সামনে নীচের খোলা জায়গায় অনেক ফুল ফুটে আছে। মনটা স্নিগ্ধতায় ভরে গেলো। ভালো ছবি তুলতে পারি না তবু কিছু ছবি তোলার চেষ্টা করলাম। সাহস করে ছবিগুলো সবার সাথে শেয়ার করলাম।

DSCF1450.JPG

DSCF1451.JPG

বৃষ্টির কান্না শুনে মনে পড়লো তোমায়

বিলাসিতা করে বৃষ্টির আদর, ভালোবাসা, মাদকতায় ডুবে যাওয়া হয় না অনেকদিন। ইদানীং রোজ ভাবি ভোর থেকে টানা বৃষ্টি হতো সারাটাদিন! অফিস আসতে হতো না, আয়েশ করে বৃষ্টিতে ভিজতে যেতে না পারি, বারান্দায় বসে সামনের খোলা জায়গাটায় ফুটে থাকা অনেক ফুলের বৃষ্টিস্নান দেখে আরো একটু উদাস তো হতে পারতাম! কপালে সেই সুখটুকুও নেই। আজ কানের পাশ দিয়ে গেলো, আরেকটু আগে বৃষ্টিটা শুরু হলে অফিস ফাঁকি দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করা যেতো। যাকে ছুঁতে আজ আকাম থেকে একপশলা বৃষ্টি নেমে আসলো ধরণীতে, তাকে আমি কাল একটু আদর, ভালোবাসা পাঠালাম না বলে সে বদদোয়া দিয়েছে আর তাই বৃষ্টিটা সময় মতো ঝরলো না। সেই মেয়েটাকে একনজর দেখতে মাসুম ভাই আজকাল ঘনঘন চাটগাঁ চলে যায় আর ঢাকায় ফিরে এসে ডুবে যায়। সেই মেয়েটা হাত ধরে রাস্তা পার করে দিবে বলে কতজন যে আশায় দিন গুনে!

টুকটুক গল্প - ৩

কাল ছিলো কাঠ ফাটা রোদ, আর কলিজা শুকিয়ে যাওয়ার মত গরম। আমার মত যাদের বাসে-রিক্সায়, হেঁটে অফিস/ স্কুল কলেজে / কাজে যেতে হয় তারা বুঝে এই রোদ আর গরম কিভাবে কলিজা শুকিয়ে ফেলে। এই গরমের মধ্যে ঋহান নাকি কান্নাকাটি শুরু করেছে সে মাধূর্যকে দেখতে যেতে চায়, কোনভাবেই নাজ কান্না থামাতে না পারলো না। অবশেষে গরমে মোটামুটি সিদ্ধ হয়ে লীনাপার লোকাল গাড়িতে আমি , জেবীন, নাজ, লীনাপা, ঋহান গেলাম মাধূর্যের সাথে ঋহানের সাক্ষাৎ ঘটাতে। ঋহানের ফুপু, মাধূর্যের খালা জেবীন ভাতিজা, ভাগ্গ্নীর ডেটিং উপলক্ষে সাজগোজ-মেকাপ করতে গিয়া আমাদের পথে বসিয়ে রাখলো আধা ঘন্টা। লীনাপা রাগে চুল টানে, জিজ্ঞেস করি--- চুলে কি? বলে ...না, এমনি, গরম। অবশেষে গিয়ে তো তাজ্জব হলাম! মাধূর্য সাজুগুজু করে একটা ফুলপরী হয়ে আসলো। তাকে দেখে ঋহান মা-ফুপুদের সামনে ভীষণ লজ্জায় কাইকুই শুরু করলো। মাধূর্য তো দারুণ স্মার্ট!

রং এর বৈশাখ

বৈশাখ বলতেই স্মুতির ভেলায় চড়ে মন ছুটে যায় ব্রম্মপুত্র নদীর পাড়ের হাতিরদিয়া বাজারের বৈশাখের মেলায়। শুকনো নদী, দুই পাড়ে গাছপালায় ঘেরা শান্ত স্নিগ্ধ গ্রাম। একপারে নদীর কোল ঘেঁষে বিশাল এক বাজার। সারাটা চৈত্র মাস টান টান উত্তেজনায় কাটতো আমাদের দিন । কবে আসবে পহেলা বৈশাখ! চৈত্র সংক্রান্তিতে সারাদিন- রাত জুড়ে সে কি আনন্দ!

টুকটুক গল্প-২

আজ সকালটা একদম ম্যারমেরা লাগছিলো। গতকাল সকালটা ছিলো স্পাইসি। ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় বের হয়ে দেখি পেয়ারা গাছে দুটো শালিক পাখি গাল ফুলিয়ে বসে আছে। দেখেই মনটা ফুরফুরা হয়ে গেলো। ভাবলাম আমিও একটু গাল ফুলাবো কিনা। আমার এক বোনকে এই কথা বললে সে বলত, শালিক পাখিও আরেকজনের সাথে গাল ফুলায়, আর তুই? সেই গাল ফোলানোর সুযোগ আর পেলাম না, টেবিলে গরম গরম চিতই পিঠা, আম্মা জলদি মুখ ধুয়ে খেতে তাড়া দিলেন।আম্মা বাথরুমে পড়ে হাত ভাঙলেন দু সপ্তাহ আগে Sad । নিজে নিজে কিছুই করতে পারেন না, তাতে কি!

টুকটুক গল্প - ১

একা থাকলেই ভাবতে থাকি, আকাশ-পাতাল ভাবনা, পুরোনো দিনের কথা, নতুন কোন স্বপ্ন নিয়ে। নির্জনতা, একাকীত্বে ডুবে যাওয়া বোধ হয় সেই ছোটবেলা থেকেই , ভাই-বোন ছাড়া একা বড় হওয়া থেকে হতে পারে। অনেক হৈ চৈ , আড্ডায়ও হঠাৎ নিজের ভাবনার ভেতর ঢুকে যাই শামুকের মতো।

মাসুম ভাই এর জন্মদিনে শুভেচ্ছা

আমাদের অনেক প্রিয় বন্ধু, প্রিয় ব্লগার মাসুম ভাই এর আজ জন্মদিন। কততম তা জানি না। তবে শত বছর ধরে মাসুম ভাই এমনই থাকুক সেটাই চাই। এত অন্তরিক, নিরহংকারী, ভালো মানুষ, খুব ভালো বন্ধুর এই শুভদিনে শুধুই প্রার্থনা সৃষ্টিকর্তা যেনো মানুষটাকে সুস্থ রাখেন, প্রিয়জনদের মাঝে প্রিয়জনদের ভালোবাসায় রাখেন যুগ যুগ ধরে। জন্মের এই শুভক্ষণ শতবর্ষ ধরে ফিরে আসুক সবার ভালোবাসায় শিক্ত হয়ে

দুই বার্থডে বয় মাসুম ভাই আর শুভ কেক কাটছে সাথে জ্বীন লীনাপা

দৃই মামাকে জস্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে আসা মাধূর্য

বৃষ্টির নাম জল হয়ে যায়

সে যে এসেছিলো আকাশ তো বলেনি
হায় সেই রাতে দীপ মোর জ্বলেনি