কাজী রত্না'এর ব্লগ
আমি একটি বই লিখব
মেয়েটি তার ফোনের ওয়ালে ছেলেটির সাথে তোলা একটি হাসিমুখের সেলফি দিয়ে রাখে। ফোনটির হোম স্ক্রিনে যতবার সেই মুখটি চোখে পড়ে, ততবার একটি নি:শব্দ দীর্ঘশ্বাস পড়ে। বলতে পারেন এ এক নিরব ভালোবাসা। যতক্ষন বাসায় থাকে স্ক্রিনটি জুড়ে থাকে সেই ভালোবাসা। আর বাসা থেকে বের হলেই আস্তে করে পুরোনো একটি ছবি দিয়ে রাখে। পাছে লোকে কি বলবে । চলুন মেয়েটির একটি নাম দেয়া যাক। ধরে নিলাম মেয়েটির নাম অন্তরা। এই অন্তরা নামের অনেক মহত্ব লেখকের কাছে। আর ছেলেটির নাম সংকল্প।
কথার মাঝের কথা
আজকাল আমার কথা কেউই বুঝতে পারছে না। আমি বেশি দুর্ভেদ্য হয়ে গেছি , না বাকি সবাই তা বোঝা দুস্কর। ধরুন আমি মজা করে কোন কথা বললাম, কিন্তু অপরপক্ষ সেটাকে ইনসাল্ট হিসেবে ধরে নিলো। আবার আমি কথার পিঠে উত্তর দেয়ার জন্য কোন সহজ কথা বললাম, সেটার মিনিং ও উল্টা করে ফেলছে লোকজন। এবং গায়ে টেনে নিচ্ছে। বিষয়টা শুধু কেবল একজন মানুষ কেন্দ্রিক ঘটছে তা কিন্তু না। অলমোস্ট সবার সাথেই কম বেশি ঘটে যাচ্ছে। পর পর ঘটনায় এটাই প্রমান হয়, আমার কথাই হয় না। কিন্তু এই কথাই ছিল এক জীবনে আমার সব সম্বল। আমার কথাই আমাকে সবার থেকে আলাদা করতো ছোট বেলা থেকেই। সে অনুযায়ী প্রায়োরিটি ও পেয়েছি সব সময়। সময়ের বিবর্তনের সাথে সাথে আমার কথার ধার কমেছে, একটা সময় এসেছিল, 2005 সাল, নিজেকে বড্ড একা লাগতে লাগলো। কারণ সবার উচ্ছলতা আমাকে আরও নিজের দিকে ঢুকিয়ে নিয়ে গেল। ক্রমশই একা হতে লাগলাম। প্রায় তিন বছরের ও বেশি সময় লেগেছিল, সেই অবস্থা থেকে ফি
স্বপ্নের প্রজাপতিটার জীবন অবসান
মানুেষর মনের কোনে মানুষ আটকে থাকে। যেই মানুষটা আটকে থাকে সে হয়তো বন্দি পাখির মত ছটফট করতে থাকে , কখন তার মুক্তি মিলবে। কিন্তু মুক্তিটা হয় না, হয়তো মুখে বলবে না, কিন্তু প্রতিটি নিশ্বাসের সাথে আটকে থাকবে অনুভুতিটা। যদি কেউ কখনও ভাবে, দূরে যাওয়া মানেই সমাধান। আসলেই কি তাই ? যে দূরে যেতে চায় সে হয়তো ভাবছে, যাক বাঁচা গেল, হাতটা ধরিনি, তাহলে নিশ্চই দূরত্ব বজায় রেখেছি। মন নামের টাইম মেশিনটি তো আর থামে না..
ফেরা হয় না আর..
অপরিচিত গন্ডি তে লিখতে হঠাৎ ইচ্ছা করছে, জানি এখন আর আমরা বন্ধু খুব একটা কেউ ব্যাবহার করে না। প্রায়োরিটি শব্দটি খুব প্রচলিত শব্দ, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই শব্দটি ব্যাবহার হয়। আমি অনেক বছর আগে থেকেই নিজের জীবনের ক্ষেত্রে এটা নিয়ম করে নিয়েছি, যার যতক্ষণ আমাকে প্রয়োজন পড়বে, ততক্ষণ তাঁর জন্য আমি সব করতে পারি। আমার খুব ভালো লাগে যখন কেউ আমাকে বলে আমাকে তাঁর প্রয়োজন। মূল্যহীন মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে থাকতে ( অথবা নিজেকে মূল্যহীন ভাবতে ভাবতে ) কারো ক্ষুদ্র চাওয়ার অনুভূতি টা অনেক বড় মনে হয়। আমার নিজের মনে হয়, যতক্ষণ আমার জীবন, ততক্ষণ বাকিদের প্রয়োজনেই আমার জীবন। সবাই সব সময় বলতে থাকে, নিজেকে জানো, নিজেকে সময় দাও, আমার সমস্ত জানা কেবলই অন্যদের জন্য। যখন যে কাছে থাকে। যার যখন প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়, সে তখন চলে যায়, আর আমি পড়ে থাকি স্মৃতি আঁকড়ে ধরে। অবশ্য লোক দেখানোর জন্য বলি, আমার কিছু যায় আসে না, তবে
বার্ধক্যের প্রেম
বয়স যখন ৩৪, মধ্য যৌবন জীবনটা.. সাম্প্রতিক সময়ে যেটাকে আমি বলি ক্ষয়িষ্ণু যৌবন। এই বয়সে এসে প্রেম টিনেজ অনুভব দেবে সেটা নিশ্চই খুব একটা স্বাভাবিক কিছু না। মানুষের নানা বিষয় আমি ছোট বেলা থেকে লক্ষ করি। তার মধ্যে একটা অন্যতম বিষয় হলো মানুষের হাত পা, আমি নিজেও আমার হাত পা এর ব্যপারে বেশ অপসেস্ট। আমার প্রথম হাতের প্রেম হয়, ২০০২ সালে। অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার এর হাতের সাথে। কলেজ কর্মসুচিতে তখন, প্রতি সপ্তাহে স্যারের সামনের চেয়ারটি ছিল আমার দখলে, সবাই যখন মুগ্ধ চোখে স্যারের বক্তব্য শুনছে এবং দেখছে. তখন আমি শুধু চেয়ে রইতাম স্যারের মুষ্টিবদ্ধ হাতটির দিকে। কি দৃঢ়তা সেই হাতটিতে..
বিশ্ব নিয়ে ভাবনা: টুপির ব্যাপারী এরোপ্লেন এর খবর।
আমি নিতান্তই টুপির ব্যাপারী টাইপ মানুষ। কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারনে মাঝে মাঝে আমার ইচ্ছা হয় এরোপ্লেন বা সাবমেরিনের হালচাল এর খোঁজ নিতে। আমার বাংলাদেশে চলমান নানা ধরনের নোংরা নিম্নমানের রাজনৈতিক চাল দেখে মাঝে মাঝে বিরক্ত হই। বাংলাদেশের রাজনীতিকে কখনও কখনও গ্রাম্য কুটনামী মনে হয়। সেই জন্য সাবমেরিন খোঁজার জন্য বিশ্ব রাজনীতি বা আনুসাঙ্গিক বিষয়ে মনোযোগ দেই। সম্প্রতি দেখলাম আমেরিকার লোকজন আর্মিদের জন্য রোবট তৈরী করছে। যেই রোবট দিয়ে তারা অটো গাড়ী চালাবে। বিভিন্ন জায়গা রেকি করতে পাঠাবে। সাংবাদিক প্রশ্ন করলো আপনাদের কি মনে হচ্ছে না এইসব যুদ্ধক্ষেত্রে টেকনোলজীর ব্যবহার পৃথিবীকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিবে?
ঘুরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা
এই মাসের প্রথম থেকেই একটা অদ্ভত অস্থিরতা কাজ করছিল। অস্থিরতাটা ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে গত সপ্তাহ থেকে। জীবনে কখনও এমন অবস্থা অনুভব করিনি, সময় অনুযায়ী যত ধরনের ডিজাস্টার পার করেছি, প্রতিটাকেই মনে হয়েছে এই বোধহয় জীবনের শেষ। ছোট বেলা থেকেই আমার মধ্যে একটা প্রবনতা ছিল, কোন কিছু না পারলে আস্তে করে কেটে পড়া। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাই করেছি। খেলাতে না পারলে আস্তে করে সরে এসেছি, কারও সাথে ঝগড়া তে পেরে না উঠলে জাস্ট গিভ আপ বলে কেটে পড়েছি। পরীক্ষায় ফেল করেছি বলে পড়াশুনা ছেড়ে দিয়েছি। খুব ভালো করে পড়ব বলে আবার শুরু করেছি, কয়েকদিন পর আবার যেই লাউ সেই কদু টাইপ জীবনে ফিরে গিয়ে, বারবার ষোল টাকা দরের চালের মত নিজের জীবনটা কাটিয়ে দিয়েছি। মোদ্দা কথা সবাই যেটাকে ছোট্ট করে বলে ‘ল্যাক অফ ডিটারমিনেশন’। দেখছেন টার্মটা আমি জানি, এই যে এখন যে হেডলাইনটি লিখেছি, কিন্তু ভেতরে লিখতে বসে শব্দ অন্য দিকে নিয়ে গেছে নিজেকে। স
শেষ হইয়াও হয় না শেষ... তার নাম কেবলই অধিকার..
সম্পর্কের গল্পগুলো বড় অদ্ভত.. কে যে কখন কার কোন বন্ধনে আটকে যায় কে জানে ? হতে পারে সেটা বন্ধুত্বর, হতে পারে সহযোদ্ধার বা হতে পারে জীবন সঙ্গীর অথবা হতে পারে বা পারত সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক। জীবনের নানা সময়ে এই সম্পর্কগুলোর সৃষ্টি.. প্রত্যেকটা সম্পর্ক একটা নিদৃষ্ট আয়ুস্কাল নিয়ে আসে.. কোন সম্পর্কেরই প্রয়োজনিয়তা জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত দরকার হয় না.. মন একটি রেল স্টেশনের ওয়েটিং চেয়ারের মত.. যার যখন প্রয়োজন সে তখন এসে প্রাণ খুলে বিশ্রাম করে। এখন মন নামক চেয়ারটি যদি দাবী করে, না আমার ওই একজন পথিকই লাগবে সারাজীবন তবে তো বড় মুশকিল.. অথবা পথিকের ও তো প্রত্যেকটা মুহুর্ত ওখানে বসে থাকা সম্ভব না..যতই মায়া পড়ে যাক না কেন.. আমার অবস্থা ঠিক তাই..জীবনের প্রয়োজনে নানা সম্পর্ক তৈরী হয়েছে ঠিকই, কিন্তু হৃদয়ের কাছের সম্পর্কগুলোকে আঁকড়ে ধরে রাখার কি আপ্রান চেষ্টা আমার..
আমার মায়ের কোন ফেসবুক আইডি ছিলো না
মানুষ উত্তরাধিকার সুত্রে অনেক কিছু পায় মায়ের, কিছু শাড়ি গহনা ছাড়াও আমি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলাম আমার মায়ের বিছানা। মা চলে যাওয়ার পর আব্বু কোনদিন এই রুমে একা থাকেনি। তাই আমার রুম শিফট হয়ে গেছে। আম্মুর এই বিছনায় আগে আমি শুতে পারতাম না, আম্মু চিৎকার করত কারন বিছানার চাদর কুচকে ফেলার এক বড় বদ অভ্যাস ছিলো আমার। তাই একই রুমে আমার জন্য একটা সিংগেল খাট বিছানো ছিলো। টিভি যেহেতু এই রুমে তাই আরাম করে টিভি দেখার এই ব্যবস্থা। যেদিন আম্মুর ব্রেন হ্যামারেজ হলো ঠিক সেদিনও আমি পাশের সেই বিছানাতে শুয়ে ছিলাম, আম্মু ছিলো পাশের বাথরুমে। যখন টের পেয়ে ঘরে আনলাম, এবং শুইয়ে দিলাম আমার বিছানাটাতে, তার কিছুক্ষন পর সে যখন অবচেতনে বিছানাটা নষ্ট করে ফেলল, বিশ্বাস করুন আমি কিন্তু একটুও চিৎকার করি নি। তাকে আবার তার নিজের বিছানায় শুইয়ে দিয়েছি। সেটাও কিছুক্ষন পর নষ্ট হয়ে গেছে। সেই যে তাকে তুলে বাড়ীর বাইরে নিয়ে গেছি, আর
শ্লীলতা আর অশ্লীলতার মাঝে
শ্লীলতা আর অশ্লীলতার মাঝে ঝুলে আছে পৃথিবী। সব চাইতে বেশি এই শব্দটির ব্যবহার নারীদের পেছনেই হয়। নারীরাই সব অশ্লীলতার প্রতীক। যৌন আবেদন এর জন্য নারী, ভোগ্য পন্যের বিজ্ঞাপনে নারী, বোনের প্রতি ভালোবাসায় নারী, মমতাময়ী মা এর ভূমিকায় নারী। হয়তো অবাক হচ্ছেন অনেকেই, মা এর কথাটা এত পরে আনলাম কেন ? কারন মা আজ বিক্রি হচ্ছে পদে পদে। মা তার সংসার চালায়, মেয়ে তার বাবার সংসার চালায়। বউ তার নিজের সংসার চালায়। এই এত চালানোর মাঝে জীবন এগিয়ে গেছে। সমাজ এগিয়ে গেছে। বোরকা পরা নারীদের পাশে আজ চলছে বিশ্বব্যাপী নতুন ফ্যাশন । প্রতিদিন নতুন নতুন ড্রেস আসছে বিশ্ব বাজারে। যেগুলোর ফ্যাশন শো হয় আবার সেগুলো আমরা গনমাধ্যমে প্রকাশ করি। এর মাঝে প্রশ্ন আসে শ্লীলতার.. কোনটাকে শ্লীলতা বলে, কাপড়ের ধরন কে ? নাকি চোখের বা কামনার সংযম কে ? কথাগুলো খুব খারাপ ভাবে লেখা হচ্ছে । সেই জন্য অনেকেই আমাকে ভাবতে পারেন আমি তসলিমা নাসরিন এর উত্তরসূরী হতে যাচ্ছি কিনা ? না। আমি ফ্যাক্ট বলছি। একটা নারী কি পরবে ? বোরকা ?
আমি কে ?
(এই লেখাটি অনেকগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা বা কথার সংকলন, আমার মনের কথা। যা একটির সাথে সাথে আরেকটির মিল নাও হতে পারে। পাঠক ক্ষমা করে দেবেন।)
স্বপ্ন রং
আমার স্বপ্নের রং গুলো এখন অস্বাভাবিক লাল,
এইতো কিছুদিন আগেও যেগুলো ছিল আকাশের মত নীল।
স্বপ্নগুলোকে এখন আর স্বপ্ন বলা যায় না..
রং বদলিয়ে তারা হয়ে গেছে দুঃস্বপ্ন..
দুঃস্বপ্নগুলো এখন রূপ ধরেছে ভয়াবহ।
পৃথিবীর বুকে আমার চিহ্ন মুছে দিতে তারা এখন সক্রিয়,
হয়তো সত্যি তারা সফল হবে আমার অস্তিত্ব মিশিয়ে দিতে।
তবু বাঁচার বড় ইচ্ছা হয়,
ইচ্ছা করে সাদা স্বপ্ন দেখতে,
কিন্তু না, তা হয় না,
আমার স্বপ্নগুলো আজ হারিয়ে গেছে আজ গভীর সাগরে।
সাগর থেকে স্বপ্নগুলো নিংড়ে আনার চেষ্টা করেছি,
কিন্তু সবই ব্যার্থ্..
যত সময় যায় হারিয়ে যায় অতল গভীরে……
২৭-০২-২০০৪ রাত ৯:৩৫
বৃদ্ধ শামুক
মোনালিসার চোখের তারায় দুঃখ বোনে জাল…
কষ্টে আছি, কষ্টে আছি, কষ্টে কাটে কাল…
রাতের কষ্ট দিন বোঝে না..
কুলের কষ্ট ঢেউ বোঝে না…
মাছের কষ্ট গাছ বোঝে না…
আমার কষ্ট তুমি..
কষ্টে আছি… কষ্টে আছি..
এই ভেবে দিন কাটে..
কষ্টগুলো বৃদ্ধ শামুক..
বুকের তলায় হাটে..
( আমার লেখা প্রথম কবিতা অথবা মনের কথা,কিন্তু এটা তো আর লাইন বাড়ানো যাবে না,কিন্তু পোষ্ট হয় না বলে বর্ননা লিখতে হলো )
অগাষ্ট ১৯৯৮
লেখা জোখা - হিবি জিবি... ০১
নিজেকে একটু বিজি রাখতে লিখতে চেষ্টা করছি.. কিন্তু কি লিখবো কোন কিছুই মাথায় আসে না। তবুও একটা কিছু লিখবো বলে হাত চলে গেল কম্পিউটার এর ওয়ার্ড ফাইলে…. লিখতে গিয়ে ভাবছি এটা কি হবে?? গল্প না কবিতা না উপন্যাস না কি প্রবন্ধ ??? যাই হোক.. এটা একটা প্রচেষ্টা কিছু একটা করার…আমি এক্সটা অর্ডিনারি কোন ক্রিয়েটিভ না, যে এমন কিছু লিখতে পারবো। তবে শুরুতো করলাম.. শেয়ার ও করে দিব ফেসবুকে অথবা ব্লগে…দুখি:ত বন্ধুরা.. আমার হুদাই লেখা পড়তে হচ্ছে বলে। জীবনের ঘটনাগুলোকে কাগজে তোলার মত সাহস নাই.. পাছে আবার সত্যি বলে দেশ ছাড়া হই… আর এই দেশ আর বাবা কে ছেড়ে যাবই বা কোথায়?? বাবা না থাকলে ভাবছি রিস্ক টা নিয়েই নিব… কি বা হারানোর আছে আমার.. সম্পদ থাকলে বাঁচানোর বা রক্ষা করার প্রশ্ন আসে.. আমার সম্পদ বা সম্পত্তি কিছুই নাই.. আমার এই লেখাকে গাঁজাখুরি যাদের মনে হচ্ছে তাদেরকে আগে থেকেই ধন্যবাদ জানাই.. ( আসলে আমার নিজেরই তাই মনে হচ্ছে.. হি..হি..হি…)
বন্ধুত্বের আকাশের নক্ষত্ররা
প্রতিবছর বন্ধু দিবসে আর কোন মানুষকে এতটা মিস করি কি না জানি না, যতটুকু করি আমার হারিয়ে যাওয়া বন্ধু সেলিম কে, সেলিম আমার বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের কলেজ কর্মসুচির প্রথম সমবয়সী ছেলে বন্ধু। বছর কয়েক আগে সবাই এসে বলল, সেলিম চলে গেছে না ফেরার দেশে।যা এখনও আমি বিশ্বাস করি না, প্রায়ই ভাবি, ও হয়তো আবার ফিরে আসবে, এসে বলবে, “রত্না আমরা সবাই এক সাথে উঠবো, আমাদের অনেক বড় হতে হবে”। খুব চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা করে, “ সেলিম, শুনতে পাচ্ছিস, আমরা অনেক বড় হয়ে গেছি, একবার ফিরে আয়, দেখে যা আমাদের”। যারা এখনও আছে তাদের সবার নাম নিয়ে তো আর শেষ করা যাবে না আর তাই ধন্যবাদ ও জানাবো না, কারন আমি জানি আমি না বললেও তারা আমার পাশে থাকবে।কারন তারা প্রত্যেকেই জানে আমি তাদেরকে অনেক ভালোবাসি।নাম না হয় নাই বললাম ।তবুও কয়েকজনের কাছে ক্ষমা চাইতে চাই, প্রথমেই বিপ্লব তোর কাছে, সারা জীবন তোকে অনেক জ্বালিয়েছি, গত এক বছর তো শুধুই মিথ্যা ভুল বুঝেছি, ক্ষমা করে দিস আমাকে। তারপর মিনা, তোর কাঁধে মাথা রেখে কান্নার যায়গাটা কখনো আমার কাছ থেকে নিয়ে যাবি না, প্রমিজ কর। তানি গত একবছর তুমি পাশে ছিলে, হতে পারো তুমি অফিস কলিগ,