কুলদা রায়'এর ব্লগ
আমাদের কখনো জন্ম হয় না
আমার জন্মদিন কবে সত্যি আমার জানা নেই। আমার মায়েরও নেই। বাবারও ছিল না। ঠাকুরদার তো মনে থাকার কথাই নেই। এসব বালাই তাদের ছিল না। ভাগ্যিস আমারও নেই।
আমার ভাইবোনদের কারোরই জন্মদিন বলে কোনো ব্যাপারে কখনো আগ্রহ দেখা যায়নি। সবার একটা জন্মদিন আছে বটে--সেটা বানানো। স্কুল থেকে দেওয়া। যেদিন ভর্তি হয়েছিলাম স্কুলে ক্লাশ টুতে-- হুজুর স্যার একটা জন্মতারিখ বসিয়েছিলেন--মনে পড়ে। ক্লাশ ফাইভে বৃত্তিপরীক্ষার সময়ে হেড স্যার আরেকটা বানিয়েছিলেন। ফাইনালী ক্লাশ নাইনে রেজিস্ট্রশনের আমার ফাইনাল জন্মতারিখ কেরানী কাকু হিসেব করে ঠিক করে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন--আর নো চেঞ্জ।
কার্টুনিস্ট আরিফের মা অসুস্থ। কেউ কি এখন বাড়িয়ে দেবেন হাত--
আরিফের মা অসুস্থ। তাঁর কিডনী কাজ করছে না। কিডনী প্রতিস্থাপন করতে হবে। এজন্য ১৬ লক্ষ টাকা দরকার।
যদি কিডনী প্রতিস্থাপন করা না হয় তাহলে সারা জীবন সপ্তাহে দুবার ডায়ালাইসিস করতে হবে। তার খরচ আরও বেশি। অবস্থা ভয়ংকর।
মনুসাহিত্য : হাগজ মনে করিলে বেপদ
বহুদিন পরে ধরা খেয়ে গেছি। কবি ফেরদৌস নাহার আবিষ্কার করে ফেলেছে—আমি বরিশাইল্যা। লিখেছে, এইবার, অ মনু—যাইবা কুনহানে?
যাব কই? যাওয়ার কি উপায় আছে? নাহারের কথা সত্যি। আবার কিছুটা মিথ্যেও বটে।
আগে মিথ্যেটা বলি। আমার মা অতি সাদাসিধা। মনে কোনো অন্ধিসন্ধি নাই। বাল্যকাল থেকে পই পই করে বলেছে, অ খোকন, উত্তরে যাবা, পূবে যাবা—পশ্চিমেও যাইতে পার। কিন্তু দক্ষিণে? নো--। নেভার। কদাপি নহে।
শালগাছটিতে ফুল ফোটে, বর্ষাকালে পাহাড়ে ময়ূর ডাকে
আমার কবি বন্ধু কবি পলাশ দত্ত একটি অন্তর্জালীয় আলোচনায় এসেছিলেন ফেসবুকে। সেটা গেল বছরের ঘটনা। মাঝখানে অনেক বৃষ্টি ঝরে গেছে। কিন্তু কবিতা ঝরে নি। ইচ্ছে করলে পড়া যেতে পারে।
.................................................................................................
পলাশ দত্ত-- কবিতা লেখা বিষয়ে একটা কথা।
কুলদা রায়--বলুন-
দেখুনতো, ভাবসম্প্রসারণ কর্মটি ঝালাই করা যায় কিনা?--একটা করিলে আরেকটি ফ্রি।
রবীন্দ্রনাথ খুব বোকা সোকা লোক ছিলেন। প্রথম প্রমাণ--তিনি বয়স অনুপাতে লিখেছেন খুব বেশি। এক জনমে পড়ে শেষ করা কঠিন। বেশি লিখলে বেশি গোঁজামিল এসে যেতে পারে। রবীন্দ্রনাথের দ্বিতীয় ভুলটি হল--তাঁর গোজামিলগুলো ধরে ফেলার কিছু লোক যে কোনো কালে আবর্ভিূত হতে পারেন--এটা তিনি কল্পনা করতে পারেন নাই। তৃতীয় ভুল হল--হুট করে মরে যাওয়া। যারা গোঁজামিল আবিষ্কার করার কোসেস করছেন, তাদের এই কোসেসের উত্তর দেওয়ার আগেই তিনি ক
আদুরির শব্দকঙ্কাল : পুনঃপাঠ : পর্ব এক ও দুই এক সঙ্গে
পাগল ছাগলের পাল্লায় পড়লে যা হয়। সময়টা গোল্লায় যাচ্ছে। ভাবনা আসছে। লিখতে বসছি। কিন্তু তখনি ব্যা ব্যা ডাক। লেখালেখি বাদ। এরকম করে হয় না। পিছিয়ে পড়ছি বারবার। আর নিজেরও কিছু ফালতু আবেগ আছে। গ্রাম গ্রাম ভাব পুষে রাখলে যা হয় আর কি। আবার শুরু করা যাক আমার বন্ধুতে যদি এডমিন পারমিশন দেন--
একটি ফ্যাসিবাদি উত্তরাধুনিক গল্পের খসড়া : মোহর যখন বাইক্য
অনেকদিন পরে শেকসপীয়র পার্কে এসেছেন। কিং রুফু পার্কের একটি হেলানো বেঞ্চিতে বসে আছেন। ঠাণ্ডাও কমে এসেছে। চারিদিকে সামার সামার ভাব। গাছে গাছে কুড়ি উঁকি দিচ্ছে। একজন স্প্যানিস গায়ক দীর্ঘ ওকগাছের নিচে দাঁড়িয়ে গান গাইছে। বিরহ সঙ্গীত। ছোট একটি গোলাকার সিডি প্লেয়ারে গানটির মিউজিক ট্রাক বাজছে। আর গীটারে টুং টাং তুলে হা করে গাইছে--
আমার থাকত যদি সোনার পাহাড়
তোমায় গড়ে দিতাম নাকের ফুল
ও—ও—ও—
আদুরির শব্দকঙ্কাল : পর্ব এক
এই গল্পটি লিখতে শুরু করেছি। এর আদিও জানি না, অন্তও জানি না। লিখতে লিখতে যাচ্ছি। শুধু জানি একটি জলের ভিতর থেকে একটি শহর উঠে আসছে। তার গাছগাছালি, গরু ছাগল, আর যন্তরমন্তরের হাড়গোড়। যতটুকু লিখব ততটুকু আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।
নিউ ইয়র্কের কবিতা : পাঁচটি পুরনো কবিতা
জার্নাল: ঘুমপার্ক থেকে
চড়ুই পাখিটা এসেছিল
আমি ঘুমিয়ে পড়ার আগে
রোদ্দুরকে দেখেছিলাম আমার গলা অবধি
একটা উমের চাদর বিছিয়ে দিয়েছে,
দূর থেকে কানে ভেসে আসছিল-
কে যেন সাদা পুকুরের উপর রিনি ঝিনি করে
পা মেলাচ্ছে, বাজছে খয়েরি ভায়োলিন
আর ফুটে উঠছে আস্ত লাল লাল পদ্ম
সেই সুর আমি আজও মনে করতে পারি
মনে করতে পারি দুচোখে ঘুম জড়িয়ে আসছে
একটি বার্চ গাছ তার খোলস বদলে দাড়িয়ে রয়েছে
কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের একটি গদ্য ও কয়েকটি কবিতা
পঞ্চাশ দশকের প্রধান কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় আমার প্রিয় কবি। ২৩ মার্চ তাঁর ১৫তম মৃত্যু বার্ষিকী।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: কাব্য- ‘সোনার মাছি খুন করেছি’, ‘হেমন্তের অরণ্যে আমি পোস্টম্যান’, ‘ধর্মে আছো জিরাফেও আছো’, ‘ছিন্নবিচ্ছিন্ন’, ‘প্রভু নষ্ট হয়ে যাই’, ‘পাড়ের কাঁথা মাটির বাড়ি’ প্রভৃতি।
রুতি, তোমার জন্য
রতনবাইয়ের জন্য মন পুড়ছে। আহা মেয়েটি, ষোল বছরের মোমের আলোয় হেসে ওঠা মেয়েটি মাত্র উনত্রিশ বছরেই নিভে গেল। নিভে যাওয়ার আগে হাত ইশারা করে বলার চেষ্টা করছিল--কুকুর দুটোকে খেতে দাও। কে খেতে দেবে?
হয়ত এই ইশারাটাই ভুল। কেউতো ছিল না পাশে। শুধু কুকুর দুটো। শুকনো আর হতবাক।
আজ সারাদিন রতনবাই ওরফে রুতিকে পড়েছি। এই মেয়েটির মৃত্যুই একজনের জীবনে একবারমাত্র কান্না এনেছিল।
লোকটি মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ।