ইউজার লগইন

এই সব দিন-রাত্রি

***
কয়েকদিন আগের কথা। আসলে কয়েক সপ্তাহ আগের। রিকশায়। রিকশাওয়ালার কথার ভীষণ আঞ্চলিক টানে নাড়িতে টান পড়ল।
- দিনাজপুর না ঠাকুরগাঁও?
- ঠাকুরগা। বিগলিত হাসিতে রিকশা চালাতে চালাতে রিকশাওয়ালার উত্তর।
- নতুন নাকি ঢাকায়?
- এক মাস হয় আসছি।

কথায় কিছুক্ষণ বিরতি । যাত্রী আর চালক যে যার ভূমিকায়। তারপর রিকশাওয়ালাই কথা পাড়লো।

-১০ হাজার টাকা জমা করার জন্য আইশছিলাম। তে ৮ হাজার টাকা হইসে। ১০ হইলে বাড়ি যাম।

- আর আসবেন না?

- পনের দিন থাকিম ওইঠে।

- ১০ হাজার তো অনেক টাকা। এতো টাকা দিয়ে কী করবেন?

- তে সংসার চালাইতে কম টাকা লাগেহ!

- টাকা তো জমেছে। ওইটা বাড়ান এখন। গ্রামে ব্যবসা করেন। দোকান দেন।

- হ্যাএএ! কিছু একটা তো করবা হোবে।

আর খুব বেশি কিছু কথা হয়নি। ভাড়া মিটিয়ে আসার সময় চালক আর যাত্রীর মাঝে অবশ্য শুভ কামনা বিনিময় ঘটেছিল- ভাল থাকেন তাইলে!

***

দিনকাল একেবারে ছুটন্ত! কোনটাতেই সময় দিতে পারছি না! অথচ সব কাজই ভরা মনোযোগ প্রত্যাশী। শিডিউল মিস হচ্ছে! ডেড লাইন যাচ্ছে অন্তিম শয়ানে! আজকাল মনে থাকে না। কী পড়ছি, কী বলছি, কী লিখছি! ভুলে যাচ্ছি দ্রুত! আলঝেইমার! আলঝেইমার! রোগটা ধরেছে! অথবা বেড়েছে। কিংবা এখন কাবু করতে শুরু করেছে। আপেল খাচ্ছি! কিন্তু মাঝে মাঝে ওটা খেতেও ভুলে যাচ্ছি!

স্বাস্থ বটিকায় আছে আপেলে নির্যাস আলঝেইমার রোগের মহৌষধ।
প্রতিদিন এক গ্লাস পান করা অত্যাবশ্যক তাই।
টেবিলের উপর ভরা গ্লাস পড়ে থাকে। আমি পানে ভুলে যাই।
(২৭ ডিসেম্বর ২০১০)

অবশ্য ফল বাজারে গেলে দরদাম শুনে মাথায় বাজ পড়ে। তাতে নিউরন যে এতটা সার্ভাইভ করছে এই তো ঢের! পেয়ারা নাকি গরীবের আপেল! সে আশায়, পেয়ারামুখী হই, কিন্তু হিসেবে ভুল না হলে, কাজি সাহেবের ডাসা ডাসা পেয়ারাগুলো আপেলের চেয়ে কম তো নয়, বরঞ্চ দামের পাল্লায় বাড়তি বাটখারা যোগ করছে। সে তুলনায় আপেলের দেশি-বিদেশি বংশ, বর্ণভেদে ভিন্ন ভিন্ন গোত্র দামের সুযোগসুবিধা দিচ্ছে ক্রেতাকে। তাই বিরোধী দলের মতামত না নিয়েই প্রবচন সংশোধন করে ফেলেছি- আপেলই হচ্ছে গরীবের পেয়ারা।

***

ব্যস্ততা আমাকে দেয় না অবসর! তাই বলে ভেবো না আমায় স্বার্থপর! এই গান অন্যকে ডেডিকেটেড করার চেয়ে নিজেকে ডেডিকেটেড করা ফরজ হয়ে যাচ্ছে। নিজের ঘরটা গোছানো হয় না ঠিক মত। টেবিলটাও! বইয়ের শেলফে ধুলো পড়েছে দেখতে পাচ্ছি। বই মেলা থেকে কেনা সবগুলো বই পড়া শেষ করিনি। শেলফ ঘেঁটে দেখলাম, একটা বই দু’বছর আগে কিনেছিলাম, পড়তে ভুলে গেছি! কানে হেড ফোন দিয়ে পথ চলি বলে, কোন মতে হালের গানগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে গুনগুন করতে পারি। নয়তো সুরের আকাশে দিশাহারা হতেই হতো।

নিজের জন্য সময় দরকার। ভাবছি, একদিন নিজেকে চমকে দেব। আচমকা নিজেকে উপহার দেব পুরো একটা দিন। সময়টা চুরি করে, ভার্চুয়াল গ্রহ থেকে একদিন নিজের পৃথিবীতে কাটাবো। সেদিন হবে ভার্চুয়াল জগতে একেবারে অফলাইন থাকার দিন। নো ফেসবুকিং! নো ব্লগিং! নো কমেন্টস! নো আর্গুমেন্টস! নো অনলাইন নিউজ পেপারস! এমনকি নো ফোন কলস রিসিভিং! নো এসএমএস রিপ্লাই! শুধু মি, মাই সেফল এন্ড আইরিন!

ব্যাস! একটা দিনই তো! ২৪ ঘন্টা! ১৪৪০ মিনিট! ৮৬৪০০ সেকেন্ড!

***

ঘটনাটা কী করে ঘটল এখনো বুঝতে পারছি না। রাতের ক্লাস শেষ করে ফিরতি পথে, দ্রুত হাঁটছি। এতো পসরা দু’পাশে, ওটাকে ফুটপাথ বলা যায় কি না জানি না। নানা পদের জন আনাগোনা আছে, তাই জনপদই বলি না হয়। এ জনপদের একটি গুপ্ত কুঠুরি আছে। কাল কুঠুরি। যার দোরে খিল এঁটে সিলগালা করে দেয়ার কথা ছিল সরকারের। হয়ত দিয়েও ছিল। কিন্তু অমূল্য ধাতুতে তৈরী হয় সেসব দোর। তাই কে বা কাহারা ভেঙ্গে সেই কুঠুরির চাবি নিয়ে গেছে দোরের সবই। হায়! প্রসাশন আমার!

তবে জগতে ভাল মানুষ রয়েছে। নিথর পাথরের স্ল্যাব বসিয়ে দেয়া হয়েছে কালকুঠুরির উপর।কিন্তু সেই কুঠুরি, যাতে পাথরের দরজা আঁটা, কোণায় ছিল একটু ফাঁকা! ঘটনাটা এই ফাঁকেই ঘটেছিল!

হাঁটছি…হাঁটছি! পাশ দিয়ে অন্ধ এক ভিক্ষুক গেলেন। পেছন ফিরে সেদিকে দেখলাম। সামনে ফিরতেই পা হড়কে পড়ে গেলাম। ম্যানহোলের যেটুকু মুখ হা করে ছিল, তাতে একখানা পা প্রবেশ করতে সক্ষম। আমি ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে গেলাম। ডান পায়ের হাঁটু পর্যন্ত কালকুঠুরির ভেতরে। কোনরকমে পা টেনে বার করলাম। উল্লেখ্য, ১০০ টাকা দিয়ে কেনা স্যান্ডেল জোড়া ছিল পায়ে। দু’পাটি স্যান্ডেল ১০০ হলে প্রতি পাটি ৫০ টাকা! নাহ! স্যান্ডেল পা থেকে ছাড়িনি!

উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে মনে হলো, পা বুঝি আর নেই। নিশ্চয়ই হাড়গোর ভেঙ্গে, কেটে-কুটে শেষ। এমনিতেই রাত, ওর মধ্যে চোখে ঘন ঘোর আধিয়ার দেখলাম। একটা দোকানের টুল চেয়ে বসলাম। দোকানিরা চিন্তিত ভঙ্গিতে আমাকে দেখছে। আমি হাঁটুতে হাত দিয়ে বোঝার চেষ্টা করলাম কী হলো! কতটুকু হলো। ধাতস্থ হলাম। হতে হলো আর কি! বাড়ি তো ফিরতে হবে।

বাড়ি ফিরে অনেকক্ষণ বসে থাকলাম। পায়ে হাত দেবার সাহস সঞ্চয় করছি। ডান পায়ের উপর কুফা লেগেছে। সম্ভবত কোন বাম পন্থীর অভিসম্পাত। দু’তিন বছর আগে, রোজার সময় এলাকার শপিং সেন্টারে সিঁড়িতে পা হড়কে গোড়ালি মচকে গিয়েছিল। তারপর দু’সপ্তাহ প্লাস্টার! এক মাস ক্রেপ ব্যান্ডেজ! উফ! ভয়ংকর অভিজ্ঞতা! নাআআ! কেটে যাওয়া গোড়ালিতে ব্যান্ড এইড লাগালাম। ছড়ে যাওয়া পা দেখে খানিক নিশ্চিত হলাম, না যতটা ভয় পেয়েছি ততটা নয়।

কিন্তু গোড়ালি ফুলতে শুরু করল পরদিন। হাঁটতে সমস্যা হলো। দু’দিনের দিন ছড়ে যাওয়া জায়গা লাল হয়ে আঁচড়ের দাগ স্পষ্ট হয়ে উঠল। হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু থামার জো নেই। স্কুল ফ্রেন্ড ওষুধ খেতে বলল। আমার আবার ওষুধে অনিহা! বিশেষ কিছুতে ডাক্তার প্রেসক্রাইব করলে তবেই…! নচেৎ জ্বর-ঠাণ্ডা, মাথা ব্যাথা কোনটাতেই ওষুধের দারস্থ হতে চাইনা। অবশ্য ভিটামিন এ, বি, সি কিংবা ককটেল (মালটি-ভিটামিন) ভিটামিন নিয়ে ওজোর তুলিনা। ফ্রেন্ড বলে গেল, তুই কী মানুষ!ওষুধ না খেয়ে ব্যাথা সহ্য করছিস কি করে!

সত্যিই সহ্য করছি! আরেক ফ্রেন্ডের স্কলারশিপ এপ্লিকেশন ই-মেইল করতে হবে। সে অসুস্থ; জ্বর! উপরস্তু তার বাসায় ইন্টারনেট সংযোগ নেই। আমি পা টেনে টেনে হেঁটেই ওর বাসা থেকে ফাইল সেইভ করা পেন ড্রাইভ নিয়ে এলাম।

পরীক্ষা! এ্যাসাইনমেন্ট! ইউনিভার্সিটিতে ওভাবেই যাচ্ছি। বাসায় ফিরে নিজেই হাতড়ে হাতড়ে গোড়ালি দেখে আন্দাজ করার চেষ্টা করি, কতটুকু ফুলেছে গোড়ালি। হাত দিয়ে টিপে টিপে বুঝি, ব্যাথা হাড়-মাংস পর্যন্ত ছুঁয়েছে।গতবারের শেখা গোড়ালির কিছু এক্সারসাইজ করার চেষ্টা করলাম। গোড়ালি কয়েকবার ক্লক-ওয়াইজ ঘুরিয়ে। কয়েকবার এন্টি ক্লক-ওয়াইজ ঘুরিয়ে।

মট! আওয়াজে পিলে চমকে উঠল! কিছু হলো? কিন্তু তারপর মনে হলো, গোড়ালি নাড়াতে সমস্যা হচ্ছিল, সেটা ফ্লেক্সিবল লাগছে। মনে হলো ব্যাথা কমছে!

সপ্তাহ দেড়েক হয়ে আসছে। তবে এখন ফোলা কমছে প্রতিদিন। ব্যাথাও অনেক কমে গেছে। হাঁটা তো বন্ধ করিইনি…এবং ছুটতে শুরু করবো শীঘ্রই। কত কাজ বাকি!

এখনো কত তর্ক বাকি!
শুরু করা বিতর্কের শেষটাও বাকি
কতগুলো হার বাকির খাতায়
জয়ের লেনদেনও বুঝে নিতে হবে
এখনো তো ঘাম মুঝে নেয়া বাকি
নাকের ডগায়
শেষ হাসিটা হেসে নেয়া বাকি
বাসি ফুলগুলো শুকে নিতে হবে
শেষ কথাটা শুনতে বাকি
শোনাতে বাকি
এখনো বন্ধু, জীবন বাকি! মরণ বাকি!

পোস্টটি ১২ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

স্বপ্নের ফেরীওয়ালা's picture


এ তো দেখি আদর্শ ব্লগের আস্ত একটা বিজ্ঞাপন! Smile

~

আইরিন সুলতানা's picture


বিজ্ঞাপন বললেই একটু টিউন মাথায় আসে .. টিং টিং টি টিং! Smile

কামরুল হাসান রাজন's picture


আশা করি শীঘ্রই পুরোপুরি সেরে উঠবেন Smile

আইরিন সুলতানা's picture


কাটা চামড়া জোড়া লাগছে বলে গোড়ালিতে টান পড়ছে একটু .... কিন্তু সেরে উঠছি ...একটু একটু করে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

লীনা দিলরুবা's picture


কবিতাটা পছন্দ হয়েছে।

আইরিন সুলতানা's picture


মাঝেরটা খণ্ড কাব্যটা বেশ আগে লিখেছিলাম। কিন্তু শেষের কবিতাটা নিয়ে কোন ধারনা ছিল না যে ওটা লেখা হবে। ...পোস্টটা লিখছিলাম...পোস্টের শেষে এসে কবিতার শুরুটা আপনা আপনি হয়ে গেল...! কী অদ্ভূত, না?

মীর's picture


নিয়মিত আপেল খাওয়া ভাল Big smile

আইরিন সুলতানা's picture


আপেলই গরীবের পেয়ারা! কিন্তু খেতে ভুলে যাই যে!

আহমাদ মোস্তফা কামাল's picture


সমস্যাটা হলো, কিছুই বাকি রাখতে চান না। সব হিসাব কড়ায়-গণ্ডায় হতে হবে, হওয়া চাই; কিছুই বাকি রাখা যাবে না! এই যদি হয় অবস্থা তাহলে নিজেকে সময় দেবেন কিভাবে?

তারচেয়ে সবকিছু সময়ের হাতে ছেড়ে দেয়াই তো ভালো, এই যেমন আমি দিয়েছি! Smile

অবশ্য আপনার বয়স অল্প, এই বয়সে সবকিছু ছেড়ে দেয়াটাও কোনো কাজের কথা না..

১০

আইরিন সুলতানা's picture


খাঁটি কথা। কমেন্টে লাইক!

কিন্তু সময়....! কই আর ..! হরি দিন যে গেল!

১১

ভাঙ্গা পেন্সিল's picture


ডান পায়ের উপর কুফা লেগেছে। সম্ভবত কোন বাম পন্থীর অভিসম্পাত।

Rolling On The Floor Rolling On The Floor

১২

আইরিন সুলতানা's picture


একেই বলে কারো সর্বনাশ আর কারো পৌষ মাস! আমার ডান পায়ে সমস্যা...।আর আপনি দু’পায়ে গড়াগড়ি খাচ্ছেন!

১৩

ভাঙ্গা পেন্সিল's picture


কী যে কন! আজকে মেঘ মেঘ আকাশ দেখে ঠিক করলাম ফুটবল খেলবো, খেললাম রৌদ্রের মধ্যে। সেই রৌদ্র দেখে আম্মা আমসত্ত্ব ছাদে দিল। আমি রোদে পুড়ে কয়লা হয়ে বাসায় এসে দেখি বৃষ্টি নামছে Crazy আম্মার আমসত্ত্বও গেছে। এখন বলেন পৌষ মাস হয় কেমনে?

১৪

আইরিন সুলতানা's picture


তাই তো পৌষ মাস তো হইল না! ভরা জৈষ্ঠ মাসে কাল বৈশাখি হইল !

১৫

সাঈদ's picture


দ্রুত সুস্থ্য হয়ে আরো কিছু কবিতা উপহার দিন আমাদের।

১৬

আইরিন সুলতানা's picture


নাজ কমেন্ট দিয়েছিল এক পোস্টে, সে কবিতা বোঝে না। মানে হলো, আমি যেন কবিতা না পোস্টাই! আপনি এইখানে এসে বললেন, কবিতা দিতে, মানে হলো, আমি যেন আর দিনলিপি না পোস্টাই! আমি কই যাই ! কই যাই!

১৭

নাজ's picture


নাজ কমেন্ট দিয়েছিল এক পোস্টে, সে কবিতা বোঝে না। মানে হলো, আমি যেন কবিতা না পোস্টাই!

মাইর

তবে আমি আসলেই কবিতা বুঝি না Sad

১৮

অতিথি's picture


এই যে খেটে খাওয়া মানুষরা যখন হাসে তখন মনে হয় এই হাসিগুলাই আসল। একদম মন থেকে হাসা যাকে বলে। কারন তারা কখনো কাউকে দেখানোর জন্য হাসে না। যখন এই সব মানুষদের কে ৫ টা টাকা কোন কারনে বেশি দেই তখন তারা যেই হাসি দেয় তা দেখে মনে হয় সুখী মানুষের হাসি হাসতে বেশি টাকা লাগেনা।

আমি তাদের কাছ থেকেই হাসি শিখতে চেষ্টা করি। কিন্তু পারি না।

যাইহোক বেশি দার্শণিক কথা বলে ফেললাম, মুড একটু গম্ভীর করে ফেললাম। আর নিজের জন্য সময় দেওয়া আসলেই দরকার, এই কথা কেন জানি সবসময় ভুলে যাই। মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার ব্লগর ব্লগর ভালো হইছে।

১৯

আইরিন সুলতানা's picture


দার্শনিক কথা বলেন, সবাই তো আসলে কোন না কোন দর্শন অনুসরণ করেই।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু ভাই/আপা, আপনি অতিথি কেন???? আমরা বন্ধু পরিবারের সদস্য হয়ে যান।

২০

টুটুল's picture


ঘটনা কি?

২১

আইরিন সুলতানা's picture


ভেরি গুড কুয়েশ্চেন!

ইনিয়ে বিনিয়ে যা বললাম, তার শান-এ-নযুল হলো, রাস্তায় পরে গিয়ে ভাঙ্গা পা আবার প্রায় ভাংসি! তবে গেটিং বেটার..!

২২

টুটুল's picture


পা ভাংলে তো হাত দিয়ে আরো ম্যালা ব্লগর ব্লগর বের হওয়ার কথা... দেখিনা ক্যান?

তাত্তারি ভালু হয়ে যাও Smile

২৩

আইরিন সুলতানা's picture


হাত তো পায়ে দিয়ে রাখসিলাম ! Puzzled

২৪

তানবীরা's picture


মাঝে মাঝে আমিও নিজের সাথে ডেটে যাই। মী এন্ড মাই সেলফ। খুব এঞ্জয় করি। একা ঘুরি, শপিং করি, মুভি দেখি, ভালো রেস্টুরেন্টে খাই। মাঝে মাঝে আপনিও ট্রাই করবেন। এন্টি স্ট্রেস এটা।

দিনলিপি ভালো লেগেছে Big smile

২৫

আইরিন সুলতানা's picture


আমি কিন্তু করেছি কয়েকবার.. Smile ..তবে এবার বেশ দীর্ঘ যোগাযোগহীনতা তৈরী হয়ে গেল নিজের সাথে....!

সেটা পুষিয়ে দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

দিনের লিপি অপরাহ্নে পড়ার জন্য আপনাকে ধইন্যা।

২৬

শওকত মাসুম's picture


নিজের জন্য সময় দরকার। ভাবছি, একদিন নিজেকে চমকে দেব। আচমকা নিজেকে উপহার দেব পুরো একটা দিন। সময়টা চুরি করে, ভার্চুয়াল গ্রহ থেকে একদিন নিজের পৃথিবীতে কাটাবো। সেদিন হবে ভার্চুয়াল জগতে একেবারে অফলাইন থাকার দিন। নো ফেসবুকিং! নো ব্লগিং! নো কমেন্টস! নো আর্গুমেন্টস! নো অনলাইন নিউজ পেপারস! এমনকি নো ফোন কলস রিসিভিং! নো এসএমএস রিপ্লাই! শুধু মি, মাই সেফল এন্ড.........

এরকম একটা দিন খুব চাই, এই জীবনে আর হয়তো পাওয়া হবে না।

২৭

আইরিন সুলতানা's picture


আপনার মন্তব্য হেজিমনি করছে একটা গ্রান্ড ন্যারেটিভ হা-হুতাশকে। এখানে একটা ডিসকোর্স তৈরী করা জরুরি, নয়তো ডিকন্সট্রাকশন সম্ভব হবে না! মজা

একদিন দুম করে লগ আউট হয়ে পড়েন নেট থেকে। Smile

২৮

মাহবুব সুমন's picture


হুক্কা

২৯

আইরিন সুলতানা's picture


আপনাকে কিন্তু আমার বামপন্থী মনে হচ্ছে! Stare

৩০

নাজ's picture


নিজের জন্য সময় দরকার। ভাবছি, একদিন নিজেকে চমকে দেব। আচমকা নিজেকে উপহার দেব পুরো একটা দিন।

৩১

আইরিন সুলতানা's picture


ব্যাস! একটা দিনই তো! ২৪ ঘন্টা! ১৪৪০ মিনিট! ৮৬৪০০ সেকেন্ড!

৩২

জ্যোতি's picture


কেমন আছ বান্ধবী? একটা দিন শুধু তোমার হোক সেই প্রত্যাশা রইলো।
আমারো আজকাল কিছু মনে থাকে না। বয়স হইছে। বুঝছ?

৩৩

আইরিন সুলতানা's picture


আপেল খাও .. ভুলে যাওয়ার আগে আপেল খাও

৩৪

মেঘকন্যা's picture


মাইয়া ভালো হও তাড়াতাড়ি...

৩৫

আইরিন সুলতানা's picture


হায়! হায়! তারমানে তুমি আমারে এখন মন্দ ভাবো! Sad(

৩৬

বিষণ্ণ বাউন্ডুলে's picture


একেমবদ্বিতীয়ম!

আপনে তো পুরাই ট্যালেন্ট!
আপনার গল্প লেখা শুরু করা উচিত,আপু..

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.

বন্ধুর কথা

আইরিন সুলতানা's picture

নিজের সম্পর্কে

Like to observe first - The Observer