দোলযাত্রা...
দোল কি???
দোলযাত্রা-কে অনেকে সংক্ষেপে দোল বলে থাকেন।
ফাগুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে (প্রচলিত পঞ্জিকা অনুসারেঃ ১৪ তম রাতের পরবর্তী দিন) দোলযাত্রা নামক অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। যাকে অনেকে "বসন্তোৎসব"-ও বলে থাকে।
দোলযাত্রা একটি হিন্দু বৈষ্ণবীয় উৎসব। এটি ভারতের বিভিন্ন স্থানে (বহিঃবঙ্গে) "হোলি উৎসব" নামে-ও পরিচিত। তবে, প্রকৃতপক্ষেঃ এটি আসলে অনেকটা ভিন্ন ধরনের উৎসব; তবে মূল-বিচারে বলা চলে এরা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।
আবার, এই পূর্ণিমা তিথিতেই শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু জন্ম-গ্রহণ করেন বলে একে গৌর-পূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়।
উদ্ভব কিভাবে???
এটি বৈষ্ণব মতানুসারীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব হিসেবে বিবেচিত হয়।
বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, এই ফাল্গুনী পূর্ণিমা তিথিতে বা দোল পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনের নন্দ কাননে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আবির ও গুলাল নিয়ে তার সখী রাধিকা দেবী ও অন্যান্য ৩৩ কোটি (লক্ষ / হাজার) গোপী-গণের সাথে রং ছুরো-ছুরির খেলায় মেতেছিলেন!!!
যার অনুকরণ থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়।
কি-ভাবে পালিত হয়???
দোলযাত্রা-র দিন সকালে ভগবান কৃষ্ণ ও রাধিকা দেবীর বিগ্রহ আবির ও গুলালে স্নান করিয়ে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে শোভাযাত্রায় বের করা হয়। এরপর ভক্তরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রং ছুড়ো-ছুরি করেন।
অনেকেই শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু-এর আবির্ভাব-তিথি উপলক্ষ্যে উপবাস থাকেন।
দোলের পূর্বদিন খড়, কাঠ, বাঁশ ইত্যাদি জ্বালিয়ে এক বিশেষ বহ্নি-উৎসবের আয়োজন করা হয়। একে হোলিকা-দহন বা মেড়া-পোড়া নামে অভিহিত করা হয়।
উত্তর ভারতে হোলি উৎসবটি বাংলার দোলযাত্রার পরদিন পালিত হয়।
এর সার্বজনীনতা কি???
সম্ভবতঃ সনাতন হিন্দু ধর্মীয় আচার আচরণ-গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সার্বজনীন উৎসব হিসেবে এটি-ই স্বীকৃত। এই দোলযাত্রা উৎসবের একটি ধর্মনিরপেক্ষ দিকও রয়েছে। এই দিন সকাল থেকেই নারী-পুরুষ / ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আবির ও গুলাল নিয়ে রং ছুরো-ছুরির খেলায় মত্ত হয়।
শান্তিনিকেতনে বিশেষ নৃত্যগীতের মাধ্যমে বসন্তোৎসব পালনের রীতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কাল থেকেই চলে আসছে।
চমৎকারতো
ধন্যবাদ প্রভাষক ...
নিয়মিত নতুন নতুন লেখা পড়তে চাই
চেষ্টা করা হবে...
আমি আবার নিয়মিতভাবেই অনিয়মিত...
ধন্যবাদ...
ম্যালা কিছু জানলাম
ম্যালা কিছু না-রে ভাই...
এটা তুলনা-মূলক ছোট পোস্ট...
ধন্যবাদ...
আহা গোপী, রাধা, খেলা, আহা! আহা!
৩৩ কোটি গোপ গোপী'র ব্যাপারটা একটু বুঝিয়ে বলবেন ? বইতে ষোল হাজার গোপীর কথাও বলা আছে । ৩৩ কোটি তাইলে কারা?
প্যাচ লেগে গেলো!!!...
হবে ৩৩ লক্ষ...
সরি...
আমার জানা মতে...
এ সংখ্যাটা কৃষ্ণ সংক্রান্ত একটা বই থেকে পাওয়া...
এই মূহূর্তে সোর্স মনে নেই...
ধন্যবাদ...
সরি টাইপো...
লক্ষ হবে কথাটা...
অনেক কিছু জানলাম।
লুচ্চা ব্যাটা ছিল কৃষ্ণ। যাউকগা। আগে ছিল শুধু বিশ্লেষক এখন যোগ হইলো প্রভাষক। আশাকরছি জ্ঞান বিজ্ঞানের পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবো
ভাই...
ধর্মীয় চরিত্র-গুলো এধরনেরই...
হা হা...
আমি আমার চাকুরীর পদবী-টাকে নিক হিসেবে ব্যবহার করছি...
বিশ্লেষক-ও নিশ্চয় এমনই কিছু...
দেখা যাক কি হয়!!!...

প্রভাষক আপনি যখন পদোন্নতি পেয়ে সহকারী অধ্যাপক হবেন, তখন কি নিক পরিবর্তন করবেন?!!
এবিতে আপনাকে দেখে ভালো লাগছে।
"বাবু"-রা কি তাদের নিক বদল করে???...
ধন্যবাদ...
কৃষ্ণ করলে লীলা...

আমি করলে - সাঙ্গ ভবলীলা!!!...
আমার কিন্তু দোল খেলাটা খুব ভাল লাগে, একবার শান্তিনিকেতন যাবার ইচ্ছে আছে দোল খেলতে
আমার-ও ইচ্ছে আছে...
কয়েক-বছর আগে-ও...
বিয়ের সময় খেলতাম...
এখন আর দেখি-ই-না!!!...
দোল পূর্ণিমা চলতেসে। এখন চাঁদও পৃথিবীর অনেক কাছাকাছি। দীর্ঘ সময় পর।
দেখেন...
মন্তব্য করুন