মোস্তফা জব্বারের কাছে খোলা চিঠি
জনাব মোস্তফা জব্বার,
শুভেচ্ছা জানবেন।
আপনি দৈনিক জনকণ্ঠে একটি লেখায় অভ্রকে নিয়ে একটি মিথ্যাচার করেছেন, যা নিয়ে ইন্টারনেটে বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে, হয়তো আপনি অবগত আছেন।
যারা আইটি সেক্টরে বাংলা নিয়ে কাজ করে, সারাবিশ্বে বাংলা এবং বাংলাদেশের মহিমা তুলে ধরতে চায়, সেই আধুনিক প্রজন্মর প্রতিক্রিয়া আপনি নিশ্চয়ই জেনেছেন। আপনার ভুল বক্তব্য চারদিকে আপনার প্রতি কেবল ঘৃণারই প্রকাশ! শুধু ঘৃণাই না, যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে কেন আপনার দাবী ভুল এবং বক্তব্য মিথ্যা। আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন?
অথচ এই ঘৃণা আপনার প্রাপ্য ছিলো না। কম্পিউটারে বাংলা ভাষা জনপ্রিয় করার কাজে, বিজয়ের অবদান কেউ অস্বীকার করবে না। আপনাকে দীর্ঘদিন আমরা সম্মানের চোখেই দেখে এসেছিলাম। আপনি এই সম্মান নিয়েই বাঁচতে পারতেন। কিন্তু অভ্রর বিরুদ্ধে আপনার অপপ্রচার এবং মিথ্যাচার আপনাকে আজ এরকম ঘৃণার পাত্রে পরিণত করেছে। এতবছর ধরে অর্জিত আপনার সম্মানের প্রাসাদ আজ চূর্ণ।
আপনি নিজেকে ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রণেতা, আইটি বিশেষজ্ঞ দাবী করেন। কিন্তু ইন্টারনেটে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবের জন্য অপেক্ষা করতে বলেন এক সপ্তাহ পর আপনি প্রিন্ট মিডিয়ায় কী লিখবেন না লিখবেন তার জন্য। আপনি এখনো মধ্যযুগে আছেন জব্বার সাহেব।
প্রিয় মোস্তফা জব্বার, অভ্রকে পাইরেটেড বলে ইতোমধ্যে আপনি যথেষ্ট মুর্খতার পরিচয় দিয়েছেন, প্রতি সপ্তাহে নতুন করে সেই প্রমাণ আর দিতে হবে না! আপনি যতই গোঁয়ার্তুমি করুন, জনগণ ছেড়ে কথা বলবে না। আইটির সুফল ভোগকারী এবং বিশেষজ্ঞরা সকলেই অভ্রের সঙ্গে আছে, থাকবে অবিচল।
আপনি ভাবছেন আগামী সপ্তাহে যা লিখবেন তা পড়ে সবাই আপনার প্রতি ভক্তিতে গদগদ হয়ে যাবে? প্রিয় মোস্তফা জব্বার, আপনি ভুল ভাবছেন। বোধকরি আগামী সপ্তাহে মানুষের ঘৃণার স্তরটা বাড়বে বই কমবে না।
আপনি হয়তো মনে করতে পারেন ইন্টারনেটে বসে আমরা যতোই যা খুশি করি না কেন, এর গণ্ডি সীমিত। ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রণেতা আপনি জানেন দেশটা এখনো নামেই ডিজিটাল [আপনি যখন প্রণেতা, আমরা বেশি কিছু আশা করি কীভাবে!]। আপনি হয়তো ভাবছেন ইন্টারনেটে আমাদের এই প্রতিবাদ সারাদেশে কোন প্রভাব ফেলবে না, পত্রিকায় লেখা আপনার কথাই সবাই বিশ্বাস করবে। আবারো বলছি, আপনি ভুলের স্বর্গেই বাস করছেন।
আপনার এই মিথ্যাচারের প্রতিবাদ আমজনতা করে যাবে, অব্যাহত রাখবে ঘৃণাবর্ষণ। এখন বাংলা কমিউনিটিগুলোতে আছে, অচিরেই সারা বিশ্বের আইটি ফোরামগুলোতে আপনার এই মিথ্যাচারের কথা প্রচার করা হবে। বাংলাদেশের দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিকেরা চোখে দেখে বলেই আমরা বিশ্বাস করি। এই গণজাগরণ সম্পর্কে তাঁরা অবহিত। অচিরেই আপনার পত্রিকাদুর্গও ভেঙে যাবে। পত্রিকাগুলোতেও পৌঁছে যাবে প্রতিবাদলিপি। ওপেন লিফলেট ছড়িয়ে যাবে ইন্টারনেটে, পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে বসে যে কেউ তা প্রিন্ট করতে পারবে। সারা দেশে ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে আপনার প্রতি ঘৃণার বার্তা। ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রণেতা আপনি [!] হয়তো বর্তমান দুনিয়ায় ব্লগের ক্ষমতা সম্পর্কে অবহিত নন। আপনার জন্য করুণা।
প্রিয় মোস্তফা জব্বার, আপনি জেনে রাখুন, শুধু একটি মিথ্যাচারের জন্য আজ আপনার এতবছরের অর্জিত সম্মান ধুলোয় মিশে গেছে। আর যদি একটা মিথ্যা বলেন, অভ্রকে বিজয়ের পাইরেটেড বলেন- তবে জেনে রাখবেন, আগামীর বাংলাদেশে আপনি হবেন একটি ঘৃণার নাম। ঘৃণা ছাড়া আপনার কপালে আর কিছুই জুটবে না।
জনাব মোস্তফা জব্বার, আপনি আপনার বিজয় নিয়ে থাকুন, কেউ আপনাকে কিছু বলবে না। কিন্তু অভ্রকে নিয়ে এই মিথ্যাচার আপনি বন্ধ করুন। যা বলেছেন, তার জন্য ক্ষমা চান। নতুবা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে একটি ঘৃণিত জীবন। প্রস্তুত হোন।
ধন্যবাদসহ
অভ্র ব্যবহারকারী আমরা সবাই
কাগুরে মেইলে পোস্টটা পাঠানি হউক।
পাঁচ কোটি টাকার শোক কি আর এত সহজে যায়?
প্রিয় মোস্তফা জব্বার
আপনার শুভ বুদ্ধির অপেক্ষায় ...
ফেসবুকে শেয়ার দিলাম... কাগুর ওয়ালে আর মেইলে এইটার কপি পাঠানো দরকার
হা হা.. কাকা জবাব দিয়ে দিয়ে আরো গু গু করে ফেলছেন! কিন্তু বাংলা লিখতে পারছেন না।
ফেসবুকে কাগুর বর্তমান বন্ধুসংখ্যা ৫০০০ থেকে ৪৯৯৬ তে নেমে এসেছে দেখলাম। এই হতভাগ্য চার বন্ধুহারা সদস্য কে আমরা জানি না। তাদের জন্য রইল গভীর সমবেদনা।
আরো একজন শহীদ হইছে, এখন ৪৯৯৫
বাংলা নিয়া বাঙালিদের সাথে আলোচনায় বেটা বাংলায় এক লাইনও লিখতে পারেনা। কি আজিব!
হাসান রায়হান ভাই, কেমন আছেন? আমি এখন বাংলা টাইপ করতে জানি। এক দিনে ই শিখে ফেলেছি।
কাগু বুঝবে বলে মনে হয় না আমার!
বিজয় পাইয়া আনন্দিত হইছিলা. বাংলা টাইপিং এর জন্য তারে সাধুবাদ জানাইছিলাম। বাংলা টাইপিং এর পথ পুরোপুরি মসৃন করছে অভ্র। জব্বার সাহেব নিজের সম্মান নিজেই খোয়ালেন। লোভে মানুষের বিবেক বুদ্ধি লোপ পায় প্রমাণ করলেন তিনি। তার শুভ বুদ্ধি উদয় হোক।
লোভে পাপ পাপে মৃত্যু
২০২০ সালের একটি প্রশ্নপত্র।
১। ২০১০ সালে কম্পিউটার ব্যক্তিত্ব থেকে বিনোদন ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন কোন ব্যক্তিত্ব?
উত্তর:(সঠিক উত্তরে টিক দিন):
১। বিল গেটস
২। ষ্টিভ জবস
৩। মোস্তফা জব্বার
আমি কিনতু সঠিক জবাব জানি
প্রশ্ন ফাঁস হইসে!!
জটিল প্রশ্ন নামাইছে
চিঠিতে আরেকটা জিনিস থাকা দরকার, পাইরেসি কারে বলে সেইটা নিয়া একটু পড়াশোনা করতে উপদেশ দেওয়া যাইতে পারে।
এই লেখার লিংক তেনারে পাঠাইলে পড়তে পারবে না, তেনার মেশিনে ইউনিকোড ফন্ট আছে বলে আমার মনে হয় না।
আপনার এই মিথ্যাচারের প্রতিবাদ আমজনতা করে যাবে, অব্যাহত রাখবে ঘৃণাবর্ষণ।
জনাব মোস্তফা জব্বার, আপনি আপনার বিজয় নিয়ে থাকুন, কেউ আপনাকে কিছু বলবে না। কিন্তু অভ্রকে নিয়ে এই মিথ্যাচার আপনি বন্ধ করুন। যা বলেছেন, তার জন্য ক্ষমা চান। নতুবা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে একটি ঘৃণিত জীবন। প্রস্তুত হোন।
এই সংক্রান্ত দুইটা মজার পোষ্ট। কেউ চাইলে ঢু মারতে পারেন।
http://www.somewhereinblog.net/blog/manirblog/29138224
http://www.somewhereinblog.net/blog/bdcrown007blog/29138477
চমৎকার পোস্ট। কিন্তু কাগুর মাথা থেকে ভূত কি নামবে নাকি আগামী সপ্তাহে আরেকটি বিনোদন পোস্ট আসবে জনকণ্ঠে বা অন্য কোনো প্রিন্ট মিডিয়ায়? দেখা যাক!
এই দুইটা লিংক দেখেনঃ
http://www.somewhereinblog.net/blog/omarshehabblog/28970862
http://www.somewhereinblog.net/blog/rahenblog/28746956
কি আর কমু ...
আচ্ছা এই লোকটার প্রভাব কি এতই বেশী যে কোন পত্রিকাই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ছাপবেনা? ... পত্রিকায় একটা লেখা যাওয়া উচিত
কাগু বা মামু যাই কও তারে সিসটেম করতে মেহেদি ভাই এখন ঢাকায়। সচল এ কাগু রে অচল করার মত পোস্ট মারছে। লিংক দিলাম পইরা দেখেন। মামু মনে হয় দৌড়ের উপরে থাকবো এইবার।
http://www.sachalayatan.com/omicronlab/31599
আপনাদের কাগু তো ভন্ড, সে নিজেও অভ্র ব্যবহার করে, প্রমাণ-
http://www.friends4everbd.com/kagu.JPG
মোস্তাফা জব্বার চোরকে ক্রস্ফায়ারে দেওয়া হোক
কাগু এহন কই? কয়দিন তার বিনুদন মিস করতাছি
মন্তব্য করুন