ইউজার লগইন

মানুষ'এর ব্লগ

সম্মিলিত ছ্যাঁকাগুচ্ছ

জীবনে যতবার না প্রেম করেছি তার চেয়ে ছ্যাঁকা খেয়েছি কয়েকগুণ বেশি। সেই সব ছ্যঁকাময় স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজকের ভ্যালেন্টাইন্স স্পেশাল : সম্মিলিত ছ্যাঁকাগুচ্ছ

সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত

পুরনো বাক্স ঘাঁটাঘাঁটি যদি করো, এখনও আচমকা
দু-একটা নীল খাম বেরিয়ে পড়তে পারে।
গোটা গোটা অক্ষরে ভুল বানানের ভালবাসা
রাখা না রাখার দ্বন্দ্ব।
অব্যবহৃত হলদে পাতার বইয়ের ভাঁজে এক আধটা
মৃত রুক্ষ গোলপের অবাঞ্ছিত উপস্থিতি কিছু বিচিত্র নয়;
বহু আগের ছুঁড়ে ফেলা অসমাপ্ত কাজের ইতি।
দু-একটা ফেলনা উপহার, যা না রাখলেও চলে।
চলে যেতে পারে জঞ্জালের বাক্সে
শতেক কবিতার শবযাত্রা।

নাহ,
তোমার কাছে রাখা আমার সমস্তটাই জলাঞ্জলি দেয়া যায়।
অথচ তবুও,
ভালবাসাটুকু কী গভীর নির্মমতায় সর্বসত্বে সংরক্ষিত রেখেছ।

অফসুস

স্মৃতি বিভ্রম নিয়ে বড় বিব্রত আছি
তোমার জন্ম, আজন্মের ভালোবাসার দিবস রজনী
আয়ত চোখের রঙ আর তাতে কাজল ছিল কি ছিল না
কিছুতেই মনে পড়ে না
চুলের সীঁথিটা ডান নাকি বামপন্থি ছিল
কপোলে তিলক ছিল কি না
বিগত যুগ গত হবার আগেই ভুলে বসে আছি।

একটি মৃত্যুবিষয়ক ব্লগ

২০১৪। ব্লগার জীবনের সাত বছরে পা দিলাম। সাত বছর এক জীবনের জন্য অনেক দীর্ঘ সময়। অনেক দীর্ঘ সময়ে অনেক কিছু নিয়ে অনেক কথা বলে ফেলেছি অথচ অমোচনীয় নিয়তি "মৃত্যু" নিয়ে তেমন কিছু বলা হয়নি। হয়ত প্রচ্ছন্ন ভয়, হয়ত অজ্ঞাত অবজ্ঞা, জানা নাই কেন।

সৌভাগ্য অথবা দুর্ভাগ্যক্রমে কারও জীবনের অন্তিম সময়ের সাক্ষী হতে হয়নি কখনো। খুব কাছের মানুষ বলতে যাদের বোঝায় তাদের মাঝে আমার দাদা গত হয়েছেন আজ বহু বছর। সত্যিকারের স্মৃতি বলতে যা বোঝায় তাঁকে নিয়ে সেসব কিছু নাই। হয়ত বাবা মনে রাখেন।

নানার স্মৃতি কিছু আছে আবছায়া, তাঁর সাদা পঞ্জাবী তুষার শুভ্র চুল, হোমিওপ্যথ ওষুধ-পত্তরের বাক্সে ছোট ছোট মিষ্টি সাদা দানা, হাত ধরে রাস্তায় হেঁটে বেড়ানো সাদাকালো ছবি ..... তাঁর মৃত্যুকালীন সময়ের ঘটনাপ্রবাহ মগজ মুছে ফেলেছে। হয়ত মা মনে রাখেন।

আবারও কুড়ি বছর পরে

ঢের ছিল সেইসব সুদিন।
রোদ মাখা ভোর শেষে
দুপুরের ক্লাস ফেলে তোমার চুলের ঘ্রাণ,
হাসি মুখ মেখে
চির চেনা বিকেলের দেশ
সন্ধ্যার চায়ের কাপে ছিল মিশে।
ঢের ছিল তবু,
আমার গল্পটি ফুরল,
নটে গাছটি মুড়ল!

বলল সে, থাক সে কথা।
বিগত দশক জানে তার জীবনের ঋণ।
চিরহরিৎ অরণ্যও জানে
সকল মুগ্ধতার অবসর হয় এক দিন।

আমি এবং একটি লবস্টার

সে বছর ফাঁকা পেনু কিছু টাকা করিয়া দালালগিরি।
করিলাম পণ সিটি লন্ডন বারেক আসিব ঘুরি।
ঐখানেতে বাস করে আমার জনৈক বন্ধু। বহুকাল ধরে আমরা প্ল্যান করে আসছি লন্ডন শহরের কোন এক সুঁড়িখানায় হানা দিয়ে মদ্যপ হব। সেই কবে যৌবনের ঊষালগ্নে যবে আমার বন্ধুটি হৃদয়ঘটিত ব্যাপারে ধরাটরা খেয়ে হৃদ রোগাক্রান্ত হয়েছিল সেই ক্ষণে তার একান্ত সহযোগী হিসাবে আমিও এক ছিপি মেরেছিলাম। অনুভূতি কাহাতব্য নহে। মনে হল জ্বলন্ত দেশালই বাক্স গলধকরণ করেছি। বন্ধুটির অবস্থাও তথৈবচ। কিন্তু প্রেমিকা হারানোর শোকের চেয়ে অতগুলি টাকা হারানোর শোক অধিকতর হওয়ায় নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও সে বোতলখানা নিঃশেষ করার পণ করল। তার পরের ইতিহাস আমরা আর না বলি। সেই ভয়াবহ শোকের ইতিহাস শরৎ বাবুর পিতামহও লিখে প্রকাশ করতে পারবেন না। তবে তারপর আর ও মুখো হইনি।

বখে যাওয়া দিনলিপি

বহু বছর পর আজ বাবুর সাথে কথা হল। ভালই আছে জানলাম। শেষবার যখন দেখা হয়েছিল বড় নড়বড়ে অবস্থার ভিতর দিয়ে যাচ্ছিল ও। চাকরী বাকরি নেই, ওদিকে চৈতীর বাবা-মার বিশাল চাহিদা। শেষ পর্যন্ত এক যুগের সম্পর্কটা ছিন্ন হল। আকণ্ঠ ডুবে যেতে দেখলাম ওকে ….. ক্ষোভ, দুঃখ, নেশার মধ্যে। তখন আমরা বন্ধুরা বিস্তৃত মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছি। দূর থেকে আরও দূরে ক্রমান্বয়ে সরে সরে যাচ্ছি। হাত বাড়ালেও পরস্পরের নাগাল মেলে না। আর তাই ওকে ডুবে যেতে দেখলাম, ডুবে যেতে দিলাম।

ক্ষত চিরস্থায়ী হয় না। গভীরতার মাপকাঠিতে ক্ষতচিহ্নের গুরুত্ব বাড়ে হয়ত, তবে রক্তক্ষরণ চিরদিনই থেমে যায়। এটাই বেঁচে থাকার নিয়ম। ওর ক্ষতটাও শুকিয়ে গেছে জানলাম। কবিতার সাথে ভাব হয়েছে। মাস দুই পর বিয়ে করে ফেলবে। শুনে ভাল লাগলো। আত্মগ্লানি থেকে খানিকটা মুক্তি পেলাম।

বাবু ভাল আছে।

আবার আসলাম

দীর্ঘ দিবস রজনী কিছু লেখা হয় না বিধায় কি-বোর্ডে মরচে পড়ে গেছে। আজকাল আর কিছুই লিখতে পারি না। অনভ্যাসে বিদ্যা নাশ। আর সে বিদ্যা যদি ক্ষুদ্র হয় তাহলে তো সর্বনাশ। আমারও আর সর্বনাশের কিছু বাকি নেই।

প্রথম ব্লগ লিখেছিলাম ১৫ই জুন ২০০৭-এ সামুতে :-

সবাইকে সালাম। সামহয়্যার ইনতে নিয়মিত ঘোরাঘুরি করলেও কখনো লিখিনা। তার প্রধান কারণ অবশ্য লিখতে পারিনা। তাই বলে আমাকে আবার কেও বকলম ভাববেন না। লিখতে পারিনা মানে গল্পটল্প কবিতা টবিতা লিখতে পারিনা। তবে সমালোচনাতে অগ্রণী ভূমিকা রাখি (কাজটা তুলনামূলক সহজ কিনা!!!)। এখন থেকে ভাবছি সমালোচকের কাজটা নেব। আপনাদের দারুণ দারুণ লেখার সমালোচনা, মতান্তরে নিন্দা করব। আসলে অন্যের নিন্দা করার মজায় আলাদ।

সমালোচনার কথা বললেও আমি কথা রাখিনি। বিভিন্ন ব্লগে প্রায় হাজার খানেক ব্লগ লিখে ফেলেছি এবং সত্যি কথা বলতে তার দুই একটা লেখা আমাকে আত্মতৃপ্তিও দেয়। অমর করে রাখার মতো কিছু না, তবু আত্মতৃপ্তি দেয়। সেটাই বা কম কিসে?

রূপকথা

আহা রাজকুমারী, তুমি জানো না -
এইখানে পক্ষীরাজ নাই।
তেপান্তর নাই।
ব্যাঙ্গমা নাই।
ব্যাঙ্গমি নাই।
জঙ্গল নাই।
সরোবর নাই।
কারো কোন প্রাণ ভ্রমরা নাই।
আহা রাজকুমারী -
দুপুর রোদে চুল শুকিয়োনা।
সোনাকাঠি-রুপোকাঠি পাশে রেখে ঘুমিও না।
এইখানে তোমার মুক্তির আশা নাই।

* কি মুশকিল! এত খাটাখাটনি করে দুই চরণ কাব্য প্রসব করলাম অথচ আমরা বন্ধুর নালায়েক সম্পাদক বলে ছাপাবেনা। Sad

ক্যাম্প গ্রিন লেক - ১

১.
ক্যাম্প গ্রিন লেক। নাম ক্যাম্প গ্রিন লেক হলেও আদপে সেখানে আসলে কোন সবুজ ঘাস অথবা লেকের বালায় নাই। যদিও কোন এক কালে টেক্সাসের সব চেয়ে বড় লেকটা এখানেই ছিল। সে একশ বছর আগে কথা। এখন অবশিষ্ট শুধু ধুধু মরুভূমি।

গ্রিন লেকের পাশেই ছোট্ট একটা শহরও ছিল এক সময়। লেকের সাথে সাথে শহরটাও বিলীন হয়ে গেছে কবে।

গ্রীষ্মকালে এখানকার গড়পড়তা তাপমাত্রা পঁচানব্বই ডিগ্রী। খোলা আকাশ নয়, ছায়ায়। মানে যদি কোন ছায়া খুঁজে পাওয়া যায় আর কি। ছায়া দেয়ার মতো তেমন কোন কিছুই আর অবশিষ্ট নাই এখানে।

শুধু লেকের (!) পূর্ব প্রান্তে দুটো ওক গাছ এখনো কোনমতে টিকে আছে। গাছের গুড়িতে ঝুলছে একটা দোলনা, তার ঠিক পিছনেই দাঁড়িয়ে আছে একটা কেবিন।

ক্যাম্পারদের দোলনায় চড়া নিষেধ। দোলনার মালিক ক্যাম্পের ওয়ার্ডেন। ছায়াটুকুও তার অধিকারে।

মৃত্যানুভূতি

জানতে চাইলে মৃত্যু কি।

উত্তর খূঁজে পেতে সমগ্র পৃথিবীটা পায়ে হেঁটে এসেছিলাম।
শতেক মনিষীর সহস্র সংজ্ঞায়,
মোটা মোটা বিজ্ঞান আর ধর্ম গ্রন্থের ভাঁজে ভাঁজে,
শুধু শক্তির অবিনাশিতা আর জাতিষ্মরদের গল্প,
পরলৌকিক আত্মার চির সূখ-দুঃখ।

কোত্থাও মৃত্যুর সংজ্ঞা নেই,
মানুষেরা দেবতার মতো অমৃত, বললাম আমি।

অতঃপর তোমার প্রস্থানে মৃত্যানুভূতি ছুঁয়ে গেল ...

আয়নার মানুষ

কিছুই গোপন ছিল না;
অবিমিশ্র ভাষণ, অনুভূতি।
তবু যেন প্রতিবিম্ব শুধু,
চির অস্পৃশ্য, চির অধরা।
আমি তাই
তুমি যাকে কখনো জানো নাই . . . .

দেন না এক ভাই প্যাকেট সিগারেটের দাম অথবা এক বেলা পার্লারের খরচটা এই ছোট্র মেয়েটাকে

http://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=wyYCySQoTOI

মানুষ হিসাবে আমি মোটামুটি আবেগহীন। সব রকমের কষ্ট, বেদনা এক পাশে রেখে স্বার্থপরের মতো দিব্যি আনন্দে দিনাতিপাত করতে পারি। সেই আমিও এই মেয়েটাকে দেখে চোখের পানি আটকে রাখতে পারি নাই। এই মেয়ের বয়সী একটা বোন আছে আমার, ভিডিওটা দেখার সময় বারবার ওর কথা মনে হচ্ছিল। আমার যদি সামর্থ্য থাকত তাহলে ১০-১২ লক্ষ টাকার জন্য এই ফুটফুটে মেয়েটাকে মরতে দিতাম না আর আপনাদের কাছে হাতও পাততাম না। আমার টাকা নাই তাই পোষ্টটা লিখতেই হচ্ছে। এখানে আমার পরিচিত, আধা-পরিচিত যারা আছে, ঠিক করেছি যার কাছ থেকে যা পারি যোগাড় করে মেয়েটার জন্য পাঠাব। আপনাদের কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ যে যেটুকু পারেন সেটুকু দিয়ে মেয়েটাকে একটা বাঁচার আশা দেন। আমরা ব্লগাররা এর আগেও তো কতবার কত উদ্যোগ নিয়ে সফল হয়েছি। আর একবার কি পারি না সেই সব দিনের পুনারবৃত্তি ঘটাতে?

গাছ না হবার গল্প

পয়লা বৈশাখে সারাদিন টোটো কোম্পানীর ম্যানেজারি করার ইচ্ছা থাকলেও শরীরটা এখনো ইংল্যান্ডের টাইম টেবিল ফলো করে চলেছে। ফলে সারা রাত না ঘুমিয়ে ঘুম থেকে উঠলাম বেলা একটায়। সূর্যোদয় দেখার যে ক্ষীণ একটা আশা ছিল মনে সেটা মাঝ আকাশে গিয়ে ঠেকেছে ততক্ষণে। তীব্র এই দাবদাহে বাইরে বের হবার কোন মানে হয় না তাই ঘরেই বসে থেকে বন্ধুদের একে একে ফোন দিলাম। বেশির ভাগকেই পাওয়া গেল না। সব্বাই নিজ নিজ কর্মস্থলে ব্যস্ত। রাসেল দেখলাম সিরাজগঞ্জেই আছে। সে সম্প্রতি বিয়ে করেছে সুতরাং বিগত দিনগুলোর মতো সময়-অসময় না মানার সময় ফুরিয়েছে। ক্ষীণ একটু ঈর্ষার স্রোত যেন বয়ে গেল। বন্ধুতার চেয়েও তীব্র কিছু বন্ধুকে অধিকার করে নিয়েছে। রনিকেও পেলাম সিরাজগঞ্জেই। আজকাল সে অর্থনৈতিকভাবে ভিসন স্বচ্ছল। ইতমধ্যেই আস্ত একটা গাড়ির মালিক নাকি হয়ে গেছে সে। বাড়ি এবং নারীও নিশ্চয় বেশি দূরে নেই, সুখেই আছে ... থাকুক নাহয় সুখে।

দেশে আইলাম

ফ্লাইট ছিল দুপুর সোয়া দুইটাই। বেলা এগারোটায় চারটা কর্নফ্লেক্স মুখে দিয়া এয়ারপোর্টে দৌড় দেওয়ার প্রাক্কালে খিয়াল হইল ব্যাগের ওজন বেশি হইতে পারে। চাচাতরে ঘুম হইতে তুলে কানমলা দিয়া সাথে নিয়া গেলাম। এয়ারপোর্টে লাগেজ মাপতে গিয়া দেখি যা ভাবছিলাম তাই, ওজন মোটামুটি আট কেজি বেশি হয়। কাউন্টারে বসা ভদ্রলোক কেলায়িত দন্তে এবং লোলায়িত নেত্রে জানান দিল দুইশত পাউন্ড অতিরিক্ত দিলে অতিরিক্ত ঐই ওজন পরিবহনে তার কোন সমস্যা নাই। আমি জানান দিলাম আমার সমস্যা আছে। সাইডে গিয়া ব্যাগ খুলতেই চাচাতর বদনে সূর্যোদয়। যাবতীয় চকলেটের সমুদয় প্যাকেট পকেটস্থ করে সে গান ধরল, এক ব্যাগ চকলেট নিয়ে ভাইয়া তুমি কেন একা বয়ে বেড়াও ... আমায় যদি তুমি ভাইয়া ভাব কিছু চকলেট আমায় দাও ...। মনটা ব্যাজার হইলেও মুখটা মলিন হইতে দিলাম না। চকলেটের অর্ধেকটা এয়ারপোর্টে শেষ করে দিয়ে এসছি।

বাংলাদেশ টিমের পরাজিত হইবার সম্ভাব্য কারণসমূহ

১। স্বাগতিক দেশ হিসাবে অতিথি দেশকে প্রিভিলেজ দেওয়া হয়েছে।
২। এইটা আসলে ম্যাচ ফিক্সিং ছিল। বাংলাদেশ দল ঘুষ খেয়ে ইচ্ছা করে হেরেছে।
৩। খেলার মাঠটা আসলে বাঁকা ছিল।
৫। আয়ারল্যান্ড বিশ্বকাপে দ্রুততম সময়ে সেঞ্চুরী করার প্রতিশোধ হিসাবে আমরা দ্রুততম সময়ে সবচেয়ে কম রানের রেকর্ড গড়লাম।
৬। এটা আসলে ওয়েষ্ট ইন্ডিজের কাউকে সেঞ্চুরী করতে না দেয়ার একটা সুক্ষ পরিকল্পনা ছিল।
৭। বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা দুপুরে বিটিভির বাংলা সিনেমা মিস করতে চাননি।
৮। বাংলাদেশের উপর ডাক্তার ইউনুসের অভিশাপ লেগেছে।
৯। আশরাফুলের উপর সহানুভূতিশীল হয়ে সকলে খারাপ খেলছে।
১০। গ্রামীণ ফোনের ধর্মনিরপেক্ষ বিজ্ঞাপনই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পতনের কারণ, যতবারই এই বিজ্ঞাপন দেখানো হয় ততবারই একটি উইকেট এর পতন হয়। নিরপেক্ষতার সীমা থাকা দরকার, তাওহীদ আর শিরক কখনো এক হতে পারে না।

লাবড়া

বহুদিন যাবৎ বাইরে বাইরে থাকার ফলে একটা ভাল অভ্যাস হইছে যে আমি কোন খাবারেই না করি না, তেলাপোকার মতন যা পাই তাই খাই। এমন কি মাঝে মাঝে অখাদ্যরেও খাদ্য মনে হয়, যেমন কবি সুকান্ত পূর্ণিমার চাঁদের মতন অখাদ্য বস্তুরে রুটি ভাবতেন। আমি অবশ্য কবি টবি না তবে ক্ষুধা লাগলে নিতান্ত গদ্যময় মানুষেরও কবি হইতে ইচ্ছা করে ব্যাপারটা আমি খিয়াল করে দেখেছি। চরম ক্ষুধার্ত অবস্থায় আমিও একদা একটা কবিতা লিখেছিলাম ….

নীল নীল চাঁদের আলো যেন নরম পেলব মাখন
পিচ ঢালা পথটাকে পাউরুটির স্লাইস বানিয়ে খেয়ে নিতে পারলে
এ যাত্রা বেঁচে যেতাম
আকাশটা যদি হত বিরাট বড় এক পাত্র
অনন্ত নক্ষত্রেরা কর্ণ ফ্লেক্সের দানা
ফ্রিজে রাখা আধা নষ্ট দুধের সাথে খেয়ে নিতে পারলে
এ যাত্রা বেঁচে যেতাম
কান পেতে শোন....
অদূরে কোথাও ডেকে চলেছে রাত জাগা পাখী
তার কণ্ঠ সুমধুর, আরো মধুর হবে নিশ্চয় তার রোস্ট
পাখিটাকে খেয়ে নিতে পারলে