জীবনের শেষদিন কিভাবে কাটালেন এবং নিহত হলেন জিয়া
(আজ ৩০ মে জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী মতান্তরে শাহাদতবার্ষিকী । জিয়া হত্যা নিয়ে লিখলে প্রাসঙ্গিকভাবে এসে যায় মঞ্জুরের অভ্যুত্থান, লেজেহুমো এরশাদের ভূমিকা (!) , মতি-মাহবুব-মঞ্জুর হত্যাকান্ড, বিচারের প্রহসনে তড়িঘড়ি করে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের ফাসি ইত্যাদি । আমি নিজেও এসব নিয়ে লিখেছি আগে পত্রিকায় ও ব্লগে । কিন্তু এখানে আমার ফোকাস -জীবনের শেষদিন কিভাবে কাটালেন এবং নিহত হলেন জিয়া । বলাবাহুল্য,আমি জিয়ার রাজনীতির সমর্থক নই কিন্তু জিয়ার মর্মান্তিক হত্যাকে সমর্থন করি না এবং জিয়া হত্যার পরিপূর্ণ তদন্ত ও বিচার চাই )
চট্রগ্রামে বিএনপির উপদলীয় কোন্দল নিরসনের লক্ষ্যে ২৯ মে সকালে পতেঙ্গা বিমান বিন্দরে পৌছলেন রাষ্ট্রপতি জিয়া । তার সফরসঙ্গী ছিলেন বি চৌধুরি, মহিবুল হাসান, নাজমুল হুদা, ড: আমিনা , নৌ বাহিনীর প্রধান এম এ খান প্রমুখ । চট্রগ্রাম সার্কিট হাউজে হাল্কা নাস্তা সেরে বারান্দায় আলোচনায় বসলেন বিএনপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে । বেলা সাড়ে বারটার দিকে জুম্মা নামাজের বিরতি । সাদা পাঞ্জাবি -পায়জামা পরে চকবাজারের নন্দনপুরা মসজিদে নামাজ আদায় করেন জিয়া । নামাজ শেষে উপস্থিত মুসল্লীদের সাথে কুশল বিনিময় করে ফিরে আসলেন সার্কিট হাউজে । দলীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দুপুরের খাবার সেরে ঘন্টা দেড়েক বিশ্রাম নেন । বিকালে চবির ভিসি, অধ্যাপকবৃন্দ, আইনজীবি, সাংবাদিক প্রমুখ আগত অতিথীদের সাথে আড়াই ঘন্টা আলাপ করেন । তারপর স্থানীয় বিএনপির দুই উপদলের সাথে আলাদাভাবে রাত ৯ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত আলোচনা করেন । এর মধ্যে চট্রগ্রামের ডিসি ও পুলিশ কমিশনারের সাথে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন । রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত চিকিৎসক লে কর্নেল মাহতাবুল ইসলাম তার খাবার পরখ করে শেষ করলে রাত ১১টার একটু পরে জিয়াকে রাতের খাবার দেয়া হয় । ডিনার শেষে ঢাকায় তার স্ত্রী খালেদার সঙ্গে টেলিফোনে মিনিট পনেরো কথা বলেন জিয়া । জীবনের আলো নিভে যাবার ৫ঘন্টা আগে ঘরের আলো নিভিয়ে ঘুমুতে গেলেন জিয়া । নিশ্চিন্তে বিছানায় নিদ্রায় গেলেন তিনি । ওদিকে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করতে এগিয়ে আসছে ঘাতক দল । বাইরে তখন তুমুল ঝড় বৃষ্টি আর বিদ্যুতের ঝলকানি ।
রাত আড়াইটার দিকে কালুরঘাটস্থ রেডিও ট্রানসমিটারের কাছে হাজির হল ঘাতক দল । ঘাতকদলের নেতৃত্ব দেয় লে. কর্নেল মতিউর রহমান । ঘাতকদল তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে আক্রমন পরিচালনার পরিকল্পনা নেয় । মতি থাকল দ্বিতীয় দলে যারা প্রথমদলকে পেছন থেকে সহায়তা দিবে । রাত সাড়ে তিনটার সামান্য কিছু পরে দল তিনটি প্রচন্ড বৃষ্টির মাঝে আস্তে আস্তে গাড়ি চালিয়ে এগুতে থাকে । ঘাতকদল বিনাবাঁধায় সার্কিট হাউজে ঢুকে পড়ে । ভীতি সঞ্চার করতে রকেট ল্যান্সার থেকে ফায়ার ও গ্রেনেড চার্জ করা হয় আর মেশিনগানের গুলি চালানো হয় । পাহারারত ৪৪ জন পুলিশের ১ জন নিহত, ১২ জন আহত ও বাকিরা আত্মগোপন করেন । রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের সৈন্যরা তন্দ্রাচ্ছন্ন ছিল । যে দুজনের রাষ্ট্রপতির কক্ষের সামনে পাহারা দেবার কথা তাদের আগেই খতম করে দেয়া হয় । রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা কর্মকর্তা লে. কর্নেল আহসান ও ক্যাপ্টেন হাফিজ দু'তলায় রাষ্ট্রপতির শয়নকক্ষের পেছনের কক্ষে ঘুমাচ্ছিলেন । রকেটের আওয়াজে তারা জেগে উঠে । রাষ্ট্রপতিকে বাচাতে তারা তাদের অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ পাবার আগেই ঘাতকদের গুলিতে নিহত হন । ঘাতকদলটি ঐ সময় দুতলায় রাষ্ট্রপতির ৯ নম্বর কক্ষ খুজতে শুরু করে । ঘাতকদলের একজন ঐ কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ফেলতেই ঘরে ড. আমিনাকে আবস্কার করেন । ফলে রাষ্ট্রপতির খোজে ওরা এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে থাকে । তারা ইতিমধ্যে বুঝতে পারে রাষ্ট্রপতি আছেন ৪ নম্বর রুমে । ঘাতকদলের একজন ঐ কক্ষের বারান্দার দিকে দরজা লাথি দিতে ভাঙ্গতে চেষ্টা করে ।
গোলাগুলি আর চিৎকার চেচামেচিতে উঠে বসলেন চকিতে জিয়া ।
কি ব্যাপার ? ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে বেরিয়ে এলেন দরজা খুলে , পরনে রাতে শয্যার পোষাক । গভীর আত্মপ্রত্যয় আর অগাধ আস্থা নিয়ে বেরিয়ে এলেন ।
কি চাও তোমরা?
কাছে দন্ডায়মান লে. মোসলেহউদ্দিন রীতিমত ঘাবরে যান । সে জিয়াকে আশ্বস্ত করে-‘‘স্যার আপনি ঘাবরাবেন না । এখানে ভয়ের কিছু নেই ।’’
মোসলেহউদ্দিনের ঠোট থেকে জিয়ার প্রতি আশ্বাসবানী মিলিয়ে যাবার আগেই লে. কর্নেল মতিউর রহমান তার এসএমজি থেকে অতি কাছ থেকে ব্রাশ ফায়ার করেন জিয়ার শরীরের ডানদিক একেবারে ঝাঝরা করে ফেলে । দরজার কাছেই মুখ থুবরে মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন জিয়া । এরপর মতি তার বন্দুকের নল দিয়ে জিয়ার প্রাণহীন দেহ উলটিয়ে নেয় । তারপর ক্ষিপ্তপ্রায় মতি জিয়ার মুখমন্ডল আর বুকের উপর তার এসএমজির ট্রিগার টিপে রেখে ম্যাগাজিন খালি করে তার খুনের নেশা মেটায় । আনুমানিক চার থেকে সাড়ে চারটায় জিয়ার মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে । জিয়াকে খুন করে ঘাতকদল ঝটপট সার্কিট হাউজ ছেড়ে চলে যায় ।
জিয়ার ব্যক্তিগত ডাক্তার লে. কর্নেল মাহতাব তার কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসে । ঘাতকদলের প্রস্থানের অনেক পরে খরগোশের ন্যায় দুতলায় অবস্থানরত জিয়ার সফরসঙ্গীরা তাদের কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করে । সংকটময় মুহুর্তে এরা কেউই জিয়াকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি ! জিয়ার লাশ বারান্দার মেঝেতেই পড়ে থাকে । একটা লোকও তার ধারে কাছে আসেনি ! সফরসঙ্গী নেতারা জিয়ার লাশ ডিঙ্গিয়ে চট্রগ্রামস্থ বিএনপির দুটি উপদলের কারো সাথে যোগাযোগ না করে পরবর্তী দুদিন আত্মগোপন করে থাকে । বিএনপির কেউই জিয়ার লাশ দেখতে আসেনি । জনতাও এগিয়ে আসেনি তাদের নেতাকে দাফন করতে ।
রাষ্ট্রপতি জিয়ার লাশের সদগতির কোন ব্যবস্থাই গ্রহন করা হয়নি । ঐ সময় যারা সার্কিট হাউজ পরিদর্শন করে তারাও এনিয়ে সামান্যতম মাথা ঘামায়নি ! দেশের রাষ্ট্রপতির লাশ একটি খাটের উপর উঠানোর সম্মানটুকুও দেখায়নি কেউ ! নৌবাহিনী প্রধান সাড়ে পাচটায় সার্কিট হাউজে আসেন । নিচে কর্মকর্তাদের সাথে কথাবার্তা বলেন । দুতলায় জিয়ার লাশ দেখার আনুরোধ করা হলেও তিনি রাজি হননি ! সেসময় চট্রগ্রামের ডিসি সাইফুদ্দিন আহমদ সেখানে উপস্থিত থাকলেও রাষ্ট্রপতির লাশের প্রতি সম্মান দেখাতে ও তা’ সংরক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহন করেননি ! সকাল সাড়ে সাতটার মধ্যে সকল কর্মকর্তা সার্কিট হাউজ ছেড়ে চলে যান । জিয়ার লাশ মেঝেতেই পড়ে থাকে !
সকাল সাড়ে আটটায় ৩ জন বিদ্রোহী মেজর ১২ জন সিপাহি নিয়ে সার্কিট হাউজে আসে । একটি পুরনো সুটকেসে জিয়ার ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ঢুকিয়ে নেয় । তারপর তারা জিয়ার লাশ একটি সাদা বিছানার চাদরে মুড়ে ফেলে । কর্নেল আহসান ও ক্যাপ্টেন হাফিজের লাশও তারা একইভাবে মুড়ে তিনটি লাশ একত্র করে ভ্যানে উঠিয়ে কবর দেয়ার জন্য চলে যায় । ১ জুন বিদ্রোহের অবসান ও পরিস্থিতি শান্ত হলে সামরিক -বেসামরিক কর্তৃপক্ষ জিয়ার লাশ খুজে বের করে ঢাকায় আনার ব্যবস্থা করে । ইদুরের গর্ত থেকে বেরিয়ে আসেন জিয়ার সফরসঙ্গী নেতারা !
রেফারেন্স:
১. Bangladesh: A Legacy of Blood, by Anthony Mascarenhas, Hodder and Stoughton, 1986
২.তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা, লে. কর্নেল এম এ হামিদ, মোহনা প্রকাশনী, ১৯৯৫
৩.কামরুদ্দীন আহমদ, স্বাধীন বাংলার অভ্যুদয় এবং অতঃপর , নওরোজ কিতাবিস্তান ,১৯৮২
কৈফিয়তঃ এই পোষ্টের তথ্যাবলী (টেক্সট) পুর্ব প্রকাশিত । ইতিহাসের তথ্যকে নানাভাবে পাঠ করা যেতে পারে কিন্তু তাতে ফ্যাক্ট বদলায় না কারণ ইতিহাসে ঘটে যাওয়া ফ্যাক্ট অপরিবর্তনীয় সত্য । এতদসত্ত্বেও যদি নীতিমালার দোহাই দিয়ে কেউ যদি আপত্তি করে এবং সে বিবেচনায় এটি সরিয়ে দেয়া হয় সেক্ষেত্রে আমার কিছু বলার নেই ।
একাত্তরে কালুরঘাটে রিভোল্ট ও স্বাধীনতার ঘোষণার পাঠের মাধ্যমে উত্থান ঘটে অখ্যাত এক মেজরের । সেই কালুরঘাটেই তার পতন হল মর্মান্তিক হত্যার মধ্যদিয়ে ।
‘হত্যাই খুলে দয়ে হত্যার দরজা' (Macbeth, 1611 ,William Shakespeare )
জিয়া মুজিবহত্যাকারদিরে বিচার তো দূর কি বাত বরং বিচারের পথই রুদ্ধ করেন । জিয়া পাওয়ারে আসার ৬ মাসের মাথায় (এপ্রিল ১৯৭৬) তাকে উৎখাতের লক্ষ্যে ফারুক-রশীদ গং ঢাকায় এসে ক্যুর চেষ্টা চালান । যে জিয়া তাহেরের প্রতি কোন দয়া দেখাননি তিনিই হাতেনাতে প্রমাণ পেয়েও এদের শুধু ছেড়ে দিলেন না, খুনি মেজরদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকুরির ব্যবস্থাও করলেন ! অবশ্য , বরাবরের মত সিপাহীদের কপালে ফাসিই জুটে । খুনি মেজররা তবুও জিয়ার বিরুদ্ধে পরবর্তীতেও একাধিক ক্যুর চেষ্টা চালান । যা হোক,হত্যার রাজনীতি যে ভাল নয় তা' স্বয়ং জিয়া নিজের জীবন দিয়ে প্রমান করেন ।
আবারও থ্যানকস মানিক ভাই পোষ্টের জন্য।
কর্নেল হামিদের বইটার অনলাইন ভার্সন খুজছি অনেক দিন ধরে, পাচ্ছি না। ওটা পড়লে অনেক কিছু ক্লিয়ার হতো।
go to the following site
banglapdf.net/showthread.php?429-3-ti-Shena-Avvutthan-O...Na...
মানিক ভাই, বরাবরের মত অনবদ্য। সেদিনের সেই দুঃখজনক ঘটণার বিস্তারিত পড়লাম। লেখাটায় কিছু টাইপো আছে, দেখবেন আশাকরি।
কমেন্ট এ যা লিখলেন,
।
খুনি জিয়া কি করে মহান শহীদ জিয়া হয়ে গেলেন এটি একটি রহস্য।
খুনি আওরঙ্গজেব যদি জিন্দাপীর বাদশাহ আলমগীর হতে পারে তবে জিয়ার মহান হতে বাধা কোথায় ?
মানিক ভাই বাদশা আলমগীরকে নিয়ে অনেক আলোচনার অবকাশ আছে। আশাকরি তাঁকে নিয়েও লিখবেন একদিন।
মানিক ভাই, অনেক ধন্যবাদ এই পোস্টের জন্য। আগে কোথাও প্রকাশিত হলেও মিস করেছিলাম। প্রিয়তে। ফেইসবুকে শেয়ার দিলাম।
ধন্যবাদ
যখন জিয়া মারা যান, তখন আমি অনেক ছোট। আমার মনে আছে, আমি বারান্দায় বসে খেলছি আর রেডিও শুনছি। হঠাত রেডিওতে সব বন্ধ করে দিয়ে, হামদ-নাত শুরু হল। আর বারবার একই ঘোষনা, জিয়া নিহত হয়েছেন। আমি মা'কে জিজ্ঞাসা করলাম, নিহত মানে কি? আমার মানে বলতেই, আমি বললাম-রেডিওতে বলছে জিয়া নিহত হয়েছেন। আমার মা সব ফেলে ছুটে এলেন। সেই মে থেকে এই মে এই রাজনৈতিক দল সহ অনেক কিছুই দেখলাম।
কেন যেন দেশের রাজনৈতিক দল সম্পর্কে আর কোন আগ্রহই কাজ করেনা। পড়েছি Anthony Mascarenhas এর Bangladesh: A Legacy of Blood বইটাও।
অগ্রজ হিসেবে আপনার এই অনবদ্য লেখায় আপনারই উল্লিখিত দুটো প্যারা তুলেই দিয়েই নিজের অনুভূতিটুকু প্রকাশ করি,
ধন্যবাদ
আগে পড়েছি। আবারও পড়লাম। ধন্যবাদ মানিক ভাই।
ধন্যবাদ
আগে যে ইতিহাস জেনেছি এখানে সেটাই সুন্দর গদ্যে প্রকাশিত।
বেশ লিখেছেন।
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ মানিক ভাই
ধন্যবাদ
আমার এক মামা জিয়ার সিকিউরিটি বাহিনীর চীফ ছিলেন। তিনি ঐ রাতে মারা যান, তবে আমি ভিন্ন ইন্টারপ্রিটেশনে শুনছি, গোলাগুলির শব্দে জিয়া বের হইয়া আসেন নাই, তার ঘরে ঢুইকাই ব্রাশ ফায়ার করা হইছিলো। ফজল মামা তার দরজায় প্রায় নিরস্ত্র দাঁড়াইয়া ছিলেন তারে প্রথম ব্রাশ ফায়ার কইরা জিয়ার ঘরে ঢুকে বিদ্রোহীরা।
এই তথ্য হয়তো খুবেকটা ভিন্ন কিছু প্রমাণ করেনা আপাতঃ দৃষ্টিতে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে জিয়াউর রহমানের পার্সোনালিটির প্রকাশ ঘটে। এইরকম গোলাগুলির সময়েও সে নার্ভাস অবস্থায় নিজের ঘরেই অবস্থান করতেছিলো...
তবে ফজল মামা আকা কর্নেল আহসান সেইদিন বিকালে তার বাড়িতে ফোন করছিলেন। তারে বেশ নিরুদ্বিগ্নই লাগছিলো শুনছি। তবে পরবর্তী কালের বর্ণনায় যা মনে হইছে এই হত্যাকাণ্ড বেশ পরিকল্পিত ছিলো। ভেতরকার অনেক ইনফর্মেশন বিদ্রোহীগো জানাইয়া দেয়া হইছিলো।
প্রেসিডেন্ট জিয়া, কর্নেল আহসান, ক্যাপ্টেন হাফিজ কে হত্যা করে তাদের ই সহকর্মী ঢাকা থেকে আগত কর্নেল মাহফুয। চট্টগ্রামের অফিসার রা সার্কিট হাউসের দোতালায় উঠার আগেই এদের মেরে মাহফুজ তার রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। মতির নাম ছড়ানো হয়েছিল মঞ্জুরকে জড়াতে।
কালরাতে পড়েছিলাম আবার আজকে পড়লাম।ধন্যবাদ মানিক ভাই।
ধন্যবাদ
Could you know the name of the Majors who took the dead body of Zia?
Please inform me. Thanks for your blog.
এন্থনি মাসকারেনহাসের রেফারেন্স অনুযায়ী , তিনজন হলেন -মোজাফফর , শওকত ও রেজা । তারা মতির নির্দেশেই সেখানে গিয়েছিলেন ।
প্রেসিডেন্ট জিয়াকে নিয়ে আনিসুল হকের আয়েশামঙ্গল বইটিতে জয়নাল চরিত্রটি জিয়াকে নিয়ে বলতো,
হুমম
যে কোনো হত্যাকাণ্ডই মর্মান্তিক। সবই জানা ঘটনা, তবু পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল। আপনার কথারই প্রতিধ্বনি করি -
হ ।
১।
ভাল-খারাপ মাথায় রেখে পৃথিবীতে কোথাও রাজনীতি হয় কি?
২।
ডজনেরও বেশী বার ক্যু সম্মূখীন হওয়ার পরে তার তো বোকার মত বাইরে না বেরিয়ে নিজের ঘরে অবস্থান করাই উচিত ।
৩। জিয়ার হত্যার সাথে মুজিব হত্যার যোগসূত্র কেন টানা হয় ঠিক বুঝতে পারিনা । যদি বলা হয়, জিয়ার কর্মফলই জিয়ার হত্যার কারন, তাহলেতো মুজিবের কর্মফলই মুজিব হত্যার কারন হয়ে যায়।
যোগসূত্র টানা হয়েছে কি ? আপনার দ্বিতীয় পয়েন্টানুযায়ী জিয়াকে ডজন খানেক (নানা সূত্রে একুশ/বাইশটি )ক্যুর সম্মুখীন হতে হয়েছে । সর্বশেষ ক্যুতে তিনি নিহত হন । এই যে ক্যু -পালটা ক্যু এর সুত্রপাত কবে ? ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়া নিহত হন কিছু জুনিয়র অফিসারদের দ্বারা ? এই সংস্কৃতির শুরু কবে ? এসব বিবেচনায়, জিয়া হত্যার পটভুমিতে ১৫আগষ্ট অভ্যুত্থান ও মুজিব হত্যার প্রসঙ্গ টানা অমুলক নয় ।
যে কোনো হত্যাকান্ডের কারণ ও মটিভ বিচারে নিহত ব্যক্তির কর্ম বিবেচনায় নেয়া যায় । তবে এর মানে এই নয় তার নিহত হওয়ার জন্য একমাত্র কারণ তার কর্ম । অনেক নিরপরাধ লোকও হত্যার শিকার হয় বা হতে পারে ।
আবার, কর্মফল বিষয়টিকে নেগেটিভ হিসেবেই দেখতে হবে এমন নয় । ধরা যাক, মিঃ ক একাত্তরে পাকি বা তাদের দোসরদের দ্বারা নিহত (শহীদ) হন । তদন্েত নিয়ে দেখা গেল , তিনি একজন দেশপ্রেমিক ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক । তার দেশপ্রেম (কর্ম ) এর জন্যই তিনি শহীদ হলেন । এখানে কর্মফল সুত্র খাটছে কিন্তু এটি কি নেগেটিভ ?
মুজিব-জিয়া হত্যার শিকার হয়েছেন এর মানে তারা খারাপ হন তবে লেজেহুমো-খালেদা-হাসিনা তাদের চেয়ে ভাল হয়ে যান একই সরল সমীকরনে । তবে, নির্মম হলেও সত্য মুজিব-জিয়ার মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের শিকার হওয়ার দায় তাদের উপরও কিছুটা বর্তায় বৈকি ।
সশস্ত্র বাহিনীতে গণহত্যা প্রামান্য চিত্রে সে সময়ের মে. জে, মনজুরের সিকিউরিটি অফিসার মেজর রেজার সাক্ষাৎকার এবং মেজর রফিকের স্বৈরশাসনের ৯ বছর বইটি পড়লে জিয়ার হত্যাকাণ্ড নিয়ে মোটামুটি পরিস্কার ধারণা পাওয়া যায়। পরিকল্পটা টের পাওয়া যায়। আমার কাছে অবাক লাগে বেগম জিয়ার আচরণ। তিনি একবারও জিয়া হত্যার মূল কাহিনী বের করার চেষ্টা করলেন না।
কালের কণ্ঠ প্রথম পাতা :জিয়া হত্যা মামলায় সিআইডিকে সহযোগিতা করেনি বিএনপি)
লেখাটা পড়া বাধ্যতামূলক। ধন্যবাদ মানিক ভাই।
ধন্যবাদ
আমার আব্বারে প্রায়ই বলতে শুনতাম, জিয়ার মৃত্যুতে নাকি দেশ জুড়ে শোকের ঢল নামছিলো । পুরা ঢাকা শহর নাকি উপচায়ে পড়ছিলো তার জানাযায় । কোনটা যে সঠিক !!
আমার তথ্য
এবং আপনার বাবার তথ্য
দুটিই সঠিক হতে পারে এবং এতে অবাক হবার কিছু নেই । আপনি মনে হয় আমার তথ্যটি পাঠের ক্ষেত্রে স্থান ও সময়কাল বিবেচনায় নেননি । জিয়া নিহত হন ৩০ মে ’৮১ তারিখে কালুরঘাট সার্কিট হাউজ, চট্রগ্রামে । আমার লেখার শেষে দেখুন -জিয়ার লাশ ঢাকায় আনার ব্যবস্থা হয় ১ জুন ’৮১ তারিখে ।
ঢাকায় জিয়ার কফিন আনার পর যে জনঢল নামে তার প্রত্যক্ষদর্শী আমি নিজে । যদি জিয়ার সফরসঙ্গীরা জিয়ার মৃত্যুর খবর চট্রগ্রামস্থ বিএনপি দলীয় নেতৃবৃন্দকে জানাতেন কিংবা প্রেসকে কিংবা জনতাকে তবে হয়ত এই সমালোচনা হত না যে, কেউই দেখতে যায়নি । জিয়াকে ভালবাসতেন এমন লোকের অভাব ছিল না চট্রগ্রামে কিন্তু তারা তো জানতেই পারলেন না এদের কারণে ।
ফেয়ার এনাফ ।
লেখাটা আগেও পড়েছিলাম। ধন্যবাদ মানিক ভাইকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা এবং জাতীয় নেতাদের ইতিহাস নতুন প্রজম্মের কাছে তুলে ধরার জন্য।
ধন্যবাদ মানিক ভাই। রক্ত রঞ্জিত পথে হেটে জিয়া ক্ষমতায় এসেছে গেছেও রক্তের হলি উৎসবের মধ্যে দিয়ে।
তোর কাছ থেকে পরের পর্ব আশা করছি মেজর মঞ্জুরকে এ হত্যায় কিভাবে জড়ানো হলো সে প্রসংগটা নিয়ে।
পড়লাম
ধন্যবাদ
নুরুজ্জামান মানিক,
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই গোছানো লেখাটা দেবার জন্যে। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের জানা উচিত সত্যটা - সেটা ভাল বা খারাপ যায় হোক না কেন।
জিয়া হত্যা কান্ডের ঘটনাতে আমার তিন জন সহপাঠি বিভিন্ন ভাবে যুক্ত হয়ে পরেছিল - তারা ছিলঃ
১) সৈয়দ আমিনুর রহমান - (এক্স-সিএসপি) পিএস টু প্রেসিডেন্ট।
২) আনিসুল ইসলাম মাহমুদ - চট্টগ্রামের তখনকার বিএনপি নেতা এবং পরে এরশাদের আমলের পররাস্ট্র মন্ত্রী ।
৩) মেজর রওশন ইয়াজদানী - বীর মুক্তি যোদ্ধা এবং পরে জিয়া হত্যার অভিযোগে অন্যায় ভাবে তাকে ফাসি দেওয়া হয়।
আমরা সবাই এক সময় ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে পড়তাম। এদের মধ্যে দুই জন ইতিমধ্যে মৃত।
এ বিষয়ে আমি যতটুকু জেনেছি (এটাই যে একমাত্র ঐতেহাসিক সত্য সেটা বলার অধীকার আমার নেই) তা হচ্ছেঃ
১) আনিসই সম্ভবত শেষ বাইরের লোক যে সেদিন গভীর রাত পর্যন্ত জিয়ার সাথে কথা-বার্তা করে চট্টগ্রাম শহরে তার নিজের বাড়ীতে ফিরে আসে। সকালে এ খবর শোনার পর স্থানীয় বিএনপির নেতা এবং কর্মীরা নিজের প্রানের আশংক্ষায় আত্মগোপন করে থাকে এবং কেউ আর সার্কিট হাউজের দিকে পা-বাড়ায় না (ভাল কথা - সার্কিট হাউজটি শহরেই অবস্থিত, স্টেডিয়ামের কাছে, কালুরঘাটে নয়)।
২) আমিন এবং আর একজন দো'তলাতে জিয়ার পাশের এক ঘরে শুয়ে ছিল। গোলাগুলির শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলে সঙ্গে সঙ্গে বিছানা থেকে নেমে খাটের তলায় আশ্রয় নেয়। খুনীরা ঘরে ঢুকে খাটের দিকে গুলি ছোড়ে তবে ঘরের সাধারণ আসবাব পত্র দেখে অনুমান করে এটা জিয়ার কক্ষ নয়। এরপর গোলাগুলির শব্দ সম্পূর্ণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ঘর থেকে কেউ বের হয়নি।
৩) রওশন প্রথমে এই ঘটনার সাথে কোন ভাবেই জড়িত ছিল না। তবে রওশন ছিল চিরকালই আবেগপ্রবন এবং প্রচন্ড দেশপ্রেমিক। মঞ্জুরের পরিবারকে বাঁচাতে যেয়ে সে এর মধ্যে জড়িয়ে পড়ে।
৪) মঞ্জুর নিজেও কখনো জিয়াকে মারতে চাইনি। তবে জিয়ার তখনকার কিছু কার্যকলাপ পছন্দ ছিল না তখনকার সামরিক বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের। তারা চেয়েছিল জিয়াকে ক্যান্টমেন্টে ধরে এনে তার সাথে একটা বোঝাপড়া করে তাকে দিয়ে কিছু ঘোষনা দেওয়া।
৫) মতি এবং তার সহযোগী যারা সক্রিয়ভাবে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত হয়েছিল, অনেকে বলে তাদেরকে আমাদের প্রতিবেশী দেশের কোন এক এজেন্সী প্রভাবিত করেছিল এ কাজের জন্যে। এর সাথে মঞ্জুর জড়িত ছিলেন না।
৬) জিয়ার সাথে আমার শেষ সাক্ষাৎকার ছিল তার মৃত্যুর মাস ছয়েক আগে ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটের এক অনুষ্ঠানে। এক সাথে ডায়াসে তার পাশে বসে কিছু কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। আমার আগমনী ভাষনে আমি তাকে অনুরোধ জানিয়েছিলাম এই বলে যে ক্যাডেট কলেজে শিক্ষা নেবার পর আমাদের বর্তমান সমাজে খাপ খেতে অসুবিধা হচ্ছে (যেহেতু তখন সেখানে দূর্নিতি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে), এবং তিনি যেন সমাজের এই ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করেন। সেদিন তার ভাষনে তিনি উল্টা আমাদেরকেই পরিবর্তিত হয়ে সমাজে মিশে যেতে শিখতে বলেছিলেন।
এখানে একটা লিঙ্ক দিলামঃ
লিঙ্কটা নাই
জানলাম
জিয়া হত্যার ইতিহাস অনেক সময় অনেকের মুখে এলোমেলো ভাবে শুনেছি তবে পড়ার সুযোগ হয়নি , ঘটনা টি কে এমন বিস্তারিত ভাবে আমাদের সামনে উপস্হাপণের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
এ ঘটনাটির এতো সুন্দর বর্ণনা এর আগে পড়িনি। মানিক ভাইকে ধন্যবাদ।
অবাক লাগে জিয়া হত্যার পূর্ণ তদন্তসাপেক্ষে বিচারে বেগম জিয়ার অনাগ্রহ দেখে। আমার মনে হয় কেউ যদি জিয়া হত্যার বিচার চেয়ে আইনি লড়াই চালানোর ঘোষনা দেয়, তাহলে বেগম জিয়া হাতে পায়ে ধরে হলেও ওই ব্যক্তিকে বিরত রাখবেন।
নতুন করে জানলাম, তবে পূর্বে যেভাবে জেনেছি সেটা ছিল সাদা সাপটা, এবার গদ্য আকারে। ধন্যবাদ মানিক ভাইকে এই পোস্টের জন্য।
ধন্যবাদ
জিয়া হত্যার পরিপূর্ণ তদন্ত ও বিচার চাই .
জিয়া হত্যার পরিপূর্ণ তদন্ত ও বিচার চাই .
মে মাসেড় শেষ দিকে আসলেই এই পোষ্টটা বারবার পড়ি আর ফেসবুকে শেয়ার করি!
ধন্যবাদ
তত্থ্যবহুল পোস্টের জন্য ধন্যবাদ মানিক ভাই। একটি প্রশ্ন।
জিয়াউর রহমান হত্যার যে বিচার হয়েছে সেটি নানা কারণে বিতর্কিত। জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর ১৩ জনকে ফাসি ও আরও ১০-১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে একধরনের শুদ্ধি অভিযান চালানো হয়েছিল, যাতে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে সেনাবাহিনী ছাড়তে বাধ্য করা হয়।
এ বিচার সম্পর্কে বি এন পির মূল্যায়ন কী? কেনো তারা জিয়া হত্যার বিচার প্রসঙ্গে খোলাখুলি কথা বলে না?
FYI: জিয়া হত্যার বিচার হয়নি । জিয়া হত্যা মামলাটি স্থবির । জিয়া পত্নী দুইবার ক্ষমতায় আসলেও তার স্বামী হত্যার বিচার তো দুর কি বাত বরং অনাগ্রহ ও অসহযোগিতা করেছেন ! বিচার হয়েছে চট্রগ্রাম বিদ্রোহ বা ক্যুয়ের এবং তা’ ছিল প্রহসন । ১নম্বর আসামীই ছিল নিরপরাধ !
িজয়া নিহত হন ৩০ মে ’৮১ তারিখে কালুরঘাট নয় কাজীর ডে্বরী সার্কিট হাউজ, চট্রগ্রামে
জিয়া হত্যার ঘটনায় যত সামরিক অফিসার এর বিচার হয়েছিল, তার মধ্যে একজন ছিলেন মেজর মোস্তফা। মুক্তিযোদ্ধা। বিচারে তাকে সামরিক বাহিনী থেকে সমস্হ সুযোগ সুবিধা ছাড়া বহিস্কার করা হয়। তিনি বর্তমানে মিরেশ্বরাই বিএনপির একজন বড় নেতা। গত সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন।
মুজিব-হত্যা, জিয়া-হত্যা কিংবা বিডিআর-বিদ্রোহ সব গুলি ঘটনাতেই একটা মিল আছে - প্রত্যেকটা ঘটনাতেই অন্ততঃ ৪-৫টা ভিন্ন-ভিন্ন গ্রুপ জড়িত ছিল এবং এদের আলাদা আলাদা নিজস্ব এজেন্ডা ছিল। প্রত্যেকটা ঘটনাতেই ভিন্ন-ভিন্ন গ্রুপগুলি সমান্তরালে কাজ করেছে কিন্তু তারা কেউই একে অপরের এজেন্ডা জানতো না।
শেষে, প্রত্যেকটা ঘটনাতেই একটা মাত্র গ্রুপের এজেন্ডা বাস্তবায়িত হয়েছে আর জড়িত বাকি গ্রুপগুলি শুধুই "ব্যবহৃত" হয়েছে।
আর বলা হয়ে থাকে, যেকোন বিদ্রোহ বা ক্যুয়ের স্থানে (দূর্ভাগ্যজনকভাবে) উপস্থিত থাকাটাই (ঘটনা সম্বন্ধে একদম অজ্ঞাত ও নিরপরাধ হলেও) একটা বড় অপরাধ।
~
জানা ছিল না কিছুই, আজকে জানলাম! অনেক ধন্যবাদ মানিক ভাই!
সাদা পাঞ্জাবি -পায়জামা পরে চকবাজারের নন্দনপুরা মসজিদে নামাজ আদায় করেন জিয়া ।
চট্টগ্রামে চকবাজারে নন্দনপুরা মসজিদ বলে কোন মসজিদ নেই। যেটি আছে সেটা হল চন্দনপুরা মসজিদ।
আমরা বন্ধু ব্লগে আমার প্রথম মন্তব্য। জেঃ জিয়াকে নিয়ে পোষ্ট!!
জেঃ জিয়াকে এভাবে হত্যা না করে তার বিচার করার দরকার ছিলো-
এক। অবৈধ ক্ষমতা দখল
দুই। বীর আবু তাহের হত্যার জন্য।
তিন। রাজাকারদের পুণর্বাসনের জন্য।
জিয়ার মৃত্যুর পর নাকি লক্ষ লক্ষ মানুষ জানাজায় এসেছে এবং মানুষ অনেক কান্না করেছিল ? মৌখিক অনেক কথা শুনেছি কিণ্তু এই প্রথম বিস্তারিত পড়লাম l
মন্তব্য করুন