১ ডিসেম্বর '৭১
একাত্তরের এদিনে মুক্তিযোদ্ধারা অপারেশন চালিয়ে ঢাকায় দুইজন মুসলিম লীগ কর্মীকে হত্যা করে। বাকী দুইজনকে বুলেটবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে, মুক্তিযোদ্ধারা শেষরাতের দিকে সিলেটের শমসেরনগরে অতর্কিতে আক্রমণ চালিয়ে পাকবাহিনীকে নাজেহাল করে তোলে। মুক্তিবাহিনীর তীব্র আক্রমণে পাকবাহিনী এই এলাকা থেকে পালাতে শুরু করে। মুক্তিবাহিনী টেংরাটিলা ও দুয়ারাবাজার মুক্ত ঘোষণা করে। মুক্তিবাহিনীর অপারেশন অব্যাহত থাকায় পাকবাহিনী এই জেলার গারা, আলিরগাঁও, পিরিজপুর থেকে তাদের বাহিনী গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়।
এদিকে, পিপলস পার্টির ঢাকা অফিস বোমা বিস্ফোরণের ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জুলফিকার আলী ভুট্টো দুই মাস আগে এ অফিস উদ্বোধন করেন। রাঙ্গামাটিতে ব্যাপটিস্ট মিশনে হানাদার বাহিনী কর্তৃক আক্রান্ত হয়ে চার্লস আর. হাউজার নামে একজন ধর্মযাজক এবং বহু বাঙালি সন্ন্যাসী নিহত হন।
এদিনে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার এক রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গেরিলা তত্পরতা বৃদ্ধি পাবার ফলে পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক জান্তাদের নির্দেশে সামরিক বাহিনীর লোকেরা পুনরায় গ্রামবাসীদের হত্যা এবং বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেবার বর্বর অভিযান শুরু করেছে। গেরিলা সন্দেহে জিঞ্জিরার কতজন যুবককে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে হত্যা করেছে তার ইয়ত্তা নেই। বুড়িগঙ্গার অপর পাড়ের এই গ্রামটিতে অন্তত ৮৭ জনকে সামরিক বাহিনীর লোকেরা হত্যা করেছে। এদের অধিকাংশই যুবক। নারী ও শিশুরাও ওদের হাত থেকে রেহাই পায়নি।
এদিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পার্লামেন্টের উচ্চ পরিষদে বক্তৃতাকালে উপমহাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানি সৈন্য অপসারণের নির্দেশ দেয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানি সৈন্য অপসারণই সমস্যার শ্রেষ্ঠ সমাধান। এই বক্তৃতায় তিনি ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের জনসাধারণকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।এদিকে রাওয়ালপিন্ডিতে ইয়াহিয়া খানের সাথে সাক্ষাৎ করে লাহোরে ফিরে এসে জামায়াতের গু আজম বলেনঃ "পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ কখনো তাদের দাবির প্রতি মিসেস গান্ধীর সমর্থন চায়নি।"
এদিনে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান সরকারের একজন মুখপাত্র জানায়, অধুনালুপ্ত আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের বিচার এখনও শেষ হয়নি। তিনি বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের চারটি রণাঙ্গনে যে আক্রমণাত্মক চাপ সৃষ্টি হয়েছিল তা এখনো অব্যাহত রয়েছে।(তথ্য ও ছবির সূত্রঃ আজকের ইত্তেফাক ও এন ওয়াইবাংলা )
চমৎকার উদ্যোগ মানিক ভাই...
অনেক অনেক ধন্যবাদ
কনটিনিউ করেন বস...
ধন্যবাদ মানিক।
গোলাম আজমের কথাগুলো আসেনি।
আপনার প্রচেষ্টা আর নিষ্ঠাকে স্যালুট।
শুধু ইমেজ দিয়েছিলাম । এখন টেক্সট যুক্ত করে দিলাম । ধন্যবাদ
ডিসেম্বর মাসের সিরিজ হোক।
ধন্যবাদ মানিক ভাইকে।
দারুন । মানিক ভাইয়ের কাছে এটাই প্রত্যাশা করছিলাম।
সিরিজ মনে করে পাঠক হিসেবে নাম লেখাইলাম। পপকর্ন কিনার টাকা দ্যান। নিয়া গ্যালারীতে বসুম।
পড়লাম এবং জানলাম!
২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কে ধরে প্রতিদিনের একটা সিরিজ চালু করতে পারেন মানিক ভাই।
ধন্যবাদ মানিক ভাই ! ডিসেম্বর সুবাদে আপনার দর্শণ হলো, সাথে মীর ভাই'রও । আপনার পরবর্তী লেখার অপেক্ষা করছি ।
ধন্যবাদ মানিক ভাই ! ডিসেম্বর সুবাদে আপনার দর্শণ হলো, সাথে মীর ভাই'রও । আপনার পরবর্তী লেখার অপেক্ষা করছি ।
মন্তব্য করুন