১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১
একাত্তরে এদিনে খুলনায় যৌথ বাহিনীর কাছে পাকিস্তানি বাহিনী আত্নসমর্পণ করে । প্রায় আট হাজার পাকিস্তানী সৈন্যের এই আত্নসমর্পণ অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করেন ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) জয়নাল আবেদীন ।[১]
যদিও নিয়াজীর সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী ‘দুর্গ’ যশোরের পতন ঘটে ৭ ডিসেম্বর।ভারতের ৯ম ডিভিশনের প্রথম কলামটি এক রক্তাক্ত যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে যশোর সেনাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হয়ে দেখতে পায়, বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ ও রসদ ভর্তি সুরক্ষিত বাঙ্কার সম্পূর্ণ জনশূন্য। ২] আগেরদিনই পাক ৯ ডিভিশন (জেনারেল আনসারি) যশো্র ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেয় । [৩]
জানা যায়,যশোর সেনানিবাসের পাকিস্তান ট্যাংক রেজিমেন্টের একটি দল আত্নসমর্পণ না করে খুলনার শিরোমনিতে অবস্থান নেয়। তারা ৭ম নৌবহরের আশায় খুলনা হয়ে বঙ্গোপসাগরের দিকে সরে যাচ্ছেল। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচন্ড আক্রমণের মুখে ওই দলটি আত্নসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের ওই অপারেশনটির নাম 'ব্যাটল অব শিরোমনি' এবং অপারেশনের কমান্ডার যিনি দুই হাতে দুই এসএলআর উঁচিয়ে ফায়ার করতে করতে ট্যাংকের ভেতরে ঢুকে গিয়েছিলেন তিনি হচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধের ৮ নং সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল (পরবর্তীকালে মেজর জেনারেল) এমএ মঞ্জুর, বীরউত্তম। [৪] মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে যে কয়জনের নাম স্বর্নাক্ষরে খোদিত থাকবে মঞ্জুর তাদের অন্যতম । তার পরিচালিত অপারেশন শিরোমনি বা ট্যাঙ্ক ব্যাটল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডিফেন্স কলেজে পাঠ্য । শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে । একই সাথে মঞ্জুর হত্যার বিচার দাবি করছি ।
১। আমাদের সংগ্রাম চলবেই , অপরাজেয় সংঘ
২। http://www.amrabondhu.com/manik/3981
৩। http://www.amrabondhu.com/manik/3963
৪।http://www.sachalayatan.com/manik061624/20276
মঞ্জুররে যে কিভাবো মারলো
কোন না কোন ভাবে দেশের সূর্য সন্তানদের মারা হলো।
শেষ হয়ে গেলো? তুই আলাদা একটা সিরিজ কর, বিজয়ের একমাস
প্রায় ১৮ বছর পালিয়ে থাকার পর সেই খুলনায়ই গ্রেফতার হন এই সেক্টর অধিনায়ক !
/////////////
মানে কি?১৮ বছর পালায় ছিলেন কেন?কোন ১৮ বছর?
মন্তব্য করুন