কুহেলিকা'এর ব্লগ
সেবা প্রকাশনীর রূপান্তর/অনুবাদ কড়চা
জ্ঞান হওয়ার পর থেকে বাড়িতে আর কিছু দেখি আর না দেখি, সব সময়ই অল্প-বিস্তর বই দেখে এসেছি। তাই পড়া কম হলেও বইয়ের প্রতি আলাদা একটা টান আছে। বইয়ের জন্য ভালোবাসার সিংহভাগের দখল নিয়ে আছে প্রজাপতির মনোগ্রামওয়ালা একটা প্রকাশনী। প্রজাপতির কথা বলার সাথে সাথেই নিশ্চয়ই সবাই বুঝে ফেলেছেন সেবা প্রকাশনীর কথা বলেছি। সেবার প্রতি এই গাঢ় ভালোবাসার কারণ হচ্ছে, হাফপ্যান্ট ছেড়ে প্যান্ট পরতে শুরু করেছি সেবার বই পড়তে পড়তে, স্কুল থেকে কলেজ, কলেজ থেকে ভার্সিটি ধরেছি সেবার বই পড়তে পড়তে। তাই সেবার জন্য কলিজায় আলাদা একটা টান বরাদ্দ থাকেই। এজন্য প্রিয় এই প্রকাশনীর দিকে যখন দেখি কেউ অহেতুক আঙুল তোলে, তখন কষ্ট লাগে।
দূরদর্শন এবং ঝিঁ ঝিঁ পোকা (ক্রিকেট) সমাচার-১
বাল্যকাল হইতেই 'দূরদর্শন' নাম্নীয় চৌকোনা একটা বাক্সের প্রতি ছিল সীমাহীন তীব্র কৌতুহল। ইহার ভিতরে মানব-মানবীরা কি সুন্দর করিয়া কথা বলিয়া হাসাহাসি করিত তাহা দেখিতাম আর মুগ্ধ হইয়া যাইতাম। আর ভাবিতাম-"আহা! আমিও যদি ইহার ভিতরে যাইতে পারিতাম কি মজাই না হইত।" আস্তে আস্তে শৈশব পার করিয়া কৈশোরে উপনীত হইলাম। তখন একটু একটু করিয়া বুঝিতে শিখিয়াছি ভদ্রলোকেরা ইহাকে আদর করিয়া 'টেলিভিশন' নামে অভিহিত করিয়া থাকেন।
টাইগারদের বলছি
"বাংলাদেশ"। ছাপ্পান হাজার বর্গমাইলের ছোট্ট একটি বদ্বীপ। ষোল কোটি মানুষ এখানে মিলেমিশে বসবাস করে আসছে যুগের পর যুগ ধরে। আমাদের দেশ ছোট হতে পারে কিন্তু আমাদের ইতিহাস কম সমৃদ্ধ নয়, কম গৌরোবজ্জ্বল নয়। অগণিত জ্ঞানী-গুণীর জন্ম দিয়েছে রত্নগর্ভা এই দেশ। অগণিত শহীদের রক্তের বিনিময়ে, মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এসেছে আমাদের স্বাধীনতা। এসবই স্বাধীনতার আগের কথা। স্বাধীনতার পরে আমাদের সবচেয়ে গর্বের জিনিস সম্ভবত "ক্রিকেট"।
মন খারাপের দিনগুলো
খুব উৎসাহ নিয়ে ব্লগে এসেছিলাম; ভেবেছিলাম নিয়মিত লিখতে পারব, সাথে অন্যদের লেখাও পড়তে পারব। কিন্তু নানা ঝামেলা ও সমস্যার জন্য
লিখতে পারিনি, পড়া তো অনেক পরের ব্যাপার। ভর্তি পরীক্ষা, ট্যাব চুরি হয়ে যাওয়া এবং দীর্ঘ দুই মাস প্রচণ্ড শারীরিক অসুস্থতার জন্য লিখতে পারিনি।
ভেবেছিলাম ভর্তির ঝামেলা শেষ হলেই লিখতে বসব, কিন্তু কিসের কী! আলসেমির জন্য লিখতেই পারছিলাম না। অবশেষে শরীর ও মনের সাথে
তুমুল যুদ্ধে জয়ী হয়ে আজ দীর্ঘ প্রায় নয় মাস পর লিখছি।
প্রায় দুই মাসের দীর্ঘ ক্লান্তিময় দৌড়াদৌড়ির পর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশাধিকার পেলাম। এত দিন বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মনে মনে অনেক রোমান্টিসিজম,
অনেক পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ভর্তির অদ্ভুত আলস্যে শরীর, মন ভরে গেল; আগের চেয়ে অনেক বেশি হোমসিক হয়ে গেলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি
আশরাফুলঃএক হতাশার, এক স্বপ্ন ভঙ্গের কাব্য
জ্ঞান হওয়ার আগে থেকেই ক্রিকেটের সাথে পরিচয়, আর জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই ক্রিকেটের সাথে প্রেম। মনে ১৯৯৯ সালে অভিষেক বিশ্বকাপেই যখন বাংলাদেশ যখন পাকিস্তানকে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে তখন আআআমার পাঁচ কি ছয় বছর। সেদিনের ছোট্ট আমি কিছু না বুঝেই বড়দের সাথে বাঁধহীন উল্লাসে মেতে উঠেছিলাম। তখন থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রায় প্রত্যেকটি জয়-পরাজয়ের সাক্ষী হয়ে আছি। ক্রিকেটারদের সাফল্য-ব্যর্থতায় হেসেছি-কেঁদেছি। সাক্ষী হয়ে আছি ২০০৪এ ভারতকে মাটিতে নামিয়ে আনা জয়ের, ২০০৫এ জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া বধ, ২০০৬এ শ্রী-লঙ্কান সিংহকে খাঁচায় পুরা, কিংবা ২০০৭ বিশ্বকাপের অবিস্মরনীয় সাফল্যের। শুধু দলের ভাল সময়ে আনন্দ করেছি তাই নয়, দল যখন খারাপ খেলেছে তখন মন খারাপ করেছি, কিন্তু গালি দেইনি; আশায় বুক বেধেছি পরের খেলার জন্য। গত বছর ২২'শে মার্চ যখন এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে মাত্র ২ রানে হেরে যাই তখন সবার সাথে আমিও চোখের পানি ফেলেছি; সেই সাথে তাদের জন্য গর্বও অনুভব করেছি আমরা ১৬ কোটি বাঙ্গালী। এরকম হাজারো আনন্দের-গর্বের আমৃতি আমাদের উপহার দিয়েছেন ক্রিকেটাররা। হাজার দুঃখ-কষ্টে জর্জরিত, দারিদ
ম্যাঙ্গো পিপল এবং আমের "আঁটিখেলা "
বাড়িতে শেষ দিনটা কাটালাম আজ। আক্ষরিক অর্থেই শেষ দিন কাটালাম, ভাবতেও অবাক লাগে সারা দিন বাড়িতে কাটানোর পর এখন রাত বারটায় শুয়ে আছি বাড়ি থেকে আশি কিলোমিটার দূরে!
আধুনিক ঈশপের গল্প
সেই গল্পটা মনে আছে? সেই যে ঈশপের মিথ্যাবাদী রাখালের গল্পটা। এক রাখাল বালক প্রতিদিন বাঘ এসেছে, বাঘ এসেছে বলে চিৎকার করত আর গ্রামের সব মানুষ ছুটে আসত তাকে বাঁচানোর জন্য। রাখাল বালক মানুষের নির্বুদ্ধিতা দেখে হাসত, আর নিজেকে খুব চালাক মনে করত। কিন্তু যেদিন সত্যি সত্যি বাঘ আসল আর সে শত চিৎকার করার পরও সবাই এটাকে দুষ্টুমি ভেবে কেউ তাকে বাচাঁতে আসল না সেদিন সে তার জীবন দিয়ে বুঝতে পেরেছিল সে মোটেও বুদ্ধিমান ছিল না। এই গল্প জানে না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব এক কাজ। তাহলে আপনারা ভাবছেন সবার জানা গল্প নতুন করে আবার বলে আপনাদের কেন বিরক্ত করছি? কারণটা বলছি, তবে তার আগে বলে নেই আমরা কিন্তু জানা কথাটাই বারবার ভুলে যাই, আর বিপদে পড়ি। এবার আসল ঘটনাটি বলি।
ফালতু, পুরাই ফালতু!
সাহাইয্য চাইঃ সুপ্রিয় ব্লগারস, আপনারা কেউ কি টেলিটক ফ্ল্যাশ মডেমের মডেল জানেন? কেউ জানলে আমাকে একটু কষ্ট করে জানান, ইহা জানা আমার জন্য অতীব জরুরী। আপনারা যদি দয়া করিয়া আমাকে জানান তাহলে আমার অতিশয় উপকার হয় এবং আপনাদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ ও ঋণী থাকিব। আশা করি পোস্টের শুরুতে আপনারা অধমের এই অবাঞ্ছিত প্রসঙ্গকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখিবেন। আসলে শুধু এইটুকু সাহায্যের জন্য ছোট্ট করে পোস্ট দিয়ে ব্লগের মুল্যবান পাতা নষ্ট করতে ইচ্ছা করল না, তাই মূল পোস্টের আগে ছোট্ট করে সাহায্যটুকু চেয়ে নিলাম। আশা করি আপনারা অত্যাচারটুকু সহ্য করে নেবেন।(অবশ্য আমার পোস্ট মানেই অত্যাচার, খালি আজাইরা প্যাঁচাল পাইরা আপনাদের দামী সময় নষ্ট, হে, হে...)।
অন্ধকারে নিমজ্জন অতঃপর......
পূর্বসুরিদের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতীক ৫ মিনিটঃপিশাচদের প্রতি ঘৃণার প্রতীক ৫ মিনিট
বেশ কিছুদিন ধরে বাড়িতে আছি, তাই নিয়মিত অনলাইনে আসতে পারিনা, ফেসবুকেও বসিনা অনেকদিন ধরে। সেদিন ফেসবুকে লগইন করতেই দেখতে পেলাম একটা ইভেন্টের ইনভাইটেশন-"গোয়িং ব্ল্যাক আউটঃবার্থ থ্রু জেনোসাইড (অন্ধকারে নিমজ্জনঃঅতঃপর একটি রক্তস্নাত জন্ম"।)
ইনভাইটটা পেয়েই মনটা ভরে গেল। স্বাধীনতার ৪২ বছর পরে আমরা নতুন প্রজন্ম আর কিছু না হোক অন্ততঃপক্ষে আমাদের পূর্বসুরিদের প্রতি এই বার্তাটুকু তো দিতে পারছি যে-'আমরা তোমাদের ভুলিনি, ভুলব না, ভুলতে পারি না, পারব না। তোমাদের রক্ত দিয়ে পিশাচেরা হোলি খেলায় মেতেছিল যে রাতে সেই দুঃস্বপ্নের রাত আমরা কখনোই ভুলিনি। আমরা এটাও ভুলিনি যে ঐ কালোরাত্রির ৪২ বছর পরও পাকিস্তান আমাদের কাছে একবারের জন্যও ক্ষমা চায়নি।"
হোম, সুইট হোম!
বাড়ি এসেছি তিন দিন হয়ে গেছে, অথচ একদিন থাকার কথা ছিল। বাড়ির মায়া ছাড়াতে পারি না, তাই এখনো নগরজীবনে ফেরা হয়ে উঠেনি। গ্রামের মধুর আলস্য চুটিয়ে উপভোগ করছি। এই তিনদিন আড্ডা, ঘোরা আর খেলা নিয়েই আছি। শুক্রবার রাতে এসেই চরম একটা ঘুম দিলাম। আহা! এই ঘুমের জন্যই তো বারবার বাড়ি আসা। এত আরাম বাড়ি ছাড়া আর কই পাব। আমার মনে হয় জীবনে যারা গ্রামে যায়নি তাদের চেয়ে দুর্ভাগা আর কেউ নেই। অনেক ছেলে-মেয়েই আছে যারা বাংলাদেশে থাকে অথচ জীবনে কখনো গ্রামে যায়নি-কথাটা অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য লাগলেও এটি কিন্তু মোটেও অবিশ্বাস্য না। আমি নিজে এমন বেশ কিছু ছেলে-মেয়ে দেখেছি যারা জানেনা ধানগাছ দেখতে কেমন, তাদের ধারণা ধানগাছের কাঠ দিয়ে তক্তা বানানো হয়।এদেরকে দেখলে হাসি পায়, গ্রাম সম্পর্কে এদের চিন্তা-ভাবনা শুনে আতংকিত হই ভবিষ্যত প্রজন্ম গ্রাম চিনবে তো? এদের নিয়ে দেশের সংস্কৃতিকর্মীদের চিন্তা করা উচিত, তাদের উচিত দেশের গ্রামীণ সংস্কৃতিকে আরো বেশি করে মানুষের সামনে তুলে ধরা।
জার্নি টু সুইট হোম
জার্নি টু সুইট হোম ul>জার্নি টু মাই সুইট হোম
(১-০৩-২০১৩)
বাড়িতে চলে এসেছি আজকে। ঢাকায় ঠিকমত ঘুম হচ্ছিল না, তাই বাড়িতে রওনা দিলাম। ঠিকমত একদিন ঘুমিয়েই কাল আবার ঢাকা চলে যাব। আমার অদ্ভূত একটা অভ্যাস আছে, ঢাকায় প্রতিদিন ১২ ঘন্টা ঘুমালেও ঘুম ঠিকঠাকমত হয় না, সারাদিন যায় আলস্যের মধ্য দিয়ে, পুরো শরীরে ব্যাথা করে। কিন্তু বাড়িতে ৪-৫ ঘন্টা ঘুম দিলেই শরীর ঝরঝরে হয়ে যায়। তাই প্রায়ই ঘুমানোর জন্য বাড়ি চলে যাই, ঝাকানাকা একটা ঘুম দিয়ে পরদিন চলে আসি। কয়েকদিন থেকে মনে হচ্ছিল ঘুমটা ঠিকমত হচ্ছেনা, তাই চিন্তা করলাম বাড়ি থেকে ঘুরে আসি। যে কথা, সে কাজ। ক্লাশ শেষ করেই ছুটলাম বাড়িতে।
আবোল তাবোল
২০১০। এস এস সি পরীক্ষা শেষ, হাতে অফুরন্ত অবসর। আগে কখনো এত বড় ছুটি পাইনি, তাই পুরো দিশাহারা অবস্থা। সবেমাত্র কৈশোর পার করার উপক্রম করছি, কি হয়ে গেনুরে ভাব নিয়ে চলি। কি করে সময় কাটাব তার একটা রুটিন করে ফেললাম-বই পড়া, আড্ডা দেওয়া, তুমুল খেলাধুলা আর সব বন্ধুদের বাড়িতে বেড়ানো। কিন্তু দেখা গেল, আমরা কেউই রুটিন ঠিক রাখতে পারছি না। রুটিনের প্রথম কাজটি বাদে বাকি কাজগুলো প্রায় হচ্ছিলই না, তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রথম কাজ, বই নিয়ে ডুবে রইলাম। একসময় দেখা গেল বাড়ীর সব বই-ই পড়ে ফেলেছি! বেহেশতী জেওর থেকে শুরু করে শরৎ রচনাবলী, পাক সার জমিন সাদ বাদ-বাড়িতে যত বই ছিল তার সবগুলোই আমার হাতে অত্যাচারিত হয়েছে।
বইমেলায় আগুন লাগেনি, আগুন লেগেছে আমাদের প্রাণে, আমাদের অস্তিত্বে
বই মেলায় আগুন! এও সম্ভব, এটাও হতে পারে! খবরটা শুনার পর স্থাণু হয়ে গিয়েছিলাম। পুরো ২৪ ঘন্টা অনুভূতিশূন্য থাকার পর লিখতে বসেছি। চোখ ফেটে জল আসছে, রাগ, ক্ষোভ -ঘৃণা অপমান, অভিমানে সারা শরীর থরথর করে কাপছে। বইমেলা শুধুই একটা মেলা নয়। এই মেলার সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের অস্তিত্বের ইতিহাস, আমাদের চেতনা, আমাদের ভাষার ইতিহাস। বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। এই মেলা রাতারাতি সৃষ্টি হয়নি। এ মেলার সাথে জড়িয়ে আছে একটি জাতির অভ্যূত্থানের ইতিহাস। বইমেলার সাথে জড়িয়ে আছে বাঙ্গালীর আবেগ, ভালবাসা। অথচ সেই বইমেলায় আগুন! অবিশ্বাস্য! নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস হয় না।
খুঁজে পাওয়া প্রাণের স্পন্দন ও একটি প্রতিজ্ঞা
বইয়ের সাথে পরিচয় ও সখ্যতা সেই ছোটবেলা থেকে(পাঠ্য বই ভেবে ভুল করবেন না কিন্তু)। বইয়ের প্রতি ভালবাসাটা অনেকটা উত্তরাধিকার সূত্রেই পেয়েছি। বুঝতে শেখার পর থেকেই বইয়ের অরণ্য দেখে আসছি। আব্বা বাড়িতে যেখানেই ফাঁকফোকর পেতেন সেখানেই আলমারি বসিয়ে তাঁর বইয়ের সংগ্রহ বাড়াতেন। আমার এক দাদি আছে প্রায় ৭০ বছর বয়সী, কিন্তু এখনো উনি চশমা চোখে বই পড়েন। পরিবারের আবহাওয়াই যদি এমন বইময় হয় আমি কি এর বাইরে যেতে পারি?
শুদ্ধতম ৩ মিনিট
জীবনের শুদ্ধতম ৩টা মিনিট পার করলাম আজ বিকেলে। এখন নিজেকে পৃথীবির বিশুদ্ধতম মানুষদের একজন মনে হচ্ছে। আমি সেই হতভাগাদের একজন যারা আজ শাহবাগে প্রজন্ম চত্বরে যেতে পারিনি। কিন্তু তারপরও আজ এই প্রথম নিজেকে বিকেলের তিন মিনিটের জন্য হলেও নিষ্পাপ, বিশুদ্ধ মনে হচ্ছিল। জীবনের আঠারটি বসন্ত পার করে এখন উনিশতম বসন্ত পার করার প্রস্তুতি নিচ্ছি, কিন্তু নিজেকে কখনোই আজকের মত নিষ্পাপ, কলংকমুক্ত লাগেনি।
আজকের তিন মিনিট শুধুমাত্র বাংলাদেশকে স্তব্ধ করে দেওয়ার তিন মিনিটই নয়, এ তিন মিনিট বাংলাকে, বাঙালীকে বিশুদ্ধ করার তিন মিনিটও বটে। অনেকে হয়ত প্রশ্ন করবে কি হবে তিন মিনিট নিরব থেকে? সাহিত্যিক, লেখক ইমদাদুল হক মিলনের সাথে গলা মিলিয়ে তাদেরকে বলতে চাই-" এগুলো করে কি হবে জানিনা কিন্তু এগুলো না করলে যে কিছুই হবে না তা যানি।" তাই কি হবে না হবে তার হিসেব না কষে আমিও দাঁড়িয়ে পড়েছিলাম পুরো বাংলাকে স্তব্ধ আর বিশুদ্ধ করতে চাওয়া মানুষগুলোর একজন হয়ে।