বাতাসে ককটেলের গন্ধ
কুড়ি পেড়িয়েছি সেই যুগল বৎসর হল,
শতাব্দীর সঙ্গীত বোদ্ধারা তখন একত্র আমার মাটিতে ।
হয়তো আমি খুঁজে ফিরছি অন্য কোন পথ,
তবু সে পথ আমার বেঁকে এসে পরে এই উঠোনে ।
বিনিদ্র রজনী আর সুরের মূর্ছনা,
হেঁটে চলছি আমি এক অন্য পথের পথিক ।
বিদ্রোহী মন চায় একলা ছুটে যাই
উৎসবের অন্তরালে,দূষিত ফুসফুসের স্পর্শে,
পারিনা,আমি পারিনা,
শত চেষ্টায়ও আমি ব্যর্থ,হয়তো সুপ্ত ইচ্ছায় !
খ্রিস্টাব্দে সময়টা তখন স্থিমিত সূর্য,
আমি ব্যস্ত অপরিচিত আঙ্গিনার মুগ্ধতায়,
হঠাৎ শুনি শ্রবণরুদ্ধ এক ধ্বনি ।
না,এ কোন ধ্বনি না,এ তো অশ্রাব্য অপসংস্কৃতি
যেখানে সঙ্গীত অপমানিত,বাকরুদ্ধ সংস্কৃতি,
এরই মাঝে ভেসে আসে,নাস্তিকতা রোগাক্রান্ত ।
তবে কি বন্ধু তুমি দেখোনা ?
তোমার ধর্মবাদীরা আজ ককটেল আক্রান্ত ।
আর তথাকথিত নাস্তিকরাই সেখানে অসহিংস ।
আমি তো এক নির্জন পথের বিদীর্ন পথিক
ফুসফুসটা বিশুদ্ধ না হলেও তো চলছে,
নিঃশ্বাসের সাথে তবে আজ এই কিসের গন্ধ পাই ?
এ কি সপ্তম আসমান পেড়োতে পারেনি ?
তুমি এখনও নিশ্চুপ,এ কি করে সম্ভব ?
আমার শুদ্ধ মাটির সুগন্ধ যে ক্রমেই দুর্গন্ধময় হচ্ছে,
বাতাসের অক্সিজেন ভারি হয়ে আসছে
মৃতপ্রায় ধমনীটাও ক্লান্ত,
আমার বাতাসে আজ ককটেলের গন্ধ ।
জীবনের প্রথম কবিতা
পড়ে তো প্রথম কবিতা মনে হয়নি
আমার বেশ ভাল লেগেছে
বেশ ভালো।
অসাধারণ
মন্তব্য করুন