হুংকার ভুলে গেছি, কান্নাই সম্বল!
তোমার মন্দিরে আর হয়তো ফিরবনা।
স্নানের নামে পবিত্র জল আর ঘোলা করবনা,
ঘন নিঃশ্বাসে ও বাতাস আর ভারি হবেনা,
আমার গন্ধেও আর কুকুরগুলো ছুটে আসবেনা,
ওদের ঝাঁপাঝাঁপিতে তোমার বাগানও শ্রী হারাবেনা।
পূজোর থালায় উচ্ছিষ্ট বলেও আর কিছু থাকবেনা,
ধ্বংস হবেনা তোমার কষ্টার্জিত প্রসাদ।
তোমার ছায়াই যে তোমার মন্দির, আমি জানি।
ঢেকে রাখো তাকে পরম আদরে, ফুলের চাদরে!
কিংবা যদি একে মসজিদ বলেই বড়াই করো,
মুড়ে ফেল জমজমের পানিতে আর রঙ্গিন কাফনে,
সুগন্ধ তবু ছড়াবে ওই এক আগরবাতিটাই।
এক ফালি আকাশ ঢেকে মোমের আলো ছড়াতে পারো,
পারবে কি একটু সুগন্ধ ছড়াতে?
পারবেনা জানি, শুধুই হা হুতাশ করবে!
ভালোবাসি বলেই আজও তোমায় আঁকড়ে রেখেছি।
কী দিয়েছ আমায়, এক নামটুকু ছাড়া?
দুর্ভিক্ষে আজও ভাটা পড়েনি, তবু বেঁচে আছি!
মেলেনি মুক্ত সহবাসের সুযোগ, তবু বেঁচে আছি!
আমার হুংকার আজ কন্নায় বিলিন, তবু বেঁচে আছি!
যেটুকু খাবার জল ছিল, তাতেও বিষ মেশালে?
অভুক্ত সন্তানগুলো আমার কাঁদছে, দেখো!
পিপাসায় গলাটা শুকিয়ে আসছে।
ওপারে একবার তাকিয়ে দেখো, ওরা আমায় ডাকছে,
আমিতো যেতে চাইনা, তোমায় ভালোবাসি বলে!
অনেক তো হল, আর পারছিনা।
আর হয়তো ফিরবনা তোমার মন্দিরে।
অভিমান করছ? কোরোনা যেন!
তোমায় ভালোবাসবো আমি চিরকাল,
প্রসব বেদনা সয়েছ, এবার আমাকে সইতে দাও
তোমায় ছেড়ে যাবার কষ্টটা!
প্রাণটাই যদি না থাকে, কিভাবে বাসি ভালো বল!
ভালো থেকো মা, এই আশাই করি।
আর কুকুরগুলোকে একবার বোলো,
মা কালীর বলি কেবল অমাবশ্যার আহার।
ভরা পুর্নিমায় লোভটা সামলানো দায়!
তবে সংযমী হতে যদি হেরে যায়,
শাওয়ালের চাঁদটুকু আর দেখা হবেনা!
ওরা হয়তো সেদিন সপ্তম আসমান পেরবে,
অগ্নিশিখায় পুড়বে হতভাগ্য উত্তরসূরিরা!
অনেক দারুন এবং রমান্টিক একটি লেখা। এটি পড়ে আমার অনেক ভাল লেগেছে।অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন