ইউজার লগইন

শওকত মাসুম'এর ব্লগ

ভিনদেশী থ্রিলার

সিনেমা জনরের মধ্যে সম্ভবত থ্রিলারের দর্শক সবচেয়ে বেশি। অবসর কাটাতে একটি জম্পেস থ্রিলার থাকলে আর কি লাগে। এই থ্রিলারগুলোর অবশ্য একটা আলাদা বিশেষত্ব আছে, সবগুলো ভিনদেশী থ্রিলার। অবশ্যই আমার দেখার মধ্য থেকে বাছাই করা।

১. টেল নো ওয়ান: ফ্রেঞ্চ মুভি। আলেক্সান্দ্রে বেক একজন ডাক্তার। ৮ বছর আগে স্ত্রী নিহত হয়েছিল। স্ত্রীর বাবা এ জন্য তাকেই সন্দেহ করে। আট বছর পরে জোড়া খুনের সন্দেহ পড়ে আলেসান্দ্রের ওপরে। ঠিক একই দিনে একটি অদ্ভুত মেইল পায় আলেক্স।

215px-tell_no_one_2006.jpg

অর্থনীতি, অর্থমন্ত্রী ও আমরা

১.

আমাদের অর্থমন্ত্রী লোকটা একটু অন্যরকম। উদাহরণ দিই, গত ১৮ জানুয়ারি অর্থমন্ত্রণালয়ে বৈঠক হলো। বিষয় ছিল পাঁচ টাকাকে সরকারি মুদ্রায় রূপান্তর করা। আগে তা ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক নোট। আলোচনা হল আইন সংশোধন করা হবে। ফলে এর পর থেকে পাঁচ টাকার নোট ছাপাবে অর্থ ​বিভাগ।

অর্থমন্ত্রীর জন্য সব পত্রিকা বা টেলিভিশনেই নির্ধারিত রিপোর্টার থাকেন। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী কথা বলেন। ​সেদিন অর্থমন্ত্রী কি বলেছিলেন জানেন তো? বলেছিলেন দেশে আর এক টাকা বা দুই টাকার নোট থাকবে না। সর্বনিম্ন নোট হবে পাঁচ টাকার। সরকার এক টাকা ও দুই টাকার নোট তুলে নেবে।

অর্থমন্ত্রী সেদিন যা বলেছিলেন হুবহু পত্রিকা থেকে তুলে দেই–

‘পুরোনো এক ও দুই টাকার নোটগুলো বাজার থেকে তুলে নিয়ে ধ্বংস করা হবে। এগুলো ধ্বংস করতে ৩০০ কোটি টাকার মতো ব্যয় হবে।

দিন যায় রে বিষাদে, মিছে দিন যায়

১.
আমাদের বালকবেলা ছিল অন্যরকম। অনেক ছোট ছোট ঘটনা, অনেক বড় বড় বিস্ময় নিয়ে বড় হয়েছি আমরা। আমরা চার ভাইবোন, আমাদের অনেক অনেক খালাতো-মামাতো-চাচাতো-ফুফাতো ভাই বোন নিয়ে আমরা বড় হয়েছি হেসে-খেলে।
নিশ্চই সবার বালকবেলা একরকম হয় না। প্রত্যেকেরই বালকবেলার আলাদা আলাদা গল্প থাকে। সেই গল্প কি রকম? আর বালকবেলা নিয়ে যদি সিনেমা হয় কেমন হবে সেটা? একটা কাজ করলে কেমন হতো? একটা ভিডিও ক্যামেরা যদি সবসময় আমাদের চারপাশে থাকতো তাহলে নিশ্চই গল্পটা জানা যেতো?
আমাদের জীবনের একমাত্র জীবন্ত ছবি সম্ভবত বিয়ের ভিডিও। তবে বিয়ের অনেক অনেক বছর পর কতজন সেটি আনন্দ নিয়ে দেখেন কে জানে?

তিশানের চলে যাওয়া

১.
তিশানের ভাল নাম ইশমাম। দুটোই আমার রাখা। তিশানের জন্ম ১৯৯২ সালে, ১২ জুলাই। তথন খুব ইউরোপীয় চিত্রকলা নিয়ে পড়তাম। ইতালীর এক বড় শিল্পীর নাম তিশিয়ান বা তিশান।আমার বড় বোনের ছেলে হল, নাম রাখলাম তিশান।
তিশান আমাদের চার ভাই–বোনের পরিবারের প্রথম সন্তান। সেই যে পিজি হাসপাতাল থেকে ওকে নিয়ে আসলাম সেটা এখনও চোখে ভাসে।তিশান ছিল সবচেয়ে আদরের। চোখ দুটি ছিল অসাধারণ।কখনো রাগ হতে দেখিনি। কিছু বললে কেবল হাসতো।
সেই তিশানের জীবন থেমে গেছে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর। আমার ভাইবারে তিশানের প্রোফাইলে দেখা যাচ্ছে ‘লাস্ট অনলাইন অন অক্টোবর ১৫’।

চোখের তারায় আয়না ধরো

অশোক কুমারের একটা অনেক পুরোনো সিনেমা আছে, সংগ্রাম। ১৯৫০ সালের হিট সিনেমা। এক পুলিশ অফিসারের কাহিনী, যে কিনা অসৎ। সে মিথ্যা বলে, জুয়া খেলে, পছন্দ হওয়ায় একটা মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে জোড় করে বিয়েও করে। নায়ক কিন্তু খারাপ-ভারতীয় সিনেমা জগতে সেই প্রথম। কেবল তাই নয়, ভারতীয় সিনেমায় হিংস্রতা আর যৌনতার প্রবেশও এই সিনেমাটির হাত ধরে। তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিল।
সিনেমাটি দেখে মানুষ তখন পুলিশ দেখলেই হাসাহাসি করতো, নানা ধরণের কথা বলতো। মোরারজি দেশাই তখন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। ১৬ সপ্তাহ ধরে তখন সিনেমাটি হাউসফুল। মুখ্যমন্ত্রী সিনেমাটি নিষিদ্ধ করলেন। ডাকলেন একদিন অশোক কুমারকে। ডেকে তিনি অশোক কুমারকে একজন ভাল পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করতে অনুরোধ করেছিলেন।
১৯৫০ সালে সিনেমায় সুদর্শন নায়কের খারাপ পুলিশের অভিনয় দেখে চিন্তিত হয়েছিল সরকার, ভাবমূর্তির টান পড়েছিল পুলিশের। আর এখন?

গান-গল্প-সিনেমা

১.
কি বই পড়বো? এটা নিয়ে মাঝে মাঝেই মুশকিলে পড়ি। কারণ এখনও আমার কাছে পড়া হয়নি বা অল্প পড়েছি এমন বইয়েরও সংখ্যাও অনেক। মন এখন কেমন আছে এর উপরও নির্ভর করে কি বই পড়বো?
বইমেলা থেকে কিনেছিলাম মহাদেব সাহার আত্মস্মৃতি-১৯৭৫ : সেই অন্ধকার, সেই বিভীষিকা-বইটি। পড়তে শুরু করেছিলাম। ইত্তেফাকে আমার সহকর্মী ছিলেন। কিন্তু কখনো তেমন কথা হয়নি। দূর থেকে দেখতাম। আর বাসায় তাঁর কবিতা পড়তাম। কিন্তু বইটি পড়তে গিয়ে প্রচণ্ড হতাস হলাম। কারণ আত্মস্মৃতি বলতে তেমন কিছু পেলাম না। অথচ ৭৫ এর সেইসব দিনগুলো নিয়ে প্রচন্ড আগ্রহ আছে। এই বইটি মূলত বন্দনা সমগ্র। মহাদেব সাহা সেই সময়ের বাংলাদেশ নিয়ে যতটা লিখেছেন তারচেয়ে বেশি আছে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা বন্দনা।

২.

সিনেমা সিনেমা

ব্যস্ততা বেড়েছে। অফিস আসি দুপুর ১২টিায়, যাই রাত ১২ টায়। এর মধ্যেও কিছু সময় বের করতে হয়। অনেক সিনেমা জমে আছে, নতুন নতুন সিনেমাও আসছে। গান শোনার অভ্যাস খানিকটা এখনও রয়ে গেছে। আর বই তো নিত্য সঙ্গী। এর মধ্যে আবার মাঠে যেয়ে টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপের তিনটি খেলাও দেখেছি। এই ফাঁকে বলে রাখি আমি মাঠে গেছি আর বাংলাদেশ জিতছে এমন একটা ঘটনাও কিন্তু নাই। Stare Sad
আজকের বিষয় কিন্তু সিনেমা। কয়টা ভাল সিনেমা দেখে ফেলছি। সেইগুলো নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে পারি।

পরিচয় যখন সাংবাদিক

১.

একজন সম্পাদকের কথা বলি। তার মূল ব্যবসা হচ্ছে পত্রিকা বের করার জন্য মালিক খোঁজা। তারপর এক সময়ে টাকা পয়সা নিয়ে ভেগে যাওয়া। তবে ডাকাতেরও বাপ থাকে। ধরা খেয়েছেন অবশ্য একবার। পত্রিকা হারিয়ে দখলে রেখেছেন একটা অনলাইন পোর্টাল, আগের পত্রিকার নামে। তার কাজ হচ্ছে অন্য মিডিয়া থেকে নিউজ চুরি করা। সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে চুরি করার সময় আবার তারা নিজেদের ইচ্ছামত সংবাদটি টুইস্ট করা। হিট পাওয়ার জন্য নিজেদের মতো করে সংবাদটি তৈরি করা হয়।

নিজস্ব কোনো রিপোর্টার নেই, কয়েকজন আছে কেবল নিউজ চুরি করার দায়িত্বে। অথচ প্রতিটি রিপোর্টে একজন করে রিপোর্টারের নাম দেয়া আছে। সব নাম ভুয়া।

এই হচ্ছে ওই সম্পাদকের নৈতিকতা, মান ও সাংবাদিকতা। তার আবার সাংবাদিকতা শেখানোর একটা দোকানও আছে। নিজে যা জানেন না, মানেন না, তাই শেখান অন্যদের।

কতদিন টিকে থাকবে দৈনিক পত্রিকা

কথাটা এরকম-প্রিন্ট মিডিয়া সূর্যের মতো, এটি সবসময়ই পূর্বে উঠে আর পশ্চিমে অস্ত যায়। বিশ্বাস করুণ কথাটা সত্য। পশ্চিমে প্রিন্ট মিডিয়া বা দৈনিক পত্রিকার বড়ই দুরাবস্থা। বিক্রি কমেছে, বিজ্ঞাপনও কমছে। মানুষ দৈনিক পত্রিকা কম পড়ছে। ফলে এখন বড় প্রশ্ন হচ্ছে দৈনিক পত্রিকা আর কতদিন টিকে থাকবে?
অনেক বছর পর লন্ডনে গিয়ে প্রিন্ট মিডিয়ার দুরাবস্থা খানিকটা নিজেই দেখলাম। সকালে আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনে যাওয়ার পথে বিনামূল্যে পাওয়া যায় মেট্রো, আর সন্ধ্যায় ইভিনিং স্টান্ডার্ড। কারণ এখন আর অনেকেই কিনে দৈনিক পত্রিকা পড়তে চান না। বিজ্ঞাপনই ভরসা। দৈকি পত্রিকার বড়ই দুর্দশা পশ্চিমে।
অথচ দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিকদের রিপোর্টের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে নিক্সন সরকারের পতন ঘটেছিল। ওয়াশিংটন পোস্ট সেই রিপোর্ট করে প্রিন্ট মিডিয়াকে অন্য এক উ”চতায় নিয়ে গিয়েছিল। এর পরে এবং আগেও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার কারণে সারা বিশ্বে অনেক ওলট পালট হয়েছে, পরিবর্তন হয়েছে অনেক কিছুর। প্রশ্ন উঠেছে, সব কিছুই কী বন্ধ হয়ে যাবে।

আততায়ী বইটি হাতে পেয়ে……

১.
আমার পড়া প্রথম মাসুদ রানার বই স্বর্ণমৃগ। তখন ক্যাডেট কলেজে পড়ি। সেখানে গল্পের বই পড়া নিষিদ্ধ। মাসুদ রানা ছিল আরও নিষিদ্ধ। কারণ সেখানে যৌনতা থাকে। মাসুদ রানা বড়দের বড়. লেখা থাকতো প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য।

ক্যাডেট কলেজ জীবনের সমস্যা হচ্ছে কলেজে থাকলে মনে হতো কবে বাসায় যাবো। আর বাসায় গেলে মনে হতো কবে কলেজে ফিরে যাবো। সে সরকম এক মনখারাপের দিনে হাতে পাই স্বর্ণমৃগ বইটি। মুভি অব দ্য উইকে সেন্সর করা কিছু ইংরেজি সিনেমা দেখতে পেতাম। সুতরাং জেমস বন্ডের সিনেমাগুলো দেখার সুযোগ ছিল না। ফলে জানতে পারিনি স্বর্ণমৃগের মূল গল্প কোথা থেকে নেওয়া।

মনে আছে মন ভাল হয়ে গিয়েছিল, আর পেয়েছিলাম এক নতুন গুপ্তধনের সংবাদ। সেই যে মা

সুদ রানা ডুবলাম, আগের মতো না হলেও এখনও আছি। আমার শৈশবের বড় সঙ্গী মাসুদ রানা।

২.

দিল্লির কেচ্ছা

দিল্লি নিয়ে কিছু লেখার আগে আমার এক বন্ধুর গল্প বলি। অত্যন্ত দয়ালু মানুষ। উপকার করতে পারলে বর্তে যান। এই উপকার অবশ্য পরিবহন খাত সংক্রান্ত। ধরা যাক কাজ করতে গিয়ে অনেক রাত হয়ে গেছে। বাসায় যাওয়ার গাড়ি নেই। কিংবা দিনের বেলাতেই হঠাৎ কাজ পরে গেল, দ্রুত যেতে হবে-কোনো সমস্যা নেই। তিনি তো আছেনই। দ্রুত মোট সাইকেলের পেছনে বসিয়ে নিয়ে যাবেন তিনি। তবে মোবাইল ফোন কোম্পানির মতো করে বলতে হয়, শর্ত প্রযোজ্য। শর্ত হচ্ছে, অবশ্যই এই সুযোগ কেবল মেয়েদের জন্য আর মোটর সাইকেলের পেছনে দুদিকে পা ছড়িয়ে বসতে হবে, ছেলেরা যেমন করে বসে।
মেয়েদের মোটর সাইকেলে বসিয়ে হঠাৎ হঠাৎ ব্রেক করা একটি পুরোনো অসুখ। কিন্তু বসার ভঙ্গী কেন পালটাতে হবে? অনেক গবেষণার পর আমাদেরই আরেক বন্ধু বের করলো আসল কারণ।

মুদ্রারাক্ষস

রোজনামচায় বনফুল লিখেছিলেন, ‘শাসকেরা পাকে-প্রকারে বলেছেন-বারো টাকা কেজির তেল দিয়ে ভাল করে ভাজ/চোদ্দ টাকা কেজির মাছ/তারপর আমাদের জয়ধ্বনি দিয়ে দু’হাত তুলে নাচ।’ বনফুল এই রোজনামচা লিখেছিলেন ১৯৭৭ সালে, ২ ফেব্র“য়ারি। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। অথচ বারো টাকা কেজির তেলের কথা শুনলে মনে হয় এ যেন শায়েস্তা খাঁর আমলের কিছুদিন পরের কথা। শায়েস্তা খাঁর কথা যখন এসেই গেলো তখন টাকায় আট মন চালের কথাও এসে যায়। এখন তো এক টাকার নোটই যাদুঘরে চলে গেছে, সুতরাং এক টাকায় আট মণ চাল কেনার প্রশ্নই আসে না।
শায়েস্তা খাঁর আমলের সেই স্বর্গসম সময়ের কথা লিখে গেছেন ঐতিহাসিকেরা। অর্থনীতিবিদেরা হলে লিখতেন অন্যরকম। কারণ টাকায় আট মন পাওয়া যেতো ঠিকই, কিন্তু টাকাটাই যে পাওয়া যেতো না। এক টাকা উপার্জনের ক্ষমতাই বেশিরভাগ মানুষের ছিল না সেসময়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে ক্রয়ক্ষমতা, প্রকৃত আয়, দ্রব্যমূল্য বিষয়গুলো অনেক পুরোনো। এর অর্থনৈতিক নাম মূল্যস্ফীতি বা মুদ্রাস্ফীতি।

একটা ছেড়া রাত, স্বপ্নগুলো নষ্ট


ঢাকা ভার্সিটিতে ইকনমিকস নিলে ফোর্থ সাবজেক্ট হিসাবে ম্যাথ আর স্ট্যাটিসটিকস নেয়া বাধ্যতামূলক। চিরজীবনই আমার অংকের ভীতি আছে। অংক যাও বুঝি, পরিসংখ্যান একদমই না। সেই অংক আর পরিসংখ্যান নিতে হল বাধ্য হয়ে। পরিসংখ্যান ম্যাডাম ছিলেন দারুণ সুন্দরী। সুতরাং পরিসংখ্যান বুঝি আর না বুঝি ক্লাশে হাজির থাকতামই। বছর শেষে দেখা গেল স্টাটিসটিকস কিছুই বুঝি নাই, বুঝলাম খালি ভাইটাল স্টাটিসটিকস।
তারপর অংক আর পরিসংখ্যান শিখতে ফার্মগেট এলাকায় এক টিচারের কাছে পড়তে যেতাম। সঙ্গে আমারই ক্লাশের আরও তিনটি মেয়ে। ফলাফল একই। শিখলাম কেবল ভাইটাল স্টাটিসটিকসটি।

কবিদের নিয়ে

পাবলো নেরুদা ১৯৪৮ সালের দিকে নির্বাসিত জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়েছিলেন। স্বদেশে তাঁর বিরুদ্ধে ছিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। কিছু সময় তিনি ইতালীতেও ছিলেন তখন। এইটুকু সত্য কাহিনী। এরপর একটু কল্পনার আশ্রয় নেয়া যায়।
1_5.jpg
পাবলো নেরুদা তাঁর স্ত্রী মাতিলদেকে নিয়ে চলে গেলেন ইতালীর ছোট্ট একটা দ্বীপে। সেখানকার মানুষগুলো অশিক্ষিত, মাছ ধরাই একমাত্র পেশা। সেই দ্বীপে থাকতে গেলেন পাবলো নেরুদা। ভক্তদের প্রচুর চিঠি আসে। ফলে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিতে হল একজন পোস্টম্যান। মারিও খানিকটা শিক্ষিত, বাবার মতো মাছ ধরতে তার ভাল লাগে না, তার একটা সাইকেল আছে। পোস্টম্যানের চাকরিটা হয়ে গেল মারিওর।
220px-CucccinotaIlPostino.jpg

বিপ্লবের ভেতর-বাহির: সিরাজ সিকদারের ধরা পড়ার চমকপ্রদ নতুন কিছু তথ্য

সিরাজ সিকদার গ্রেপ্তার হন ১৯৭৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, চট্টগ্রামে। এই তথ্য আমরা সবাই জানি। ১৯৭৫ সালের ২ জানুয়ারি সরকারি প্রেসনোট থেকে সবাই জানেন যে, সিরাজ সিকদার নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার ও নিহত হওয়ার মাঝখানের ঘটনার কোনো বিবরণী এখন পর্যন্ত কেউ দেননি। সিরাজ সিকদার হত্যা মামলার বিবরণীতে অনেক কিছু লেখা আছে, কিন্তু এর সত্যতা নিশ্চিত নয়। বিবরণীর মধ্যে যে অতিরঞ্জন আছে তা বুঝতে কষ্ট হয় না।

সিরাজ সিকদার ধরা পড়েছিল পুলিশের হাতে। কিন্তু তাকে রাখা হয়েছিল শেরে বাংলা নগরের রক্ষী বাহিনীর কার্যালয়ে। এরপর কি হয়েছিল? কোনো প্রত্যক্ষদর্শীর কোনো বিবরণী এতোদিনে পাওয়া যায়নি। তবে আজ পাওয়া গেল। আনোয়ার উল আলম ছিলেন রক্ষী বাহিনীর একজন উপ পরিচালক। তিনি একটি বই লিখেছেন। রক্ষীবাহিনীর সত্য-মিথ্যা নামের বইটি প্রকাশ পেয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই)। বইটিতে অনেক অজানা কাহিনী আছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং নতুন তথ্যও আছে। সেটি হচ্ছে সিরাজ সিকদার কিভাবে ধরা পড়েছিলেন, কে ধরিয়ে দিয়েছিলেন।