দিল্লির কেচ্ছা
দিল্লি নিয়ে কিছু লেখার আগে আমার এক বন্ধুর গল্প বলি। অত্যন্ত দয়ালু মানুষ। উপকার করতে পারলে বর্তে যান। এই উপকার অবশ্য পরিবহন খাত সংক্রান্ত। ধরা যাক কাজ করতে গিয়ে অনেক রাত হয়ে গেছে। বাসায় যাওয়ার গাড়ি নেই। কিংবা দিনের বেলাতেই হঠাৎ কাজ পরে গেল, দ্রুত যেতে হবে-কোনো সমস্যা নেই। তিনি তো আছেনই। দ্রুত মোট সাইকেলের পেছনে বসিয়ে নিয়ে যাবেন তিনি। তবে মোবাইল ফোন কোম্পানির মতো করে বলতে হয়, শর্ত প্রযোজ্য। শর্ত হচ্ছে, অবশ্যই এই সুযোগ কেবল মেয়েদের জন্য আর মোটর সাইকেলের পেছনে দুদিকে পা ছড়িয়ে বসতে হবে, ছেলেরা যেমন করে বসে।
মেয়েদের মোটর সাইকেলে বসিয়ে হঠাৎ হঠাৎ ব্রেক করা একটি পুরোনো অসুখ। কিন্তু বসার ভঙ্গী কেন পালটাতে হবে? অনেক গবেষণার পর আমাদেরই আরেক বন্ধু বের করলো আসল কারণ।
কারণটা এবার বলি। আমাদের বন্ধুটির পিঠে ব্যথা আছে। এক ধরণের ব্যাক পেইন। ডাক্তার বলেছে, পিঠের দিকটায় মাঝে মধ্যে গরম কিছুর তাপ নিতে। আমাদের বাসায় এরকম একটা রাবারের ব্যাগের মতো কিছু একটা ছিল। দেখতাম এর মধ্যে গরম পানি দিয়ে তারপর ব্যথার জায়গায় ধরে রাখতে। বন্ধুটি আসলে মোটর সাইকেলে বসে সেই চিকিৎসাই নেয়। কী খারাপ? তাই না?
তবে এবার দিল্লি গিয়ে দেখলাম সেখানকার সব ছেলেদেরই মনে হয় ব্যাক পেইন আছে। সব ছেলেরাই খারাপ। কারণ মোটর সাইকেলে সব মেয়েরাই দেখলাম দুদিকে পা ছড়িয়ে বসে থাকে। কেবল ছেলেরা না, দিল্লির সব মানুষজনই আসলে খারাপ। সবাই পেঁয়াজ খায়। সেই পেঁয়াজ খাওয়ার গল্প তো আসরা জানিই।
পুরো দিল্লি এখন গরম এই পেঁয়াজ নিয়ে। পেঁয়াজের দাম বাড়ছেই। এক কেজি পেঁয়াজের দাম ৭৫ রূপি। দেখলাম মানুষজন চিন্তিত। হরিয়ানার একটি ট্যাক্সি চালককে বললাম, সমস্যা কি? পেঁয়াজ একটু কম খেলেই তো হয়। বিস্মিত হয়ে বললেন, তাহলে গরীব মানুষ কিভাবে বাঁচবে। গরীব মানুষের সঙ্গে পেঁয়াজের কি সম্পর্ক? গরীব মানুষরা দুই বেলা রুটি খাওয়ার জন্য কাজ করে। সেই রুটি খাবে সব্জি দিয়ে। পেঁয়াজ ছাড়া কি আর সব্জি রান্না হয়?
সেই জেনারেল থাকলে বলতেন-’বেশি করে রশুন খান, পেঁয়াজের উপর চাপ কমান’
২.
দিল্লি গরম কেবল পেঁয়াজ নিয়েই না। গরম রূপী নিয়েও। রূপীর মান কেবল কমছেই। এতে দিল্লীবাসীরা যতই অখুশী থাকুক, ডলার পকেটে নিয়ে বেজায় খুশী হলাম আমরা যারা ঢাকা থেকে গেলাম তারা। চারদিন ছিলাম। শুরু করেছি ১ ডলার=৫৯.২০ রূপী দিয়ে। শেষ দিন ১০০ ডলার ভাঙ্গিয়ে পেলাম ৬৪০০ রূপী এর পরই ফিরতে হল দেশে। তা না হলে হয়তো ৮০ রূপী পাওয়া যেতো এক ডলারে।
৩.
পেঁয়াজ আর রূপী নিয়ে বড়ই বিপাকে কংগ্রেস সরকার। সামনে নির্বাচন। সুতরাং রাজনৈতিক আলোচনাও ভালই চলছে দিল্লীতে। আগামি নির্বাচনে আবারও আসতে পারবে কংগ্রেস? নাকি নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি? ঢাকায় আমরা একজন আরেকজনকে এখন প্রশ্ন করি-নির্বাচন হবে? আর দিল্লীর লোকজনের প্রশ্ন হচ্ছে, কে জিতবে?
নরওয়ের খলিফা হারুন রশিদ ধরণের প্রেসিডেন্ট জনমত যাচাই করতে ট্যাক্সিক্যাবের চালক সেজে রাস্তায় বের হয়েছিলেন। আমি ধরলাম উল্টা পদ্ধতি। আমি মতামত নেওয়া শুরু করলাম ট্যাক্সি চালকেদেরই। চার দিনে অন্তত ৬ ট্যাক্সি চালকের সঙ্গে কথা হল। মজার ব্যাপার হলো, এর ৫ জনই হরিয়ানার। প্রথম যখন দিল্লী যাই, সেই ১৯৯৬ সালে, তখন অনেক সর্দারজি পেয়েছিলাম ট্যাক্সিচালক হিসাবে। এবার তেমন চোখে পড়লো না।
এবার জরিপের ফলাফল। ভাবছিলাম একটা মিশ্র ফল পাবো। এক পর্যায়ে মনে হল, ৯০-১০ হলেও হতে পারে। কিন্তু তাও হল না। প্রত্যেকেই সরাসরি বললেন, তারা নরেন্দ্র মোদীকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চান। কেন? এর ব্যাখ্যাও দিলেন একজন। কংগ্রেসে এখন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো কেউ নেই। মনমোহন সিং ভদ্রলোক মানুষ, কিন্তু নিজের কিছু নাই। সোনিয়াজির দিকে তাকিয়ে থাকে। আর তাছাড়া দেশে দুর্নীতি তো কমে নাই। নরেন্দ্র মোদী কেন? কারণ নরেন্দ্র মোদী দেখিয়ে দিয়েছে সে কাজ জানে। গুজরাটকে এক নম্বর রাজ্য বানিয়েছেন তিনি। সুতরাং নরেন্দ্র মোদীই ঠিক আছে।
এই ট্যাক্সিচালক ২৫ বছর হল বিয়ে করেছেন। ভালবেসে বিয়ে করেছেন। বউ কিভাবে রাখতে তারও কিছু পরামর্শ দিলেন আমাদেরই একজন অবিবাহিত সহকর্মীকে। পরামর্শটি হচ্ছে, বউকে জীবনের সব কথা জানাতে হয় না। সব কাজের কথাও বলতে নেই। বউ বা মেয়েরা যত কম জানবে তত ভাল। বেশি জানালে জ্ঞান বাড়বে। তাতে সমস্যা। সবকিছু বুঝে ফেলবে। এই ট্যাক্সিচালকটি আরও একটি তথ্য দিল। আর তা হচ্ছে, ভারতে যত মেয়ে আছে, সর্দারনীই সবার সেরা। বিজেপির কঠিন ভক্ত এই লোকটি। মিলে যায়।
৪.
দেশের বাইরে গেলে একটা উপদেশ শুনতে খুবই ভাল লাগে। জেনেভা যাওয়ার আগে এবং যাওয়ার পরেও অনেকেই বলেছিলেন, সাবধানে থাকবে। এখানে কিন্তু পকেটমার-টাউট আছে অনেক। টাকা ভাংতির কথা বলে পুরো মানিব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এভাবে হাজার খানেক ইউরো ছিনতাই হয়েছে এরকম একজন বিখ্যাত লোকের সঙ্গেও কথা হয়েছিল। ইউরোজোন হওয়ার পর, পূর্ব ইউরোপের বিশেষ করে রুমানিয়ার লোকজনই নাকি এটা বেশি করে।
মিশর যাওয়ার আগে আরও কঠিন সতর্কবাণী। ওখানে অলিতে গলিতে প্রতারণার ফাঁদ। চার হাজার বছরের পুরোনো বলে মেড ইন চায়নার জিনিষ ধরিয়ে দেবে। মিশরে পর্যটকদের এই সব প্রতারকদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আছে টুরিজম পুলিশ। খুশবন্ত সিংহের আন্তজীবনীতে আছে সেই ৫০ সালের দিকে কিভাবে মিশরে এসে টাউটের পাল্লায় পরেছিলেন।
এমনকি লন্ডন যাওয়ার আগেও সাবধান বাণী ছিল-খবরদার নির্জন জায়গায় একা যাবে না।
আমি ছিলাম দিল্লির কেরল বাগে। পাশেই শপিং করার বিশাল মার্কেট। আমাদের গাউছিয়া-নিউ মার্কেট টাইপ এলাকা। দেখার আছে অনেক কিছুই। তবে ভাল লাগছে পুলিশের অনবরত ঘোষণা দিয়ে যাওয়ার বিষয়টি। ঘোষণার মূল থিম হচ্ছে-প্রতারক থেকে সাবধান। কিভাবে সেখানকার মানুষ প্রতারণা করবে তার নানা বিবরণ দেওয়া হচ্ছিল। শুনতে ভালই লাগে। দিল্লির মানুষ কতধরণের প্রতারণা জানে তা সেই ঘোষণা থেকেই জানা যায় অনায়াসে।
৫.
প্রথম দিল্লী যাই ১৯৯৬ সালে। আমি তখন সংবাদে। আমি আর সাবির ভাই (এখন বিবিসি বাংলা বিভাগের প্রধান)। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে গিয়েছিলাম একটা সম্মেলনে অংশ নিতে। আমরা একদিন ছিলাম অশোকা হোটেলে, পরের দুই দিন তাজ মান সিং হোটেলে। যেদিন আমরা ফিরে আসবো তার আগের দিন রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বললেন, ‘তোমরা যাচ্ছো কেন? তোমাদের জন্য ৭ দিন হোটেল বুক করা। সঙ্গে একটা গাড়ি থাকবে। এই গাড়ি আগ্রা পর্যন্ত যেতে পারবা। সব কিছু ফ্রি।’ একথা আমরা আগে জানতাম না। ঢাকা থেকে কিছু বলেনি। তাই পরের দিনই ফিরে এসেছিলাম।
এরপর আরও দিল্লী গেছি, কিন্তু আগ্রা আর যাওয়া হয়নি। এবার পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল। গেলামও। সেই ভোর সাড়ে ৬টায় গাড়ি নিয়ে আমরা চারজন। এক্সপ্রেস হাইওয়ে দিয়ে গেলে টোল দিতে হবে ৩২০ রূপী, কিন্তু সময় কম লাগবে দেড় ঘন্টা। আমাদের পরিকল্পনা ছিল যাবো এই রাস্তা দিয়ে, ফিরে আসবো সাধারণ হাইওয়ে দিয়ে। কারণ দেখবো ফতেহপুর সিক্রি। কিন্তু এতো ভোরে যেয়েও লাভ হল না। গিয়ে দেখি তাজমহল বন্ধ। ইরাকের প্রেসিডেন্ট আসবেন, তাই তাজমহল বন্ধ। খুলবে ১২টার পর। বাধ্য হয়ে গেলাম আগ্রা দুর্গ দেখতে। বলতে বাধ্য হচ্ছিল তাজমহল দেখে আমি খানিকটা হতাশ। এর চেয়ে বরং আগ্রা দুর্গে দাঁড়িয়ে আমার অন্যরকম অনুভূতি হয়েছে। যে ঘরটাতে সম্রাট শাহজাহান আট বছর গৃহবন্দী ছিলেন সেই ঘরটির সামনে দাঁড়িয়ে অন্যরকম এক অনুভূতি হয়। এর ঠিক পাশের রুমটি সম্রাট দুহিতা জাহানারার। যে বাবার জন্য স্বেচ্ছাবন্দি বেছে নিয়েছিলেন। আর ডান পাশের ঘরটি শাহজাহানের আরেক মেয়ে জেবুন্নেছার। শাহাজাহানের এই দুই মেয়েই কবি ছিলেন।
আমি খানিকটা হতাশ আগ্রা দুর্গে এসেও। এর আগে আমি ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়ায় রাজার বাড়ি দেখেছি। সেখানে রাজা-রানীর ব্যবহার্য সব কিছু রেখে দাওয়া আছে। এমনকি ভিয়েনায় রানীর ব্যবহারের কমোডটিও রাখা আছে। কিন্তু আগ্রা দুর্গে কোনো কিছুই নেই। অনেক কিছু হয়তো তারা যাদুঘরে রেখে দিয়েছে। কিন্তু এখানে রাখলেই মানাতো বেশি।
৬.
তাহলে কিছুতেই কি অবাক বা বিস্মিত আর হই না? সেই বয়স কি পার করে এসেছি?
৭.
কিছুতেই বিস্মিত হই না তা কিন্তু ঠিক না। দেশের বাইরে গেলে একটা বিষয় নিয়ে ভয়ে থাকি। সেটি হচ্ছে রেস্ট রুম। যাকে খাঁটি বাংলায় বলি বাথরুম। ওয়াশিংটনে বাথরুমে ঢুকে মাথায় হাত। সমস্যা নিয়ে ভাবতে লাগলাম। এর মধ্যে দেখি আমার ছোট ভাই সুমন তার এক বন্ধু নিয়ে নিউইয়র্ক থেকে হাজির। সঙ্গে একটা অর্ধেক কাটা মিনারেল ওয়াটারের বোতল। কারণ এটাই সবচেয়ে জরুরী। অনেক উন্নত দেশে আমি বাথরুমে পানি ঢালার কিছু পাই নাই। সেই সব জায়গায় থাকা বড়ই কষ্টের।
তবে দিল্লিতে কষ্ট হয়নি। বরং দিল্লি অবাক করেছে। খুশীও হয়েছি। ঘটনাটি বলি। কমোডের ঠিক পেছনে ছোট একটা অ্যালুমুনিয়ামের পাইপ। কর্মসারার পর সেটি ছাড়লে পানির একটি ধারা প্রবল বেগে ছুটে যায় আপন গন্তব্যে। আপনার কাজ শুধু পানির ওই প্রবহমান ধারার সঙ্গে নিজের পশ্চাৎদেশ সমন্বয় করে ঠিক জায়গায় স্থির রাখা। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে এর চেয়ে ভাল প্রক্ষালনকর্ম পৃথিবীতে আর কোথাও পাবেন না। বিফলে মূল্য ফেরত।
দারুণ বর্ণনা । পড়তে ভালো লাগলো, নিজে তো কোথাও যাই না তাই এসব ঘুড়াঘুড়ির গল্প লোভ লাগে ।
শেষ বর্ণনাটা ব্যপক মাসুমীয়
নিজেও যাইবা। আর শেষ বিষয়টা আসলেই ব্যাপক
বস, তাজমহল দেখে আমার মধ্যে একটা রি-অ্যাকশন হয়েছিল। বাট হতাশ আমিও হয়েছি... কেনো জানিনা ! তবে ভালো লেগেছে কুতুব মিনার আর রেড ফোর্টের লেজার শো। ইন্ডিয়া গেট যতনা ভালো লেগেছে- তারচেয়ে বিকালে ঘুরতে আসা স্বল্পবসনাদের ভালো লেগেছে বেশি। পালিকা বাজারে কেনাকাটা করতে ভালো লেগেছে। সস্তায় অনেক ভালো জিনিস পাওয়া যায়। বিশেষ করে টি-শার্ট আর জুতো।
মোটর সাইকেলে বসা বা হট থেরাপি নিয়ে কিছু না বলি। ২/১ টা হট থেরাপির ছবি থাকলে ভালো লাগতো।
আপনার টয়লেট থেরাপি দুর্দান্ত।
পুরো লিখা তথৈবচ।
আপনার হট থেরাপি কেমন চলতাছে?
ব্যাপক হইসে ভাইয়া
চমতকার। মাসুম ভাই এর লেখা পড়লে মন খারাপ থাকলে তাও ভাল হয়ে যায়।
হট থেরাপি পড়ে মনে আসল, আচ্ছা মেজবাহ য়াযাদ ভাই এর ও কি তার হলুদ বাইকে হট থেরাপি নেন
মেসবাহ ভাই পাংখা থেরাপী নেয় মনে হয়
দিল্লী বহু দূর
এখন আর দূর না
দারুন হইছে ভ্রমন কাহিনী। আগ্রা ফোর্ট আমার ভাল লেগেছে।প্রতারনার শিকার হয়ে ছিলাম কিন্তু আর,পি বেদ নামক রাইটস এর এক ভদ্রলোক খুব সাহায্য করেছিলেন। তিনি এখনও আমাদের বন্ধু। ভেলপুরি খান নি। আর দিল্লীকা লাড্ডু ।
:)ু
বাইক সংক্রান্ত অনেক কাহিনীই শুনেছি, কিন্তু এহেন থেরাপি!!
চোর-ছ্যাচ্চর সব দেশেই আছে নানান রুপে দোষ খালি গরিব দেশগুলার!
বৈদেশে এক বান্ধবী্র সাথে বেজার মন কষা্কষি হয়ে গেলো, এবার দেশে এসে আমার সাথে দেখা করে নাই! সেখানে থাকাকালীন সময়ে তার বাসায় ১৫/২০দিন থাকার জন্যে পুরাই ঘর সাজায়ে একাকার হাল করে দিছে, ক্লজিটে গিফটের ছড়াছড়ি, তার জামাইও দারুন মিশুক। ছুটির দিনে বাইরে যাবার প্ল্যান করে রাখা, বিরাট সমাদরের হাল। সেখানে আমি মাত্র ৩দিন থেকেই চম্পট দিছি। এতো আদর আপ্যায়নের মাঝে দিয়ে কেম্নে বলি - দোস্ত'রে তোর বাড়িতে চেপচুপে থাকতে থাকতে তো ব্যাপক যন্ত্রনায় আছি, প্রতিবার শাওয়ারের অংশটা থেকে করিডোর দিয়ে লোটা হাতে টয়লেটে যেতে মন নাহি চায়!
ব্যাকপেইন থিকাই কি তাইলে বাইকার জেনারেশন সৃষ্টি হইছে?
রুপির দাম কমে,
ইন্ডিয়ান বই এর দাম কমে না ক্যান?
বস কমোডের এই জারিজুরিতে জাপান সেরা। হেরাই এইডা আবিস্কার কৈরা হুলুস্থুল বাধায় রাখছে। জাপানের একটা খোলা পার্কের রেস্ট রুমে গেলেও টাস্কিত হইতে হ্য়। যেমন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন তেমনি আছে নানা ব্যবস্থা।
দারুন হয়েছে। খুবই ভালো লাগল। ২০০৮ সালে একবার ভারত গিয়েছিলাম। কিন্ত ঐ পর্যন্ত যেতে পারিনি। আপনার কাছে বর্ণনা শুনে ভালো লাগলো ভাইয়া। আমার একটা বদ অভ্যাস আছে। যেখানে যাই একটু ছেড়েও আসি। খুব আফসোস আ-হা যদি ছেড়ে আসতে পারতাম। আ-হা কবে যে পারবো?
দারুন বর্ণনা!
টয়লেট নিয়ে ভোগান্তি হয় বাইরে গেলেই। তার সমাধান খুঁজে নিতে হয় আর কি ! আমি দেশের টয়লেটে র প্রলয়ঙ্কারী আবিস্কার " হ্যান্ড শাওয়ার " দেখে আর এর এর সুবিধা দেখে রিতিমত মুগ্ধ।সেই ধারনার উপর নিউইয়র্কে নিজের বাসায় লাগিয়েছি এই জিনিস অনেক কায়দা করে।মানে হল মিস্ত্রি কে ব্যাপারটা অনেক কষ্টে বুঝানোর পর লাগিয়ে দিলো ঠান্ডা পানির লাইনের সাথে। ব্যবহার করতে গিয়ে পশ্চাদদেশ ঠান্ডায় জমে যাবার দশা হোলো। কারণ ঠান্ডা পানির লাইন মানে ফ্রিজিং ঠান্ডা পানি। এটা আগে ভাবি নাই।য়াবার ডাক্লাম মিস্ত্রি। বললাম সমস্যার কথা। বেটা তো হেসে কুটি কুটি। পরে আমি নিজেই বললাম ঠান্ডা আর গরম পানির মিশ্রন করে লাইন দিতে, তাই দিলো, এবার মহা শান্তি।
মাসুম ভাই ওরা কিন্তু ডাল রুটিও খায় পেয়াজ দিয়ে। ধাবায় খেয়েছেন দিল্লীর রাস্তার ধারে? অমৃত। মাকাই রুটি, রাজমার ডাল আর পেয়াজ, খাওয়ার পর ভেজিটেরিয়ান হয়ে যেতে ইচ্ছে করবে
আমিও ৯৬ সালে প্রথম দিল্লী গেছিলাম
ট্যাক্সিচালক কি ভুল বলছে? জানলেইতো সমস্যা
তাজমহল দেখে আমি হতাশ হলেও যাদের কথা পড়ে পড়ে সন্ধ্যা দুপুর পার করেছি, পড়া মুখস্থ করে পরীক্ষা দিয়ে ক্লাশ ডিঙ্গিয়েছি তাদের এতো কাছে দাঁড়াতে পেরে এক ধরনের রোমাঞ্চ অনুভব করেছি যদিও যমুনা নদীর কোল ঘেঁষা আগ্রা ফোর্ট অনেক সুন্দর।
অল্প কয়েকদিনে অনেকগুলো মুঘল স্থাপত্য দেখেছিলাম এখন আর স্মৃতি ধোঁকা দেয় কোনটা যেনো কোনটা। এটা মুঘল স্থাপত্যের একটা নেতিবাচক দিক, প্রায় সবই গোলাপী ইট দিয়ে বানানো ঝরকা কাটা, খিলান দেয়া, বৈচিত্র্য ব্যাপারটা কম। যদিও হয়তো রাজস্থানের গরমের জন্যে ঐটাই আরামদায়ক পদ্ধতি ছিলো প্রাসাদ বানানোর তখনকার সময়ের জন্যে তবুও
আমারতো বয়স এতো বেড়েছে যে নতুন কিছু দেখার আগ্রহই কমে গেছে
স্কিফলের টয়লেট আরো মজার। ফ্ল্যাশ নাই। আপনি গলদঘর্ম হয়ে যখন টয়লেট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্যে দরজার নব ঘুরাবেন তখন অটো ফ্ল্যাশ হবে। এই গল্প আমি আমার ভাইকে যে করেছিলাম সেটা আমার মনে ছিল না। প্রথমবার ভাই বেড়াতে আসার পর আমি বার বার বলছিলাম ভাইয়া যাও টয়লেট থেকে ফ্রেশ হয়ে আসো। তিন চার বলার পর আমাকে বলে, এই গল্পটা তুই বলছিস আমাকে
দারুণ মজার পোষ্ট!
আপনার লেখা পড়লে মন ভাল না হয়ে উপায় নেই!
ঢাকার রাস্তায় ইদানিং বাইক হট-থেরাপি ভাল দেখা যায়।
মন্তব্য করুন