শওকত মাসুম'এর ব্লগ
লিমন দিয়ে শুরু করেছেন, এখনও বাকিগুলোও পারলে করেন..........
অবশেষে লিমনের বিরুদ্ধে র্যাবের মামলা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সরকার ৫ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হারার পর বুঝতে পারছে মানুষের অসন্তুষ্টির এটিও একটি কারণ। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কাদেরের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা তুলে নিয়েছিল ব্যাপক সমালোচনার মুখে। কিন্তু লিমনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করেনি র্যাব। এমনই দম্ভ ও ক্ষমতা তাদের। ১৬ বছরের একটি গরীব ছেলের বিরুদ্ধে ক্ষমতা দেখানো হল। নির্বাচনে ভরাডুবি না হলে, সামনে জাতীয় নির্বাচন না থাকলে আমি নিশ্চিত যে লিমনের বিরুদ্ধে মামলা চলতো।
অনেক দেরী হলেও সরকারের এই সিন্ধান্তে ধন্যবাদ জানাই। তবে লিমন দিয়ে বৈতরণী পার পাওয়া যাবে না। আরও কিছু কাজ করতে হবে। তার একটা তালিকা করা যায়।
১.
আমার মেয়ে
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমার মেয়েটা অসম্ভব মায়াবতী। কিন্তু সেই মায়ার কথা সে কাউকে বলতে পারে না। চোখ জুড়ে তার সমুদ্র। অল্পতেই সেই সমুদ্রে সুনামী ওঠে। কেউ কিছু বললে কিছু বলতে পারে না, চোখ বেয়ে শুধু পানি পরে। কাউকে সে ভালবাসার কথা বলতে পারে না, রাগের কথাও না। মেয়েটাকে স্কুল থেকে আমি নিয়ে আসি। একদিন দেখলাম, মন খারাপ করে স্কুল থেকে বের হয়ে আসলো। কি হয়েছে জানতে চাওয়া মাত্র দেখি চোখ দিয়ে অঝোরে পানি পড়ছে। কারণ আর কিছুই না, তার পাশে বসে যে মেয়েটি, সে কিছু একটা বলেছে। তার মায়ের হয়েছে মুশকিল। কিছু বলতেই পারে না। সঙ্গে সঙ্গে চোখে পানি।
বিবাহ নিয়া কথাবার্তা
লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে তিনি বললেন, বিয়ে করার পরপরই আমি জানতে পেরেছি, সুখ কী জিনিস। কিন্তু তত দিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে…!
কত দেরি? নিজের কথা বলার আগে কবিগুরুর কথাই না হয় বলি। কবিগুরু বলে কথা-
রবি ঠাকুর প্রিয়নাথ সেনকে নিজের বিয়ের নেমন্তন্ন জানিয়ে যে চিঠি লিখেছিলেন তার মাথায় লেখা ছিল – ‘আশার ছলনে ভুলি কি ফল লভিনু হায়’।
ছেলেটি বলেছিল মেয়েটির জন্য সে নরক পযর্ন্ত যেতে রাজি। ঈশ্বর তার কথা শুনেছে। তাদের বিয়ে শেষ পর্যন্ত হয়েছে।
তাহলে কি বিয়ের কিছুই ভাল নেই? আছে। আছে। একটা গ্রিক মতবাদ বলি-
যদি ভাল স্ত্রী পাও, তা হলে তোমার নিজের লাভ।
কারন তখন তুমি সুখী হতে পারবে।
কিন্তু যদি খারাপ স্ত্রী পাও তা হলে দেশের লাভ, কারন তখন
তুমি দার্শনিক হতে পারবে।
এবার বিয়ে নিয়ে একটা সিনেমার কথা বলি। রাজেশ খান্না আমার বরাবরই পছন্দ। শর্মিলা ঠাকুরও। এই দুইজনের চমৎকার একটা সিনেমা আছে। আবিস্কার। তুমুল প্রেমের পর বিয়ে করেছিল ওরা দুজন। তারপর কিছুটা সময় গেছে। এখন বিয়ের দিনটার কথাও মনে পড়ে না। সেই তুমুল প্রেম তাহলে কই গেলো?
বিপ্লবের ভেতর-বাহির: শেষ পর্ব
বিপ্লবের ভেতর-বাহির ১, বিপ্লবের ভেতর-বাহির: ২, বিপ্লবের ভেতর-বাহির: ৩, বিপ্লবের ভেতর-বাহির: ৪, বিপ্লবের ভেতর-বাহির: ৫
সিরাজ সিকদার নিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন শেখ কামালও। বলা যায় তিনি গুলি খেয়ে মরতে বসেছিলেন। মরেন নাই শেষ পর্যন্ত, তবে ব্যাংক ডাকাতের একটা তকমা দীর্ঘদিন ধরে শেখ কামালের নামের সঙ্গে জুড়েছিল। এখনও হয়তো কেউ কেউ তা বিশ্বাসও করেন। অনেকের জানা সেই গল্পটা আগে বলি।
বাজেট, সিনেমা-এই সব আর কি
১.
বাজেট আসলে একটাই চিন্তু কিভাবে এবার রিপোর্ট করবো। কিভাবে সাজাবো পাতাগুলো। রিপোর্টের ধরণ কি হবে। প্রথম পৃষ্ঠায় কি কি থাকবে।
একসময় বাজেট রিপোর্ট মানেই ছিল কতগুলো সংখ্যা তুলে দেওয়া। ছবি দিতাম ব্রিফকেস হাতে অর্থমন্ত্রী। বাজেটে সংক্ষিপ্তসার বইটায় কিছু আয়-ব্যয়ের চার্ট থাকতো, সেগুলো হুবহু ব্যবহার করতাম।
অথচ অন্য দেশগুলো বাজেটের পরিসংখ্যান উল্লেখই করে না বলা যায়। কারণ সংখ্যা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ না। বরং বাজেটে দর্শন আর মানুষ কি পেলো সেটাই মূল।
এবার বাজেটের জন্য অন্য দেশের পত্রিকাগুলো দেখছিলাম। মজা লাগলো টাইমস অফ ইন্ডিয়া দেখে। ভারতীয়দের জীবনে সিনেমা তাদের জীবন যাপনের অংশ। ওদের বাজেট ইলাস্ট্রেশনটা এরকম:
অ্যাং লির লাইফ অফ পাই-এর ঘটনাস্থল ভারত। আর এটিই ছিল এবারের অন্যতম আলোচিত সিনেমা। এই সিনেমার একটা দৃশ্যকে ফিউশন করে বাজেটের মূল ছবি করেছে পত্রিকাটি। দেখে মজাই লাগলো।
২.
বাজেট বক্তৃতা কে শোনে কে পড়ে আর কে বোঝে?
অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা কে কে শোনেন। এ বিষয়ে কোনো গবেষণা নেই। তাই বলা যাবে না সঠিক উত্তরটি। তবে নিশ্চিত করেই অনুমান করা যায়, সংখ্যাটি খুবই কম। সরকারি দলের সাংসদদের বাধ্য হয়েই শুনতে হয়। অর্থনীতির সাংবাদিকদের শুনতে হয় রিপোর্ট করার জন্য। চেম্বার নেতারা শোনেন। আর শোনেন অর্থনীতিবিদেরা। এর বাইরে কারা টেলিভিশনের সামনে বসে বাজেট বক্তৃতা শোনেন, বলা মুশকিল।
অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা শোনা আসলে কষ্টকর। অতি দীর্ঘ বক্তৃতা। সাধারণ মানুষের পক্ষে এত দীর্ঘ বাজেট বক্তৃতা শোনা আসলেই সম্ভব না। এই দীর্ঘ বাজেট বক্তৃতা পড়াটা সম্ভবত আরও বেশি কষ্টকর। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে যে অনেক কষ্ট করে বক্তৃতাটি পড়তে হয়েছে, তা অনেকেই টেলিভিশনে দেখেছেন।
এবারের বাজেট বক্তৃতাটি ছিল ১৮৫ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে ১১৯ পৃষ্ঠাই বক্তৃতা, বাকি পৃষ্ঠায় আছে পরিশিষ্ট। এবারের (২০১৩-১৪) বাজেট বক্তৃতায় অনুচ্ছেদ ছিল ২৫৩টি। তবে অর্থমন্ত্রীর দীর্ঘ বাজেট বক্তৃতার রেকর্ড অবশ্য ২০১১-১২ অর্থবছরে। ওই বাজেট বক্তৃতাই ছিল ১৪৮ পৃষ্ঠার, আর তাতে অনুচ্ছেদ ছিল ৩৫৬টি।
যে সিনেমা দেখতেই হয়
ভাল একটা সিনিমা দেখার মতো আনন্দ এই জীবনে খুব কমই আছে। জ্বর হওয়ায় কয়েকদিন বাসায় ছিলাম। বাসায় থাকলে সিনেমা দেখা হয়েই যায়। ভাল যে বিষয় সেটি হচ্ছে, সিনেমা দেখা হয় বেছে বেছে। ফলে ভাল ভাল সিনেমায়ই আজকাল বেশি দেখি। পাঁচ দেশের পাঁচ সিনেমা।
১. দি লেডি: অং সান সুচিকে নিয়ে সিনেমা। মায়ের অসুস্থতার কথা শুনে ১৯৮৮ সালে দেশে (বার্মা) ফিরে এসেছিলেন তিনি। লন্ডনে থাকতে আগে। দুই ছেলে আলেকজান্ডার অ্যারিস ও কিম অ্যারিস। সুচির স্বামী একজন ব্রিটিশ ছিলেন, মাইকেল অ্যারিস।
অং সান সুচির সেই জীবন নিয়ে সিনেমা দি লেডি। শুরু তাঁর বাবার হত্যার মধ্য দিয়ে, ১৯৪৭ সালে। তবে এরপরই সিনেমার কাহিনী শুরু ১৯৮৮ থেকে। ছবিটিকে সুচির জীবনী বলা যায়। আবার বার্মার রাজনৈতিক ঘটনার অন্তরালে এক অসাধারণ প্রেম কাহিনীও বলা যায় দি লেডিকে। এই প্রেম সুচি ও মাইকেল অ্যারিসের।
ব্লগর ব্লগর
..................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................
১.
যে যত বেশি নিরাপদ, সে তত বেশি তীব্র, তীক্ষ্ণ, দক্ষ সমালোচক
২.
ঘটনাস্থল থেকে যে যত বেশি দূরে সে তত বেশি সাহসী
৩.
আগে বিপ্লবীরা থাকতেন আন্ডারগ্রাউন্ডে অথবা কারাগারে, এখন বিপ্লবীরা থাকেন ফেসবুকে
৪.
বিপ্লবের ভেতর-বাহির: ৫
আমার কিশোর ভাই, প্রিয় ছিল স্বাধীনতা
শ্লোগানে উত্তাল হোত খুব। দর্পিত বাতাস
তাকে ডাক দিল, স্টেনগানে বাজাল সংগীত
বিরোধী বন্দুক থেকে একটি নিপুণ গুলি
বিদ্ধ তারে করে গেছে, ছিন্ন কুমুদের
শোভা দেহ তার পড়েছিল? জানি না কিসব
ঘাস জন্ম নেবে তার শয়নের চারপাশে,...
বিরোধী গুলির ক্ষতে যখন সুস্থির শুয়ে
আকাশের নীচে, চোখে তার বিস্মিত আকাশ
মানবিক সত্যরীতি, বঙ্গদেশ সুখের বাগান।
কবিতাটি লিখেছিলেন কবি হুমায়ুন কবির, তাঁর ছোট ভাই ফিরোজ কবিরকে নিয়ে। তাঁর কিশোর ভাইটি বরিশালে ১৯৭১ সালে আগস্ট মাসে পাক সেনাদের হাতে ধরা পড়েছিলেন। ১৮ আগস্ট বরিশালে ব্যাপ্টিস্ট মিশন সংলগ্ন খালপাড়ে দাঁড় করিয়ে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের একটি বড় কাজ মুক্তিযুদ্ধের কথ্য ইতিহাস। স্বরূপকাঠি গণপতিকাঠি গ্রামের শোভারাণী মন্ডল সরাসরি যুদ্ধ করেছিলেন। তাঁরও একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল।
প্র: আপনি যে দু’টো মুক্তিযোদ্ধা গ্রুপে অংশগ্রহণ করেছিলেন সেই দু’টো গ্রুপের উচ্চ পর্যায়ে অর্থাৎ লিডিং পর্যায়ে কারা ছিলেন ?
রাসেল কেন?
ব্লগে আছি অনেকদিন। তবে বেশ কিছুদিন ধরে কেবল আমরাবন্ধুতে থাকায় আগের মতো ব্লগের অনেক কিছুই জানি না, বুঝতেও পারি না। অনেককে চিনিও না। যেমন, সুব্রত শুভকে চিনতাম না। তাঁর লেখাও কখনো পড়িনি। তাঁকে প্রথম দেখলাম আটক হওয়ার পর।
ছোট্ট একটা ছেলে। মায়াময় একটা চেহারা। হেফাজতকে খুশী করতে শুভকে আটক করা হয়। একমাত্র শুভকেই ইউনিভার্সিটি এলাকা থেকে উঠিয়ে এনেছিল ডিবি পুলিশ।
সত্যি কথা বলতে আমি আগে আসিফকেও চিনতাম না। আসিফের নাম শুনি প্রথমবার আটক হওয়ার পর। তবে তাঁর ব্লগে গিয়ে কখনো লেখা পড়িনি। কিছু পড়েছি পরে, ফেসবুকের কল্যানে।
বিপ্লবকে চিনতাম, তবে কখনো হাই-হ্যালোর বাইরে কথা হয়নি। কিন্তু তার লেখা খুব ফলো করেছি বলা যাবে না।
খুব ভাল চিনতাম রাসলেকে। রাসেল পারভেজ। তাঁর লেখার আমি একজন কঠিন ভক্ত। আমি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ফোরামে বলেছি, ব্লগে এমন অনেকে আছেন যাদের লেখার মান অনেক প্রতিষ্ঠিত লেখকদের চেয়েও ভাল। আমার অফিসেও বলেছি। এ কথা বলার সময় আমার মাথায় থাকতো রাসেল। সেই রাসেলও এখন জেলে।
সব কিছুই আগের মতো
দালালদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলেন বঙ্গবন্ধু। এর আগে আইন সংশোধন করে দালালদের মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তি পায় অনেক অনেক দালাল। ১৯৭৩ সালে ডিসেম্বরে তিনি বললেন,
এসব লোক দীর্ঘদিন ধরে আটক রয়েছেন, এতদিন তারা নিশ্চয়ই গভীরভাবে অনুতপ্ত। তারা নিশ্চই তাদের অতীত কার্যকলাপের জন্য অনুশোচনায় রয়েছেন।.......মুক্ত হয়ে দেশগঠনের পবিত্র ও মহান দায়িত্ব গ্রহনের পূর্ণ সুযোগ তারা গ্রহণ করবেন এবং তাদের অতীতের সকল তৎপরতা ও কার্যকলাপ ভুলে গিয়ে দেশপ্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন।
এরপর আসল ১৯৭৪। বঙ্গবন্ধু লাহোরে ইসলামী সম্মেলনে যোগদান শেষে ফিরলেন। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই কেউ মনে রাখলো না বঙ্গবন্ধুর আশাবাদের কথা। বরং দালালরা পেয়ে যায় সুযোগ। কাজেও লাগালো সেই সুযোগ।
বেআইনী ঘোষিত জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলামী, মুসলিম লীগ, পি.ডি.পি. প্রভৃতি দলের একশ্রেণীর সদস্য এবং অন্যান্য পাকিস্তানপন্থীরা বেনামীতে রাজনীতির আসরে নামার জন্য 'চাঁদ তারা মার্কা' পতাকা নিয়ে জাতীয় গণতন্ত্রী দল নামে একটি নতুন দল গঠন করেন।
ভয়ঙ্কর এক তালিকা
‘নাস্তিক’ ব্লগারদের তওবার দাবিতে সায় কমিটির
ফেইসবুক ও ব্লগে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যকারীদের ‘তওবা’ করানোর সুপারিশ করেছে ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলেমরা, যাতে সায় জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কর্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি।
রোববার কমিটির সঙ্গে বৈঠকে ব্লগ ও ফেইসবুক ইসলাম ও মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মামলা করে কঠোর শান্তি দেয়ার সুপারিশ করেন।
‘নাস্তিক’ ও অপপ্রচারকারীদের তালিকা দিয়ে আলেমরা বলেন, “এরা তওবা করলে ভাল, নইলে শাস্তির আওতায় আনুন।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলেমদের সঙ্গে বৈঠকে এ সুপারিশের প্রেক্ষিতে কমিটির সভাপতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাইনউদ্দিন খন্দকার বলেন, “তওবা পড়ার সুযোগ দেয়া যেতে পারে, এর পরও তারা এ অপপ্রচার চালালে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
তিনি বলেন “অপপ্রচারকারীদের চিহ্নিত করে খুব দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে, এজন্যই নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে কমিটি থেকে।”
বিপ্লবের ভেতর-বাহির: ৪
হুমায়ুন কবির ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক। তিনি কবি ছিলেন। জীবনানন্দ দাশ নিয়ে তিনি উল্লেখযোগ্য বেশ কিছু প্রবন্ধ লিখেছিলেন। প্রথম কাব্যগ্রস্থ কুসুমিত ইস্পাত ছাপা হয়েছিল ১৯৭২ সালের জুলাই মাসে।
আজকাল হুমায়ুন কবিরকে নিয়ে খুব বেশি আলোচনা হয় না। তবে সেই সময়ের অনেকের লেখার মধ্যেই পাওয়া যাবে হুমায়ুন কবিরকে। হেলাল হাফিজের কথা আমরা শুনতে পারি-
বিপ্লবের ভেতর-বাহির: ৩
সকলেই জানি যে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বাম দলগুলোর ভূমিকা ছিল খুবই জটিল ও বিভ্রান্তিকর। মস্কোপন্থীরা এই বিভ্রান্তি থেকে দূরে ছিল। তারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। কিন্তু চীনপন্থীরা এই বিভ্রান্তি থেকে বের হতে পারেনি। পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি (মা-লে) যুদ্ধ শুরু হলে দুই ভাগ হয়ে যায়। এর মধ্যে এক ভাগ মুক্তিযুদ্ধকে বলেছিল, ‘দুই কুকুরের লড়াই’। মূলত মতিন-আলাউদ্দিন ও আব্দুল হক-তোহায়ার নেতৃত্বের দলগুলো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীরা করে। এর মধ্যে হক-তোহায়া পাকিস্তান বাহিনীর সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াইও করেছিল। এমনকি তারা পাক সেনাদের কাছে অস্ত্র পেয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। আবার সুখেন্দু দস্তিদার লাল ফৌজ বাহিনী গঠন করে পাক সেনা ও মুক্তিবাহিনী উভয়ের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করে। একই ধরণের কাজ করেছিল মতিন-আলাউদ্দিন গ্রুপ। যদিও একাত্তরের ঘাতক-দালাল বলার সময় এইসব চীনাপন্থীদের কথা আমরা কখনোই মনে করিনা।
বিপ্লবের ভেতর-বাহির: ২
প্রথম পর্ব বিপ্লবের ভেতর-বাহির ১ এখানে
এবারের পর্ব রুহুল আর রাহেলাকে নিয়ে। দুজনেই বিবাহিত। রুহুল একজন প্রকৌশলী, কিন্তু চাকরিতে মন নেই। রাজনীতিতে মগ্ন, তাও আবার প্রথাগত রাজনীতিতে নয়। সশস্ত্র বিপ্লবের জন্য তৈরি হচ্ছেন। পিকিং-এর গরম হাওয়া তার শরীর আর মন জুরে। স্ত্রী আছে, সন্তানও আছে।
রাহেলার জীবন একদমই অন্য রকম, অন্য মেরুর। রাহেলারও দুই সন্তান। রাহেলার স্বামী সামরিক বাহিনীতে কর্মরত, নাম বিগ্রেডিয়ার হাকিম। পূর্ব পাকিস্তান জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা বা এনএসআইর মহাপরিচালক।
রাহলারও এই জীবন পছন্দের নয়। রাহেলার লেখালেখিতে আগ্রহ। বেগম পত্রিকায় লেখেন। প্রগতিশীল চিন্তাভাবনার মানুষ। কিন্তু রাহেলার এসব চিন্তা বা কাজে সমর্থন নেই স্বামীর। ফলে এক প্রকার গৃহবন্দী রাহেলা। এক পর্যায়ে বাইরে যাওয়াই নিষিদ্ধ হয়ে গেল।