শওকত মাসুম'এর ব্লগ
ভিয়েনায় ঘোরাঘুরি
ভিয়েনা জায়গাটা সুন্দর। সাজানো-গুছানো। প্রকাশ্যে আইনের কড়াকড়ি নেই, কিন্তু সব চলছে নিয়ম মেনে। মেহমান আসার আগে বাড়ির ড্রয়িংরুম যেরকম গুছানো থাকে, ভিয়েনা যেন সেরকম।
ভিয়েনা আসলে গানের শহর। প্রথম ভিয়েনা দেখার শখ জেগেছিল সাউন্ড অব মিউজিক দেখে। কিন্তু সখটা তীব্র হয় বিফোর সানরাইজ দেখে। আহা! সেই যে ইথান হক আর জুলি ডিপলি ইউরো ট্রেন থেকে নেমে গেলো ভিয়েনায়।
বাংলাদেশের সবুজ পাশপোর্ট নিয়ে যে কোনো ইমিগ্রেশন কাউন্টারে একটু বিরক্ত লাগে। এমন ভাবে পাশপোর্ট দেখে আর তাকায় যে, মনে হয় ফিরে যাই। তবে আমার অভিজ্ঞতা হচ্ছে সময় নেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন সেরা। এতোটা দেরি আর কেউ করে না।
পালাবে কোথায়
পালানোর ছবি। বন্দি জীবন থেকে ওরা পালায়। জেল থেকে কিংবা যুদ্দবন্দি জীবন থেকে পালানো। সব কটিই আমার খুবই পছন্দের ছবি। পালানো মুল থিম হলেও ছবিগুলোর মধ্যে নানা বৈচিত্র আছে।
রাসেল আশরাফকে উৎসর্গ করা হল পোস্টটি
১. এজ ফার এজ মাই ফিট উইল ক্যারি মি-জার্মানির ছবি-
আমাদের রশীদ ভাই
কিছুক্ষণ আগে মারা গেলেন রশীদ ভাই। বিখ্যাত ফটো সাংবাদিক রশীদ তালুকদার। অত্যন্ত প্রিয় মানুষ। চাইলে অনেক কিছু পেতে পারতেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে পেট্রোল পাম্প বা পরিত্যক্ত বাড়ি নিয়েছেন তার একটা লম্বা তালিকা আছে। ব্যতিক্রম আলম ভাই ও রশীদ ভাই। আমার সৌভাগ্য দুজনের সাথেই কাজ করেছি।
আহা সাংবাদিকতা
বেশি কথা বলা ঠিক না। সরাসরি বিষয়ে যাই।
আজ একটা লেখা পড়লাম। বাংলাদেশ প্রতিদিনে। বিনোদনে ভরপুর এই লেখাটি। চুম্বক অঙশ দেই।
ব্লগবাকুম-৩
১.
আমাদের ছোটবেলায় রোববার রেডিওতে ছোটদের একটা অনুষ্ঠান হতো। সরাসরি। একটা আপা থাকতেন। আর বাচ্চারা। একেকজনকে ডাকতেন, কেউ গান, কেউ কবিতা বা ছড়া শোনাতেন। খুব আগ্রহ নিয়ে শুনতাম।
তখন থাকি নাখালপাড়ায়। পাড়ার বড় ভাই হাবিব ভাইরা খেলাঘর করতেন। আমরাও যেতাম। একবার খেলাঘর থেকে কেমনে কেমনে যেন ব্যবস্থা হল। আমরা কয়েকজন গেলাম রেডিওতে। শুরুতে একটা রিয়ার্সালের মতো হয়েছিল। সেখানে আমি একটা ছড়িা পড়েছিলাম। কিন্তু গন্ডগোল করে ফেলেছিলাম লাইভ অনুষ্ঠানে। 'আমার নাম মাসুম, আমি একটা ছড়া বলবো। ছাড়ার নাম........(মনে নেই)।' এই পর্যন্ত ঠিকই ঠিল। তারপরেই বিপত্তি। ভুলে অন্য একটা ছড়া বলে ফেলেছিলাম। এরপর আর আমি আমার প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাই নাই।
২.
পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আনন্দ আরেকটু কমে গেল
আশিয়ানা ছবিটা দেখেছেন? সেই যে দিপ্তী নাভাল ও মার্ক জুবের ছিল। সেই যে দুজনের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। সে সময়ের একটা গান আছে। গানটা আগে শুনি
উস মোর কে শুরু করে ফির ইয়ে জিন্দেগী
এই সিনেমাই আরেকটা গান আছে। একটু অন্যধরনের। সেটাও শোনা যায়
হামসফর বানকে হাম......
যারা আর্থ ছবিটা দেখেছেন তারা কী কখনো ভুলবেন সেই যে শাবানা আজমীর বাসায় গিটার বাজিয়ে রাজ কিরণের গানটা। ঝুকি ঝুকি সে নজর
একটা সিরিয়াস সাহিত্য আলোচনা
এটা একটা সাহিত্য আলোচনা পোস্ট। আমার হাতে একটি প্রকাশনা রয়েছে। একটি লিটল ম্যাগ। লিটল ম্যাগটি ঢাকার বাইরে থেকে প্রকাশিত। এটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের আনাচে কানাচে নানা ধরণের প্রতিভা রয়েছে। সৃজনশীল কর্মকান্ডে নিয়োজিত মানুষের সংখ্যাও কম নয়। তাদের তুলে আনতে না পারলে দেশ আগাবে না। আমার মতো ক্ষুদ্র মানুষের এই প্রয়াস যদি দেশের সাহিত্যের মনোন্নয়নে কিছুটা অবদান রাখতে পারে তাহলেই এই প্রচেষ্টা স্বার্থক হবে।
১.
পেচ্ছাপেচ্ছি্ আবারও
১.
আমাদের সবচেয়ে পছন্দের কাজ আড্ডা। কিন্তু মেসবাহ ভাই ঐতিহাসিক ল্যাব এইড ছেড়ে দেওয়ার পর আমরা আড্ডার সংকটে ভুগছি। আড্ডার নতুন জায়গা বের করার জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটির কাজ আড্ডার জায়গা খুঁজে বের করা। এরই মধ্যে কমিটি কাজ শুরু করে দিয়েছে।
একদিন কমিটি গেল নিকেতনে। মৌসুম থাকে বিরাট এক বাড়ি নিয়ে। ফুটবল খেলাও সম্ভব। সমস্যা একটাই। একটু দূরে। মৌসুমরে একটা অনুরোধ। বাসাটা একটা এদিকে আনা যায় কী না ভেবে দেখতে পারেন। আপনে না লক্ষী।
আরেকটা জায়গা দেখতে গেলাম গত বৃহস্পতিবার। শ্যামলী, টুটুলের বাসায়। এইটাও মন্দ না। যাওয়ার সময় টুটুলদের বাসার জন্য আইসক্রিম নিয়ে সেই আইসক্রিম নিজেরাই খেয়ে শেষ করা যায়। নাজ না থাকলেও যাওয়া যায় কীনা সেটা পরীক্ষা করে আসলাম। এখন টুটুল না থাকলেও যাওয়া যায় কী না পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
সৃজনশীল কথাবার্তা
১.
আমার একটা মাত্র বউ। সেই বউ আবার একটা স্কুলে পড়ায়। এবারের ঈদের ছুটিতে দেখলাম বান্ডিল বান্ডিল পরীক্ষার খাতা নিয়া বইসা থাকে। গম্ভীর হইয়া খাতা দেখে আর নাম্বার দেয়। মাঝে মইধ্যে দেখি ফিক কইরা হাসি দেয়। কেন দেয়? তারে জিগাইলাম। সে আমারে কয়টা খাতা দেখাইলো। আমিও ফিক কইরা হাইসা দিলাম।
এবার রেডি হন, ফিক কইরা হাসেন।
২.
একটা প্রশ্ন ছিল-স্বর্গ আর নরক কী?
ক্লাশ ফাইভের এক ছেলে লিখছে
স্বর্গ=আরাম আর আরাম
নরক=মাইর আর মাইর
৩.
আরেকটা প্রশ্ন ছিল অল্পপ্রাণ বার মহাপ্রাণ কাকে বলে?
ক্লাশ ফাইভের আরেক ছেলে লিখছে-
অল্পপ্রাণ হলো যার অনেক টাকা আছে কিন্তু কাউকে দেয় না।
আর মহাপ্রাণ হলো যার অল্প টাকা থাকলেও অন্যকে দেয়।
৪.
ক্লাশ সিক্সের খাতা। সৃজনশীল প্রশ্ন আর উত্তরের একটা অংশ আছে। প্রশ্নটা হইলো-বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ কী? এক ছেলে লিখেছে
ব্লগবাকুম-৩
রমজান শুরু হইছে। আজ একটু জ্যাম কম মনে হলো। তাতে অবশ্য দুর্ভোগ কমেনি। কারণ জানা যাচ্ছে এবার বিদ্যুৎ সংকট প্রকট হবে। সুতরাং লোড শেডিং থাকছেই। থাকবে পানি সংকট। গ্যাস সংকট তো আছেই। তার উপর বিরূপ প্রকৃতি। তীব্র গরম। বৃষ্টি একটু হলেও গরম কমছে না। সমস্যা আরও আছে। এবারের রোজা রাখতে হলে ১৪ ঘন্টা না খেয়ে থাকতে হবে। কিন্তু ইফতার বা সেহরী যে একটু স্বস্তি নিয়ে খাবেন, তারও উপায় নেই। বাজারে আগুন।
এ পরিস্থিতিতে মন শান্ত রাখতে হাদীস পড়া ছাড়া আর বিকল্প নেই। তবে এখানেও বিপত্তি। সঠিক হাদীস কোনটা সেটি জানা সহজ না। সর্বাধিক প্রসিদ্ধ হাদিস সঠিক কীনা সেই প্রশ্নও উঠছে। উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে।
হাদীসটি হল:
ব্লগবাকুম-২
১.
হঠাৎ করে অফিসের কাজে খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। এতোটাই যে, নিজস্ব সময় বলতে কিছু থাকছে না। নিজের জন্য কিছু সময় দরকার আছে। আর সেই সময়টা হতে হবে 'কোয়ালিটি টাইম'। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় এ কথাটা খুব শুনতে পাই। কোয়ালিটি টাইম তো দূরের কথা, স্বাভাবিক সময়টুকুও পাই না। আবার এটাও ঠিক অফিসের নতুন ব্যস্ততাটুকু এখনও উপভোগ করছি।
২.
কাজ শুরু করেছিলাম একজন অর্থনৈতেক সাংবাদিক হিসেবে। জীবনে এর বাইরে কখনো অন্য বিষয় রিপোর্টিং করার চাপ আমার উপর ছিল না। করেছি, মাঝেমধ্যে, সখে। জীবনে প্রথমবারের মতো ইকনমিক রিপোর্টিং এর বাইরে এসে কাজ করছি। ভাল লাগছে, আমার বলা যায় সুখের জীবন শেষ। ইকনমিক রিপোর্টিং-এ তুলনামূলক ভাবে ঝামেলা কম, একটু কঠিন হয়তো। তবে অন্যান্য বিষয়ের মতো খুব বেশি এখানে সেখানে যেতে হয় না। এক ধরণের আভিজাত্য ও মর্যাদা আছে। কঠিন জীবনে আসলাম, এই বয়সে।
৩.
চলোনা বৃষ্টি নামাই
১.
ওরা একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগে পড়তো। ছেলেটা যখন মাস্টার্স-এর ক্লাশ শুরু করেছে, মেয়েটি তখন সদ্য ক্লাশ করতে এসেছে। প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তাদের মধ্যে বিয়ে হল আরও ১০ বছর পরে। প্রেমের বিয়ে না। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের মধ্যে কখনো দেখাও হয়নি।
জুন মাসে বাংলাদেশ থাকে তপ্ত। গরমের লু হাওয়া বয়। আবার জুনে স্বস্তিও আছে। অবিরাম বৃষ্টি পড়ে। ২০০২ সালের সেই জুনে বৃষ্টি হচ্ছিল না। সেরকম এক সময়ে বিয়ে হলো ওদের। যেন বিয়ে হওয়ার জন্যই অপেক্ষা। বৌভাত পার হয়ে ওদের হানিমুনে যাওয়ার দিন থেকে শুরু হল অবিরাম বৃষ্টি।
কক্সবাজারে তখন এখনকার মতো এতো হোটেল ছিল না। লাবনী পয়েন্টে কেবল লাবনী, সিগালে মাত্র ইট বসানো শুরু হয়েছে। ওরা উঠেছিল কলাতলীতে, একটা রেস্ট হাউজে।
স্বাদ বদলাতে থ্রিলার
থ্রিলার দেখার মজাই আলাদা। সিরিয়াস ছবি দেখতে দেখতে স্বাদ বদল করতে থ্রিলারের জুড়ি নেই। থ্রিলারের মধ্যে ক্রাইম থ্রিলারই বেশি পছন্দ। ক্রাইম-স্পাই থ্রিলার আরও বেশি পছন্দ। কিন্তু ভাল, খুব ভাল ক্রাইম-স্পাই থ্রিলার পাওয়া সহজ না।
একসময় জেমস বন্ড ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে দেখতাম। ক্রাইম, স্পাই ও সুন্দরী নারীর মিশেল এই জেমস বন্ড। কিন্তু এখন জেমস বন্ড পানসে লাগে। মনে হয় রূপকথা দেখছি। আর এই যুগে যে আগের ধারার জেমস বন্ড চলবে না সেটি এখন প্রতিষ্ঠিত।
জেমস বন্ডকে বড় আঘাত দিয়েছে বর্ণ সিরিজ। নি:সন্দেহে জেসন বর্ণ জেমস বন্ডের চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয়। আমার ধারণে মুভিলাভাররা এই সিরিজের তিনটি ছবিই দেখে ফেলেছেন। যারা স্বাদ বদলাতে চান, তাদের জন্য বর্ণ সিরিজ অবশ্যই দেখার তালিকায় থাকা উচিৎ। বর্ণ সিরিজ মূলত স্পাই থ্রিলার। এক সাবেক সিআইএ খুনীর নিজেকে ভুলে যাওয়া নিয়ে মুভি।
চলন্ত বা ছুটন্ত প্রতিভা
এইটা প্রতিভাবানদের নিয়া একটা ছবি ব্লগ। নানা জাতের প্রতিভা আমাদের চারপাশে থাকে। সবাইরে আমরা চিনতে পারি না। আসেন আজ কিছু প্রতিভাবানদের চিনি।
গেছিলাম বেড়াইতে। যদিও রায়হান ভাই সমবেদনা জানাইছে আমারে, পুরানা বউ নিয়া বেড়াইতে যাওয়ায়। আমি হইলাম সেই প্রতিভাবান, যে পুরানা বউ নিয়া হানিমুনে যায়।
বেড়ানো মানেই তো ছবিতোলা। সেরম কিছু ছবি আজ দেখাই তাইলে।
১.
এইটা একটা অস্কার বা নোবেল পাওয়ার মতো ছবি। কাকদের নিয়া তোলা ছবির মধ্যে এইটাই সেরা। কি আলোর ব্যবহার, কি তার কম্পোজিশন. কি তার গতি। অসাধারণ বললেও পুরাটা আসলে বলা যায় না।
২.
ব্লগবাকুম-১
১.
কদিন আগে (১৯ জুন) বিএনপি সমর্থকদের নিয়ে তৈরি বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ শেয়ারবাজার নিয়ে একটি সেমিনার করলো। খালেদা জিয়া সেই সেমিনারে কথা বলেননি, কিন্তু উপস্থিত ছিলেন। সেখানে একজন আলোচক ছিলেন ফরহাদ মজহার। তাঁর বাণীটা একটু পড়ি প্রথমেই। তিনি বলেছিলেন, ‘সেমিনারে বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিতিই দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর নীতিগত অবস্থান প্রমাণ করছে।’
ফরহাদ মজহার খালেদা জিয়ার এই নীতিগত অবস্থান কবে আবিস্কার করলেন জানতে একটু মন চাচ্ছিল।
২.