ইউজার লগইন

শওকত মাসুম'এর ব্লগ

ইত্তেফাকের জন্ম রহস্য

logo-ittefaq.gif
একটা সময় বলা হতো বাংলাদেশে তিনটি প্রতিষ্ঠান আছে। আওয়ামী লীগ, সেনাবাহিনী ও ইত্তেফাক। বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে ওতোপ্রতো ভাবে জড়িত ইত্তেফাক। কিন্তু ইত্তেফাকের ইতিহাস নিয়ে আছে ধোয়াশা। এর প্রকৃত মালিকানা নিয়েও অনেক গল্প চালু আছে। পত্রিকাটির ভূমিকা নিয়েও আছে নানা আলোচনা। ইত্তেফাকের জন্ম নিয়ে এই পোস্ট।

কবিতারা

১.
আজকাল এবিতে অনেক বেশি কবিতার পোস্ট দেখা যায়। মানুষজন শুনছি কব্তিা নিয়ে ব্লগ থিসিসও করা শুরু করেছে। তাই ভাবলাম, আমিও বাদ যাই কেন? তাই কবিতা একটা লিখেই ফেললাম।
ভাবছিলাম কি নিয়ে কবিতা লেখা যায়। রবীন্দ্রনাথ প্রেম, প্রকৃতি, পূজা ও স্বদেশ নিয়ে বেশি কবিতা লিখেছেন। আমি স্বদেশ দিয়েই শুরু করলাম। আমি আবার অর্থনীতি নিয়ে কাজ করি। তাই স্বদেশ চিন্তায় অর্থনীতিও চলে আসলো।

আমরা নিরন্তর কাজ করে চলেছি
এগিয়ে চলেছি রূপকল্পের
স্বপ্ন পূরণের দিকে।

এগিয়ে চলেছি
সাহসী ও পরিশ্রমী মানুষকে সাথে নিয়ে
অর্থনৈতিক মুক্তির পথে,
সুন্দর ও আলোকিত এক আগামির পথে।

যেখানে আমরা দেখবো উন্নয়ন,
গণতন্ত্র
শান্তি
প্রগতির
অনন্য এক সহাবস্থান।

এ পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়,
বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে
কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌঁছাবোই।

কোনো অপশক্তির কাছে
কখনও পরাভব
মানিনি,
মানবো না।

আমাদের মিলিত শক্তি

মুভিস টু সি বিফোর ইউ ডাই

১০০ সিনেমা, যা মরে যাওয়ার আগে দেখা উচিৎ। এই নামে নানা ধরণের প্রকাশনা আছে। অনেক লেখকই এ ধরণের বই বের করেন। ইন্টারনেট ঘাটলে সবগুলোই পাওয়া যাবে। তবে তালিকায়র বেশিরভাগ ছবিই হলিউডের।

রাজনীতি নিয়ে সিনেমা-২: দুনিয়া কাঁপানো সত্য ঘটনা পর্ব

এবারের পর্বটিও সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি সিনেমা নিয়ে। তালিকার ৯টি ছবির ঘটনা পুরোপুরিই সত্য। একটিতে ভিন্ন একটি ব্যাখ্যা রয়েছে। তবে যেহেতু কেনেডি হত্যা রহস্য উদ্ধার হয়নি, তাই তালিকায় স্থান পেলো সিনেমাটি। যেসব ঘটনা বিশ্ব রাজনীতিতে বড় ধরণের ধাক্কা দিয়েছিল, সে সব ঘটনার ছবি নিয়েই এই আয়োজন।

১.জেড: রাজনীতি নিয়ে ছবি করার ক্ষেত্রে গ্রীক পরিচালক কস্তা গরভাস সম্ভবত পরিচালকদের মধ্যে প্রথম সারিতেই থাকবেন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত ছবি জেড। মূলত একটি হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে ছবিটি।
CostaGavrasZ.jpg

রাজনীতি নিয়ে সিনেমা- ১: গণহত্যা পর্ব

কখনো সক্রিয় রাজনীতি করিনি। কিন্তু নিজেকে আমি রাজনীতিবিমুখ মনে করি না। রাজনীতি আমার প্রিয় বিষয়, পঠনেও। এমনকি সিনেমা দেখার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সিনেমা আমার সবচেয়ে পছন্দের। আর সেটি যদি সত্য কোনো ঘটনা নিয়ে হয় তাহলে আরও বেশি পছন্দের। এখনও আমি খুঁজে খুঁজে রাজনীতি নিয়ে তৈরি সিনেমা কিনি এবং দেখি।
একবার সামুতে রাজনীতি, সংঘাত ও কর্পোরেট ক্রাইম নিয়ে সিনেমার একটি তালিকা করেছিলাম। সেই তালিকা পূর্ণাঙ্গ ছিল না। অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম পূর্ণাঙ্গ একটি তালিকা করবো। সেই চেষ্টা থেকেই এই লেখা।
এবার কর্পোরেট ক্রাইম বাদ দিলাম। এই ধরণের ছবি নিয়ে আলাদা করে লেখার ইচ্ছা আছে। এবার কেবলই রাজনীতি। আর রাজনীতি থাকলে সংঘাতও থাকবে। তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে ফিকশন বাদ দিয়েছি। আমার তালিকায় আছে সেই সব সিনেমা যার মধ্যে সত্যতা আছে। একটি লেখার মধ্যে সব সিনেমা আনা সম্ভব না। তাই পর্ব থাকছে। এটি প্রথম পর্ব।

আবারও পেচ্ছাপেচ্ছি

১.
আবহাওয়া খারাপ। প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। রাস্তায় পানি জমে আছে।
দুই ভিক্ষু হেঁটে হেঁটে যাচ্ছে কোথাও। পথে দেখে খুব সুন্দরী একটি মেয়ে, রাস্তা পার হতে পারছে না। সামনে হাঁটু সমান পানি জমে আছে। মেয়েটিকে দেখে ভিক্ষুদের একজন মেয়েটাকে কোলে করে নিয়ে রাস্তা পার করে দিল। মেয়েটাও কৃতজ্ঞতা জানালো।
তারপর আবার হেঁটে হেঁটে দুজনে আগের মতো পথ চলতে লাগলো।
অনেকক্ষণ, অনেকক্ষণ পরে দ্বিতীয় ভিক্ষুটি হঠাৎ বললো,-এটা কী করলা তুমি। মেয়েটা সুন্দরী দেখে এভাবে তাকে এতোটা রাস্তা কোলে বহন করে রাস্তা পার করে দিলা?
প্রথম ভিক্ষুটি তখন একটু হেসে বললো,-আমি তো মেয়েটাকে ওখানেই রেখে এসেছি। বহন তো করছো এখন তুমি।

এই গল্পটা আমার অনেককেই আজকাল শুনাতে ইচ্ছা হয়।

২.

অন্ধকারের উৎস থেকে

১.
জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন জীবনে কবে প্রথম পড়েছিলাম মনে নেই। ক্যাডেট কলেজে একবার আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বনলতা সেনকে ঠিক করা হয়েছিল। ক্যাডেট কলেজের নিয়ম হচ্ছে একটা কবিতাই নির্ধারণ করে দেয়া হতো। প্রতি হাউজ থেকে দুজন করে মোট ৬ জন একই কবিতা আবৃত্তি করতো। মনে আছে সেবার আমরা প্রায় সবাই বনলতা সেন মুখস্ত করেছিলাম। একটা অসাধারণ প্রেমের কবিতা হয়েই রয়েছে বনলতা সেন। স্বীকার করছি কবিতার প্রতিটি লাইন বোঝার চেষ্টা আমি কখনো করিনি।
ড. আকবর আলী খান মূলত আমলা। ইতিহাসের ছাত্র। পরবর্তীতে অর্থনীতিতেও উচ্চতর লেখাপড়া করেছেন। তাঁর একটা সাক্ষাৎকার পড়েছিলাম। অনেক বিষয়ের মধ্যে বনলতা সেনও ছিল। তিনি বনলতা সেনের একটি ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন। সেটাই জানালেন। বলেছিলাম বিস্তারিত নিয়ে একটা বই লিখবেন।

বনলতা সেন

হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,

আবার পেচ্ছাপেচ্ছি

১.
এই অংশটুকু যারা কেবল ইস্মাট ও নম্ম্র তাদের জন্য।

সবার আগে ছবিটা দেখে নেই

Picture_0.jpg

আমার মেয়ের স্কুলের সামনের দেয়াল থেকে তোলা এই বিজ্ঞাপনের ছবিটা। আপনাদের কারো ড্রাইভার লাগলে আওয়াজ দিয়েন। ইস্মাট ও নম্ম্র ড্রাইভার চাইলে এই সুযোগ হেলায় হারাইবেন না।

এই সুযোগে জানাইয়া রাখি শিক্ষিত (মাস্টার্স পাশ অর্থনীতিতে) ড্রাইভার চাইলেও আওয়াজ দিয়েন। দেওয়া যাবে Smile

২.
সুযোগ সুযোগ সুযোগ
মজা হুক্কা

একটা মেইল পেলাম আজ। মনে হয়েছিল ভাগ কাউকে না দেই। পরে ভেবে দেখলাম, আমার এই উপকারী মনটা তাতে খুশী হবে না। বরং সবাইকে জানানোই ভাল। সবাই মানে এই ধরেন, রায়হান ভাই, মেজবাহ ভাই, টুটুল, নজরুল, বাফড়া, মুক্ত, বীমা, বৃত্ত কিংবা বিলাই এই সুযোগ নিতে পারে।

১০ বছর আগে ও আজ

১০ বছর আগের কথা

ঠিক ১০ বছর আগের কথা। হিসেব করে দেখলাম ১০ বছর আগের কথাই। তখন ইত্তেফাকে কাজ করি। আমার এক সোর্সের বাসা ছিল উয়ারিতে। ইত্তেফাক থেকে কাছে, হেঁটেই যাওয়া যায়। আমার সেই সোর্স কিছু কাগজ পত্র বাসায় নিয়ে যেতেন, আমি বাসা থেকে সংগ্রহ করতাম। অনেকদিন এজন্য বাসায় গিয়েছি।
সেইদিনও অফিস থেকে বের হয়েছিলাম। আমার মনে আছে উয়ারিতে ঢুকেই ডান দিকের রাস্তায় যেতে হয়। কিন্তু সেদিন যে কী হল! আমি ডান দিকে ঢুকতেই পথ হারিয়ে ফেললাম। আমার মাথা পুরোপুরি শূন্য হয়ে গেল। কিছুতেই রাস্তা চিনতে পারলাম না। আমি কেবল উদভ্রান্তের মতো হাঁটছি তো হাঁটছিই। কিন্তু রাস্তা খুঁজে পাচ্ছি না। এভাবে মনে হয় আমি একঘন্টার মতো হেঁটেছি। ঘামছিলাম, কোনো রাস্তাই চিনতে পারছিলাম না। আমার মাথা পুরো ফাঁকা, খালি হাঁটছিই।
তারপর হঠাৎ দেখি সেই ডানের রাস্তা, একটু এগোলেই সেই বাসা। সহজ রাস্তা।

জীবন যে রকম

১.
এক উঠতি আঁতেল কবিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কেমন আছেন?
ভাব নিয়ে সেই কবি বলেছিল, ‌'রবীন্দ্রনাথ নেই, নজরুলও মারা গেছে। আমার শরীরটাও ভাল যাচ্ছে না'।
নানা ঝামেলায় অনেকদিন পর ব্লগে ঢুকলাম। কেউ আবার জানতে চাইয়েন না, কেমন আছি। Smile

২.
শচীনদেব বর্মন ত্রিপুরার রাজবংশের ছেলে ছিলেন। সে সময়ের ত্রিপুরা মানেই তো কুমিল্লা। শচীনকর্তা দীর্ঘদিন কুমিল্লায় ছিলেন। তাই সেসময়ের পূর্ব বাংলা নিয়ে শচীনকর্তার বিশেষ ভালবাসা ছিল। আর তাই তিন ইস্ট বেঙ্গলের কঠিন সমর্থক ছিলেন। দলটির খেলার নিয়মিত দর্শক ছিলেন। আর চরম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল মোহনবাগান।
শেষ বয়সটা ভাল যায়নি শচীনকর্তার। অসুস্থ ছিলেন। বলতে গেলে দীর্ঘদিন প্রায় কোমার মধ্যে ছিলেন। কিছু চিনতেন না, কথা বলতে পারতেন না, কোনো ধরণের সাড়াশব্দ ছিল না।

শেয়ারবাজারের তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে এখন যা ঘটছে

১.
রিপোটিং করার মধ্যে এক ধরণের নেশা আছে। এই নেশার কারণেই একবার রিপোর্টিং শুরু করলে এ থেকে বের হওয়া মুশকিল। যেমন ধরেন, ৭ এপ্রিল শেয়ারবাজারের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটি অর্থমন্ত্রীর কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে বলে জেনে আসছি। জানতে পারার সঙ্গে সঙ্গে রিপোর্টিং এর নেশা চেপে ধরলো। প্রতিবেদনটি বের করতে হবে। সরকার সহজে এই রিপোর্ট প্রকাশ করবে না জানা ছিল। সরকার প্রকাশ না করলেই যে পাওয়া যাবে না তাও না।
আগে থেকেই শুরু করলাম যোগাযোগ। একজন কথাও দিলেন যে রিপোর্টটি দেবেন। তবে প্রথম দিন কেবল সারাংশ, আর কয়েকদিন পর পুরোটা।
অর্থমন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়ার আধা ঘন্টার মধ্যে পেয়ে গেলাম সারাংশ অংশটুক। তিনি কথা রাখলেন, আমার জন্য সারাংশটুকু পকেটে রেখেছিলাম, কোন এক ফাঁকে সবার চোখ এড়িয়ে দিয়ে দিলেন।

ক্যু ও পাল্টা ক্যু

তাও অনেকদিন হয়ে গেল, নুরুজ্জামান মানিক ভাই এসএমএস করেছিলেন কিছু বইয়ের নাম চেয়ে। বাংলাদেশে ক্যু নিয়ে বইয়ের তালিকা। নানা ধরণের ব্যস্ততার কারণে কাজটি আর করা হয়নি। আর সব বইয়ের নাম আমার জানা আছে তাও না।
বইয়ের একটা তালিকা করবো করবো করেও করা হচ্ছিল না। এরই মধ্যে পড়ে ফেললাম নতুন একটা বই, কর্ণেল হুদা ও আমার যুদ্ধ। নীলুফার হুদার লেখা। নীলুফার হুদা কর্ণেল খন্দকার নাজমুল হুদার বীর বিক্রমের স্ত্রী। বইটি পড়তে গিয়ে মনে হল এবার মানিক ভাইকে বইগুলোর নাম দিতেই হয়। বিশেষ করে বইয়ের শেষ অংশটা পড়ে বেশি করে মনে হল। এই অংশে কর্ণেল হুদা কিভাবে মারা গেলেন তার একটি বর্ণনা আছে।
আমরা জানি যে, ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফ, কর্ণেল হুদা ও কর্ণেল হায়দার একসঙ্গে মারা যান ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর, তথকাকথিত সিপাহী বিপ্লবের সময়।
কর্ণেল হামিদের ভাষ্যটা পড়া থাকলে পুরোটা বুঝতে সুবিধা হবে। কর্ণেল হামিদ লিখেছেন,

কালবেলার সেই মাধবীলতা

Kaalbela.jpg
মাধবীলতার কথা মনে আছে? সেই যে অনিমেষের মাধবীলতা।
একটা সময় গভীর প্রেমে পড়েছিলাম মাধবীলতার। মাধবীলতা যদিও আমার প্রথম প্রেম ছিল না। প্রথম প্রেম ছিল মেমসাহেব। জীবনে একজন মেমসাহেব থাকবে, তার প্রেরণায় আমি বিরাট কিছু হয়ে যাবো তাও যে ভাবিনি তা নয়। কিন্তু মেমসাহেবের মৃত্যু মেনে নিতে কষ্ট হতো। এদিক থেকে নিমাই ভট্টাচার্য বেশ নিষ্ঠুর। এরপরে প্রেমে পড়েছিলাম সুনন্দার। চলতি পথে কোনো এক সুনন্দার সাথে হঠাৎ দেখা হওয়ার কথা খুব ভাবতাম। কিন্তু চারুদত্ত আধারকারের বঞ্চনার জন্য সুনন্দা কতটা দায়ী সে বিতর্ক এখনো আমার মনে রয়ে গেছে। এর পর প্রেমে পড়ি মাধবীলতার। আহা! মাধবীলতা।

ব্লগর ব্লগর

১.
কাল চট্টগ্রাম যাওয়ার কথা ছিল। শেষ পর্যন্ত তারিখ পিছালো। এখন যাবো ১০ এপ্রিল। অফিসের কাজে। থাকবো তিন দিন।
অনেকদিন পর চট্টগ্রাম যাবো। আমি পাহাড় ও সমুদ্র দুটোই পছন্দ করি। কিন্তু পছন্দের পাহাড় বা সমুদ্র দেখতে খুব বেশি চট্টগ্রাম যাওয়া হয় না। এবার কাজের সূত্রেই যাওয়া। ফলে পতেঙ্গা হলেও সমুদ্র দেখতে পারবো কীনা বুঝতে পারছি না।

২.
বাসা বদল করেছি। বাবা বিমানে চাকরি করতেন। আমার মনে নেই, শুনেছি আগে পুরানা এয়ারপোর্টে রানওয়ের পাশেই বিমান কর্মকর্তাদের বাসা ছিল। সেখান থেকে চলে যাই সেকেন্ড ক্যাপিটাল খ্যাত শেরে বাংলা নগরে। এখন আগারগাওয়ে যে সরকারি কোয়ার্টারগুলো আছে সেখানে কিছুদিন ছিলাম। এয়ারপোর্ট পাশে ছিল বলে বিমানের লোকজন সেখানেই থাকতো। সেখান থেকে চলে যাই শ্যামলী। কেবল মনে আছে শ্যামলীর বাসাটা অনেক বড় ছিল। সেখান থেকে বাবার পোস্টিং হয় ঠাকুরগাঁও।

জাতীয় ব্যাপার স্যাপার

১.
অনেক বড় কোম্পানি হয়ে গেছে তারা। লাভজনক তো বটেই। ১৫ বছরে অনেক বিনিয়োগ করেছে। সব মিলিয়ে যৌথ বিনিয়োগের এই কোম্পানি বাংলাদেশের প্রথম সারির কোম্পানি এখন।
কিন্তু এখন বিপাকে পড়েছে। লাইসেন্স এর মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। নতুন করে নবায়ন করতে হবে। ঝামেলাটা এখানেই। নতুন যে নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে তা দেখে জটিল সংকটের আভাস পাচ্ছে তারা। এরপর শুরু হলো দৌঁড়াদৌড়ি। কিন্তু কার কাছে গেলে সমাধান হবে সেটি জানা যাচ্ছে না। চলছে কেবল দৌঁড়াদৌঁড়ি। চলুক..........

২.
তাকে বললাম, মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বললেন, লাভ নেই। দেখা করেছি, কাজ হবে না।
তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, আপনি তো সাংবাদিক, অনেক খবর রাখেন। বলেন তো মন্ত্রীর ছেলে-মেয়েরা এখন কোথায়?
আমি বললাম, আপনিই বলেন।
তিনি হাসলেন, বললেন-কলম্বো।
-কলম্বো কেন?
-খেলা দেখতে।
আমি জানতে চাইলাম, তাতে সমস্যা কোথায়?