আহা , সিগ্রেট !!
ধোঁয়া ওড়ানোতে পারস্য বেজায় পটু ।গাঁয়ের পুরুষেরা যৌবন পেরিয়ে প্রৌড়ত্বের দাঁড়প্রান্তে উপনীত হতে না হতেই তামাক ভরা স্টিলের তামাকদানীর সাথে সবার পকেটে ঠাঁই করে নেয় নোট টোকার মত বিশেষ কিসিমের পাতলা ছোট ছোট কাগজ। সে কাগজে তামাক মুড়ে যত্ন করে বানানো শলাকার মাস্তুলে ধোঁয়া ওড়ে হর-হামেশা । সন্ধ্যার পরে কারও ঘরে ঢুকলে অবধারিতভাবেই কানে আসে শিশা টানার টগরবগড় শব্দ । মোটাসোটা বৃদ্ধাংগুলি সদৃশ আরেক ধরণের শলাকাও চোখে পড়ে খুব বেশি , বয়স হওয়ার জেনেছি তার নাম চুরুট । আর খানিক কোনাচে করে ঝুলে থাকা পাইপ ? সে তো বলতে গেলে ঠোঁটে ঠোঁটে ....
জন্মের সাথে সাথেই ধোঁয়া উড়াউড়ির মহোৎসবের মাঝে আমার পদার্পনের ফলাফল হল হাতেনাতে--- শরীর মনে ধোঁয়া উৎসবে অবদান রাখার তীব্র বাসনা। আধাখেচরা নিভে যাওয়া কোন পরিত্যক্ত সিগ্রেটের ফিল্টারে ঠোঁট ছোঁয়ানো,এক আধটা পাইপ নেড়ে চেড়ে দেখা , বা শিশার নল চেপে ধরার মাঝেই জীবনের প্রথম ৬ টা বছর সীমাবদ্ধ রয়ে গেল । সুযোগটা এল পরের বছর ...
প্রথম প্রেম,প্রথম ছ্যাঁকা
আমাদের দেশে যেমন গোল্ডলিফ , সেদেশে উইনস্টোন । মোড়ে মোড়ে , অলিতে গলিতে উইনস্টোন বিকোয় শয়ে শয়ে । বয়স যখন সাত , তখনই খুনে নেশাটা চেপে ধরল , সিগ্রেট খাব ।স্টার, নেভী মার্কা কম দামী কিছু ব্রান্ডও ছিল , কিন্তু সেসবে যে ভাবের অভাব আছে , তদ্দিনে বুঝে গিয়েছি। ঠিক করলাম এক্কেবারে উইনস্টোন দিয়েই শুরু করব। আমার অভিযানের সংগী ছোটবেলার খেলার সাথী নাসের।
সিগ্রেট কেনার ঝক্কিও কম না । প্রথমত , ৬ টাকা জোগাড় করা ছিল সবচেয়ে কঠিন , বাবার কাছে চাইলে ১ টাকা করে পেতাম । কিন্তু ললি আইসক্রিম সদৃশ "আলাস্কা"র লোভ দমন করে সেই ১ টাকা বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হত না । দ্বিতীয়ত , বাবাকে ভীষণ ভয় হত , বাবার হাতের কিল পিঠে পড়লে আক্ষরিক অর্থেই আমার শ্বাস-প্রশ্বাস কয়েক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে থাকত । তৃতীয়ত , মা ঘরের বাইরে যেতেন খুব কম , কাজেই ঘরে এনে খাওয়ার সুযোগটাও ছিল খুব কম। বাইরে খাওয়ারও জো নেই , পাড়া-প্রতিবেশির চিৎকার চেচামেচি মধ্যপ্রাচ্য ছাড়িয়ে প্রাচ্যে চলে আসতে পারে বৈকি।
এমন ঘোরতর অনিশ্চয়তার দোলাচলে চট করে সুযোগ এলো এক রোদেলা দুপুরে। মা কি এক কাজে নাসেরদের বাসায় , ঘন্টার আগে ফিরবেন না। ড্রয়ারের উপর ২০ টাকার নোট একরকম চুরি করেই বাল্যবন্ধু নাসেরকে নিয়ে রওনা হলাম প্রধান বাজারের দিকে । দু'জনের জন্য দু'টো শলাকা কিনে তড়িঘড়ি করে বাড়ি ফেরা হল । হাতে দেশলাই নিয়ে বাথরুমে ঢুকলাম আমি আর নাসের , আগুন ধরলো , সিগ্রেট জ্বললো । পরের অংশটা ধোঁয়ায় ভরে ওঠা বাথরুম আর দেখা গেল না , কেবল শোনা গেল দু'জনের তুমুল শব্দে খোক্কর খোক্কর কাশি । কমোডে কোনরকমে শলাকা ফেলে দিয়ে সুবোধ বালকের মত বিছানায় শুয়ে পড়লাম।
সন্ধ্যে হওয়ার পর মাত্র পড়তে বসেছি , বাবা ডাকলেন । বাবার স্বরের মাঝে কি যেন একটা ছিল , কপালে কখন দুর্ভোগ আছে ঠিকঠিক টের পেতাম । যতদূর পর্যন্ত বাবার কন্ঠ ঠিকঠাকমত শোনা গেল , তার সারবস্তু এমন : দোকানী বাবাকে ডেকে সব বলে দিয়েছেন , তারপর পিঠের উপর চলল ধুমধুম ধুম কিল-ঘুষি , মনে হল জ্ঞান হারিয়ে ফেলব , আধো অন্ধকার , বিস্মৃতি। বুকের ভেতর তীব্র অভিমানটা আজও জমে আছে দোকানীর উপর-- সিগ্রেট বেচলেন ঠিকই , আবার বাবাকেও বলে দিলেন , এটা কেমন বিচার হল।
এই লোকটার মত হতে চাইতাম
নেশা আর জেদটা ঐ মার খেয়ে শেষ হয়ে গেল তা না । দেশে ফেরার পথে এয়ারপোর্টগুলির ডিউটি-ফ্রি শপে সাঁটানো ওয়েস্টার্ন কাউবয় মডেলের মার্লবোরো বেজায় টানত , প্রতিজ্ঞা ছিল ওটাই টানবো বড় হয়ে। বয়সে যখন দশ , আবার সুযোগটা এলো হঠাৎ করেই ।কার্পেটের নিচে হঠাৎ পাওয়া মার্লবরো শলাটা নিয়ে আরেকটা প্রচেষ্টা নিলাম , মূহুর্তের মাঝেই আবার সেই "খোক্কক খোক" এ থেমে গেল সে প্রচেষ্টাও ।
চেষ্টা এবার মুফত ডানহিলে
লম্বা বিরতি নিয়ে আখেরি চেষ্টাটা নিলাম , নটরডেম কলেজের শেষ ক্লাসের দিনে । সিগ্রেটে টান দেয়াটা তখন স্ট্যাটাস আর স্মার্টনেসের প্রতীক । আমি দিই না দেখে নিজেকে বেজায় খ্যাত মনে হত । কেউ এসব শুরু করতে চাইলে খোর-বন্ধুরা হাতেম তাঈ হয়ে যান , আমার বেলাতেও তার ব্যতিক্রম হল না। শুরু করব জেনে বন্ধুদের একজন তার বাবার সংগ্রহ থেকে এক প্যাকেট ডানহিলই উপহার দিয়ে বসল । আরামবাগের গলিতে দাঁড়িয়ে আধখানা ডানহিল শেষ করলাম বটে , কিন্তু মুখের ভেতর যে খড়ি পোড়া গন্ধ হল , তাতে পুরো একটা দিন রঙিন পৃথিবীটাই সাদা-কালো বিস্বাদ হয়ে গেল । প্রতিজ্ঞা করলাম, মুখ ভরে খড়ি পোড়া গন্ধ করার খায়েশ হলে , পোড়ানো খড়ির উপর মুফতে মুখ বাড়িয়ে দেব , বেহুদা টাকা খরচ করার কি কাজ ?
এক যুগের চেষ্টায় তিন দফায় তিন ব্র্যান্ডের দেড় শলাকা । তারপর ---গুডবাই সিগ্রেট , গুডবাই ফরএভার
আরিব্বাস!! অনেকদিন বাদে আপনাদের দেখতেছি.. দিল খুশ।

আর, বিড়ি খাইতে না পারার দু:খে সমবেদনা!!
আমরা কারা মুক্ত ?
বিড়ি খাও নাকি ? দেশে ফেরার পর কালো-হলুদ বেবি-ট্যাক্সির পেছনে লেখা একটা কথা মনে ধরেছিল --- "বিড়ি খাবি খা , মরে যাবি যা"
আপনার কথাই বললাম।
একবার বন্ধুদের সাথে মাস্তি করে চাইনিজ বিড়ি খাইছিলাম, এত ফালতু!! আর খাইতে শখ হয় নাই!!! 
বি.টি.ডব্লিউ: আপনি দেশে আসছিলেন নাকি?
বিড়ি খাই না।
নাহ , দেশে আসি নাই । ভাবতে পারিনাই যে ডিসেম্বরেই এত খারাপ লাগবে , বুঝতে পারলে যেভাবেই হোক টিকেট ম্যানেজ করতাম
মনে এটা নিয়ে বড় আফসোস , যদিও মাত্র চারমাস আগে আসলাম , কিন্তু দেশে ফেরার জন্য মনটা আনচান করছিল । আমার ফ্ল্যাটটা বেশ বড় , চারজনের দু'জন দেশে , একজন নিউইয়র্কে । সিয়াটলে ১০ দিন ঘুরে আসলাম , তারপর থেকে ফ্ল্যাটে আমি একা , দেশের কথা ভাবলেই মনটা খারাপ হয়ে যায় , কবে যে নেক্সট সুযোগ হবে যাবার
ধূমপান বিষপান
সেটাই , ধুমপান করতে ব্যর্থ বলে আমিও এখন অক্ষরে অক্ষরে সেটা মানি । অবশ্য করতে পারলে কি যে বলতাম , আল্লাহই জানে
চেইন স্মোকার ছিলাম। বিয়ের পর গুডবাই কইছি। ঈমানে কই বউয়ের ডরে ছাড়ি নাই।
বিয়ের সাথে সাথে অনেকগুলি প্রতিজ্ঞা করে ফেলা উচিৎ । ঐ সময় মনে হতে থাকে --- দেয়ার উড বি নো আল্পস । এই টাইমটা মিস করে ফেললে আল্পস তথা সুইজারল্যান্ড মিস হয়ে যেতে পারে (নিজের অভিজ্ঞতা থেকে
) । আমিও চিন্তা করছি , আরও অনেক খারাপ অভ্যাস বাদ দিব (ঈমানে বলি , বউয়ের ভয়ে না)
মেহরাবের লাড্ডুভক্ষণ সমাগত মনে হচ্ছে
নুশেরা আপু , অলরেডি ডান !!
তবে এখনও ব্যাচেলর , বিবাহিত ব্যাচেলর
বিড়ি খাওন বালা, না খাওন আরো বালা...

সতর্কীকরণ : সিদ্ধান্ত আপনার
কথা ঠিক
অবিচার অবিচার, লেখা জটিল লাগলো। নিয়মিত লেখেন, এরম আরো আরো অভ্যাস ধরা ছাড়া নিয়া।
দিলরুবা আপা , তাইত , ভাবছি , লাইফে কিছু ছাড়ি নাই , যা ছাড়লাম , তা আসলে ধরতেই পারি নাই । দাঁড়ান , আরেকবার শপথ নিলাম , ৩ টা জিনিস ছেড়ে দিব
কি কি জিনিস সেইটার ফাঁকিবাজি লিস্ট না দিয়া একটা একটা করে পোস্ট দ্যান। আর আমারে দিলরুবা আপা না বলে লীনা আপা কন, দাদী একটা সেকেলে নাম রাখছিল
লীনাটা তাও চলে
এইটা আমার লেখক বাপের দেয়া।
ওহহো , হাহাহাহা
আর ভুল হবেনা লীনাপা
কত কিছু দিব দিব করে দেয়া হয়ে উঠে না ।
বেশ অনেকদিন হল তীব্র কোকের নেশায় পুরো কোঁকানো অবস্থায় আছি , সেটা ছাড়তে পারছি না কিছুতেই , এটা পারলে ...
আরেকটা হল ফাঁকিবাজি , খামখেয়াল ..
আর শেষটা বাদ দিলে ঢাকঢোল পিটিয়ে বলে যাব
দোয়া রাইখেন
গুড গুড কিপিটাপ ব্রো।
হু , চুমুক দিতে দিতে অ্যান্সার দিচ্ছি । কোক আমারে খাইলো
আপনারে লাল সালাম।
সেরকম কৃতিত্ব ছাড়াই অনেকগুলি অভিনন্দন পেলাম ।
তবে , ধুমপান জিনিসটা সত্যিকার ভাবেই এখন অপছন্দ করি
আপনাকে ধন্যবাদ
অনেকদিন বাদে মেহরাব, সেই চেনা ফর্মে!
কী খবর, পড়াশোনা কেমন চলছে? লেখালেখির ফ্রিকোয়েন্সিটা বাড়ানো যায় না ভাই? প্রত্যাশা যে অনেক বেশি
ধন্যবাদ নুশেরাপু , জানি এতটুকু অনুপ্রেরণা পাবই । আসলে , সত্যি কথা হল , এই লেখাটা অনেক ভূয়া হয়েছে , মেহরাব বলছে ।
কেমন আছেন ? মাঝে মাঝে এসে আপনাদের লেখা পড়ে যাই
পড়াশোনার চাপে ব্লগে ঢোকার সময় কম পাই আসলে , মাঝে মাঝে আপনাদের লেখা পড়ে যাই , টুকটাক অন্য ব্লগে লেখা চলে , কিন্তু সেগুলো আমরাবন্ধু ব্লগের লেখাগুলির প্যাটার্নে পড়ে না বলে এখানে লেখা হয়ে উঠে না ।
অভিনন্দন!
লেখা মোটেই ভূয়া হয়নি, বিষয়টা (নন-স্মোকার লেখকের দিক থেকে) যতোই ভূয়া মনে হোক না কেন।
প্যকেট-পুকেট দেখে তো ভাবসিলাম সেইরাম একটা কিছু আছে ভিত্রে। কিন্তু এ যে খালি প্যকেট। পুরাই ডস্।
যাক মেহরাব ভাইএর লেখা আরো চাই। নুশেরা'পুর সঙ্গে একমত।
পুরাই খালি , কথা ঠিক , আমিও ভাবছিলাম সেই কথাই
অনেক ধন্যবাদ বস
ঠিক ঠিক, এমন পচা দোকানদারের কাছে আর যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না ...
হাহাহা
আমাদের বাবা মায়েরা প্রচন্ড ইনকসিডারেট হয়। বাচ্চা নেয়ার আগে এদেরকে ক্লাশে পাঠানো দরকার।
অভিনন্দন ধূমপানমুক্ত হওয়ার জন্য।
আমার ছোট দুই-ভাই বোনের সাত খুন মাফ হয়ে যেত , কিন্তু সব মার আমিই কেন খেলাম , এটা নিয়েও এককালে বিরাট অভিমান ছিল ।
অনেক্ষণ ভাবলাম সে কথা নিয়ে , মনে হল , এমন ইনকনসিডারেট হওয়াটা আমার জন্য সৌভাগ্যই ছিল , নয়ত আমার যেমন মতিগতি ছিল , যেখানে আছি , সেখানে নিজেকে টেনে আনতে পারতাম না । একটা পোস্ট দেবেন নাকি এটা নিয়ে ? এসব নিয়ে ভাবনা শেয়ার করতে ইচ্ছে করছে । এইযে , বাবা মায়ের ইনকনসিডারেট হওয়া , যেটা অনেক্ষেত্রেই উল্টো ফলাফল বয়ে আনে । বিপরীতে আজকালকার বাবা মায়ের চরম কনসিডারেট হওয়ার আরেকটা ট্রেন্ড , যেটা আরেকটা অস্থির প্রজন্ম তৈরি করছে । কোন সাম্যাবস্থা আনা কি যায়না ? .....
অভিনন্দনটুকু গ্রহন করলাম , যদিও ঝড়ে মরেছে বক , মেহরাব ফকির তথাপি দিলখুশ
আমার লেখার প্রব্লেম আছে। আমার ভাইবোনেরা ব্লগ পড়ে। আম্মি আব্বুর কাছে লাগায় দিলে তারা সেন্টু খাবে
ধূমপান ছাড়ায় অভিনন্দন !
সুন্দর লেখা। আশা করি অন্যরাও অনুপ্রাণিত হবেন। যেমন আমি হয়েছি। এখন মাসে এক প্যাকেট। এরপর আরো কমবে।
থ্যাংকস অ্যা লট
বিদেশে আসলে সিগারেট ছাড়ার মোটিভেশন অনেক বাড়ে; যেই দাম!!
কি জানি আমারতো বিদেশ এসেই প্যাকেট কেনা শুরু হয়েছিল। দেশেতো খুচরো কিনে খাওয়া যেত। একসময় সিগারেট ১০ প্যাকেটের কার্টুন হিসেবেও কিনেছি। এখানে পাঁচ সাউদী রিয়াল দিয়ে প্যাকেট কিনতে গায়ে লাগতো না, কিন্তু দেশে ৭৪/৮০ টাকায় ব্যানসনের প্যাকেট কিনতে গায়ে লাগত।
এখন ১১০ টাকা।
আমার শুরু হইছে বিদেশেই, চরম ডিপ্রেশনের মধ্যে ঐটা তখন ভালই রিলিফ দিত। দামের কারনে রোলিজ খাইতাম, রোল কইরা বিড়ি বানানির মজাই আলাদা, ঐটা দেশে মিস করি।
একটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম । রোলিজ দেখে পিচ্চিকালে পাতা গুঁড়ো করে খাতার কাগজে পেচিয়ে কতবার আগুন ধরিয়ে খাওয়ার যে চেষ্টা করেছি
ধূমপান এক সময়ে আমিও করতাম। এখন সিগারেটকে ঘৃণা করি। এ বিষয় আমারও একটি লেখা আছে।আমার দ্বিতীয় প্রেমিকা | আমরা বন্ধু
http://www.amrabondhu.com/ishan/1969....
ভাল্লাগলো
গোল্ড-লীফের প্রতি ভালোবাসা গত সাত বছরেও অটুট আছে, তবে ছেড়ে দেবার সময় এলো বলে। অবশ্য ভার্সিটির ফ্রেন্ড আর পরে আমার প্যালেষ্টাইনী রুমমেটের সুবাদে ভালোই চলছে শিশা এনজয় করা।

এইটা ছাড়তে মন চায় না বিশেষ!
গোল্ড লিফের এত জৌলুস ছিল , হারিয়ে গেল নাকি বলেনতো ?
শিশা জিনিসটা খেতে কেমন ? ভাব চরম এতটুকু বুঝি
যাই হোক , ছেড়ে দেয়ার পর টোকা দিয়ে যেয়েন , আগাম স্যালুট সে জন্য
মন্তব্য করুন