কবি
আমি সচরাচর এমন লিখি না।কাজেই আমার ভুল হলে কবি সমাজ আমায় ক্ষমা করবেন।
প্রথম আলো'র জীবনানন্দ দাশের নামে নামকরন করে প্রতি বছর সেরা কবিদের পুরষ্কার দেয়।হা,এটা ভাল কথা।কিন্তু পুরষ্কার দেয়ার নামে কোন যৌনবাসনাকারী কে পুরষ্কার দেয়ার মানে কি হতে পারে??
কোন ব্যাক্তিগত প্রতিষ্ঠান কাকে কিসের
জন্য পুরষ্কার দেবে তা নিয়ে কিছু বলার
নেই।
তবে
''বিশুদ্ধ কবি জীবনানন্দের'' নামে প্রবর্তন
করা পুরষ্কার কোন কুৎসিত মানসিকতার যৌন
উন্মাদকে দেওয়াতে অবশ্যই আপত্তি আছে।এটা প্রথম আলোর সম্পাদক মতির মানসিক বিকৃতি প্রকাশ করে। সাইদ জামিলের মত মানসিক বিকৃতি ওয়ালা মানুষ কি ভাবে এই পুরষ্কার পায়?
মানুষের জানা দরকার, কাকে এই পুরুষ্কার দেয়া হয়েছে,
কেন দেয়া হয়েছে।
তিনি যে কবিতার পান্ডুলিপির জন্য পুরুষ্কার পেয়েছেন,
তাতে একটি কবিতার নাম 'কিলুর মগজ',
যা প্রথমা প্রকাশনী থেকে ছাপা হবে। নীচে সেই
কবিতাটি দিলাম-
'কিলুর মগজ
রোজ বিকেলে কিলুর মগজ
আমাদেরকে দাবড়ে নিয়ে আসে শাহবাগ। আমরা সাহিত্য-
চোদানো ফাতরা লোকগুলো মিউজিয়ামের
সামনে দাঁড়িয়ে গোয়া-মারা খাই আর র চা গিলি। মদ ও মাগির
যন্ত্রণা নিয়ে গালি দিই ফরহাদ মজহারকে। আর বলি, চেতনা-
বিশ্বের একটিই ভাই রবীন্দ্রনাথ।
একদিন, শরীরে সন্ধ্যা মেখে, আমাদের সামনে উলঙ্গ
এক পাগলী এলো। তার বক্ষ সুবিশাল। আর সে দুই
হাতে তার স্তন দুটি উঁচু ক’রে ধ’রে বললো, ‘আমার
মাই ভরা দুধ থাকতে তোরা র চা খাচ্ছিস ক্যা?’
আমরা গোরুর দুধের চা খেয়েছি, কনডেন্স মিল্কের
চা খেয়েছি; কিন্তু মানুষের দুধের চা খাই নি কখনও। আর এ
তো উন্মাদিনী! —উন্মাদিনীর দুধের চা ক্যামন?'
তার 'কিলুর মগজ' পড়ার পর অনেকেই নির্বাক হন। এটাই
বোধহয় সাহিত্য। তো শাহবাগ নিয়ে নোংরা অশালীন কবিতার
জন্য তিনি পুরুষ্কার পাচ্ছেন, তাতেও আমার কিছু যায় আসে না।
জীবনানন্দ দাশের নামে এই পুরুষ্কার তাকে দেয়ার দায়ভার
পুরুষ্কারদাতাদের কাধেই বর্তাবে। অবশ্য তার প্রায় কবিতাই
রগরগে। কারন জীবনানন্দ কে বলা হয় শুদ্ধতম কবি।
এই সাইদ জামিল মানেন যে গোলাম আযম ভাষা সৈনিক, তিনি মনে করেন নুর হোসেন পাগল ছিলেন,তিনি পাকিস্তান বর্জনে অস্বীকৃতি জানান।এই সব বাস্টার্ড, নোংরা মন মানসিকতার কবি একমাত্র মতি এবং তার পত্রিকা এবং তার প্রকাশনার দ্বারাই আবিষ্কার করা সম্ভব।ইভেন পুরষ্কার দেয়াও সম্ভব। অবিলম্বে এই পুরষ্কার নাম করনের আগে "জীবনানন্দ " নামটি বাদ দেয়া হোক।
তার আরো একটি কবিতা --
স্ত্রীদুগ্ধ পান করতে করতে লোকটা ভাবলো,
পৃথিবীতে ইঞ্জিন আবিষ্কারের পূর্বে যেসব
নিমগাছ
জন্মেছিলো সেসব নিমগাছ ইঞ্জিনের শব্দ
শোনে নাই—
লোকটার ভাবনার ওপর দিয়ে তিনটে খরগোশ
দিগন্তের দিকে দৌড়ে গ্যালো।
আর, দিগন্ত থেকে খ’সে পড়লো প্রকাণ্ড এক
পুরুষাঙ্গ!
ভালো লিখেছো!!
মন্তব্য করুন