আবোলতাবোল এবং ভীষণ হ-য-ব-র-ল
ভাটারা ইউনিয়ন ঢাকা থেকে খুব বেশি দূরের কোনো জায়গা না। ১৫-২০ কিলো হবে বড়জোর। আমার যাওয়া-আসা করতে ভালোই লাগে। জ্যামধূলিময় প্রেমিকার বুকে আমি চুলে আঙুল দিয়ে বিলি কাটার মতো করে ঘুরে বেড়াই। কি হবে একটা জীবন যাপন করে? প্রতিদিন সকালে সংশয়টা আমার মনের ভেতর সরকারী কর্মচারীদের মতো একটা টিফিন ক্যারিয়ার হাতে এসে চেয়ার-টেবিল পরিস্কার করে নিয়ে বসে। তারপর আমি গ্যারেজে গিয়ে চোক টেনে ধরে প্রিয় কপ্টারে কিক দিই। মিনিট দু'য়েক চোকটা টেনে ধরে থাকি। কপ্টারের এঞ্জিন গরম হয়। মেলমিনকে নিয়ে গেছে বাড়িতে। তারপর থেকে নতুন সঙ্গী হয়েছে সে আমার।
এইভাবে শুরু হওয়া নৃশংস এক-একটি দিন, আমাকে নিয়ে প্রতিদিন ধীরে ধীরে এগিয়ে চলে পূর্বাচলের মতো কোনো এক শব্দের দিকে। পূর্বে কোনো এক অদৃশ্য নারীর আচল বিছিয়ে দিয়ে সূর্য্যিমামা যতক্ষণে আবিররাঙা হয়ে টুপ করে ডুব দেয়, ততক্ষণে আমি তার দৃষ্টিসীমা থেকে অনেকদূরে চলে গিয়েছি। কোনো এক অচেনা নির্জন পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে নিরলস হামানদিস্তা পিষছি। এককালে নাকি আকাশ আর মাটি একসঙ্গেই ছিলো। হামানদিস্তার ক্রমাগত আঘাতে আকাশ নাকি সরে গেছে তার আজকের জায়গায়। মায়া সভ্যতায় নাকি ২০১২'র পর আবার ১ থেকে গণনা শুরু হয়। ইসলাম নাকি তারচে' এককাঠি সরেস। ১৫ রমজান ১৪৩৩ হিজরীর দিনটা নাকি আগামী ৩ আগস্টেই পড়েছে। জানি না ইমাম মেহেদী আর দাজ্জালদের বিচরণ দেখার ভাগ্য হবে কিনা। তবে জীবন কাটানোর জন্য যে এইসব ভাগ্যের খুব বেশি প্রয়োজন পড়ে না, তা আমি বিলক্ষণ জানি।
রাতটাকেই তাই আমার সবচে' প্রিয় মনে হয়। রাত সুন্দরী বান্ধবীর চেয়ে অনেক মোহনীয়। রাত ভ্রমোদ্রেককারী পানীয়ের চেয়ে অনেক আরাধ্য। রাত অশান্ত সমুদ্রের চেয়ে অনেক বেশি হাতছানিময়। প্রেমিকাকে জড়িয়ে ধরে যে সুখ, তারচে' বেশি সুখ পাওয়া যায় রাতকে কেটে কেটে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়ে। বসুন্ধরার গেট লাগোয়া রাস্তাটুকু পেরোতে পারলেই তো সেই পুরোনো শহর। একটা ছোট্ট মোড় যেখান থেকে রাস্তাটা ডানে বারিধারা ডিওএইচএস-এর দিকে একটা শাখা নিয়ে চলে গেছে, আমি সেটা সোজা পেরিয়ে যাই নিমিষে। কপ্টার তখনো তিন নম্বর গিয়ারে পড়েই নি। তাও গতি উঠে গেছে ৪৫। কিলো পার আওয়ার।
গতিই আমার একমাত্র হাতের পাঁচ। যখন পরাজয় দুয়ারে এসে কড়া নাড়ে। মোড়টা পেরোলেই ছোট্ট একটু দম নিয়ে আমি তাই তৃতীয় গিয়ারে কপ্টারের এঞ্জিনটাকে সেট করি। লিভারের সঙ্গে ঠেসে ধরে রাখা ক্লাচটাকে ছেড়ে দিয়ে ডানহাতে পিক-আপটা টেনে ধরে থাকি একটা যন্ত্রণাকাতর ঘড় ঘড় শব্দ না পাওয়া পর্যন্ত। শব্দটা পেলেই আমি বুঝতে পারি, আর তিন নম্বরে হচ্ছে না। তারপর ক্লাচটাকে আরেকবার টুটির মতো চেপে ধরে পাএর পাতা দিয়ে ঠেলে উঠিয়ে দিই চার নম্বর গিয়ার। মূহুর্তে কপ্টারের গতি ৯০ পেরিয়ে যায়। একটা আতিকায় গতিদানবের পেছনের '২০০ গজ দূরে থাকুন' লেখাটা হঠাৎ করেই যেনো লাফ দেয়। দিয়ে ঠিক আমার চোখের সামনে চলে আসে। লেখাটায় কি কোনো সমস্যা হয়েছে? এতক্ষণ তো ওটা স্পষ্টভাবে পড়াও যাচ্ছিলো না। এখন এরকম বড় বড় হয়ে জ্বলছে কেন? নাকি আমি অনেক বেশি কাছে চলে এসেছি ওটার? এত কাছে যে তারচে' আর কাছে যাওয়া যায় না? আবার চেপে ধরতে হয় ক্লাচ। এবার গিয়ার কমানোর জন্য।
আমি ডানে মোড় নেয়ার জন্য প্রস্তুত হই। দেখতে পাই অনেকগুলো মেঘের টুকরো সরে গেছে হামানদিস্তা ঠুকে দূরে পাঠিয়ে দেয়া মনের আকাশটার শরীর থেকে। আহা ডোরেমন যদি একটা গেজেট বানিয়ে দিতো আমায়! যেটা দিয়ে রোদ-ঝড়-বৃষ্টি-মেঘ সবসময় আমি সরাসরি সূর্যালোক পেতাম। বায়ুমন্ডলকে ধরতে হতো না গোণায়। তাহলে বোধহয় জীবনটা অনেক সহজ হয়ে যেতো। উত্তর পুরুষদের কেউ তো আমার জন্য ভবিষ্যত থেকে কোনো বাচাল রোবট পাঠায় নি। সহজ জীবনের আশা তাই দুরাশাই থেকে যায়।
ততক্ষণে জাতিসংঘ রোডের মোড়ে পৌঁছে গেছি। এখানে একটা বিপজ্জনক ফোয়ারা আছে। ফোয়ারার দেয়াল রাস্তার এত ভেতরে ঢুকে গেছে যে, আমি প্রতিদিন একবার সেই দেয়ালের সঙ্গে বাড়ি খেতে খেতে খাই না। তারপরে দুই নম্বরে কিছু হয় না, কিন্তু এক নম্বর গোলচত্বরে এসে একবার পথ ভুল করি। ভুল করে বাড্ডার দিকে চলে যাই। মাঝরাস্তায় গিয়ে ভুল শোধরানোর ইচ্ছে ফিরে পাই। এর আগ পর্যন্ত রাস্তাটা গুলশান লেকের পেট চিড়ে চলে গেছে বলে গাড়ি ঘুরাতে ইচ্ছে করে না। ডিভাইডারের মধ্যে কাটা না থাকাটাও আরেকটা কারণ। আর তেজগাঁওয়ে পৌঁছে, বামে মোড় নিয়ে মহাখালী থেকে চলে আসা উচুঁ-নিচু রাস্তাটায় লাফ দিয়ে ওঠার সময় আমি এক সেকেন্ডের জন্য একটা হলুদ রংয়ের ট্রাকের সামনের লৌহনির্মিত বাম্পার মিস্ করি।
আহা প্রিয় সামনাসামনি ধাক্কা! কেন তুমি ধরা দিলে না? আমার ভেতরে বেশ কিছুক্ষণ আফসোসটা কাজ করে। ধরা দিলেই তো পরের দিনের পত্রিকাগুলোতে আমায় নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হতো। আর প্রেসক্লাবের সামনে দু'চারটে মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা নিরাপদ সড়কের দাবিতে দু'চারটে মানববন্ধন করতো। অথচ আমি যে নিজেই নিজের জন্য নিরাপদ ছিলাম না, সেই কথাটা কেউ কোনোদিন জানার সুযোগ পেতো না।
তবে নাবিস্কো বিস্কুট ফ্যাক্টরীর সামনে দিয়ে আসার সময় আমার নাকে ধাক্কা দেয় পুরোনো একটা চেনা গন্ধ। নাবিস্কো বিস্কুট বোধহয় মানুষ ছোটবেলাতেই খায় শুধু। বড় হয়ে কাউকে আমি ওটা খেতে দেখি নি। আমি কখনোই ওটা খেতে পছন্দ করতাম না। তাও আম্মু সন্ধ্যায় পড়তে বসার আগে জোর করে কয়েকটা বিস্কুট আর এক গ্লাস দুধ দিয়ে যেতো। আমি পড়ার টেবিলে বসে বাইরে জমিদারদের পুকুরের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। আনমনে। সেই পুকুরটায় ফুটে থাকতো কচুরিপানা ফুল। বেগুনি রংয়ের।
তারপর আম্মুর ধমকে হয়তো একটা বিস্কুট হাতে নিয়ে ডুবিয়ে দিতাম দুধের গ্লাসের ভেতর। সেই কালে পড়াশোনায় ফাঁকি দেয়ার কতো অজস্র ফিকিরই না ছিলো। ফুলের মতো ডিজাইনওলা সেই বিস্কুটগুলো এখনো প্রতিদিন তৈরি হয়। এখনো প্রতিদিন ছেলেরা সন্ধ্যাবেলা টেবিল সাজিয়ে নিয়ে পড়তে বসে। কিন্তু আমাকে এখন আর সেই বিস্কুট খেতে হয় না। পড়ার টেবিলেও বসতে হয় না। আমার সেইসব বিস্কুট আর বকাগুলো এখন জুটছে অন্য কোনো বেচারার কপালে।
আবাসিক এলাকাগুলোতে রাত যত নিঝুম হয়, পুরান ঢাকায় সেটা তত জমজমাট হতে থাকে। গুলিস্তানের মোড়ে যে লোকটা ভ্যানগাড়িতে করে, এলিয়েনদের শরীরের মতো সবুজ রংয়ের ঘৃতকুমারীর শরবত বিক্রি করে প্রতিদিন, তার কথা-বার্তাগুলো খুব মজার। আমি অনেক দিন দূর থেকে দেখে বোঝার চেষ্টা করেছি- মানুষ এই নাকের সর্দির মতো জিনিসটা কিভাবে গ্লাস ধরে ধরে খায়। তারপরে একদিন নিজেই গিয়ে জিনিসটা চেক করেছি। সেদিন শরবত খেতে খেতে ঐ মামার সঙ্গে আমার অনেক কথা হয়েছিলো।
জানতে চেয়েছি, এই শরবতে কি হয় মামা? সেক্স-টেক্স বাড়ে নাকি? আমার অজ্ঞতা দেখে মামা হেসেছে। নারে মামু, পেটের সমিস্যা দূ'অয়। কিরাম পেটের সমস্যা দূর হয় মামা? ধরো ফান্টু খাইতে খাইতে হুট কইরা একদিন ছাইড়া দিলে পেটে জমা পচা ফেন্সি যে চোনা ঢেঁকুর আর পাতলা পায়খানার সমস্যা করে, সেইটা কি দূর হয়? আবারো আমার অজ্ঞতা দেখে মামা হাসে। কি যে কন না মামু। ফেন্সির সমস্যা কি আর এই শরবতে দূর অইবো? তাইলে আর অতো বড় বড় ডাক্তরখানা আর রিহ্যাব সেন্টার খুইলা রাখছে ক্যান? এ্যমনেই ধরেন সকালে নাস্তা না করতে-না করতে যে গ্যাস্ট্রিক জমে পেটে, সেডি আপনে কয়দিন নিয়ম কইরা এই শরবত খাইলেই দেখবেন ঠিক-ঠাক। আমার ততক্ষণে জগসদৃশ গ্লাস শেষ হয়ে এসেছে। আমি দাঁত বের করে হাসি। জিনিসটা খেতে খুবই বিদঘুটে ছিলো। কিন্তু তাও পরাজিত হই নি।
কমদামী গুলিস্তান এলাকার গরীব সেই মামাটাকে তার সুন্দর কথা-বার্তার গুণেই আমার অনেক বেশি আপন মনে হয়। কিন্তু সেজন্য ব্যটাকে আমি অতিরিক্ত কোনো খাতির করি না। যা দাম তা চুকিয়ে দিয়ে কপ্টারকে চালু হওয়ার আদেশ দিই। মামা তখন ষড়যন্ত্রীদের মতো গলা করে বলে, ভালো শিমুলের মূল আছে মামু। সেক্সের জন্য এক নম্বর ওষুধ। লয়া যান। আমি কথাটার উত্তর করার আগেই কপ্টার তাকে দেয়া আদেশ পালন করে ফেলেছে। তাই শেষতক আমার কথাগুলো স্বগোতক্তির মতোই শোনায় আমার কানে। ভালো শিমুলের মূল খুঁজে বের করার আগে ভালো মামী খুঁজে বের করার কথা ছিলো রে মামা। সেইটাই তো করা হয় নাই।
আমি তারপর বার বার পিক-আপে জোরে একটা মোচড় দিয়ে ক্লাচ ছাড়ি আর হাইড্রোলিক ব্রেকটায় কষে চাপ দিই। কপ্টার লাফ দিয়ে-দিয়ে সামনে এগোয়। গোঁ গোঁ করে আমার প্রতি বিরক্ত প্রকাশ করে। কিন্তু এরকম ঘোড়ার মতো টগবগ করে এগোতে আমার ভালো লাগে। এর ভেতরে এক ভিন্নধরনের থ্রিল আছে। একবার সময়মতো ব্রেক চাপতে ব্যর্থ হলেই শূন্যে উঠে যাওয়া সামনের চাকা গিয়ে আরাধ্য জায়গায় ল্যান্ড না করে- যেকোন অনাকাঙ্খিত জায়গায় ল্যান্ড করতে পারে। যেকোন অপ্রত্যাশিত ঘটনার সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে আমার। কিন্তু সেসবের কিছু হয় না। পাশ দিয়ে সদরঘাটমুখী একটা ঘোড়ার গাড়ি পার হওয়ার সময় ঘোড়া দু'টোর চোখগুলোতে আমি আশ্চর্যবোধক চিহ্ন দেখতে পাই। হয়তো তারা বিরক্ত হচ্ছিলো নির্লজ্জভাবে তাদেরকে নকল করতে দেখে। আমি পাত্তা দিই না। যার যা ইচ্ছে ভাবুক। হাউ মেনী সী'স মাস্ট আ হোয়াইট ডাভ সেইল, বিফোর শী স্লীপ্স্ ইন দ্য স্যান্ড, তাই না? আমি মনে মনে ঠিক করি, দ্য রিডার মুভিটা আমাকে আবার দেখতে হবে। খুব তাড়াতাড়ি কোনো একদিন।
সেদিন অচেনা এক বন্ধুকে বললাম, তোমারে ভীষণ ভালোবাসি। সে বলে, তুমি তো আমারে চেনোই না। ভালোবাসো ক্যান?
কি আজব! আমাদের কি চেনা মানুষের সঙ্গে অনেক সময় অচেনা সম্পর্ক তৈরি হয় না? তাহলে অচেনা মানুষকে ভালোবাসতে অসুবিধাটা কোথায়, আমি বুঝি না।
---
ক্লান্তিময় যাপিত জীবনের চমৎকার বয়ান!
আপনেরটার চেয়ে ভালো হয় নাই।
ভাল মামী খুঁজে বের করেন তাড়াতাড়ি, তারপর মামাতো ভাই /বোনের মুখ দেখার সাথে সাথে দেখবেন কপ্টার এর চাইতে সময় বেশি দ্রুতগতিতে চলা শুরু করবে.. আবার নাবিস্কো বিস্কুটের দিন ও শুরু হয়ে যাবে
থ্যাংক্বিউ ফাহমিদা'পু। সদয় মন্তব্যের জন্য।
আপনার পিচ্চিটা খুবই কিউট। ওকে একদিন আমাদের সবার সঙ্গে পরিচয় করায় দেন।
আর ইয়ে, আপনার কথা অনুযায়ী তাহলে আমাকে মামাতো ভাই/বোনের মুখ দেখতে হবে। ওকে। যদিও আমার তিন মামাই বিবাহিত এবং তাদের বাচ্চা-কাচ্চা আছে, তারপরেও দেখি তাদের কাউকে আরেকবারের জন্য কনভিন্স করতে পারি কিনা।
পোলাপানের বড় বেশি বুদ্ধি, শরবতওয়ালার মামী খুঁজে বের করতে বলছি , যারে আমরা ভাবি বলব আর আপনে কি বলবেন সেইটা পরে ঠিক কইরেন ..
আমার পিচ্চির নাম ওহিনা, বয়স ১ বছর .. ওনার কাজকর্মের ফিরিস্তি একদিন দিব আশা করি
জাতি মামি দেখতে চাই
জাতিরে বলেন মামাবাড়িতে যাইতে
বেশতো কপ্টারে বিনা তেলে ঢাকা ভ্রমণ করে ফেললাম..
~
ভাল্লাগসে নাকি বলেন। ভাল্লাগলে পরে আরো অনেক জায়গায় ভ্রমণ করানো হবে।
চমৎকার ।
আপনের এই প্রো-পিক কোথাকার সেটা বলেন তো সাঈদ ভাই।
মন্তব্যের বাকী অংশ কি ছাগলে খেয়ে ফেলছে???
ইয়ে মন্তব্যে কি ঘাস দিয়েছিলেন নাকি নীড়দা'?
সব কিছুই একবার চাইখা দেখবার ইচ্ছা করে, তাই ওই ঘৃতকুমারীর সরবত-ও খাইসিলাম একদিন...!
জুইতের জিনিস না।
সাথে আখের গুড় দিসিলো নাকি?
রাজা যেমন প্রজাগো অবস্থা দেখবার জন্য রাইতে বাইর হইত, আপনেও দেহি তেমনি ঢাকা শহর চইশা বেড়ান......................
হ গুড় ছিলো।
ঢাকা শহর চষি ঠিকই, তয় বাদশা হারুনের মতো অবস্থা আমার না। আমার অবস্থা সকরুণ।
যাক্ মন্তব্যের জন্য অসংখ্য
বেশ লাগলো
ভ্রমনকাহিনী ভালো লাগছে
, পরে ভাব্লাম কবি লেখকরা কত কিছুই না ভাবে । সব প্রশ্ন তাদের করতে হয়না 
একটা লাইন কোট করতে চাইছিলাম
হ কবি-লেখক'গোরে সবকিছু জিগাইতে হয় না। তয় আমি কবি-লেখক না। আমারে নিঃশঙ্কোচে জিগাইতারেন চাইলে।
মন্তব্যে পিলাচ!
তাড়াতাড়ি ঝাকানাকা এক্টা মামী নিয়া আসেন। তাইলে এরম ঘুরাঘুরি কমপে। মানুষের এত সুখী চলনবলন ভালু পাই না।
মামী আছে। তিনখান। তারা ভাইগনারে আদরও করে। কিন্তু তাদের থাকা-না থাকার সঙ্গে ঘুরাঘুরি কমার কি সম্পর্ক সেইটা আমি বুঝতে পারলাম না গো জ্যোতি'বু। একটা বুঝায় দিয়া যাও। লক্ষী বুবু আমার।
Apner mamir katha koi nai vaijan,shorbotowalar mamir katha koilam,je apnake sareer achole banpe.
Noboborsher shuveccha apnar jonyo,r shorbotwalar mamir jonyo.pohela boishakhe ki korlen tai nie post diyen.
হযবরল ভালো লাগলো। মজায় আছেন খুব।
আরে! প্রিয় মায়াবতী যে, কেমন আছেন? অনেকানেকদিন পর আপনারে দেখলাম।
এতদিন কই আছিলেন?
হ..

টিপসই মাইরা গেলেন ক্যান বাউন্ডুলে? লেখা ভালো লাগে নাই?
মন্তব্যে সহমত তাই টিপসই।
ঘুরাঘুরি ভাল্লাগছে, ইন ডিটেইলস বর্ণনার জন্য আরো ভাল্লাগছে।
সিরিজ চলুক এটা।
তবে রাতের অংশটুকু খুব বেশি পছন্দ হৈছে, এটা পড়ার পর থেকে রাত নিয়া একটা কিছু লেখার তীব্র তাড়না টের পাইতেছি।
অনেক দিন পর আপনের মেলমিন রে দেখলাম লেখায়।
মীর ভাই, একটা রিকোয়েষ্ট।
একটা নতুন গল্প লেখেন। অনেক দিন আপনার গল্প পড়ি না। ভাল্লাগে না।
আপনের উপন্যাস কয় পর্বে সমাপ্য?এক সাথে পড়ব।
একটা ইস্পিশাল থ্যান্কস, বাউন্ডুলে ডাকায়।
বসে কি ইডাব্লিউএমজিএল এ কাম করেন?
আমি একচুয়ালি বাইরে কোথাও কাম করি না বস্
মীর মামু---আমি আরো একবার আপনার ফ্যান হয়ে গেলাম। একবারে পাঙ্খা!!!


খুব্বি সুন্দর!!
========================
আপনি দেখছি জাতীয় মামু হয়ে গেলেন।
অ.ট.: আপনারে একদিন কোন কুক্ষণে যে বলছিলাম, আমারে ভাই ডাকা যাবে না সেইটা মনে করি আর এখন হাত কামড়াই
এমন কি এখন আমি অন্য কাউরে এইটা বলা বন্ধ করে দিসি। ডাকো বাবা, যার যা মনে চায় ডাকো। আই হ্যাভ নোপ্রব অ্যাটল অ্যাটেনিথিং।
দারুন কৈছেন বস। আপনার মত রোজনামচা লেখতে মন চায় আমারও। কিন্তু...
ব্যস্ততা আমায় দেয়না অবসর...
সিরিয়াসলি বলেন তো ভাইজান, ওই লাইনটা দারুণ হইসে না?
ওইটা আসলে কেম ফ্রম দ্য ইনসাইড
এই লেখাও দারুণ

এই কমেন্টও ভালো

ভালো লাগল
অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ
মন্তব্য করুন