ইউজার লগইন

গল্প: পেশাজীবী মীমের ঝিক ঝিক টাইপের আত্মকাহিনী (শেষ পর্ব)

আমি তখন মেয়েটির বিছানার একপ্রান্তে বালিশ হাতের কনুইয়ের নিচে এবং মাথা তালুর ওপর দিয়ে আধশোয়া অবস্থায়, একমনে মেয়েটির গল্প শুনে যাচ্ছিলাম। সে খাটের অপরপ্রান্তে কি ভঙ্গিতে বসেছিলো, সেটা বলেছি আগেই।

উঠে মেয়েটির পাশে গিয়ে বসলাম। জানতে চাইলাম, আপনার সমস্যাটা কি? স্বামীর বিশ্বাসঘাতকতা মানতে পারেন নাই, নাকি জগতের স্বাভাবিক নিয়মগুলাকে মানতে পারেন নাই? কোনটা?

-সমস্যা এ দু'টোর কোনোটাই না। আমি মানুষ হিসাবে ভালো না, এইটা একটা সমস্যা। আবার আরেকটা সমস্যা হইতেসে, মানুষ হিসাবে ভালো না হওয়ার বাইরে আমার আর যা কিছু সমস্যা আছে- সেইগুলা সব আজো খুঁজে পাই নি। এ দুইটা গন্ডগোলের জন্য নিজেরে গুছায় আনা যাচ্ছে না। চলতেসে গাড়ি, যাত্রাবাড়ী। সেই যাত্রাবাড়ী যে কতদূর আল্লাই জানে।

বললাম, এতো দেখি ঝিক ঝিক, পুরাই ঝিক ঝিক! যাক্ কাঁচি দিয়া কি করেন বলেন তো? মানুষ-টানুষও খুন করে ফেলসেন নাকি এর মধ্যে?

-না। আজো খুন করতে পারি নাই। ওই ক্লায়েন্টটার যৌনাঙ্গ কেটে দিতে চাইছিলাম। একদিন হাত দিয়ে ওইটা নাড়তে নাড়তে দেখি ব্যটা আরামে চোখ বুজে গুনগুন করে গান গায়। আমি কাঁচিটা দিয়ে ঘ্যাঁচ করে একটা পোচ দিয়েই ফেলতাম। সেই অবস্থা পর্যন্ত চলেও গেছিলাম। কিন্তু শেষ মূহুর্তে গিয়ে মনটা সায় দিলো না। তখন ব্যটার ওই বিশেষ রগটা কিযে অসহায় ধরনের নরম হয়ে ছিলো, আপনে চিন্তাও করতে পারবেন না। মনে হচ্ছিলো, আমার হাতের মধ্যে বসে আছে একটা ভীষণ ছোট বাচ্চা চড়াই। এত ছোট যে ওটার শরীরে তখনো পালকই গজায় নি। আমার মনে হলো, ওই লোকটা চোখ বন্ধ করে রাখলেও, ওর চড়াইটা ঠিকই কুতকুতে চোখে সবকিছু দেখতে পাচ্ছে। তাই সেটা অমন ভয়ে-আতংকে জমে একদম এতটুকু হয়ে গেছে। আমার কাঁচিতে কি পরিমাণ ধার, দেখসেন না? এক ঘ্যাঁচাঙয়েই কেল্লা ফতে হয়ে যাইতো। কিন্তু আমি ওই লুচ্চা ব্যটাকে ওরকম একটা অবস্থায় পেয়েও, মনে মনে জাস্ট মাফ করে দিয়েছিলাম। মজার না বিষয়টা? সবচাইতে মজার কথা হচ্ছে, এরপর আস্তে আস্তে আমার মনের অস্থিরতাটাও কমে গেলো! আমি সবকিছুতে আবার আগের মতো মনোযোগ দেয়া শুরু করতে পারলাম। আবার ব্যবসা, লোকজন ইত্যাদির মধ্যে ডুবে যেতে পারলাম এবং আমার ভেতর কোনো পরাজিতবোধও আর থাকলো না।

আমি অবিশ্বাসী দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম মেয়েটির মুখের দিকে। ওখানে একটা হিরন্ময় দ্যূতি আছে। যেন কোনো এক সুনিপুণ জহুরি বড় যত্ন নিয়ে ওর চোখ-মুখ-নাক-চিবুক সবকিছু কেটেছে। কোথাও এক সুতো পরিমাণ কম-বেশি হয় নি। অথচ এই মেয়েটি-ই কি ভয়ংকর একটা কথা কত অবলীলায় আমাকে বলে দিলো!

আমি হতভম্ব হয়ে জানতে চাইলাম, তারপর? ক্লায়েন্ট কিচ্ছু টের পায় নাই?

-নিজে থেকে টের পায় নাই। কিন্তু সেইদিন রাত গভীর হওয়ার পর তাকে আমি ঘটনাটা বলেছিলাম। কি ভয়াবহ বিপদের হাত থেকে সেদিন সে বাঁচছে, সেইটা বুঝতে ব্যটার বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগছিলো। বুঝে ফেলার পর সে আবার যেই জানোয়ার, সেই জানোয়ার হয়ে গেলো। আবার ওই কাজটা করলো, যেটা সে প্রথম দিন আমার সঙ্গে করেছিলো। এতে অবশ্য আমার খুব লাভ হইসিলো। সেই ব্যটা ছিলো সমাজের উপরতলার মানুষ। একেবারে প্রতিষ্ঠিত ধরনের উপরতলা যাকে বলে। আমি শুধু ওইদিন রাতের সিন-সিনারিগুলা একটা খাপে বন্দী ব্লু রে ডিস্কে রাইট করে তার কাছে পাঠায় দিলাম। আর কিচ্ছু করা লাগলো না। ব্লু রে রাইটার বিরাট ঝামেলার জিনিস। তাও কিনে রাখছি, এইরকম ছোটখাটো কাজে লাগানোর জন্য। ওই যে টয়লেটের দরজার উপরে একটা ফলস্ সিলিং দেখতেসেন, ওই খানে উপরের-ডানদিকের কোণায় ভালো করে তাকালে একটা ছোট্ট ফুটা দেখতে পাবেন। অবশ্য বলে না দিলে পাবেন না। ওইখান থেকে একজন আপনার উপর সবসময় নজর রাখতেসে। এই ঘরের ভেতর যা কিছু ঘটে, ওর মেমরীতে সবকিছু সেভ হয়ে যায়। একটা সিম্পল নড়াচড়াও মিস্ হয় না। ব্যপক কাবিল এক ওষুধ, বুঝলেন? সামাজিক জানোয়ারগুলারে সুন্দর টাইট দিয়ে রাখা যায়। যথারীতি বেচারা ক্লায়েন্ট একদিন এসে আমার পা দুইটা ধরে শুরু করে দিলো মড়াকান্না। তার বুড়া বাপ শেষ জীবনে ছেলের এই কীর্তি টের পাইলে, দুঃখেই নাকি টেঁসে যাবে। অবশ্য সেইটা সমস্যা না। সমস্যা হচ্ছে, যাওয়ার আগে বুড়া তার সম্পত্তিগুলা সব দিয়ে যাবে ভাইয়ের ছেলে-মেয়েদের জিম্মায়। নিজের ছেলেকে দিবে না একটা কানাকড়িও। কান্নাকাটি দেখে আর বিলাপ শুনে শুনে আমার মনও সেদিন কিছুটা গলে গেছিলো। তাই তারে একটা সুযোগ দিয়ে দিলাম। যদি কোনোদিন সে আমার কথার অবাধ্য না হয়, তাহলে আমিও কোনোদিন ওই ডিস্ক কাউরে দিবো না। যদিও আমি তার কাছ থেকে কখনো কিছু চাই না। মাঝে-মধ্যে ফোন করে তার খোঁজ-খবর নেই। সে অবাক হয়, আমি কিছু চাই না বলে। ভেতরে ভেতরে আতংকে শুকায়ে ওঠে। কিন্তু জানে না, এই যে আমার ফোন পেলেই বদমাইশের বাচ্চাটার হাত-পা হিম হয়ে আসে; এটাই হচ্ছে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শাস্তি। অন্তত আমার সঙ্গে সে যা করসে, সেই কাজের হিসাবে। তার নিজের স্ত্রী'র সঙ্গে সে যে বিশ্বাসঘাতকতা করছে, সেটার হিসাব অবশ্য বাদ দিলাম। আর সেই হিসাব আমার করার কথাও না। তাই না? আমি শুধু কাঁচিটাকে ধারে-কাছে রাখি সবসময়। বিশেষ কোনো কারণ ছাড়াই।

আমি খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে বললাম, ব্যপক! তবে আপনে যা করসেন, খারাপ করেন নাই। ব্যটার একটা কঠিন শাস্তি পাওয়া দরকার আছিলো। অবশ্য এখন যে আপনে বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে সুখে-শান্তিতে আছেন, দিন কাটাচ্ছেন- এটাও খারাপ না। কিন্তু এইভাবে আসলে কতদিন, বলেন? আলটিমেটলি জীবনটারে নিয়ে আপনের একদিন না একদিন সিরিয়াসলি ভাবতেই হবে। কারণ মানুষ মাত্রই অপার সম্ভাবনাময় একটা জীব। এই আপনেই কিন্তু হইতে পারতেন হাইতি দ্বীপপুঞ্জের একজন ট্যানডেম মাস্টার। ব্যবসা-পাতি এখানে যা আছে সব গুটায়ে ওখানে গিয়ে, স্রেফ একটা জেট বিমান কিনে নিলেই হইতো। মানুষ-জনরে স্কাই-জাম্পিং করাইতেন আর এখনকার এই অবাধ সময়ের স্মৃতিতে বিচরণ করে দিনগুলা কাটাইতে পারতেন। স্কীন নিয়ে খুব বেশি টেনশন হইলে নাহয়, মাঝে মাঝে সান-ট্যানিং লোশন মেখে বালুকাবেলায় চিৎ হয়ে শুয়ে থাকলেন। আর কখনো খুব বেশি এগজস্টেড লাগলে নিয়ে নিলেন একটা মনোরম স্পা। তারপর নির্জন রাতে নিজের রুমে লো ভলিউমে চলতো পারতো আপনের প্রিয় ২৭ ক্লাবের কোনো একটা সফট মেলোডি, আর আপনে কম্বলের ভেতর গুটিশুটি প্যাকেট হয়ে শুয়ে শুয়ে উল্টাইতে পারতেন- ডন ভিটো করলিওনির কল্পকাহিনীর পাতা।

আমি ক্রমাগত বলেই যেতে থাকলাম, আর আকাশে উঠে লাফালাফি যদি আপনের ভালো না লাগে তো অসুবিধা নাই। চলে যান ইন্দোনেশিয়া। ওখানে গিয়ে একটা ৭০-৩০০ লেন্স আর একটা ওয়াটারপ্রুফ এসএলআর কিনে নিলেই হলো। পানির নিচের ছবি তুলবেন আর পানির উপরে বিক্রি করবেন। পেশাদার স্কুবা ডাইভার। খারাপ শোনায়? বড়জোর একটা ল্যাপটপ, একটা মডেম আর একটা কার্ড রিডার লাগতো। বেশি তো কিছু না। যা কামাই হইতো, তা দিয়ে সন্ধ্যাগুলায় কোনো একটা পাবে ঢুকে হালকা পানি-টানি খাইলেন আর দিনের বাকী প্রয়োজনগুলা মিটাইলেন। ব্যস্। একটা গুছানো ছিমছাম জীবনের জন্য আর কিছু লাগে, বলেন? বিশেষ করে যখন নিজের মতো করে থাকার অভ্যাস আপনার আছেই। ম্যান, আপনে কত সম্ভাবনাময় একটা জীবন বাদ দিয়ে শুধু শুধু-স্রেফ শুধু শুধু এই কংক্রীটের জঙ্গলে পাজলড্ হয়ে পড়ে আছেন! আমার তো চিন্তা করেই মেজাজ গরম হয়ে যাচ্ছে। আপনার লাইফটা যে রুবিকের ঘনকের চাইতেও কঠিন একটা গিট্টু খেয়ে গেছে, বুঝতেসেন? এটা হইলো একটা কিছু?

এক নিঃশ্বাসে এতগুলো কথা বলে শেষ করার পর আমার মনে হলো, কাজটা ঠিক হয় নি। আবছাভাবে মনে হলো মীম বুঝি একটু কেঁপে উঠলো। আমি জানি, যারা মানসিকভাবে অনেক শক্ত আর জীবনপথে অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়, তাদের মনের ভেতর একটা গোপন কুঠুরি থাকে; যার দরজাটা খুব পলকা হয়। আলতো টোকায় সেই দরজা বড় হাট হয়ে খুলে যায়। তখন শৈশব, কৈশোর বা ফেলে আসা দিনের কোনো এক স্মৃতিমাখা বাতাস বহুদিন পর সে কুঠুরি থেকে মুক্তি পেয়ে- এক ঝটকায় পাঁজরের খাঁচাটা একদম এলোমেলো করে দিয়ে যায়। ভিজে চুপচুপে হয়ে যায় মানুষটার অন্তর। ভেতরে যখন এমন কিছু ঘটে, তখন বাইরের অবয়বটা নাকি হালকা হালকা কাঁপতে থাকে। আমি এতদিন কথাটা শুনেছিলাম শুধু, সেদিন নিজের চোখে দেখলাম। সে সময়টায় আমি পাশ থেকে ওকে শক্ত করে ধরে রাখলাম, যাতে ওর খুব বেশি খারাপ না লাগে।

সে খুব গুটিশুটি হয়ে পাশ থেকে আমাকেও খুব শক্ত করে ধরে রাখলো। নানা ভঙ্গিতে নানান দিক থেকে পুরুষের ওপর আলো ফেলা একটি অসাধারণ মেয়েকে; আমি দেখছিলাম খুব সাধারণ, স্বাভাবিক একটা অবস্থায়। আমার মনে হচ্ছিলো; ঠিক সেই সময়কার মানসিক অবস্থার সঙ্গে হয়তো মীম পূর্বপরিচিত নয়, কিংবা পরিচয় থাকলেও অমন অবস্থায় পড়ে পড়ে ওর অভ্যাস নেই। হুট করে যে নিজের মনটাই কখনো অমন বিটকেলেপনা করে বসতে পারে, সে ব্যপারে ও আসলেই ওয়াকিবহাল ছিলো না একদম।

মেয়েটির সঙ্গে কথা বলতে বলতে আমার মধ্যেও খানিকটা ওর মতো ভাষা চলে এসেছে। কথার ভেতরে ওয়াকিবহাল শব্দ ব্যবহার করছি। যাক্ কোনো এক বিচিত্র কারণে সেদিন রাতে ওকে ছেড়ে আর কোথাও যেতে ইচ্ছে হলো না আমার। ওর ফোনটা নিয়ে তাই একটা টেক্সট্ লিখলাম, ''আজ আর এসো না মামুন। শরীরটা ভালো নেই।'' লিখে মামুন স্যারের নাম্বারে সেটা পাঠিয়ে, ফোনটা ওর দিকে বাড়িয়ে দিলাম। টেক্সটটা পাঠিয়েই অবশ্য আমার নিজেকে খানিকটা হাটুরে-হাটুরে লাগা শুরু হলো। হুট করে অন্যের একটি পার্সনাল ব্যপারে ওরকম পর্যায়ের একটা ইন্টারফেয়ার করে ফেলাটা তো আসলে যত যাই বলি না কেন, একদমই উচিত না। যদিও টেক্সটটা আমি ওকে দেখিয়েই লিখেছিলাম। মামুন স্যারের নাম্বারটা টেপার পরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছিলাম, ওর প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য। সে তখন চুপচাপ আমার বুকে মাথা ঠেকিয়ে শুয়ে ছিলো, পা দু'টো ভাজ করে নিজের বুকের প্রায় কাছাকাছি নিয়ে এসে।

ওর হাতে ফোনটা দিতেই সে আরেকটা টেক্সট লিখলো, ''আমার ক'টাদিন বিশ্রাম দরকার। ভালো থেকো। ফোন করো না।'' লিখে সেটাও পাঠিয়ে দিলো মামুন স্যারের কাছে। তারপর ফোনটা সরিয়ে রেখে, মীম নিজে আমার আরো খানিকটা কাছে সরে আসলো। আমি তাকে বললাম, আমার সঙ্গে হিসাব করতে চাইলে কিন্তু ছয়-পাঁচ দিনের হিসাব করলে চলবে না। আমি অমন হিসাবে বিশ্বাস করি না। করলে সারাজীবনের হিসাব করতে হবে।

মেয়েটি অবশ্য এ কথা শুনে, অপলক দৃষ্টিতে আমার দিকে কেবল কিছুক্ষণ তাকিয়ে ছিলো সেদিন। কিছুই বলে নি। এরপর আমাদের কেটে গেছে অনেকগুলো দিন। এখনো ওর কাছে থেকে আমার আলাদা করে কিছু শোনার প্রয়োজন পড়ে নি।

(শেষ)
---

পোস্টটি ১৩ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

বিষণ্ণ বাউন্ডুলে's picture


শেষটা যে অতটা ভাল হবে আশাও করিনাই।
অসাধারণ এই গল্পের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আই স্যালুট ইয়ু, মায়েস্ট্রো মীর।

মীর's picture


দিস ইজ টু মাচ্। আমি এইরাম লজ্জা বহুত দিন পাই নাই।

বিষণ্ণ বাউন্ডুলে's picture


এটার আগের পর্বে আরো কিছু কথা বলছিলাম, দেইখেন।

আজকে এত চুপচাপ ক্যান?
নতুন কিছু লেখতেছেন?
নাকি কারেং ডিসটাব দিতাছে?!

মীর's picture


কালকে খেলা দেখতেসিলাম, পরে আইসা আর এই কমেন্টটা খেয়াল করি নাই ভাইয়া।

অনেক কথা হাতে-মাথায় ঘুরপাক খায়, কিন্তু বোর্ডে নামে না Sad

ফাহমিদা's picture


সুন্দর সমাপ্তি.. ভালো লাগলো অনেক..

মীর's picture


প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আপনার সুন্দর সঙ্গও অনেক ভালো লেগেছে ফাহমিদা'পু।

অ.ট.: আপনার কথা ছিলো, ওশিনকে আমাদের সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবেন। সেটা কবে দেবেন শুনি Stare

মাহবুব সুমন's picture


হুট করে শেষ হয়ে গেলো Sad শেষ ২ টা পর্বে তাড়াহুড়া ছিলো মনে হলো।

মীর's picture


Sad কোনো পর্বেই কোনোরূপ তাড়াহুড়া ছিলো না ভাইজান। কিন্তু তাও লেখাটা খুব বাজে হইসে, আমি জানি। আসলে এটাই আমার লেখার প্রকৃত মান সুমন ভাই Sad

মেসবাহ য়াযাদ's picture


খাইছেরে...
আপনি ভালো লেখেন, তাই বলে ইরাম ভালো !
ঈশ্বর আপনের মঙ্গল করুক Wink

১০

মীর's picture


ভাই কেমন আছেন? অনেকদিন আপনার সঙ্গে কথা হয় না। ।

১১

মেসবাহ য়াযাদ's picture


ইয়াহুর পাতায় ২ য় কিস্তিতো দিলেন না !
কেউ কথা রাখেনা... Sad

১২

মীর's picture


আপনের এই কমেন্টটার সঙ্গে গম্ভীরমুখের প্রো-পিকটা খুব মানানসই হইসে Big smile

কথা রাখবো। বিষয়টা মাথায় ছিলো না। আসলে মাথা তো পুরাই নষ্ট, জানেন না?

১৩

রাসেল আশরাফ's picture


শেষের টুকু যদিও সিনেমা সিনেমা লাগলো তবুও এর চাইতে ভাল সমাপ্তি হতে পারতো না।

এইবার অচল পয়সাটা নিয়ে কিছু করুন ভাইসাব।

১৪

মীর's picture


হুম, আমার কাছে শেষ-শুরু কোনোকিছুই ভাল্লাগে নাই।
যাক আপনার বিজ্ঞ মতামতের লাগি আনলিমিটেড THNX

১৫

নীড় সন্ধানী's picture


আমি ভাবতেছি রবীন্দ্রনাথ বাঁচিয়া থাকিলে এই গল্প নিয়ে কি কমেন্ট করতো Steve

১৬

মীর's picture


ভাগ্যিস ঠাকুর মরেছিলেন। তার ওয়াস্তে একখানি কমেন্ট তো মিললো Big smile

ধন্যবাদ নীড়দা' আমার ব্লগে আসার জন্য।

১৭

অনিমেষ রহমান's picture


এক কথায় অসাধারন!
চমৎকার।

১৮

মীর's picture


অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৯

সাঈদ's picture


দারুন সমাপ্তি ।

২০

মীর's picture


THNX

২১

রায়েহাত শুভ's picture


লগিন হইতে বাধ্য করলেন Smile
গল্পটা নিয়া কিছু কমুনা শুধু মাত্র এই লাইন কয়টার জন্যেই বারবার পড়বো লেখাটা...

আমি জানি, যারা মানসিকভাবে অনেক শক্ত আর জীবনপথে অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়, তাদের মনের ভেতর একটা গোপন কুঠুরি থাকে; যার দরজাটা খুব পলকা হয়। আলতো টোকায় সেই দরজা বড় হাট হয়ে খুলে যায়। তখন শৈশব, কৈশোর বা ফেলে আসা দিনের কোনো এক স্মৃতিমাখা বাতাস বহুদিন পর সে কুঠুরি থেকে মুক্তি পেয়ে- এক ঝটকায় পাঁজরের খাঁচাটা একদম এলোমেলো করে দিয়ে যায়। ভিজে চুপচুপে হয়ে যায় মানুষটার অন্তর। ভেতরে যখন এমন কিছু ঘটে, তখন বাইরের অবয়বটা নাকি হালকা হালকা কাঁপতে থাকে।

২২

স্বপ্নের ফেরীওয়ালা's picture


হায় হায়...আমিও এই কয়েকটা লাইনের কথা বলতে চাইছিলাম

তবে পুরো লেখাটা একসাথে ছাপা হলে বা পড়লে শেষদিকে নায়কের চরিত্রের ধারাবাহিকতাএকটু হোচট খায়...

~

২৩

মীর's picture


হোঁচট খাওয়ার কারণ আমার লেখার নিম্নমান ফেরী ভাই। আর কিছু না।

২৪

মীর's picture


ধইন্যাপাতা শুভ ভাই।

২৫

কামরুল হাসান রাজন's picture


এত তাড়াতাড়ি শেষ করে দিলেন? Thinking লেখা আপনার অন্য সব লেখার মতই ভাল লাগছে Laughing out loud

২৬

মীর's picture


প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ রাজন ভাই।

২৭

নিভৃত স্বপ্নচারী's picture


বেশ ভাল লাগলো।

২৮

মীর's picture


THNX

২৯

আরাফাত শান্ত's picture


একটা অসাধারন সফল সিরিজ লেখার জন্য জাতির পক্ষ থেকে আপনেকে ধন্যবাদ!

৩০

মীর's picture


জাতির আরেক সদস্য কই?

৩১

শিমুল's picture


ঝিনুক
আর ঝিনুকের অসুখের নাম মুক্তা

Star Star Star Star

৩২

মীর's picture


সে তো কবিতার অপর নাম বস্। উস্তাদ বলে গেছেন, ঝিনুকের জ্যোতির্ময় ব্যাধি।

৩৩

হাসান রায়হান's picture


আহ, চমৎকার সমাপ্তি। লাইকড দ্যট! Smile
লাভ য়ু মীর Smile

৩৪

মীর's picture


মী লাভ য়ু টু ব্রো Smile

এই সমাপ্তিটা আপনার পছন্দ হইসে জেনে অবশ্য রাগ হইসি। আসলে এই সমাপ্তিটা আমি নিজে একটুও চাই নাই। কয়দিন আগে হাতিরপুলে একটা খুন হইছিলো মনে আছে? ওই যে, বাচ্চু নামের এক লোক একটা মেয়েকে গলা টিপে খুন করে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ টুকরা টুকরা করে কেটে কিছু বাইরে ফেলে দিলো আর নাড়ি-ভুড়ি-চামড়াগুলো টয়লেটের কমোডে ফ্লাশ করে দিলো; সেই ঘটনাটাকেই একটা ভিন্ন দিক থেকে আমি আসলে উপস্থাপন করতে চেয়েছিলা। যদি একই কাজ কোনো মেয়ে করে তখন সমাজ সেটাকে কিভাবে নিতো?

সেই টার্গেটে মীম নামের একটা চরিত্র তৈরি করলাম, ফার্স্ট পার্সনে সমাজের একজন প্রতিনিধিকে উপস্থাপন করলাম, মীমকে খানিকটা চরিত্রহীন-খানিকটা সমাজের কষাঘাতে আক্রান্ত মেয়ে হিসেবে আঁকলাম, যে নিজের সব কথা অকপটে সমাজের কাছে স্বীকার করছিলো, তার প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিটা কেমন হতো- সেটা তুলে ধরার ইচ্ছাও ছিলো; কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার কিছুই হলো না। ভুয়া, গতানুগতিক এবং অকারণ ১৮+ উপাদানে ভর্তি বাজে একটা গল্প নামের কলংকে পরিণত হলো লেখাটা।

এ ঘটনা থেকে আমার মনে একটা ধারণা তৈরি হইসে। লেখালেখির কাজটা আসলে নট ফর এভরিওয়ান। এইটা আসলে অল্প কিছু মানুষই পারে। সেই অল্প কিছু মানুষের বাইরে আর যাদের লেখা নিয়ে আমরা ভাবি বা পছন্দ করি, সেটা নিতান্ত স্নেহ ও ভালবাসাবশত। তার লেখার গুণে নয়। এ ব্যপারে আপনার মতামত কি ভাইজান?

৩৫

মেসবাহ য়াযাদ's picture


চোখ টিপি

৩৬

টুটুল's picture


এই মন্তব্যের একটা রিপ্লাই দিছিলাম Sad ... কিন্তু এখন দেখতাছি নাই Sad ... ব্লগ কর্তৃপক্ষ আমার মন্তব্য ফিরাইয়া দেন Sad

মীরের লেখা দেইখা হয়তো লেখাটা পড়তে ঢুকি... কিন্তু "মীরের লেখা" এই জায়গাটা কিভাবে তৈরী হইছে? আপনার সাথে কখনো দেখা হয় নাই... আপনে আমার আত্মীয়ও না Wink ... তাইলে? মীরটা আইলো কৈ থিক্কা? মীর আসলো তার লেখা থেকে... যেই লেখা দিয়ে মীর নিজের জন্য জায়গা তৈরী করছে সেটার শুরুটা স্নেহ ভালবাসা ছিল না... ছিল মীরের যোগ্যতা Smile ...

ক্যামন আছেন মীর?

৩৭

রাসেল আশরাফ's picture


টুটুল ভাই ক্যামেরা নিয়া বিজি হওয়ার পর থেকে খুব জ্ঞানী জ্ঞানী কথা কইতাছে। এই জ্ঞানের কথাটা পছন্দ হয়েছে।

মীর আসলো তার লেখা থেকে... যেই লেখা দিয়ে মীর নিজের জন্য জায়গা তৈরী করছে সেটার শুরুটা স্নেহ ভালবাসা ছিল না... ছিল মীরের যোগ্যতা

আফসুস পোলাটা বুঝলো না।

৩৮

মেসবাহ য়াযাদ's picture


টুটুল ভাই ক্যামেরা নিয়া বিজি হওয়ার পর থেকে খুব জ্ঞানী জ্ঞানী কথা কইতাছে।

শুধু টুটুল না, পরিচিত যারা যারা ক্যামেরা লৈয়া বিজি... সবতেই আজকাল দেখি জ্ঞানী জ্ঞানী কতা কৈতাছে... কী মুশকিল Wink

৩৯

মীর's picture


মুশকিলের কিছু নাই মেসবাহ ভাই, আপনে একটা ক্যামেরা নিয়ে নেন- তখন আপনেও পারবেন Wink

রাসেল ভাই, বুঝি না কথাটা ঠিক না। বুঝি এবং বুঝি বলেই আপনারে এত্ত এত্ত ভালবাসি Love

টুটুল ভাই, ভালো আছি। আপনার কমেন্টের কি জবাব দেবো- বুঝতে পারছি না। খুব সুন্দর করে বিষয়টা ব্যাখ্যা করার জন্য রিয়েল থ্যাংকস্। আমি নিজে অনেক সংকুচিত হয়ে ছিলাম ভেতরে ভেতরে। আপনার লেখাটা পড়ে অনেক ফ্রী ফ্রী লাগছে। এটা অনেক বড় একটা পাওয়া আমার জন্য।

৪০

জ্যোতি's picture


Smile যাক্, পোলায় তাইলে বুঝলো। টুটলারে ধইন্যা।

৪১

রুম্পা's picture


চল্টা মল্টা তল্টা হুঙ্কার.. মানে.... Crazy

৪২

মীর's picture


Big smile Big smile Big smile

৪৩

জেবীন's picture


মন্তব্য করা হয় নাই, তবে সবগুলা পর্ব পড়া হইছে, আলসেমি করে বলে উঠা হয়নি, মীর এন্ডিংটা এত্তো দারুন করে দিছেন। Smile

পুরা টপিকের কথাঃ মীর আগেও ছিলো তবে ইদানিং বিনয়কুমার হয়ে গেছেন বেশিবেশি! Wink

৪৪

মীর's picture


আপনে কেমন আছে আপু? অনেকদিন নতুন কিছু লিখেন নাই। এবার একটা কিছু লেখেন তো পড়ি Smile

৪৫

জ্যোতি's picture


এই পোস্টটা এই কয়দিন দেখলাম না কেন বুঝলাম না। রায়হান ভাই এফ বি তে শেয়ার দিলো বলে এমন অসাধারণ একটা লেখা পড়তে পারলাম। জোশ সমাপ্তি। মীর অলওয়েজ ই জোশ। আমরা সবসময়ই মীরকে লাভ ইউ।

৪৬

মীর's picture


আমিও আপনাকে অলওয়েজ লাভ ইউ Love

৪৭

একজন মায়াবতী's picture


যারা মানসিকভাবে অনেক শক্ত আর জীবনপথে অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়, তাদের মনের ভেতর একটা গোপন কুঠুরি থাকে; যার দরজাটা খুব পলকা হয়। আলতো টোকায় সেই দরজা বড় হাট হয়ে খুলে যায়। তখন শৈশব, কৈশোর বা ফেলে আসা দিনের কোনো এক স্মৃতিমাখা বাতাস বহুদিন পর সে কুঠুরি থেকে মুক্তি পেয়ে- এক ঝটকায় পাঁজরের খাঁচাটা একদম এলোমেলো করে দিয়ে যায়। ভিজে চুপচুপে হয়ে যায় মানুষটার অন্তর। ভেতরে যখন এমন কিছু ঘটে, তখন বাইরের অবয়বটা নাকি হালকা হালকা কাঁপতে থাকে।

টিপ সই

৪৮

মীর's picture


থ্যাংকিউ আপুমনি। কিরাম আছেন বলেন তো। নতুন লেখা কই। গ্লাসে করে জ্যোৎস্না জমান না নাকি আজকাল?

৪৯

সন্ধ্যা প্রদীপ's picture


ek nissashe porlam.. oshadharon...

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.

বন্ধুর কথা

মীর's picture

নিজের সম্পর্কে

স্বাগতম। আমার নাম মীর রাকীব-উন-নবী। জীবিকার তাগিদে পরবাসী। মাঝে মাঝে টুকটাক গল্প-কবিতা-আত্মজীবনী ইত্যাদি লিখি। সেসব প্রধানত এই ব্লগেই প্রকাশ করে থাকি। এই ব্লগে আমার সব লেখার কপিরাইট আমার নিজেরই। অনুগ্রহ করে সূ্ত্র উল্লেখ না করে লেখাগুলো কেউ ব্যবহার করবেন না। যেকোন যোগাযোগের জন্য ই-মেইল করুন: bd.mir13@gmail.com.
ধন্যবাদ। হ্যাপি রিডিং!