গল্প: নোঙরের সঙ্গে উঠে গিয়েছিলো একটি পাঁজরের হাড়
ক্রিং ক্রিং...
-হ্যালো।
একবার রিং বাজতেই যে মিভ ফোনটা রিসিভ করবে, আমি স্বপ্নেও ভাবি নি। একটু হকচকিয়ে গিয়েছিলাম। একটু না, বলা ভালো বেশ খানিকটাই হকচকিয়ে গিয়েছিলাম। আসলে ও যে ফোন ধরবে, সেটাই তো আমি আশা করি নি। কত দিন-মাস-সপ্তাহ ধরে ও আমার কল রিসিভ করে না! তবুও কেন যে সেদিন রাত ৪টা ৫০মিনিটে আনমনে মোবাইল টিপতে টিপতে ওর নাম্বারটাই আমি লিখেছিলাম, জানি না।
লিখে আবার সেটাকে ডায়ালেও পাঠিয়ে দিলাম। আর চটজলদি কলটা চলে গেলো ওর কাছে। অথচ তার আগে বহুদিন একইভাবে ওর নাম্বার লিখেছি আর কেটে দিয়েছি। একবার, দুইবার, একটানা একঘন্টা, দুইঘন্টা; সেসব অর্থহীন কীর্তিকলাপের কোনো হিসেব নেই।
অথচ সেদিন ভোরে ওর নাম্বারটা লিখে আর কাটি নি। কল দিয়ে দিয়েছি। ও'ও কলটাকে রিসিভ করে ফেলেছে। রিসিভ করে বলে বসেছে, হ্যালো। মনে আছে, পুরো ঘটনার আকস্মিকতায় তাল হারিয়ে আমি অনেকক্ষণ ফোনটা কানের সঙ্গে ঠেসে ধরেই রেখেছিলাম শুধু। আর কিছুই করতে পারি নি। একটা সৌজন্যের হ্যালো যে প্রত্যূত্তরে বলতে হয়, সেটাও পারি নি।
ও চলে যাবার পর, একটা সময় আমি শত-সহস্রবার কয়েকটা কথা বলার প্রস্তুতি নিয়ে ওকে ফোন করেছিলাম। ও সেই ফোনগুলোর একটাও ধরে নি। আমার কথাগুলো ই-মেইলে লিখে দিতে পারতাম। কিন্তু দিই নি। টেক্সট করেও পাঠিয়ে দেয়া যেতো। আমি ওকে একসময় প্রায়ই ১৪০০ শব্দের টেক্সট লিখে পাঠাতাম। কারণ এরচে বড় টেক্সট আমার মোবাইলে লেখা যেতো না। কিন্তু আমার শেষ কথাগুলো আমি ওকে টেক্সট করেও পাঠাই নি।
আসলে কথাগুলো নিজেই বলতে চেয়েছিলাম। নিজের কণ্ঠে। ও সেই সুযোগটা আমায় দেয় নি। অবশ্য ইচ্ছা করলে অচেনা নাম্বার থেকে ফোন করে ওকে আমি ধরে ফেলতে পারতাম। কিন্তু সেই কাজটা আমি করি নি। আসলে ওকে ওভাবে পাকড়াও করে আমার কথাগুলো শোনাতে চাই নি। সেটা ভালো দেখাবে না মনে করেই।
চেয়েছিলাম আমার কথাগুলো শোনার আগে ওরও খানিকটা প্রস্তুতি থাকুক। চেয়েছিলাম একবার শুধু কথাগুলো কোনোমতে ওকে বলে দিতে, বলে নিজেকেই একটা মুক্তি দিয়ে দিতে। সেই বিশাল বোঝাটা, যেটার ওজন ক্রমাগত বাড়ছিলো; সেটাকে পিঠ থেকে নামিয়ে দিতে। কিন্তু ও সুযোগটা দিচ্ছিলো না।
তারপর অনেকদিন পার হয়ে গেলো। একসময় এই ভাবনাগুলো বাদ দিলাম। অশান্ত মনকে এলেবেলে নানান কথায় ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা শুরু করলাম। কি হবে নিজের কথাগুলো এত ঘটা করে ওকে বলে? কি হবে মুক্তি নিয়ে? মুক্তি দিয়ে আমি কি করবো? আমি কি মুক্তির আশায় ওকে ভালবেসেছিলাম?
কিন্তু আমি জানি না, এ কথাগুলো আসলে কতটুকু আমাকে আড়াল করে রাখতে পারছিলো করাল বাস্তবের কাছ থেকে। যদি পুরোপুরিই পারতো, তাহলে তো ওর কথা আমার কখনো মনেই পড়তো না। কোনো একাকী ভোরে আনমনে মোবাইল টিপতে টিপতে আমি ওকে কল দিয়ে বসতাম না কোনোদিনও।
ওর মিষ্টি কণ্ঠটা আবারো ওইপাশ থেকে জানতে চাইলো, হ্যালো।
খুব যত্নসহকারে বলা হ্যালো। যেন সে চাচ্ছে, আমি এই হ্যালোর উত্তরে একটা কিছু বলি। আর কিছু না পারলে একটা হ্যালো যেন এ্যাটলীস্ট বলি। কিন্তু আমি পারছিলাম না। একাধিকবার চেষ্টা করলাম। ঠোঁটটাই ঠিকমতো নাড়াতে পারলাম না। অসাড় হয়ে গেছে ঠোঁট, মস্তিষ্ক আর আজ্ঞাবাহী গ্রন্থিগুলো। হারিয়ে গেছে মন, কোনো এক বৈশাখি দুপুরের স্মৃতির কোঠায়। আমরা দু'জন সেদিনই প্রথম আর শেষবারের মতো দেখা করেছিলাম।
আমি জানতাম, ও আমাকে যেমনটা ভাবে- আমি তেমনটা নই। তেমনটার কাছাকাছিও নই। আমি জানতাম, আমাকে দেখে ও ভীষণ আশাহত হবে। মনে মনে আমার উপর রেগে উঠবে। তাও আমি অনেক সাহস বুকে ধরে চলে গিয়েছিলাম, ওর সামনে। অনেক জোরে একটা সাকশন পাম্প চলছিলো হৃৎপিন্ডের ভেতর, যখন ও আমার সামনে এসে দাঁড়ালো- তখন। ভেতরে তোলপাড় হয়ে যাচ্ছিলো সবকিছু। বাইরে বোকা বোকা ধরনের একটা হাসি মুখে ঝুলিয়ে রাখার প্রাণান্ত চেষ্টায় ঘেমে উঠছিলাম। এভাবেই আমি ওর সঙ্গে জীবনের শ্রেষ্ঠ দু'টি ঘন্টা পার করেছিলাম। সময়টা আমার কাছে ছিলো একটা ঝলকের মতো। বিদ্যূতের ঝলক না কিন্তু। অমন ঝলক সৃষ্টি হতে পারে কেবল স্রোতস্বীনি দু'টি নদী একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খেলেই।
সব মিলিয়ে আমরা মাত্র এক মূহুর্ত সময় একসঙ্গে ছিলাম। হ্যাঁ, একটা মূহুর্তই। মূহুর্তটা নিমেষে এলো এবং চোখের সামনে দিয়ে নিমেষে গায়েব হয়ে গেলো। শুধু রেখে গেলো একগুচ্ছ নক্ষত্রফুলের সুবাস। তারপরে জানি না কতদিন পর্যন্ত আমি বিভোর হয়েছিলাম। জানি না কতদিন আমার প্রত্যেকটা কাজে ওর উপস্থিতি টের পেয়েছিলাম। ফুলে ভরা ঝুড়ির মতো সুন্দর মেয়েটির উদ্দেশ্যে আমি আমার জীবিত-মৃত প্রতিটি সত্তার অধিকার লিখে দিয়েছিলাম, ওই এক মূহুর্তের বিনিময়েই।
তারপর খুব দ্রুতই একদিন আমি দেখতে পেলাম, ও দূরে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি হাহাকার চেপে জিজ্ঞেস করলাম, কই যাও? আমার গলায় দলাপাকানো কষ্ট এসে জমা হয়েছিলো। কিন্তু কণ্ঠে সেটাকে বের হতে দিই নি। পাছে ও আমায় দুর্বল ভেবে বসে। ও হেসে বলেছিলো, কোথাও না তো। কিন্তু আমি জেনে গিয়েছিলাম, ও চলে যাচ্ছে।
এবং সত্যিই একদিন চলে গেলো। আমি আর ওকে পেলাম না। ফোনে পেলাম না। পেলাম না অন্তর্জালে। একদিন ওর অফিসে গিয়ে জানলাম- সে চাকরি ছেড়ে দিয়েছে। ওর বন্ধুদের কাছে গিয়ে জানলাম- বেশ কিছুদিন ধরে কোনো খোঁজ নেই। এমনকি একদিন ওর বাসায় গিয়েও দেখি নেই। ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিয়ে ওরা চলে গেছে। কোথায় গেছে কেউ জানে না। যেন সবকিছু থেকে ভোজবাজির মতো মিলিয়ে গেছে নির্জন সকালের মতো স্নিগ্ধ সেই মেয়েটি। আমি একটিবারের জন্য ওকে বুকে জড়িয়ে ধরার সুযোগ পেলাম না।
অপরপ্রান্ত থেকে লাইন কেটে দেয়ার যান্ত্রিক বিপ ভেসে আসার ঠিক আগমূহুর্তেই আমার গলা থেকে ছিটকে বেরিয়ে গেলো- আমি তোমাকে ভালবাসি মিভ। আমি কল্পনার চোখে দেখতে পাচ্ছিলাম, ও ভুল-করে-চাপ-লেগে-কল-চলে-গেছে ভেবে কান থেকে ফোনটা নামিয়ে ফেলেছে। সে হ্যাং-আপ করার আগেই আমার মুখ দিয়ে কথাটা ছিটকে বেরিয়ে গিয়েছিলো, মনে আছে। আমি আবার কল্পনায় দেখলাম, ও ফোনটা দ্বিতীয়বার কানে তুললো। কথাটা বোধহয় শুনে ফেলেছে কোনোভাবে। ফোন তুলে আমায় বললো, আমি জানি তুমি আমায় ভালোবাসো রিপ। কিন্তু আমি জানতাম না, এরপর কি বলতে হবে।
আমার কোনো পূর্বপ্রস্তুতি ছিলো না। পরের কথাতেই যে সে বিরক্ত হয়ে ফোন কেটে দেবে না, সেই আত্মবিশ্বাস ছিলো না। এমনকি ওর স্বাভাবিক জবাব পাওয়ার পরও যে আমার কথায় ও বিরক্ত হয় নি, তাও বিশ্বাস হচ্ছিলো না। সেদিন আমি বুঝতে পেরেছিলাম, সত্যিকার ভালবাসার সাথে সবসময় হারানোর ভয় মিশে থাকে। বুঝতে পারছিলাম, আমি আমার শেষ কথাগুলো বলার সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু শেষ কথা হিসাবে আমি যা কিছু বলবো বলে ভেবে রেখেছিলাম, তার কিছুই আর বলতে পারছি না। আমার অন্তর শুধু একটি কথাকেই তুলে রেখেছিলো সেসময় বলার জন্য। আমি খুব আস্তে আস্তে আবারো একই কথা বললাম, আমি তোমাকে ভালোবাসি মিভ।
মিভ কথাটা শুনে খানিকক্ষণ অপেক্ষা করলো। তারপর ফোনটা হ্যাং-আপ করে দিলো।
আমি তারপরও অনেকক্ষণ ওটা কানে ধরে রেখেছিলাম। লাইন কেটে যাওয়ার যান্ত্রিক টুঁট টুঁট গুলো মনোযোগ দিয়ে শুনলাম। ঘরের সিলিংয়ে ঘূর্ণায়মান ফ্যানের শোঁ শোঁ আওয়াজটা অনেকক্ষণ পর্যন্ত শুনলাম। বাইরে ততক্ষণে চড়ুই পাখিদের কিচিরমিচির খুব ছোট ভলিউমে শুরু হয়েছিলো। সেগুলো শুনলাম। একসময় সূর্যের আলো ফোটার শৃঙ্গার কানে এসেছিলো। কল্পনার চোখে দেখেছিলাম, পূর্বসাগরে একটা পালতোলা জাহাজ নোঙর তুলেছে। সেটার ভেঁপুর আওয়াজে আমার দুই চোখে নেমে এসেছিলো একটা কালো রঙয়ের মদির ঘুমের কার্টেন। শিরা, ধমনী আর উপশিরাগুলোতে রক্ত চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছিলো। আমি হতাশার রাজ্যে তলিয়ে যাওয়াকে ঘুমিয়ে পড়ছি ভেবে ভুল করেছিলাম।
পরে, অনেকানেক দিন পরে জেনেছিলাম; মিভ আসলে আমাকে বড় কষ্টটা দিতে চায় নি। ওর পক্ষে কখনোই আমার কাছাকাছি আসার সুযোগ ছিলো না। তাই নিজেকে সযত্নে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলো সে। সেটা জেনে আবার অনেকবার ভেবেছিলাম ফোন করবো। করে বলবো, 'আমার কষ্ট পেতে আপত্তি ছিলো না। তুমি আজীবন দূরেই থাকতে পারতে চাইলে।' কিন্তু বলা হয় নি। আমার আপত্তি না থাকলে যে অন্যকারো আপত্তি থাকতে পারবে না, এমন তো কোনো কথা নেই।
আমি সেই অনিশ্চয়তা বুকে ধরে আজ অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি। অস্বাভাবিক নিয়মে ওর প্রতি আমার ভালোবাসাটা দিনে দিনে বেড়েছে। অথচ সেটা কমার কথা ছিলো। ওকে পাওয়ার তীব্র আকাঙ্খাটা একটা কাঠুরে লতার মতো আমাকে প্রতিনিয়ত আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলেছে। বাঁধনের জোর সময়ে সাথে সাথে বেড়েছে। আমি ধীরলয়ে সংকুচিত হতে হতে একটা জীবন্মৃত অস্তিত্বে রূপান্তরিত হয়েছি। আমার শরীরি অবয়বটা একটা নিঃস্বার্থ চেহারা পেলেও আমি জানি, ভেতরে ভেতরে আমি কত স্বার্থপরের মতো করে আজো ওকে চাই। মনে মনে গান গাই, আজ-কাল বা পরশু যদি সে এসে দাঁড়ায়/ ছায়ার মতো আমার ছায়ায়...
যদিও জানি, ও আর কখনো আমার জীবনে ফিরে আসবে না।
---
চমত্কার গল্প।
একটা ঘোরের ভেতর পুরোটা গল্প পড়লাম। ভালোবাসার তীব্র হাহাকারটুকু টের পেতে কষ্ট হয়নি কোন।
আপনার কিছু লেখা মনে করিয়ে দেয়,
আপনার লেখক স্বত্বা কখনই নির্দিষ্ট কোন গন্ডিতে আবদ্ধ থাকার জন্য জন্মায়নি।
আপনার জন্য ভোররাতের আলো আঁধারিতে,
অনেক অনেক ভালোবাসা।
ভাল থাকুন, সুপ্রিয় মীর ভাই।
ধন্যবাদ প্রিয় বাউন্ডুলে। ভালো থাকুন।
আপনি যে সুন্দর গল্প লিখতে পারেন সেটা প্রায় ভুলতে বসেছি। একটা গল্প দেন এবার।
শুভ গভীররাত্রি।
গল্প মাথায় আসেনা খুব একটা।
থীম আসেনা তা বলবো না
কিন্তু একট গল্প লিখতে হলে একটা থীমের পেছনে যতটা সময় দিতে হয় তা দেওয়ার মত স্হিরতা আমার নেই।
গুটেন নাখট,
স্লেপেনজি গুট।
স্থিরতার কথা চিন্তা করে পাঠককুলকে বঞ্চিত করাটা ঠিক হচ্ছে না ভাইজান। যা মাথায় আসে লিখে ফেলেন। পরে কি হয়, সেটা নাহয় পরেই দেখা যাবে। আমরা আমরাই তো
এইটা কি পড়ছিলেন?
Kemon achen?
ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন? মন খারাপ কেন?
একটা কমেন্ট দিলাম হারালো কোথায়?আজব!
লেখাটা পড়ে কেমন মন খারাপ ছিলো। আমি সবসময়ই ভাবি মীর এত্ত ভালো লিখে কেমনে?কমেন্টও করেন ভেরি সুইট।দিন দিন এত্ত বিনয় কুমার হচ্ছেন কেন?
ভাই মীর, একটানা পড়ে গেলাম....ভালোবাসার আকুতির এক দারুন প্রকাশ....ভালো থাকবেন।
থ্যাংকু উচ্ছল ভাই। মন্তব্যটা ভালো লাগলো খুব।
ধন্যবাদ- লেখাটির জন্য...
আপনাকেও ধন্যবাদ রুম্পাপু
সুন্দর সাবলীল লেখা।
পড়ে বেশ ভাল লাগলো।
আপনার ভালো লেগেছে আমার ভীষণ ভালো লাগছে। থ্যাংকিউ ভ্রি মাচ ব্রো। রিয়েল থ্যাংকস্।
'মীর' দ্যা ট্র্যাজেডি কিং',
সুন্দর ! সাবলীল ! পরেরটা কবে পাচ্ছি ?
পরেরটা পরে পাবেন। আগে আপনে নতুন লেখা দেন কাদের ভাই। বহুতদিন নতুন কিছু লিখছেন না। কাজটা মোটেও ঠিক হচ্ছে না।
কমেন্টের লাগি মেনি মেনি
@ মীর ভাই,
আপনি দেখছি আমার থেকেও বোকা ! জানেন না আপনার কাদের ভাই ছাগু বনে গেছে অনেক আগে এবং এখন কাঁঠাল পাতা চিবুতে ব্যস্ত ? ওয়েল ! না জেনে থাকলে পড়ুন বিষাক্তদা'র "ল্যাঞ্জা ইজ ভেরি ডিফিকাল্ট টু হাইড" । সম্ভবতঃ ব্লগের ৩য় পাতায় আছে এখন ।
চমৎকার হয়েছে আপনার লেখা।

তারাগুলোর জন্য অনেকানেক ধন্যবাদ অনিমেষ ভাই। খুব খুশি হলাম
এই তাহলে কাহিনী ?
মেয়েটা এভাবে পারলো ?
আহারে !
নো প্রব, যে জীবনে থাকেনি সে বোধহয় আপনার না...
অপেক্ষায় নিশ্চয়ই কেউ আছে...
শুধু ব্যাটে- বলে এক হলেই ছক্কা
আহারে মেয়েটার মনে হয় বিয়ে হয়ে গেছে...

ছক্কাটা মেরেই দেন মীর..
মেসবাহ ভাই ও রুম্পা'পুকে পুনরায় ধন্যবাদ। ছক্কা মারার ওস্তাদ ছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের রিকার্ডো পাওয়েল। আপনাদের কমেন্ট পরে লোকটার কথা মনে পড়ে গেলো অনেকদিন পর।
এই তাহলে কাহিনী!
জি জনাব, ইহা একখানা কাহিনীই বটে
অতি চমকপ্রদ লাগলো পড়ে। যুগ যুগ এই রকম ভালো লিখতে থাকেন শুভকামনা!
ধন্যবাদ শুভ'র প্রতি কামনা প্রদর্শনের লাগি। তবে এই শুভ কোন শুভ, সেটা পরিস্কার হইলো না।
এই ইমোটা কমেন্টস্ট্রীমে পড়ার পর থেকে আমার মাথায় অশরীরী হাতের ছোঁয়া অনুভূত হচ্ছে।
পড়তে পড়তে কই জানি হারায় গেছিলাম.....আপনি এতো ভালো লেখেন কেমনে?....সব কিছু চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম।
এই কমেন্টটা অনেকবার পড়ছি। খুব চমৎকার একটা কমেন্ট। প্রিয়তে নেয়ার ব্যবস্থা থাকলে আমি এটাকে প্রিয়তে নিতাম।
প্রথমে মনে করেছিলাম লেখাটায় বোধ হয় লেখক নিজের কথা বলেছে। কিন্তু যখন দেখলাম ১৪০০ শব্দ টাইপ করে মেসেজ লিখছে তখনই শিউর হলাম এটা লেখকের কাহিনী না। এটা শান্তর কাহিনী হতে পারে।
একদমে পড়ে ফেলার মতো লেখা। অনেকবার বলেছি খুব ভাল লেগেছে আজ আর বললাম না।
আমারও ধারণা এটা শান্তর গল্প। নাহলে সে আজকাল মোবাইলে অত বড় বড় পোস্ট কেমনে লেখে? নিশ্চই পূর্বাভিজ্ঞতা আছে
একটা ফোন কল করা আর হ্যালো বলার মাঝখানে যে এত ভাব থাকতে পারে তা বর্ণণা করা আর পাঠককে দিয়ে একটানে পড়ায়া নেয়া আপনার পক্ষেই সম্ভব।
আর এরকম একটা কিউট মন্তব্য করাও কেবল আপনার দ্বারাই সম্ভব মায়াবতী। খুব ভালো লেগেছে আপনার কমেন্টটা। থ্যাংক ইউ ভেরী মাচ
কি ব্যাপার? আপ্নের খবর টবর কি?
প্রিয় মীর, কেমন আছেন?
গানের লাইনটা চেনা চেনা লাগছিল, খুঁজতে গিয়ে পেলাম আরেকটা ব্লগ, এবিরই....
http://www.amrabondhu.com/sbopno/766
তারপর সে ব্লগ পড়া... নরাধমের একটা মন্তব্য....
আর কী!!
গল্প সম্পর্কে কোন মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
অফলাইনেও আপনার গল্পগুলো চুপিচুপি খুঁজে খুঁজে পড়া আমার একটা নেশা হয়ে গেছে। আগেই পড়া হয়েছিল এই গল্পটা। লেট লতিফা হয়ে লেটে এলাম মন্তব্য করতে। মাফ চাই।
গল্প সম্পর্কে কি আর বলবো! আপনি তো বস্ !!সবসময়ের মতোই ছুঁয়ে গেলো।
প্রিয় মীরের এই দশা তাহলে:(
আমি আপনাদের দু’জনকেই জানি। চেষ্টা করুন, আপনাদের জীবনবোধের সঙ্কট-সীমাবদ্ধতা কবুল করে এমন জীবনবোধে দাখেল হোন যা জীবনকে সহজ করে, তাহলে দেখবেন আপনাদের সমস্যা আসলেই কতই না সহজ সমাধানযোগ্য।
এই ব্লগে দু’জন দুজনকে উদ্দেশ্য করে ব্যক্তিগত যে সব কথা বার্তা বলছেন তা আমাকে কষ্ট দিয়েছে।
মন্তব্য করুন