ব্রেকিং থট - ১২: নাসিক নির্বাচন নিয়ে কিছু কথা
১। সেনা বাহিনী না নামিয়েই শান্তি পূর্ণ নির্বাচন উপহার দিয়ে আওয়ামীলীগ একটি ভাল নজির তৈরি করল। গণতান্ত্রিক নির্বাচনে সেনা বাহিনীর উপস্থিতি না থাকাটাই ভাল। তবে এই সিদ্ধান্ত আগেই জানানোর প্রয়োজন ছিল।
২। এখনও সরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয় নি। তবে বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী আইভী এগিয়েই। এখান থেকে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির শিক্ষা গ্রহণ করার মত একটি বিষয় হল আগের মত শুধু টাকা ঢেলে বা জোর খাটিয়ে নির্বাচনে জেতা যায় না। মানুষ এখন আগের থেকে অনেক সচেতন।
৩। ইভিএমের প্রতি জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছার একটা প্রতিফলন দেখার প্রয়োজন ছিল। চট্রগ্রাম নির্বাচনে এটা দেখা গেলেও এন গঞ্জ নির্বাচনে স্পষ্ট হল যে আগামী সরকার নির্বাচনে ইভিএম কোনও সমস্যা তৈরি করবে না।
৪। প্রথম আলো বা গণমাধ্যমের প্রার্থী প্রচারণার ভূমিকা নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। আজ হয়তবা তারা ভাল প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে, ভবিষ্যতে এরা খারাপ প্রার্থীর পক্ষে এই ভাললাগা বা ভাল কাজের জায়গাটাকে ব্যবহার করবে না এর নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না।
১ থেকে তিন নম্বরের সাথে পূর্ণ সহমত জানাচ্ছি
৪ নম্বরে বলা যায় ভাল প্রার্থীর প্রতি জনগনকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে পত্রিকা গুলোর এগিয়ে আসা উচিত। যেমনটায় বাংলাদেশ প্রতিদিন, ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ ও বাংলা নিউজের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
ডুয়াল পোস্ট
ব্লগের নীতিমালা অনুসারে আপনার পোস্টটি প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে আপনার পাতায় রেখে দেয়া হলো। আশাকরি পরবর্তীতে যত্নবান হবেন।
১। সেনাবাহিনী ছাড়াও নির্বাচন কখন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন ভাবে হয়? যখন বিরোধী দল থাকে না!
২। মানুষ এখন আগের থেকে অনেক সচেতন, কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সচেতনতার তো কোন লক্ষন নাই!
৩। ফিনল্যান্ডে, হলান্ডে, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়, ভার্জিনিয়ায় ইভিএম ঠিক মত কাজ করেনি সেটা সবার জানা থাকার কথা। তার পরেও কেন যে ইভিএম এত বেশি আগ্রহ, সেটা ভাববার বিষয়।
৪। প্রত্যেক পত্রিকা বা চ্যানেলেরই নিজস্ব এজেন্ডা আছে, প্রথম আলো ও তার ব্যতিক্রম না! অনেক গালাগালির পরেও এখন পর্যন্ত প্রথম আলোর বিকল্প কিছু পাওয়া গেল না।
মন্তব্য করুন