আরেকটি ধ্বংসের কাহিনি...
পদার্থ বিজ্ঞানের ভাষায় আমাদের দেশের সব কিছুরই যেন এন্ট্রপি বাড়ছে। যেখানে তাকাই সমস্যা আর সমস্যা। অপরিকল্পিত সম্পদ শোষন কোথায় নিয়ে গিয়ে আমাদের ফেলবে এখন হয়ত আমরা বুঝতে পারছি না, কিন্তু এই সবকিছুরই প্রভাব আমাদেরকেই ভোগ করতে হবে এক সময়, তা প্রায় নিশ্চিত। যাইহোক, কে শুনবে কার কথা? অনেকদিন পর আসলে যে জন্য লেখা শুরু করেছি, একটি ধ্বংস কাহিনি শুনানোর জন্য।
চট্টগ্রামের হালদা নদী। অনেকে হয়ত এই নদীর নাম শুনে থাকবেন। গবেষকদের মতে হালদা পৃথিবীর একমাত্র জোয়ার-ভাটার নদী যেখান থেকে সরাসরি রুই জাতীয় মাছের (রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউশ) নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়। পৃথিবীর আর কোন জোয়ার-ভাটার নদী থেকে সরাসরি ডিম আহরণের রেকর্ড আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
রুই জাতীয় প্রজাতি তাদের প্রজনন স্থান হিসাবে হালদা নদীকে পছন্দ করার কারন হালদা নদীর অদ্বিতীয় কিছু ইকোলজিক্যাল বৈশিষ্ট্য। এর মধ্যে পানির পি.ইএচ. বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, নদীর আকাঁবাকা বাকের বৈশিষ্ট্যের জন্য সৃষ্ট নদীর ঘুর্নি, পাহাড়ি ঝর্ণা, সমুদ্র থেকে নদীর অবস্থান সব মিলিয়েই রুই জাতীয় মাছ তার পরবর্তি প্রজম্মের জন্য অনুকুল মনে করেই হালদার পানিতে মুক্ত করে দেয় ডিম। হালদার আরেকটি পরিচয় হল এটি সম্পূর্ন আমাদের দেশীয় নদী। পদ্মা, মেঘনা বা অন্যান্য নদী কোন না কোন ভাবে দেশের বাইরে থেকে বাংলাদেশে ঢুকেছে। কিন্তু হালদা পুরোপুরিই মেইড ইন বাংলাদেশ। আমাদের দেশের এখনো কোন জাতীয় নদী নেই। এই দিক দিয়ে হালদা জাতীয় নদী হওয়ার পূর্ন যোগ্যতা রাখে।
এতটুকু পর্যন্ত ভালোই লাগার কথা। কিন্তু ঐযে বললাম, ধ্বংশের কাহিনি এটা। সাম্প্রতিক সময়ে হালদা নদীর ইকোলজিক্যাল ব্যালেন্স এতটাই ভেংঙ্গে পড়েছে যে, ১৯৪৫ সালে যেখানে ৪ হাজার কেজি রেণু উৎপাদিত হয়েছিল ২০০৮ সালে তা কমে প্রায় ৭০ কেজিতে এসে দাঁড়িয়েছে। পরিস্কার অর্থে হালদা নদী মারা যাচ্ছে, যার মূল কারন পুরাটাই মানুষ সৃষ্ট এবং কিছুটা প্রাকৃতিক। অনুমান করে নিলাম রেশিওটা ৯৫:৫ ।
কেন হালদা মারা যাচ্ছে? এর মানুষ্য সৃষ্ট কারন গুলো হল :
১। নদীর পানি দূষন ( এশিয়ান পেপার মিল স্থাপন যার একটি কারন)
২। নদীর আকাঁবাকা পথ বা অক্সবো বেন্ড সোজা করার চেষ্টা
৩। মা মাছ শিকার
৪। হালদা সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন খালের মাঝে অপরিকল্পিত সুইস গেইট স্থাপন
৫। নদীর পাড়ে ইটের ভাটা
৬। নদীর অবৈধ দখল
প্রাকৃতিক কারনের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতায় সী লেভেল হয়ত কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সমুদ্রের পানি ঢুকে পড়ছে নদীর মধ্যে। এর ফলে পানির স্যালইনিটি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মা মাছ আর অনুকূল মনে করছে না হালদার পরিবেশকে। তবে হালদা পাড়ের মানুষ ও হালদা নিয়ে যারা গবেষনা করছেন তাদের মতে, হালদার সাথে সম্পর্কিত খাল গুলোতে অপরিকল্পিত ভাবে নির্মিত সুইচ গেইট গুলোর কারনে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাঁ গ্রস্থ হচ্ছে। আর প্রবাহের অপ্রতিসাম্যতার ফলে সমুদ্রের পানি আরো বেশি পরিমানে নদীতে প্রবেশ করছে। মানুষ সৃষ্ট কারন গুলোর মধ্যে অক্সবো ব্যান্ড সোজা করার ব্যাপারটিই সবচেয়ে ভয়ংকর। অক্সবো ব্যান্ড হল নদীর আকাঁ বাকা পথ। নিচের ছবিতে বাকাঁ পথটিই একটি অক্সবো ব্যান্ড।
আপনি যদি পানিপথ দিয়ে A থেকে B তে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ACB পথে ঘুরে যেতে হবে। স্বাভাবিক ভাবেই ACB পথের দুরত্ব সরাসরি AB পথের দুরত্ব থেকে বেশি। এখন AB বরাবর যদি একটা সরু খাল কেটে দেয়া যায় তাহলে আর ACB পথ ঘুরে আসতে হয়না। নিচের ছবিতে AB ববাবর সরু খাল দেখানো হল।
কিন্তু পানি প্রবাহের ফলে এই সরু খালই একসময় নদীতে রূপ নেয়। আর ACB পথে পানি প্রবাহিত না হয়ে AB বরাবর স্থায়ী হয়ে যায় নদী।
এর ফলে ACB পথটি পুরোপুরি চরে রূপ নেয়। আকাঁবাকা নদী হয়ে যায় সোজা বহমান নদীতে।
এই অক্সবো বেন্ডটি ফটিকছড়ির জেলায় কেটে দেয়া হয় ১৯৬২ সালে এবং জেনে না জেনে এই রকম অসংখ্য কাটা হয়ে আসছিল নিচের ছবির মত
সাম্প্রতিক অক্সবো বেন্ডটি কাটা হয় ২০০২ সালে। এইসব বেন্ড কাটার ফলে নদীর দৈর্ঘ্য ১২৩ কিলোমিটার থেকে ৯৮ কিলোমিটারে নেমে আসে। মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য হয়ত এই প্রক্রিয়াটি দারুন কার্যকর। কিন্তু প্রধান যে ক্ষতিটা হয়ে গেল, মাছ হারিয়েছে তার অসংখ্য প্রজনন স্থান। আগে জেলেরা অনেক নিশ্চিন্তে প্রজনন স্থান গুলো সনাক্ত করতে পারতেন। এখন অক্সবো বেন্ড কেটেঁ দেয়ার ফলে রুই জাতীয় মাছ এলোমেলো ভাবে ডিম ছেড়ে দেয় বিস্তির্ন এলাকা জুড়ে। স্বভাবতই এইসব ডিম সংগ্রহ করার আর সম্ভব হয়না। আর ডিম গুলো সংগ্রহ করা না হলে শেষ পর্যন্ত সমুদ্রের পানিতে গিয়ে নষ্ট হয়ে যায় অথবা সামুদ্রিক মাছের খাদ্যে পরিনত হয়। কিছু পরিমান হয়ত প্রাকৃতিক নির্বাচনে রক্ষা পায়। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দেশ বন্ঞিত হয় শত শত কোটি টাকার সম্পদ থেকে। অবিশ্বাস্য শুনালেও গবেষকরা হিসাব করে দেখেছেন, একটি পূর্ন বয়স্ক মা মাছ ১৯ কোটি টাকার সম্পদ দেশের অর্থনিতীতে যোগ করার ক্ষমতা রাখে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মনজুরুল কিবরীয়া হালদা নদী নিয়ে দীর্ঘ্ দিন ধরে গবেষনা করেছেন। সম্প্রতি চট্টগ্রামের "বিশদ বাঙলা"র একটি ঘরোয়া আলোচনা অনুষ্ঠানে হালদা সম্পর্কে তার গবেষনার বিষয়গুলো তুলে ধরেন। হালদা নদী নিয়ে পূর্নাঙ্গ একটি ওয়েভ সাইটও (haldariver.org) প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক মো. মনজুরুল কিবরীয়া। এই লেখার সব তথ্যই হালদা নদীর ওয়েভ সাইট ও বিশদ বাংলার আলোচনা অনুষ্ঠানটি থেকে সংগৃহীত।
বর্তমানে হালদা নদীকে রক্ষা করার নামে নেয়া হয়েছে ড্রেজিং প্রকল্প। অধ্যাপক মো. মনজুরুল কিবরীয়া মনে করেন এই প্রকল্প কোন ধরনের বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনা থেকে নেয়া হয়নি। হয়তবা এতে দূর্নীতির নতুন একটা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে মাত্র। ড্রেজিং করা হলে প্রাকৃতিক মৎস আবাসস্হল গুলো ধ্বংস হবে ফলে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে রুই প্রজাতিটাই।
আরো তথ্যের জন্য: http://www.haldariver.org
সামুতে প্রকাশিত পোষ্ট: http://www.somewhereinblog.net/blog/Halda007/29515232
ফেইসবুক পেইজ: http://www.facebook.com/pages/Halda-River-A-Unique-Natural-Fish-Spawning-Ground-of-Bangladesh/178457868845825
অত্যন্ত জরুরী লেখা। আরো বিশদ জানার ইচ্ছা থাকলো।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। জরুরী মনে করার জন্য আরো ধন্যবাদ
আরো বিশদ ভাবে জানতে সংযোগ গুলো অনুসরন করুন। ভালো থাকুন।
**এর মধ্যে একটি ভুল হয়ে গিয়েছিল। ACB এর জায়গাতএ এতক্ষন ABC লেখা ছিল। ঠিক করে দেয়া হল।
জরুরী লেখা।আরো বিস্তারিত জানতে চাই।
ধন্যবাদ আপনাকে। বিস্তারিত জানতে http://www.haldariver.org ওয়েব সাইটি ভিজিট করতে পারেন। এই সাইটে অধ্যাপক মো. মনজুরুল কিবরীয়ার গবেষনার উপর ভিত্তি করে এটিএন বাংলার মুন্নি সাহার ৬ পর্বের একটি রিপোর্ট আছে। তাছাড়া সাইখ সিরাজ এর ও হালদা নদী নিয়ে রিপোর্ট দেখতে পারেন ঐ ওয়েভে।
সামু ব্লগের এই লেখাটিও দেখতে পারেন http://www.somewhereinblog.net/blog/Halda007/29515232
"হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র পুরুদ্ধার প্রকল্প" শিরোনামের লেখাটির লিংক http://www.haldariver.org/halda%20project.html
হালদা নিয়ে ফেইসবুক পেইজটিতে আপনি সংশ্লিষ্ট গবেষকদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন অথবা আপনার আগ্রহ তুলে ধরতে পারেন।
http://www.facebook.com/pages/Halda-River-A-Unique-Natural-Fish-Spawning-Ground-of-Bangladesh/178457868845825
আমার এই লেখার উদেশ্য ছিল, হালদা নদীর ব্যাপারে সচেতেনতা গড়ে তুলা। পাশাপাশি এই নদী নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের কথা প্রচার করা। অন্তত পক্ষে নিরবে হালদাকে যাতে নিঃশেষ হয়ে না যায়।
লেখাটার প্রচার দরকার বেশী করে, তাতে যদি কারো ঘুম ভাঙ্গে...
~
ঘুম আর ভাঙ্গবে কিভাবে যদি কেউ জেগে ঘুমায় ? তবে বিশদ বাঙলায় সেইদিনের আলোচনা অনুষ্ঠানে হালদা নিয়ে কনসার্ন এমন একজন বললেন, "এখন হালদা নিয়ে ভালো কিছু করার দরকার নাই, শুধু মাত্র খারাপ কিছু না করলেই হল। তাতেই হালদা বেচেঁ যাবে।"
প্রচার অবশ্যই দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা এই দিকে পড়াশুনা করছেন তারা হালদার বৈশিষ্ট নিয়ে গবেষনা করতে পারেন। ইতিমধ্যে অনেকে করেছেও। আরো গবেষনা হয়ত নদীর নতুন কোন তথ্য বের করে নিয়ে আসতে পারে ... কে বলতে পারে আরো কত কি লুকিয়ে আছে এর মধ্যে।
হালদা'র হাল দেখে খারাপ লাগল ।
আর কোন উপায় নাই একে রক্ষা করার?
আপনার সহমর্মিতা দেখে ভালো লাগল। তবে আমাকে নদী গবেষক মনে করবেন না
যারা হালদা নিয়ে গবেষনা করছেন তারা সবাই ড্রেজিং এর বিপক্ষে, তাদের মতে হালদা কে রক্ষা করতে হলে আর কোন ইন্ড্রাস্ট্টি স্হাপন করা যাবে না হালদার তীরে। অক্সবো বেন্ড পুনরুদ্ধার এবং সুইস গেইট গুলো সরিয়ে নিতে হবে অথবা আধুনিকায়ন করতে হবে। হালদা নির্দিষ্ট কোন অথরিটি নাই। সরকারের বিভিন্ন সংস্হা নিজেদের মত করে নদীর সম্পদ গুলো আহরন করছে। ওয়াসা তার মত করে পানি তুলছে, যেখানে সেখানে স্হাপনার অনুমোদন দেয়া হচ্ছে । সরকারি সংস্হা গুলোর মধ্যে সমন্বয় ঘটানোর জন্যই হালদার একক একটি অথরিটি দরকার। আর সৎ ইচ্ছা থাকলে সবই সম্ভব, হালদা এখনো বুড়িগঙ্গা হয়ে যায়নি।
এ ধরনের বিষয়গুলো কখনোই রাজনীতিবিদ-আমলা-মন্ত্রী-সচিবদের চোখে পড়ে না। অথচ তারাই নাকি দেশের সাধারণ মানুষের জানমালের হর্তাকর্তা! নির্বাচিত প্রতিনিধি!!!
ধন্যবাদ আজম ভাই আপনাকে। জরুরি একটা বিষয় জানতে পারলাম। আশা করছি পলিসি মেকারদের কারো না কারো চোখেও বিষয়টি পড়বে।
আপনাকেও ধন্যবাদ। সত্যি যদি ভালো কিছু হয়...
পলিসিমেকারদের চোখ আছে?

এটাতো ভেবে দেখা হয়নি... তবুও যদি কিছু হয় আর কি।
ভাল লেখা।
অনেক ধন্যবাদ।
আল্লাহ তুমি হালদাকে রক্ষা করো, আর যারা হালদাকে রক্ষা করার উদ্যেগ নিবে তাদের চোখ তুমি খুলে দাও।
সহজ সরল চাওয়া... ভালো লাগল। ভালো থাকুন।
আরো বিস্তারিত জানতে চাই।
জানার আগ্রহ দেখা ভালো লাগল।
রাসেল আশরাফ ভাইকে দেয়া মন্তব্যের জবাবটি দেখতে পারেন। আর স্পেসিফিকলি কিছু জানতে চাইলে সেটা নিয়ে এইখানে আলোচনা করা যায়। ভালো থাকুন।
আপনাকে অজস্র-অসংখ্য ধন্যবাদ বিষয়টি আমাদে সঙ্গে শেয়ার করার জন্য্।
হালদা-কে রক্ষা করার জন্য কি করা যায় বলুন তো! কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোন কতৃপক্ষকে জানানো জরুরী বলে মনে করেন আপনি? আমরা সম্মিলিতভাবে না হয় একটু চেষ্টা করে দেখি।
হালদা-কে রক্ষা করার জন্য আমাদের সচেতনতাই যথেষ্ট। আলম খোরশেদ ভাইয়ের মন্তব্যেটি দেখুন। ধন্যবাদ আপনার আগ্রহের জন্য। ভালো থাকুন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আজম, আমার অনুরোধ রক্ষা করে এমন চমৎকার তথ্যসমৃদ্ধ ও জরুরি একটি লেখা উপহার দেওয়ার জন্য। এই লেখাটিকে তোমার স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিৎ। আমি এ-ব্যাপারে তোমাকে সাহায্য করতে পারবো বলে মনে করি। আর পাঠকদের মধ্যে যাঁরা হালদা বিষয়ে আরো জানতে এবং ‘হালদা বাঁচাও’ আন্দোলনে যুক্ত হতে আগ্রহী তাঁদেরকে হালদা বিশেষজ্ঞ ও হালদাযোদ্ধা অধ্যাপক মো. মনজুরুল কিবরিয়ার সঙ্গে ০১৭১১১৬৪৪০৮ নম্বরে এবং/অথবা ই-মেইল, ফেসবুক-এর মাধ্যমে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করছি। ধন্যবাদান্তে, আলম খোরশেদ, বিশদ বাঙলা, ৭৯২/এ মেহদিবাগ, চট্টগ্রাম
এইটুকু লিখে যদি এত ধন্যবাদ পেয়ে যাই, আর আপনি যে বিরামহীন এই ধরনের আয়োজন প্রতি সপ্তাহে 'বিশদ বাঙলা'তে করেই যাচ্ছেন তার জন্য আপনকে জাতীয় পদক দেয়া উচিত
পত্রিকায় তো অনেক লেখাই হয়, কিন্তু ব্লগের এই লেখা কতটুকু পত্রিকায় মানাবে জানি না।
অধ্যাপক মো. মনজুরুল কিবরিয়ারকে দেয়া "হালদাযোদ্ধা" উপাধিটা ভালো লাগল। তথ্যটুকু যোগ করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
লেখক আজমকে অনেক ধন্যবাদ চমৎকার তথ্যসমৃদ্ধ একটি লেখা উপহার দেওয়ার জন্য। ফেসবুক ও ওয়েবসাইটের পরে ব্লগে হালদা বিষয়ক লেখা হালদা রক্ষা আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আমি আশা করছি আজমের মত ডিজিটাল ও পরিবেশ সচেতন কিছু তরুণের সম্পৃক্ততায় হালদা রক্ষা ও জাতীয় নদী ঘোষনার দাবীতে আমরা আরো অনেকদূর এগিয়ে যেতে সক্ষম হবো।
মো. মনজুরুল কিবরীয়া
আরো বিস্তারিত জানতে দেখুন:
http://www.haldariver.org
http://www.facebook.com/pages/Halda-River-A-Unique-Natural-Fish-Spawning-Ground-of-Bangladesh/178457868845825?v=wal
http://www.somewhereinblog.net/blog/Halda007
লেখক আজমকে অনেক ধন্যবাদ চমৎকার তথ্যসমৃদ্ধ একটি লেখা উপহার দেওয়ার জন্য। ফেসবুক ও ওয়েবসাইটের পরে ব্লগে হালদা বিষয়ক লেখা হালদা রক্ষা আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আমি আশা করছি আজমের মত ডিজিটাল ও পরিবেশ সচেতন কিছু তরুণের সম্পৃক্ততায় হালদা রক্ষা ও জাতীয় নদী ঘোষনার দাবীতে আমরা আরো অনেকদূর এগিয়ে যেতে সক্ষম হবো।
মো. মনজুরুল কিবরীয়া
আরো বিস্তারিত জানতে দেখুন:
http://www.haldariver.org/
আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ব্লগারদের হালদা বিষয়ক তথ্যসমৃদ্ধ লেখাসমুহ সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য হালদা ওয়েবসাইটে (http://www.haldariver.org/) একটি আলাদা পেইজ খোলা কবে।
দারুন উদ্যোগ।
সমবেদনা, আমার নিজের জন্য, আমার দেশ ও আমার জাতির জন্য
হুমম... বুঝতে পেরেছি
মন্তব্য করুন