মোহছেনা ঝর্ণা'এর ব্লগ
অদ্ভুত আঁধার এক
তিন মাস হয়ে গেল। মাসের হিসাবে হয়তো এটা শুধুই একটা সংখ্যা। কিন্তু যাদের বুক খালি হলো তাদের কাছে কত সহস্র বছর মনে হচ্ছে তা বোঝার ক্ষমতা কি আমাদের আছে? তনু’র কথা বলছিলাম।সেই তনু। যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ছিল, যে নাটক করত, আবৃত্তি করত, স্বপ্ন দেখত, প্রাণ খুলে হাসত, এমনকি নিজের হাত খরচ চালাতে গিয়ে বাবার উপর যেন চাপ না পড়ে সেজন্য টিউশনিও করতো।কেমন লক্ষী মেয়েটাই না ছিল বাবা-মায়ের।
সিনথিয়ার মামার সাইকেল
সিনথিয়ার স্কুলে এক সপ্তাহের গ্রীষ্মকালীন ছুটি দিয়েছে। সিনথিয়া আগে থেকেই বাবা-মাকে বলে রেখেছে এবারের গরমের ছুটিতে সে নানু বাড়িতে বেড়াতে যাবে। নানু বাড়িতে নানা,নানু,টিয়া আন্টি আর দুই মামা আছে। আসাদ মামা আর আরফান মামা। আরফান মামার সাথে সিনথিয়ার বেশ ভাব।
সে নানু বাড়িতে গেলে আরফান মামার সাথে বিকাল বেলা মাঠে খেলতে যায়। আবার ঘুড়ি ওড়ানোর দিনে আরফান মামা ঘুড়ি ওড়ানোর সময় মাঝে মাঝে সিনথিয়ার হাতে নাটাই ধরিয়ে দেয় ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য। আবার নানা যখন কৃষক দিয়ে মাটির নিচ থেকে নতুন আলু তুলে আনে তখন আরফান মামা সিনথিয়াকে বলে, আলু তুলবি? সিনথিয়া যখন বলে তুলবে তখন আরফান মামা তাকে জমিতে নামিয়ে হাতে নিড়ানি দিয়ে দেখিয়ে দেয় কিভাবে মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে নতুন আলু তুলতে হয়।নতুন আলু তোলার এই প্রক্রিয়াটা সিনথিয়ার বেশ মজা লেগেছিল।ওর মনে হয়েছে কেউ যেন আলুগুলো মাটির নিচে লুকিয়ে রেখেছিল।
খেয়াতরী খেলাঘর
কিভাবে যেন ঠিক ঠিক চলে গেলাম। খুব সম্ভবত বান্ধবী সোনামনি, জান্নাত আর বেবির কাছ থেকেই খবর পেয়েছিলাম। রোদের তেজ তখন অনেকটাই মরে এসেছিল। পাঠানটুলী বালিকা বিদ্যালয়ে হতো রিহার্সেল। তখন কি প্রোগ্রাম ছিল সেটা আর মনে করতে পারছি না। প্রথম দিনের কয়েকটি গান -আমি শিখছি পড়া, এদেশ গড়া, ধিতাং ধিতাং বলে, সূর্য মোদের মাথার উপরে বাতাস সদায় দেয় দোলা, আনন্দ মেলা এই আনন্দ মেলা...আরো অনেক গান ছিল, কিছুতেই মনে করতে পারছি না।
বিষয়টা আমার কাছে খুব অদ্ভুত ভালো লেগেছিল। আশ্চর্য কোনো প্রশ্ন নেই, কোনো জিজ্ঞাসা নেই। ইচ্ছে হলেই সুরে বেসুরে চিৎকার করে গান করতে পারছি। আর আসল শিল্পীদের কন্ঠের যাদুতে আমার এবং আমার মতো অন্যদের সেই বেসুরো গান কেমন করে যেন ঠিকই তাল মিলিয়ে নিচ্ছিল।
ভিজে যাই এই বরষায়
বৃষ্টি নিয়ে মানুষের কত সুখকর স্মৃতি থাকে। কত আনন্দের স্মৃতি থাকে। কিংবা পথ চলতে গিয়ে ঘটে যায় দারুণ কোনো ঘটনা। কিন্তু আসিফের ক্ষেত্রে তার কিছুই হয় না। তার ক্ষেত্রে যা হয়, তা হলো- সকালবেলা খটখটে রোদ দেখে ছাতা না নিয়ে সে বেরিয়েছে আর অফিস শেষে বাসায় ফেরার পথে দেখে অঝোর ধারায় বৃষ্টি ঝরছে। মাত্র ক’দিন আগে দু’দিনের প্রবল বর্ষণে চট্টগ্রাম শহর যখন ডুবে যাচ্ছিল, সেদিন অফিস থেকে ফেরার সময় সে নালার নোংরা পানিতে সাঁতার কেটেছে। এবং বহু কষ্টের অবসান ঘটিয়ে যখন সে বাসায় ফিরেছে তখন তার বউ তাকে ডেটল সাবান নয়, ডাইরেক্ট ডেটল দিয়ে গোসল করতে বাধ্য করেছে। সারারাত ডেটলের গন্ধে তার একটা ফোঁটাও ঘুম হয়নি। অথচ পাশেই তার বউ নীহা কি আরাম করে ঘুমাচ্ছিল।
ট্র্যাডিশন
“আমরা যদি রাজকীয় কার্যক্ষেত্রে প্রবেশ করিতে না পারি, তবে কৃষিক্ষেত্রে প্রবেশ করিব। ভারতে বর দুর্লভ হয়েছে বলিয়া কন্যাদায়ে কাঁদিয়া মরি কেন? কন্যাগুলিকে সুশিক্ষিতা করিয়া কার্যক্ষেত্রে ছাড়িয়া দাও, নিজের অন্নবস্ত্র উপার্জন করুক।“ বেগম রোকেয়ার এই উক্তি প্রসঙ্গেই মনে পড়ে গেল একটা ঘটনা।
নিকট আত্নীয়ের সুপুত্রের জন্য বছর দু’য়েক ধরে হন্যে হয়ে পাত্রী খোঁজা হচ্ছিল।এদিক হলে ওদিক হয় না, পাত্রী পছন্দ হলে পাত্রীর ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড পছন্দ হয় না, ফ্যামিলি পছন্দ হলে পাত্রী’র হাইট (উচ্চতা) কম, হাইট ঠিক থাকলে পাত্রীর গায়ের রঙ ঠিক ততটা উজ্জ্বল কিংবা ফর্সা নয়, আর টেনে টুনে সব মিলিয়ে পছন্দের একটা মাপকাঠিতে আসার প্রানান্তকার চেষ্টা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়ে যায় পাত্রী পক্ষের ছেলে পছন্দ হয়নি, কিংবা ছেলের চাকরি পছন্দ হয়নি টাইপ সমস্যার কারণে।
আজ আমার বুবুর জন্মদিন
সেদিনও মাঘের হাড় কাঁপানো শীতটা বেশ জেঁকেই বসেছিল। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি বাসায় আম্মা নেই, আব্বা নেই, শেফু আন্টি নেই। নানু বসে বসে কাঁদছিল।বাসা ভর্তি ছিল মেহমান।নানা, নানু, শেফু আন্টি,শেফু আন্টির ছেলে মিশু, মেয়ে শান্তা, জুয়েল মামা, রিয়েল মামা আর আমরা তো আছি।
সকাল বেলা থেকে আমাদের অপেক্ষা শুরু। একে একে আশেপাশের সব আন্টিরা এসে জিজ্ঞেস করছিল আমার আম্মা কেমন আছে, হাসপাতাল থেকে কোনো খবর আসছে কিনা। অনেকের আবার নানান ধরনের আশংকা। রোজার মাস ছিল। নানু কাঁদছিল আর আমাকে বলছিল আম্মার জন্য যেন দোয়া করি। সন্তানের দোয়া নাকি আল্লাহ বেশি কবুল করে।নানুর কথা শুনে আমি জায়নামায বিছিয়ে কুরআন শরীফ পড়া শুরু করি।চোখের পানিতে সব ঝাপসা হয়ে যাচ্ছিল।তবুও পড়ে যাচ্ছিলাম।
আমরা ভালো আছি!
খুব স্বাভাবিক আর অন্য দশটা দিনের মতোই কেটে যাচ্ছে দিন।তরকারিতে লবন হলো কিনা, মাংসটা আরেকটু সেদ্ধ হলে ভালো হতো, চায়ের লিকারটা একটু পাতলা হয়ে গেছে এই বোধগুলো যখন এখনো জীবিত তার মানে সব ঠিক ঠাক আছে। শীতটা আসি আসি করছে।আলমারিতে তুলে রাখা শীতের কাপড়্গুলো নাড়াচাড়া করি। সেখান থেকে কর্পুরের গন্ধ ভেসে নাকে লাগে। শীতের প্রসাধনী কেনার লিস্ট করি। জীবনযাত্রা তো স্বাভাবিকই আছে।বাজার নিয়ে ভাবতে হয়। অফিসে যাওয়া, সংসার করা , এই শীতে কোথাও বেড়াতে যাব কিনা সেসব ভাবনা ও তো ঠিকই চলছে।রোজকার নিয়ম অনুসারে সকালে ঘুম থেকে ওঠা, রাতে ঘুমাতে যাওয়া, দিনভর নিত্য রুটিন কাজ সবই যখন ঠিক্টহাক আছে তাহলে নিশ্চয়ই আমরা ভালো আছি। হয়তো বেশ ভালোই আছি।
রাতের অন্ধকার ছাড়িয়ে এখন দিনের ফকফকা আলোয় যতই কুপিয়ে হত্যা চলুক না কেন আমরা ভালো আছি।
ঘরের ভেতরে নিরাপদে আছে তো আমার কন্যা শিশুটি
অনেকদিন পর একটা ছবি দেখলাম।হিন্দি ছবি। ‘হাইওয়ে’।পুরো ছবিটা দেখে কিছুক্ষণ আমি বুদ হয়ে ছিলাম।আর ছবির বিষয়টা আমার মাথায় কুট কুট করে যন্ত্রণা দিচ্ছিল বেশ কয়েকদিন। ছবির নায়িকা আলিয়া ভাট অভিনয়ও করেছে দুর্দান্ত।নিজের ঘরের ভেতর বাবার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুর হাতে দিনের পর দিন যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছিল মেয়েটা। একদিন নিজের মাকে বিষয়টা জানানোর পর মা বলেছিল, চুপ, চুপ কাউকে কিছু বলো না।মেয়েটার বিশ্বাস ভেঙ্গে যায়।কষ্ট হয়। কিডন্যাপাররা যখন মেয়েটাকে কিডন্যাপ করে কিছুদিন পর ছেড়ে দিতে চায় , মেয়েটা যেতে চায় না। কিডন্যাপারকে বলে, যে জীবনটা সে ফেলে এসেছে সে জীবনে সে আর কখনো ফিরে যেতে চায় না। মহাবীর নামক সেই কিডন্যাপারকে তার অনেক বেশি বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য মনে হয়েছে যে, যখন তার প্রভাবশালী বাবা তাকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করে সে ফিরে যেতে চায় না নিজের বাবা- মায়ের কাছে। কারণ তাদের কাছে তাদের সোশ্যাল স্ট্যাটাস তাদের ক
ফাগুন আসার আগে
শাম্মী আমার ছোট বোন ।মাত্র দু’দিন আগেও যে ছিল রঙ্গিন স্বপ্নে বিভোর। প্রায় সাত বছর পর অনেক কষ্টে আসিফের কথাটা বাবাকে জানিয়েছে এবং সম্মতি আদায় করে নিয়েছিল।গত বছর নভেম্বর মাসে ওদের পান-চিনি হয়েছিল।আর আসছে ফাল্গুনে ওদের বিয়ের দিন ঠিক করেছিল।ওরা দু’জনেই প্রতিদিন অফিস শেষে বিয়ের কেনা কাটা করতে বের হতো।যতক্ষণেই বাসায় ফিরত না কেন শাম্মী রোজ আমার বাসায় এসে কেনাকাটার গল্প করত। শুধু এখন না,আসিফের সাথে সম্পর্ক হওয়ার পর যেদিন আমাকে প্রথম বলল, সেদিন সব গল্পের সাথে আরো বলল,আপা তোকে বলার পর মনে হচ্ছে বুক থেকে একটা পাষাণ ভাব নেমে গেল।কারণ বাবাকে ম্যানেজ করা এখন তোর কাজ।
কেন ভয়ে ভয়ে কেটে যাবে একটা জীবন?
সময় গুলো কেমন নির্বিকার ভঙ্গিতে কেটে যাচ্ছে। বয়স বেড়ে যাচ্ছে প্রতিদিন।শীতের ঝরা পাতার মধ্যে ঝরে পড়ার দিকেই হয়তো এগিয়ে চলছি। অথচ জীবনে যে কিছুই করা হলো না এখনো। না ব্যক্তি জীবনে, না সামাজিক জীবনে। এমন কোনো কাজই তো করলাম না যে কাজটার কারণে জীবনের কোনো না কোনো সময় মনে হবে আমি অন্তত চেষ্টা করেছি ভালো কিছু করার।চেষ্টা সার্থক হয়েছে না কি বৃথা গেল সেটা পরের ব্যাপার।
বাইরে কাজ করতে গেলে বুঝা যায় নারী জীবনের চলার পথটা কত বেশি অমসৃণ। পায়ে পায়ে যেন কাঁটা বিছানো থাকে। তার মানে এই নয় যে ঘরে থাকা নারীদের জীবন পুরোপুরি ভীতিহীন কিংবা সীমাহীন আনন্দময়।
আমার এক বস একদিন কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ওনার সারা জীবনের চেষ্টা ছিল ওনাকে যেন কেউ কোনোদিন ভয় না পায়। আমরা ক’জন সহকর্মী একসাথে জিজ্ঞেস করলাম কেন স্যার।
বিজয়ের মাসে ভালো লাগার বিলাস
ডিসেম্বর মাসটা এলেই আমার খুব খুশি খুশি লাগে। এই খুশি লাগাটা খুব ছোট বেলা থেকেই।ডিসেম্বর মাস এলে শুধু আমার না আমার মনে হয় এদেশের প্রতিটা মানুষেরই খুব খুশি খুশি লাগে। কারণ বিজয়ের এই মাসে খুশি না লাগলে আর কখন খুশি লাগবে।
তবে বিজয়ের এই খুশির পাশাপাশি আমার আরো কিছু ছোট ছোট কারণেও বেশ খুশি খুশি লাগে।
ভালো লাগার প্রথম কারণঃ
ভ্যাঁ সমাচার.........
এক দেশে ছিল এক রাজকন্যা। রাজকন্যার বাবা কিন্তু রাজা ছিল না, মা'ও রানী ছিল না, তাদের কোনো রাজ্যও ছিল না। তারপরও সবাই মেয়েটিকে রাজকন্যা হিসেবেই জানতো।
ঈদের আনন্দ, আনন্দের ঈদ
দেখতে দেখতে আরেকটা ঈদ চলে এসেছে। ঈদ মানেই বিশাল আনন্দ।বিশাল উৎসব। অথচ আমার কাছে কোনো উৎসবই মনে হচ্ছে না। কারণ ঈদ মানেই আমার কাছে বাড়ি যাওয়ার আনন্দ। বিশেষ করে কোরবানের ঈদ।
টিকেট যুদ্ধে পাশ করার পর গাড়ির জন্য অপেক্ষা, অপেক্ষা, অপেক্ষা...।দীর্ঘ যানজট, ধূলাবালি,প্রখর রোদ,মানুষের ভিড়,সব কিছু ভুলে যেতাম প্রিয়জনদের দেখলে।পথের ক্লান্তি মুছে যেতে একটুও সময় লাগতো না।কী যে খুশি লাগত!! খুশির সেই অনুভব মুখে বলে কিংবা লিখে বোঝানোর সাধ্য আমার নাই।যেদিন বাড়ি যেতাম তার আগের রাত থেকেই শুরু হয়ে যেত আমদের ঈদের আনন্দ। বাড়ি যাওয়া উপলক্ষ্যে ব্যাগ গোছানোর আনন্দ, আর খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে এই উত্তেজনায় দেখা যেত বেশির ভাগ সময়ই রাতটা নির্ঘুমই কেটে গেছে।
রাজকন্যার প্রথম জন্মদিনে ভালোবাসা
এমন আধুনিক সময়েও কেন জানি বিবাহবার্ষিকীটা পালন করা হয়ে ওঠেনি আমাদের।আমাদের রাজকন্যার হয়তো বিষয়টি পছন্দ হয়নি।এমন যুগেও তার বাবা-মায়ের এমন বেরসিকের মতো আচরন তার বোধহয় ভালো লাগেনি।আর তাই তো বাবা-মায়ের বিশেষ দিনটিকে আরও বেশি বিশেষ করে তোলার জন্য বাবা-মায়ের চতুর্থ বিবাহবার্ষিকীতে পৃথিবী আলো করে এসেছে আমাদের রাজকন্যা জাইফা।আলোকিত করেছে আমাদের।শুভ জন্মদিন মা।অনেক অনেক ভালোবাসা তোমার জন্য।
একটি বইয়ের জন্মকথা
আমার মেজো ভাই রিমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে প্রতিবছর বই মেলায় যেত ।আর রাতে আমাকে ফোন করে বলতো আপু আজ বই মেলায় গিয়েছি।এই এই (বই এবং লেখকের নাম উল্লেখ করে) বই কিনেছি, নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন দেখেছি,খুব ভাল লেগেছে।এর পরই বলতো আপু তোমার বই কখন বের হবে? যখন তোমার বই বের হবে তখন মেলায় তোমার বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের সময় আমি আমার বন্ধুদের নিয়ে অনেক মজা করব।কারণ তখন মনে হবে এই মেলায় আমারও একটা অধিকার আছে।এই মেলায় আমার আপুর একটা বই আছে।আপু তুমি লিখছ না কেন? চমৎকার একটা গল্প নিয়ে একটা বই লিখে ফেলো তো।
আমার ভাইয়ের উচ্ছ্বাস দেখে আমি উচ্ছ্বাসিত হতাম।আর ভাবতাম অন্তত ছোট ভাইয়ের উচ্ছ্বাস সত্যি করার জন্য হলেও আমার একটা চমৎকার গল্প লেখা উচিৎ।
রিমন শুধু বই বের করার ব্যাপারেই উচ্ছ্বাসিত ছিল না।ও বলতো আপু ,তোমার কাজ হচ্ছে অসাধারন একটা গল্প লেখা,বই বিক্রি নিয়ে তোমাকে একটুও টেনশন করতে হবে না।আমার বন্ধুরা তোমার সব কিনে ফেলবে।তারপর একে একে বন্ধুদের নামও বলে যেত।
এ বছর বই মেলায় আমার প্রথম বই(আমার ভাইয়ের সে কাঙ্ক্ষিত বই) বের হচ্ছে। তবে এখন আর রিমন ঢাকায় থাকেনা।পড়ালেখার পাট চুকিয়ে কর্মজীবনে পা দিয়েছে।