শারামারা
নরসুন্দরে হস্তে ধরিয়া একখানি দিয়া কাঁচি,
কহিয়াছে কেহ, "কাটিয়া দেহ, এইবেলা তবে বাঁচি!"
কুন্তলে তার দৃষ্টি পড়িতে হা হা করি শত মানা-
"ঐখানি নহে, কাটিতে হইবে মগজের ফোঁড়াখানা!"
নরসুন্দর হাসিয়া কহে, "উহা কি পারিব আমি?
মুন্ডু ভেদিয়া উঠিয়াছে যাহা তাঁদেরে ছাটিয়া থামি,
কী ফোঁড়া রহিছে মগজেরি তলে, উহারে আনিব কাটিয়া?
জানিনেকো, খুলি নারকোল বুঝি? ধরিলে যাইবে ফাটিয়া!"
"তাহা কেন বাপু? অত কেন কথা? বড্ড বকিছো দেখি?
পারিবে না কেন? হইয়াছ ভারি আমড়া কাঠের ঢেঁকি!
ডাক্তারে কাটে ছুরি কাঁচি দিয়া, বিদ্যা তোমারো তাতে,
কতজনে কত দূর হতে আসি নতশির তব হাতে,
সেই ডাক্তারে পারিতেছে যদি হইবে তোমারে দিয়া,
আজ হতে তুমি ইহাও করিবে,আস তব কাঁচি নিয়া!"
যাহারা জগতে ভাবিছে বসিয়া কাঁচি দিয়া দিলে কর-এ,
নরসুন্দর দন্ত বিকাশি উহারে যদি বা ধরে,
লাগিবে না আর ডাক্তার আর বাঁচিবে কাজের ধারা-
উহাদেরি কহে 'বুদ্ধিজীবী', আরো কহে 'শারামারা'!!!
ভালৈছে!
শারামারা হে হে ভাল লাগলো।
মন্তব্য করুন