আবজাব ভ্রমণ কাহিনী - নানার বাড়ি মধুর হাঁড়ি
ছুটির দিনে আমি বেশীরভাগ সময় বাসায় থাকতেই পছন্দ করি। নিতান্ত প্রয়োজন নাহলে ছুটির দিনটা বাসায় ঘুমিয়ে, আন্তর্জালিক জগতেই কাটিয়ে দিতে চেষ্টা করি। সপ্তাহের ছয়দিন অফিস করতে হয় বলে শুক্রবার দিনটা এমনিতেই একটু বিশ্রামে কাটাতে ইচ্ছে হয়। গতকাল বৌদ্ধ পূর্ণিমার ছুটির কারণে সপ্তাহে একদিনের বেশী ছুটি পেয়ে গেলাম। তাই চলে গিয়েছিলাম নানাবাড়ী। আমাদের নানাবাড়ী লোহাগাড়া, জায়গাটা কক্সবাজারের কিছুটা আগে। চট্টগ্রাম থেকে আমাদের নানাবাড়ী যেতে প্রায় ৩ ঘন্টার মত সময় লাগে। বেলা ১১.৩০ টার কিছু পর গিয়ে ওখানে পৌঁছলাম। তারপর হালকা বিশ্রাম নিয়ে চা-নাস্তার পর্ব শেষ করলাম
। এসব করতে করতে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া পর্ব চলে আসল, এই পর্বটাই আমার ফেভারিট
। খাওয়া-দাওয়া পর্ব শেষ হতেই শুরু হল আম-কুড়ানো পর্ব
। আমাদের নানাবাড়ীটা বিশাল গাছ-গাছালির সমাহার। চারিদিকে আম,জাম,কাঁঠাল গাছ দিয়ে ঘেরা। পুকুরপাড়ে আমগাছে বড়বড় আম ঝুলছিলো দেখে আমার এক বোনের আর তর সইছিলোনা, কখন সে আম গাছ থেকে পেড়ে পকেটস্থ করবে সেই চিন্তায় ছিল
। গ্রামের এক মহিলার সহায়তায় ডজনখানেক আম পাড়া হল। তারপর কিছু কাঁঠালও পকেটস্থ করলাম
। এসব করতে করতেই মাথায় হালকা কাব্যভাব সৃষ্টি হয়েছিল, গ্রামে মোবাইল থেকে ফেসবুকে ঢুকতে পারছিলামনা, তাই আমার কাব্য প্রতিভার বিস্ফুরণ ঐ সময় করতে পারিনাই
। কবিতার লাইন দুটি ছিল এমনঃ
নানার বাড়ী মধুর হাঁড়ি
আম-কাঁঠালের ছড়াছড়ি
এসব করতে করতেই একসময় ফেরার পালা চলে এল। সবশেষে বৈকালিক চা-পর্ব শেষে আবার চট্টগ্রামের উদ্দ্যেশ্যে যাত্রা শুরু হল।
এবি ব্লগে প্রথম পোষ্ট কি দিব ভাবছিলাম, আইসা পড়লাম জাতীয় ১/২ লাইনের পোষ্ট বা পুরানো পোষ্ট কপি-পেষ্ট দেয়া যাবেনা - মডুবাহিনীর এমন হুমকিতে ভয় খাইয়া চিন্তা করতেসিলাম কি লিখা যায়
। শেষমেশ গতকালের নানাবাড়ী ভ্রমণের কাহিনীটাই তুলে দিলাম। ভ্রমণকাহিনী আমি ভাল লিখতে পারিনা, যেটা এই পোষ্ট পড়েই সবার বোধগম্য হবে। ফার্স্ট পুষ্টেই অখাদ্য সাপ্লাই দেয়ার জন্য সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী
। আশা করি পরবর্তীতেও এমন অখাদ্য সাপ্লাই দিতে পারব
।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
আরে নাঈমযে....
খপর কি?
স্বাগতম ....
তুমি কৈলাম ভালো লেখালেখি কর্তারো... আর সেইডা মোরা জানি
কীবোর্ড দিয়া লেইখা যাও
আমি ভালো লেখতে পারি? !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
স্বপ্নে দেখসিলেন নিকি?
পয়লা পোষ্ট দেইখা পয়লা স্বাগতম জানাইলাম
হ.....নানবাড়ী দাদাবাড়ী কাহিনী যে যতবারই লেখুক, এইগুলা পুরানা হয়না। লেখা ভাল্লাগছে
কিন্তুক এক্টা কোশ্চেন আছিলো -------কোশ্চেন হইলো আপ্নে কাঁঠাল পকেটস্থ করলেন কেমনে ?
গোপন ফর্মূলা আছে, বলা যাবেনা ;););)।
ইসসিরে ...... কাঁঠাল পকেটস্থ করা শিখতে পারলামনা
হেহেহেহে.......

যাক শেষে তাইলে তুমি ঘর থেকে বাইর হইছ । তবে তোমার পোষ্ট পড়েতো আমার মাথা আউলাইয়া গেছে। তুমার ওইটা কি পকেট নাকি বস্তা ?
পোষ্টে মনে হয় একটু টাইপিং মিসেসটেক হইছে । কইতে চাইছিলা মনে হয় -
শ্বশুর বাড়ী মধুর হাঁড়ি
শালা-শালীর ছড়াছড়ি
উরে চাঙ্কুরে, এবিতে আইসাও তুর নাডামি কম্লোনা রে

পকেটের ভিতরে কিভাবে কাঁঠাল ঢুকান যায় সেই বিষয়ে একটা গবেষণা মূলক পোষ্ট লিখা যেতে পারে। মনে করেন পকেটের বাইরে একরকম স্থান ও কাল আর পকেটের ভিতরে ভিন্ন স্থান ও কাল তৈরী করতে পারলে কিন্তু সেখানে কাঁঠাল ঢুকান সম্ভব হইতে পারে। পদার্থবিদরা এই ব্যাপারে ভাল বলতে পারবেন।
বেয়াপক গিয়ানী কমেন্ট

আছো বড় সুখে কি আর বলার আছে?

ভাগিনারে পড়ে না মনে,আদৌ মনে কি আছে??
হ
নাঈম ভাই @ আপনার মাথায় নাকি চুল আছে দুই-তিনটা , এরপরে যদি রাগ করে আপনি সেই চুলগুলাও ফেলে দেন, তাহলে আপনার বিবাহ আদৌ হবে কিনা সেইটাতো বিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন হয়ে যায়
তুমারে আমি ব্যান খাওয়ামু খাড়াও

আপ্নার সাথে আমরাও নানা বাড়ি ঘুরে এলাম
রেগুলার নাস্তাপানি
দিলে অখাদ্য হৈলেও পুস্ট লাইক করা হৈবেক 
মন্তব্য করুন