হ য ব র ল - ২
১। আজ সারাদিন আকাশ’টা খুব মেঘলা ছিলো, সেই সাথে সারাদিন ছিলো প্রচুর বাতাস। দুপুরেও রুম অন্ধকার দেখে রুমের জানালা খুলে দিলাম। ঠান্ডা বাতাস এসে মখে ঝাপ্টা দিলো, কি যে ভালো লাগছিলো, বলে বুঝাবার নয়। ভালো লাগা'কে আরেকটু বেশি অনুভব করার জন্য ফোন দিলাম টুটুল’কে। ভাবলাম এত সুন্দর দিনে তার সাথে একটু রোমান্টিক আলাপ-সালাপ করি । হঠাৎ নিজের মধ্যে কই থেকে এই ভাবোদয় হইলো বুঝলাম না। অবশ্য বুঝাটা জরুরি মনে করলাম না।
তো ফোন করে বললাম, “বাহির’টা দেখছো? কি সুন্দর। এই সুন্দর দিনে তুমি অফিসে। আজ অফিস ফেলে আমার সাথে রিক্সা দিয়ে ঘুরতে ইচ্ছা করছে না?"
টুটুলের উত্তর “এইদিনে? নাহ!"
আমি তো খুব কষ্ট পেলাম। আবার বললাম, “একটুও ইচ্ছে করছে না? দেখো না বাইরে কি সুন্দর বৃষ্টি”।
টুটুল কিচ্ছুক্ষন চুপ থেকে, “ঠিক দেখতেছো তো? আমি কিন্তু দেখতেছি বাইরে কটকটা রোদ।”
হায়রে মোর কপাল! এত্তদিন পর একটু রোমান্টিক হইতে চাইলাম, তাও এই প্রকৃতি’র রঙ বদলের চিপায় পইরা হইলো না।
আমার আকাশে প্রচুর বৃষ্টি আর টুটুলের আকাশে প্রচুর রোদ খেলা করছিলো।
২। শেষমেশ আজ ঋহান’কে নিয়ে বারান্দায় ওর নানা’র রকিং চেয়ারে বসে বসে দোল খেলাম। ঋহান কতক্ষন আমাকে আদর করলো, কতক্ষন চড় মারলো আবার কতক্ষন নাকে কামড় লাগিয়ে দিলো। কিন্তু, সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত মমতাময় সুন্দর সময় কাটালাম, যা বলে বুঝানোর ভাষা এই পৃথিবীতে আজ অবধি সৃষ্টি হয়নি।
৩। আমার আবার খুব ইচ্ছে ছিলো এইবার ফাইনান্স মেজর করার। তাই খুব আশা নিয়ে এই সেমেস্টারে ফাইনান্স এর একটা কোর্স নিলাম। খুব মনযোগ দিয়ে ক্লাস করলাম । কিন্তু এত মনযোগ দিয়েও যে মাথায় আসলে কিছুই ঢুকাতে পারলাম না তা বুঝলাম মিডটার্মের সময়। ক্লাসে এত মনযোগ দিয়েও পরীক্ষায় পাইলাম ঘোড়ার আন্ডা
। এতে অবশ্য একটা জিনিস ভালোই হলো। আমার ফাইনান্স মেজর করার পুরো ইচ্ছে ডানা মেলে উড়ে গেলো। এতে টুটুল অবশ্য বেশ আশাহত। কারন, তারও খুব ইচ্ছে ছিলো যেন আমি ফাইনান্স মেজর করি। অবশ্য টুটুলের আশাহত হবার কোন কারন নেই। আমি ফাইনান্সে ঘোড়ার আন্ডা পাইছি তো কি হইছে? ঋহান ফাইনান্সে শুধু মেজর না, ঋহান ফাইনান্সে পি.এইচ.ডি করবে
। এই দেখেন, সে কত্ত মনযোগ সহকারে এবং কত্ত অনায়সেই আমার ফাইনান্স বই পড়ে শেষ করে দিচ্ছে।
ক্যালকুলেটর নিয়ে হিসাব নিকাশে ব্যস্ত ঋহান
ঋহানঃ মা, এই ফাইনান্স নিয়া তুমি এত্ত মাথা ঘামাও? এইটা তো পানি'র মত সহজ! এই দেখো, আমি সব পারি!
ভাইগ্না'র পোজ'তো হেভভি হইছে
আরে, এগুলি পোজ না। এগুলি রিয়েল।

আমি পড়তে বসলে আমার কাছে আসবে, এসেই আমার বই-খাতা সব টেনে টেনে তার কোলে নিয়ে যাবে
১। শেষ লাইনটায় খানিকটা বিষণ্ণতা...
২। মাতৃস্নেহ...
৩। ঋহান কে অনেক আদর...
গাড়ীর মতো যদি বউ বা জামাইও যদি সার্ভিসিং করা যািতো তাইলে মন্দ হইতো না
১.

২. পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর আবেগ সন্তানের জন্য মায়ের আবেগ।
৩. আমি মাইনকার চিপায় পড়ে ফাইনান্সিয়াল ইকোনোমিক্সে মেজর করেছিলাম। পাশ করে কোনরকম ইজ্জত বাঁচাইছি শুধু। এখন আমি বলতেও পারেবো না মোট কি কি সাবজেক্ট ছিলো। অনেকদিন থেকেই ভাবছি আরেকটা মেজর করে সিভি থেকে এই ভয়ংকর জিনিসটা বাদ দিতে হবে। আইলসামির জন্য জীবনে কিছুই হলো না।
তুমি ঋহানের কাছ থেকে শিখে নিও।
ফাইনান্সিয়াল ইকোনোমিক্স? শুনেই তো ভয় লাগে
সেটা-ই মনেহয় ভালো হবে
শেষ ছবিটা দেখে আজকে তোমার এফবি'র স্ট্যাটাসের মাজেজা পুরা বুঝলাম... আসলেই পোলাটা হইলো মায়ের মতোন কিন্তু কেম্নে কেম্নে দিন কে দিন বাপের চেহারা পেয়ে যাচ্ছে!!... :)
তুমি না এইচআরে মেজর করতাছো?... ফাইন্যান্স ভুয়া... :|
ফাইনান্স করবো না, সিদ্ধান্ত নেয়ার পরই তো এইচ.আর করার সিদ্ধান্ত নিলাম

হ, ফাইনান্স আসলেই পুরা ভুয়া
বাহ! বাহ! আমিও ফাইন্যান্স মেজর করা পুলাপাইনদের এই বইটা পড়াই।
কিন্তু ওদের বেশিরভাগের মাথায় কিসসু ঢুকেনা... তয় ওদেরকে বুঝাইতে গিয়া আমার নিজের যা কনফিউশান ছিলো সব গেসেগা..
... এট্টু আগে কইতা .... তুমারে পেরাইভেট পড়াইতাম... 
পেরাইভেট পইড়াও লাভ হইবে না। আমি গাধী, গাধী-ই থাইকা যামু
২ নং রোডের ভিতরে বৃষ্টি আর শ্যামলী বাস স্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে কটকটে রোদ !! হৈলেও হৈতে পারে। তার কৃপা বুঝা বড় দায়...
না ভাইয়া, আমি বসুন্ধরা'য় ছিলাম
আমার আকাশে প্রচুর বৃষ্টি আর টুটুলের আকাশে প্রচুর রোদ খেলা করছিলো।
নাজ়, এই জন্য বিয়ে করতে হয় না, আজকে যদি টুটুল জামাই না হয়ে প্রেমিক হইত তাইলে কাল বৈশাখী ঝড়েও আইসা পড়ত। বিয়া ক ইরা ভুল করসো বোন
ঋহান ফাইনান্সে শুধু মেজর না, ঋহান ফাইনান্সে পি.এইচ.ডি করবে - দোয়া করি তোমার আশা পুরণ হক।
খুব ভাল লাগল
হ! কেন যে বিয়া করলাম?

ব্যাটা'রে আজীবন প্রেমিক বানায়া রাখন দরকার আছিলো
আজীবন প্রেমিক বানাইয়া রাখতা? ইয়ে মানে ঋহানের কথাও ভাইবো একটু
ঋহান এর কথা ভাবছিলাম দেখেই তো পদন্নতি দিতে হইছিলো
ঋহানঃ মা, এই ফাইনান্স নিয়া তুমি এত্ত মাথা ঘামাও? এইটা তো পানি'র মত সহজ! এই দেখো, আমি সব পারি
সুন্দর পোস্ট
থ্যাঙ্কু
বিয়াপুক কুল।
লাভ নাই রে পাগল
দারুণ একটা লেখা। রোদ-বৃষ্টি নিয়াইতো জীবন।
এগুলা মানুষ এম্নেই পারে 
ফাইন্যান্স এ মেজর করো, এইচআরএম, মার্কেটিং পড়ার মত কোন বিষয় না
আমি এম্নেও পারি না, অম্নেও পারি না
লাইফে একটাই বিজনেস কোর্স করছিলাম। | এরপরে কান ধরছি !!!
য়ামার অবশ্য অন্য কোন বিজনেস কোর্স নিয়া এত কমপ্লেইন নাই
বিছানার চাঁদরটা কমন পড়ছে।
আর তোমার আকাশে বৃষ্টি আর টুটুল ভাইয়ের আকাশে রোদ মানে কি? তোমরা কি স্বামী স্ত্রী নাকি?
না তো! আমরা জামাই-বউ
যাক, আগের পর্বের মত মন খারাপ করে দেন নাই
পেলাচ 
মন্তব্য করুন