ইউজার লগইন

নাজমুল হুদা'এর ব্লগ

কথোপকথন

003a.jpg আপা, আমার ভয় ভয় করছে !!
কেন, হয়েছে কী, কিসের ভয়, কেনই বা ভয় ?
আমার ভাগনেরা আজ পারবে তো?
আরে, বলিস কি, পারবে না মানে !
জানি তো! তবু লাগে ডর।
দেখিয়ে দেবে আজ কত চা’লে কত ভাত।
তা তো বটেই, বাঘের বাচ্চা বাঘ।
হ্যাঁ, রাখবি মনে, বাঘের বাচ্চা বাঘ!
আপা, দুলাভাইতো এলোনা এখনও !
এইতো, আসবে চলে একটু সবুর কর।
হালুম! আটকে গেলুম কাজে তাইতো একটু দেরী।
সালাম, দুলাভাই, সালাম, ফিরতে এততো দেরী?
আরে ছোট গিন্নি! কাজের ধান্দায় ঘুরি!
দুলাভাই, কী হবে আজ?পারবো তো?
অবশ্যই, বাঘের বেটারা দেখিয়ে দেবে আজ।
কিন্তু ভাগ্নেরা দেখতে যে আমারগুলোর মত!
আছে মনের জোর, আছে এদের নখ, আরও শক্ত দাঁত।
পারলে তো ভালোই, আছি সবাই মিলিয়ে সবার হাত।

ও নদীরে - - - -

091a.jpgএখন মনে হয়, আমার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে যে গ্রামে ও যে নদীর তীরে তা ভারী সুন্দর! বাংলাদেশের আর দশটি গ্রামের মতই বৈচিত্রহীন একটা গ্রাম। আর সে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া তারও চেয়ে বৈচিত্রহীন একটা নদী। বাংলাদেশে নদীর কত সুন্দর সুন্দর নাম, মেঘনা, যমুনা, সুরমা, করতোয়া, রূপসা, তিস্তা, চিত্রা, শীতলক্ষ্যা, কুশিয়ারা, আরও কত কি! এমন সুন্দর একটা নামের নদীর পাশের কোন একটা গ্রামে আমার জন্ম হয়নি। যে গ্রামে জন্মেছি, তার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীটির নাম শুনলে সবাই নাক কুঁচকায় – সেটার নাম মাথাভাঙ্গা। আমরা ছোট বেলায় লিখতাম মাথাভাঙা, উচ্চারণও করতাম তাই-ই, এখনও। কিন্তু কালে কালে আর সব কিছুর মতই মাথাভাঙা এখন হয়ে গেছে মাথাভাঙ্গা।

বৈকালের গরম দুধ

সেই ছোট্ট বেলায় রোজ সকালে গরু দোহানোর সময় ছোট্ট একটা কাঁসার গ্লাস হাতে নিয়ে অপেক্ষা করতাম। দোহানো শেষ হতেই সেই ফেনা উঠা দুধ মা গ্লাসে ভরে দিতেন, ঢকঢক করে খেয়ে নিতাম, কখনো বা দুই গ্লাস (বড় হয়ে বুঝেছি যে তার পরিমান ছিল এখনকার আধা লিটারের মত)। না-জ্বালানো সেই উষ্ণ কাঁচা দুধের যে স্বাদ ও ঘ্রাণ, তা আর কোন খাবারে কখনও পেয়েছি বলে মনে হয়না। একটু বড় হয়ে উঠবার পরে না-জ্বালানো দুধ বাদ হয়ে গেল। ভাত খাওয়ার পরে কাঁসার থালায় হাত রেখে বসতাম, মা কুসুম গরম দুধ ঢেলে দিতেন পাতে,কব্জি না-ডুবা পর্যন্ত দুধ ঢালতেই হতো। তার কম হলেই চিৎকার, আরও দাও, আরও দাও। চাকরী করতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত এমন করে দুধ খাওয়ার অভ্যেসটা কম-বেশী বজায় ছিল।

সুসন্তান একটিই যথেষ্ট(?)

বাংলা একাডেমীর বইমেলা, বিশ্বকাপ ক্রিকেট ছাড়াও নানান ধরণের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মিডিয়া তো বটেই ব্লগের আসরও এখন সরগরম। এর মধ্যে আমার মাথায় ঘুরছে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব। সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা এ দেশের মাটি বড়ই উর্বর। এ দেশের মাটি উর্বর, এ দেশের মানুষও উর্বর। কোন রকমে বীজ বপন হলেই শস্য অবধারিত। এর মধ্যে ‘ছেলে হোক মেয়ে হোক, দু’টি সন্তানই যথেষ্ট’, ‘দু’টি থাকলে আর নয়’, অতঃপর ‘একটি সন্তানই যথেষ্ট’ অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠলো। বন্ধুদের মধ্যে অনেককেই আবার বলতে শুনি (আসলে লিখতে দেখি)‘সুসন্তান একটিই যথেষ্ট’ Smile

তুমি বিভ্রাট!

অবশেষে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ঠিকানা যোগাড় করতে পারলাম । একদিন বিকেলে যেয়ে হানা দিলাম লীমা আপার বাসায় । জুলাই মাস – অসম্ভব গরম পড়ছে ক’দিন থেকে । ঠিকানা মিলিয়ে বাসায় যখন পৌঁছালাম, তখন মনে হচ্ছিল এত কষ্ট করে না-এলেই ভালো হত। ঘেমে নেয়ে উঠেছি, কলিং বেল টিপতেই লীমা আপা দরজা খুলে দিলেন। ভেতরে ঢুকবার আগেই সে-ই আগের মত করে তার হাত ধরে অভিমানী কন্ঠে জানালাম কত অনুযোগ, কত অভিযোগ। তার দিক থেকে আন্তরিকতার কোন ঘাটতি ছিলনা। তবুও তাকে কেমন যেন একটু নিষ্প্রাণ মনে হচ্ছিল। সেই চঞ্চলতা নেই তার মধ্যে, বেশ একটু ভারিক্কী গিন্নী-গিন্নী ভাব। তালপাতার সেপাই লীমা আপা এখন আর আগের মত শুকনা নেই, এখন তাকে মোটাদের দলেই বরং ফেলা যায়। যা’হোক, ড্রয়িং রুমে বসলাম-খুলে গেলো দু’জনের মুখের আগল। পুরাতন দিনের কত কথা, কত স্মৃতি রোমন্থন, তারই ফাঁকে জানতে পারলাম যে দুলাভাই অফিস থেকে ফিরে রেস্ট নিচ্ছেন, ছেলেমেয়েরা কেউ খেলতে আর কেউবা প্রাই

একুশের স্মৃতি (বিস্মৃতি)

টেলিভিশনে একুশের অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে । কী সুন্দর ঝকঝকে ছবি ! কী ছিমছাম দৃশ্য, চোখ জুড়িয়ে যায় ! আমার স্মৃতিতে সেই কোন অতীতের ঝাপসা কিছু অস্পষ্ট দৃশ্য – কোনভাবেই স্থির হয়ে দাঁড়াচ্ছেনা, স্পষ্ট হচ্ছেনা । এতগুলো বছর চলে গেছে – কতকিছু বদলে গেছে । বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে গেছে কত সুখ-দুঃখ বিজড়িত ঘটনা। ১৯৬৯ সালের পর আর কোন একুশে ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাওয়া হয়নি আমার, এর পরের আর কোন একুশে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকাতেই থাকা হয়নি।

চন্দ্রাবতীর গুণাবলী

“আমি তোমাকে ভালবাসি”। “এই ফুলটা খুব সুন্দর”। “এই বইটা খুব ভালো”। তোমাকে আমি কেন ভালবাসি, কেন এই ফুলটা সুন্দর, বইটা কেন ভালো, এ সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আমার জন্য খুবই কঠিন । অনেকেই এ সকল প্রশ্নের উত্তর গুছিয়ে দিতে পারবেন হয়তো, কিন্তু আমার মত স্বল্পজ্ঞান সম্পন্ন মানুষের জন্য তা সহজ নয় । তা’ছাড়া, সকলের ভালো-লাগা মন্দ-লাগা কখনোই একই রকম হওয়ার সম্ভাবনা সমান হয়না । ‘আমার চোখে চন্দ্রাবতী’র দু’জায়গায় আমি বলেছি, “ভালো কিছুর মধ্যেকার মন্দ আমাকে বড্ড বেশী কষ্ট দেয়”। এ কথা দিয়ে আমি বুঝাতে চেয়েছি যে বইটি আমার ভালো লেগেছে । আরিফ জেবতিকের ফ্লাপের লেখাটার প্রতি আমি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম, যদিও আমি সেটার সাথে একমত তা পোষ্টে সরাসরি বলা হয়নি । ঐ লেখাটার সাথে একমত পোষণ করে চন্দ্রাবতীর চোখে কাজল রংয়ের ভালো কিছু দিক নিয়ে আরিফ জেবিতিক যা বলেছেন তা আমি এখানে উদ্ধৃত করবো ।

আমার চোখে চন্দ্রাবতী

আমাকে সাথে নিয়ে কেউ বিয়ের কনে দেখতে গেলে সে মেয়ের সাথে বিয়ে না-হবার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ । মেয়ে দেখে পেট পুরে খেয়ে ফিরে আসবার সময় যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ‘মেয়ে কেমন?’ আমি বলি ‘ভালোইতো’ । ‘শুধু ভালোইতো বললেই চলবে? কেমন ভালো তাও বলো’। এবার আমি আর ভালো কিছু খুঁজে পাইনা মেয়েটির মধ্যে । তার যা কিছু ত্রুটি সব কিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বলতে থাকি । কনে পছন্দে আমার মতামতের উপর আর কেউ কোন কথা বলতে সাহস পায়না, অতএব আর কী, আত্মীয়তা আর হয়না সেখানে ।
একই ব্যাপার ঘটে আমাকে নিয়ে শপিংয়ে গেলে, বিশেষ করে শাড়ী, গহনা বা এমন কিছু যা কিনতে পছন্দ করবার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য । সবাই যেটা পছন্দ করে কিনবার সিদ্ধান্ত প্রায় নিয়ে ফেলে, সেখানে আমার মতামত চাইলে সেটার দোষ-ত্রুটি দেখিয়ে কেনার বারোটা বাজিয়ে দিতে বেশী সময় ব্যয় করতে হয়না ।

ঢাল-তলোয়ারবিহীন নিধিরাম সর্দার

সেদিন অর্থাৎ গত পরশু মানে ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখ বিকেলে বইমেলায় গেলাম । মনে মনে ভেবে গেছি যে, ‘আমরা বন্ধু’র বন্ধুদের লেখা যে কটা বই এবার প্রকাশিত হয়েছে সব ক’টি কিনবো । রিক্সা, বাস, অবশেষে হেঁটে বইমেলায় অনেক ভিড় জমে উঠবার আগেই পৌঁছে গেলাম উদ্দিষ্ট লক্ষ্যে । টিএসসি মোড় থেকে সারিবদ্ধ হয়ে ধীর পায়ে এগুবার বিড়ম্বনা তখনও শুরু হয়নি । মনে মনে খুশি হয়ে উঠলাম – ভিড় ঠেলে স্টলের কাছাকাছি যেতে যে পরিশ্রম হয়, তা না-করেই বই ক’টি সংগ্রহ করে নিয়ে তারপর বইমেলায় ঘুরবো, এই আনন্দে ডানদিকে প্রথম যে গেইটটা পেলাম সেটা দিয়ে ঢুকে পড়লাম সেই মিলনমেলায় ।
মজা

সিরাজীর তিন ‘প’

মাইনুল এইচ সিরাজীর লেখা প্রেম পৃথিবীর পাঁচালি (তিন ‘প’) পড়া শেষ করলাম । কবিতার আবহে রচিত বইটি পড়বার সময় কাহিনীটাকে অন্য রকম কিছু মনে হচ্ছিল, কিছুতেই ধরতে পারছিলাম না সেই অন্য রকমটা কী ? সন্তানের প্রতি পিতামাতার স্নেহ, পিতামাতার প্রতি সন্তানের ভালবাসা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ তিলেতিলে গড়ে ওঠে যেমন করে; তেমনই ঘৃণা আর অবহেলা ক্রমশ বাড়তে থাকে আর শেষ পর্যন্ত তা প্রতিশোধের মাধ্যমে নিরসনের পথ খুঁজে পায় । সে প্রতিশোধ হতে পারে নির্মম কোন প্রক্রিয়ায়, কখনও বা অন্য কোন উপায়ে । সিরাজী তার লেখনীতে এমনই এক প্রতিশোধের পথ নির্দেশ করেছেন যা আগে কোন গল্প-কাহিনীতে আমার চোখে পড়েনি ।

নিঠুর হে

নানা,
তোমার কি মনে আছে আজ আমার বয়স কত হল ? রাতটা পোহালে আমার বয়স দুই বছর পূর্ণ হয়ে যাবে । জানুয়ারির ১৯ তারিখ, আমার অভিশপ্ত জীবনের শুরু এ পৃথিবীতে । আমার জন্মদিনে তোমাদের কোন আয়োজন নেই মনে হচ্ছে । কেনই বা থাকবে – আমার মত একটা জড়বস্তুকে নিয়ে কি কোন আনন্দ করতে পারে কেউ? নানা, তোমার কি মনে আছে আমি এ পৃথিবীতে এসে একটুও কাঁদিনি- ডাক্তার-নার্সরা অনেক চেষ্টা করেও আমাকে কাঁদাতে পারেনি । নাকে নল ঢুকিয়ে তারা আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছিল । তারা তো আমার ভবিষ্যৎ ভালভাবেই বুঝতে পেরেছিল, তবু তারা কেন আমাকে বাঁচিয়ে রাখল !

শীতবস্ত্র বিতরণ

শীতকাল এলে কম্বল বিতরণ করা হয়, বিতরণ করা হয় নানান পদের শীতবস্ত্র । সহায় সম্বলহীনদের শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচাবার জন্য প্রতিবছর শীত মৌসুমে এ মহান কাজে নেমে পড়েন সচ্ছল ব্যাক্তিরা । বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল বা তাদের অঙ্গদল শীতকাতর মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করে থাকে । অত্যন্ত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কে কার আগে এ মহান ব্রতে অংশ নেবে তার অলিখিত প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায় । রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট গণ্যমাণ্য ব্যক্তিরা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার পান অঢেল । শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান মুখরিত হয় দাতার জয়গানে, হাততালি পড়ে হাজারো মানুষের । অসহায় শীতকাতর মানুষেরা শীতে কাঁপতে কাঁপতে একটা কম্বল বা সোয়েটার হাতে পেয়ে বর্তে যায়, দোয়া করতে করতে বাড়ী ফেরে ।

অবান্তর ভাবনা

[সতর্কতাঃ ০২ জানুয়ারি (রবিবার), ২০১১ ১১:০২ অপরাহ্ন আমার ব্লগে প্রকাশিত, 'আমরা বন্ধু' ব্লগের প্রথম পাতায় দেওয়া যাবেনা ] ।

এখন আর কেউ ফোন করেনা আমাকে । যখন আমার ব্যাস্ততা ছিল অঢেল, ধীরে-সুস্থে খাওয়া বা গোসল করবার মত সময়ও যখন আমার ছিল না, তখন টেলিফোনের রিংটোন আমাকে সর্বদা তাড়া করে ফিরতো । এখন আমার ব্যাস্ততা নাই, নাই এমন কোন কাজ, যা যথাসময়ে না-করলে সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা আছে । দিনের পর দিন চলে যায়, আমার মোবাইল পড়ে থাকে অলস, নিথর, বোবা হয়ে। রিংটোন শুনবার আশায় আমার কর্ণযুগল সদাজাগ্রত থাকলেও তাদের হতাশ হতে হয় অহরহ ।

একজন দেশদরদী

P002msmall.jpg সারাটি বছর কেমন কেমন করে যেন চলে যায়, কখনও মনের মাঝে তাঁর স্মৃতি একবারও উথলে ওঠে কিনা তা মনে পড়েনা । সবাই যখন পরস্পরকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানায় আর আনন্দে উদ্বেলিত হতে থাকে, তখন মন আমার আক্রান্ত হয় স্মৃতিভারে । ষোল বছর আগের একটা শীতের সকাল । জানুয়ারির এক তারিখ, অফিসে যাবার প্রস্তুতির এক পর্যায়ে তাড়াহুড়া করে সকালের নাস্তা করছিলাম । এমন সময় টেলিফোন বাজল – আমার ছেলে কর্ডলেস ফোনের রিসিভারটা এনে হাতে দিল । ও প্রান্ত থেকে একবার শুধু ‘চাচা’ ডাক শুনতে পেলাম, এরপর সব চুপচাপ । একটু পরেই বড় ভাইয়ের কন্ঠ ভেসে এলো, তিনি বললেন, “আমরা পিতৃহীন হয়ে গেলামরে !” টুকটাক প্রশ্ন করে স্বাভাবিকভাবে জেনে নিলাম অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য । আমার স্ত্রী,পুত্র,কন্যা টেলিফোন আলাপ শুনেই যা বুঝবার তা বুঝে নিয়েছে ।

আমার বোনাস লাইফ

[এই পোস্টটা মাইনুল এইচ সিরাজীকে উৎসর্গ করলাম]
দরজী মামুর কথা মাত্র এ কয়টা দিনে ভুলে যাবার কথা নয়, নিশ্চয়ই মনে আছে আপনাদের (দ্রঃ ঘড়ি)। সেই দরজী মামুর সেলাই ঘর ছিল আমাদের ঘরের সাথে একেবারে লাগোয়া ।তার হাতে তৈরী লাল রঙের একটা জামা গায়ে মাছ ধরছিল ছেলেটি । বয়স তখন দুই কি তিন বছর । ঘাবড়াবেন না প্লিজ ! আমাদের বসত ঘরের বারান্দার পাশ ঘেসে ছিল একটা নিষ্কাশন খাল (নালা বলাই ভাল)। সারা বছর শুকনো থাকত, বর্ষাকালে মাঠের অতিরিক্ত পানি এটা দিয়ে বয়ে যেয়ে নদীর পানির সাথে মিশত । আবার বর্ষায় নদী যখন দু’কুল ছাপিয়ে ভরে উঠত, তার পানি যখন উপচে উঠবার জন্য আকুল হত, এই খালটি তখন সে পানি টেনে নিয়ে টগবগ করে হাসতো ।