ইউজার লগইন

আমার বোনাস লাইফ

[এই পোস্টটা মাইনুল এইচ সিরাজীকে উৎসর্গ করলাম]
দরজী মামুর কথা মাত্র এ কয়টা দিনে ভুলে যাবার কথা নয়, নিশ্চয়ই মনে আছে আপনাদের (দ্রঃ ঘড়ি)। সেই দরজী মামুর সেলাই ঘর ছিল আমাদের ঘরের সাথে একেবারে লাগোয়া ।তার হাতে তৈরী লাল রঙের একটা জামা গায়ে মাছ ধরছিল ছেলেটি । বয়স তখন দুই কি তিন বছর । ঘাবড়াবেন না প্লিজ ! আমাদের বসত ঘরের বারান্দার পাশ ঘেসে ছিল একটা নিষ্কাশন খাল (নালা বলাই ভাল)। সারা বছর শুকনো থাকত, বর্ষাকালে মাঠের অতিরিক্ত পানি এটা দিয়ে বয়ে যেয়ে নদীর পানির সাথে মিশত । আবার বর্ষায় নদী যখন দু’কুল ছাপিয়ে ভরে উঠত, তার পানি যখন উপচে উঠবার জন্য আকুল হত, এই খালটি তখন সে পানি টেনে নিয়ে টগবগ করে হাসতো ।
সেই হাসি তিন বছরের লাল জামা পরা ছেলেটিকে অদ্ভুতভাবে অভিভূত করলো । মাছ ধরবার আকাঙ্খা হলো তার । সে কঞ্চির মাথায় সুতা বেঁধে বানিয়ে ফেলল একটা ছিপ । না, বড়শি পাবে কোথায় সে । তো সেই ছিপ হাতে বারান্দায় বসে পড়লো খালের মাছ শিকারের খায়েশ নিয়ে । এক সময় খালের পানিতে বড় মাছের লাফালাফির শব্দ পা্ওয়া গেল । তখন আর লাল জামা পরা ছেলেটি বারান্দায় বসে মাছ ধরবার খেলা খেলছেনা । মাছের লাফালাফির শব্দ কানে গেল দরজী মামুর – মামু বড় মাছটিকে মারবার জন্য কোচ হাতে ঘর থেকে বের হলেন । পানি যেখানটাতে আন্দোলিত হচ্ছে সেখানে লক্ষ্য স্থির করে দরজী মামু হাতের কোচ ছুড়বার জন্য প্রস্তুত । আর মাত্র কয়েকটি সেকেন্ড, কোচে গেঁথে তুলবেন বড় আকারের একটা মাছ । দরজী মামুর সমস্ত চেতনা একটি বিন্দুতে কেন্দ্রীভুত ।
লক্ষ্যবস্তু নিশ্চিত, লক্ষ্যও স্থির, মধ্যখানে অল্প একটুখানি দূরত্ব । হঠাৎ লক্ষ্যবস্তুর গায়ের লালবস্ত্রের প্রতি দৃষ্টি পড়লো মামুর । তার স্মৃতিপটে ভেসে উঠলো লালজামা গায়ে একটি ছোট্ট মায়াবী মুখ । কোচ ফেলে লাফিয়ে পড়লেন খালের ঘোলা পানিতে । টেনে তুললেন মৃতপ্রায় শিশুটিকে, তখনও তার মুষ্ঠিতে তার স্বনির্মিত ছিপ । শুরু হলো বোনাস লাইফ, (এটি স্মৃতিকথা নয়, শোনাকথা)। তবে বোনাস লাইফের দ্বিতীয় বা তৃতীয় অংশ ।
২ । পরেরটাও পানিতে, তবে খালে নয়, এবার নদীতে এবং এটি শোনাকথা নয়, স্মৃতিকথা । ছোট একটা ছেলেকে কেউ কি আর একা নদীতে যেতে দেয় । কিন্তু ছেলেটির নদীর প্রতি টান অফুরন্ত – সে নদীতে গোসল করবার জন্য পাগলপারা । গোসল করাটা একমাত্র উদ্দেশ্য নয়, আসল উদ্দেশ্য সাঁতার শেখা । বয়স তার তখন হতে পারে চার বা পাঁচ বছর । বাপের সাথে গেছে নদীতে – পানিতে নেমেই মহা উৎসাহে সাঁতারের কসরৎ শুরু হলো তার । বাপও নেমেছেন পানিতে, তাঁর গলা পানিতে দাঁড়িয়ে তিনি গল্প শুরু করেছেন স্নানরত একজন অপরিচিত ব্যক্তির সাথে । ছেলের দিকে তার অতটা খেয়াল নেই তখন । ছেলেটি সাঁতরে তার বাপের কাছে যাবার চেষ্টা করছে, এগিয়েও গেল কিছুটা । তারপর ? এবার আর পায়ের নীচে মাটি নাই, ভেসে থাকবার কায়দা শেখা হয়নি তখনও । একবার ডুবে মাটির সাথে পা ঠেকছে আর পা দিয়ে মাটিতে ধাক্কা দিয়ে উপরে উঠছে । ভেসে থাকবার উপায় আয়ত্বাধীন না হওয়ায় আবার চলে যাচ্ছে পানির নীচে । একই সাথে চলছে মুখ আর নাক দিয়ে পানির অন্তপ্রবাহ । ফুলে উঠছে পেট, ফুসফুসের বাতাস কমে সেখানেও জায়গা করে নিচ্ছে পানি ।
হঠাৎ অপরিচিত সেই ব্যক্তির দৃষ্টি আকৃষ্ট হলো ছেলেটির এই ‘উত্থান আর ডুবান’ (পতনের পরিবর্তে ডুবান)। আবারও জীবনসায়াহ্ন দূরে চলে গেল, ফেলে রেখে গেল একটা জঞ্জাল এ পৃথিবীর জন্য ।
৩ । চতুর্থ শ্রেণীতে পড়বার সময় টাইফয়েডে ধরলো । সে সময়ে টাইফয়েড ছিল প্রায় দূরারোগ্য ব্যাধি । আমার বড় একটা ভাই নাকি এই রোগে ভুগে বাপ-মাকে কাঁদিয়ে চিরবিদায় নিয়েছিল । বিশ-বাইশ দিন ভুগেছিলাম । জ্বর হলে তখনকার দিনে ভাত-রুটি কিচ্ছু খেতে দেওয়া হতো না । পথ্য ছিল শুধুমাত্র সাবু আর বার্লি (রবিনসন্স ক্রুসেন্স বার্লি, না কি যেন তার নাম) । ভাত বা রুটি খাবার জন্য কি কান্নাটায় না কাঁদতাম । তবু কারো মন গলতো না । অনিয়ম হলে যদি আবারও আগের মত এটিও চলে যায় এ আশঙ্কা পিতামাতাকে সদাসতর্ক রাখতো । তখন টাইফয়েডের ক্যাপসুল সদ্য এদেশে ব্যবহার শুরু হয়েছে, খুবই শক্তিশালী ঔষধ, একটা খেলেই জ্বর পালাতে পথ পায়না । শুধু কি জ্বর পালায়, সাথে নিয়ে যায় শরীরের যাবতীয় তাপ । তাপমাত্রা কমে থার্মোমিটারের পারদ ৯৭ ডিগ্রী ফারেনহাইটে থেমে থাকেনা, নামতেই থাকে - ৯৫, ৯৪, ৯৩ তে চলে যায় । আগুন আনো, সেক দাও, লেপ-কাঁথা চাপা দাও – আরো কত কি কর । সে এক এলাহি কান্ড-কারখানা । একটা ঔষধও দেওয়া হতো তাপ নিয়ন্ত্রনের জন্য, ফোটা মেপে ( সেটার নাম কোরামিন, একটা সিনেমায় উত্তম কুমার নার্সকে বলেছিলেন সে ঔষধটা আনতে, রোগীর মরনাপন্ন অবস্থায় দেবার জন্য)। এখন সেটা নিষিদ্ধ ঔষধ – সেটার ডোজ একটু এদিক-ওদিক হলে রোগীর ভবলীলা সাঙ্গ হতে দেরী হতোনা মোটেও ।
যা হোক, শেষ পর্যন্ত এবারও টিকে গেলাম । বোনাসের পরও বোনাস ।
৪ । আরো বগর বগর করে আপনাদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটাতে চাই না । একটার পর একটা বোনাসের কথা মনে পড়েই যাচ্ছে । সে সব থাক । আপনারা আর একটা মাত্র ঘটনার সাক্ষী হবার জন্য ধৈর্যধারণ করুন প্লিজ ।
তখন আমি ঢাকা কলেজের ছাত্র । থাকি বড় ভাই-ভাবীর সাথে । হাতীরপুলের কাছে রেললাইনের ধারে বাসা (বর্তমানে সে রেললাইন সোনারগাঁও রোড)। আমার এক বন্ধু তেজগাঁও টেক্সটাইল ইন্সটিটিউটে পড়ে, সেখানে হোস্টেলে থাকে । তার সাথে আড্ডা দিতে যাব, তবে পকেটের পয়সা খরচ করবো না । অতএব হন্টন – রেললাইন ধরে সোজা তেজগাঁও, শ্রীচরণ ভরসা । হাটছি, হাটছি আর গানের কলি ভাজছি, “আকাশের ঐ মিটিমিটি তারার সাথে কইব কথা, নাইবা তুমি এলে” । ভাবে হাবুডুবু, লম্বা লম্বা পা ফেলে স্লিপারের উপর দিয়ে হেটে চলেছি । “মন বাতায়নে সুরেরও জাল গাঁথা” মনের আনন্দে দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য যেন আমি ।
হঠাৎ সামনের দিকে চোখ পড়লো । সামনে বিরাট এক দৈত্য – কালো ধূঁয়া ছাড়তে ছাড়তে ধীর গতিতে এগিয়ে আসছে দু’হাত আমার দিকে বাড়িয়ে । দৈত্যের তীব্র চিৎকারে আশপাশের সবার কান ঝালাপালা । আমার চোখ আর কান দুটোই সবেমাত্র সজাগ তখন । দৈত্য আর আমার মাঝে দুরত্ব তখন আরও কয়েক গজ । আমার সমস্ত সত্ত্বা এবার সজাগ হলো – আস্তে করে নেমে পড়লাম রেললাইন থেকে ডানপাশের দুর্বা আচ্ছাদিত রেল বিভাগের ফাকা জায়গায় । ট্রেনের চালকগণ ও অনেক যাত্রীর চোখ আটকে আছে আমার বিস্মিত-হতচকিত মুখে । আমি নীরব, নিথর – হতভম্ব । নিশ্চিত বিদায় আবারও আটকে গেল ।
উপসংহারঃ আমার বাপের মেয়ে ও ছেলের বয়স যখন যথাক্রমে ১১ ও ৯ বছর তখন আমি এসেছিলাম । আমার আসবার আগের ৯ বছরে যারা এসেছিল (সঠিক সংখ্যা অনুমেয়) তারা কেউ টেকেনি । আমি কেমন কেমন করে যেন এ ধরায় ধরা খেয়ে গেলাম । আমার পরে যারা এসেছে তাদের মধ্যেও অনেকে থাকতে আসেনি । দু’চার দিন বেড়িয়েই চলে গেছে, কেউবা এ পৃথিবীর আলো-বাতাসের স্বাদ কেমন তাও চায়নি । তাইতো মনে হয়, জীবনের পুরোটাই বোনাস ।

পোস্টটি ১৩ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

লীনা দিলরুবা's picture


আপনার বোনাস লাইফের গল্প তো সিরাজীর চাইতে কয়েকগুণ ভয়ঙ্কর।

নাজমুল ভাই আপনার লেখার হাত আসলেই বেশ ভালো।

নাজমুল হুদা's picture


যা ! কি যে বলেন !

যৈবন দাদা's picture


ভাইরে, জীবনটা বড়ই মূল্যবান, বেচে থাকাটা বড়ই সুখের - আপনার লেখা পড়ে আবার এই কথাটাই মনে পড়ে গেলো । লেখা সোন্দ্র হইসে Smile Smile

নাজমুল হুদা's picture


"জীবনটা বড়ই মূল্যবান, বেচে থাকাটা বড়ই সুখের" আহা, কি সুন্দর কথা !
ধন্যবাদ ।

হাসান রায়হান's picture


কঠিন অবস্থা! লেখা ভালো হয়েছে।

নাজমুল হুদা's picture


খুব খুশি খুশি লাগছে । আমার সব কিছুকেই ভাল বলা শুরু করলেন কেন ? মাটিতে পা পড়বেনা তো !

লিজা's picture


কি ভয়ঙ্কর স্মৃতিকথা Shock । ট্রেনেররটা তো সেইরকম। তয় মজা পাইছি যে আপনি ট্রেন লাইন থেকে আস্তে করে নেমে গেলেন। ঠিক ওই রকম সময় মানুষ মনে হয় দিশাহারা হয়ে লাইনেই শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
লেখা কেমন হইছে এইটা বললে তো আপনি ভাববেন মিথ্যা বলতেছি Tongue Tongue তাই বল্লামনা Crazy Crazy

নাজমুল হুদা's picture


"সদা সত্য কথা কহিবে ।"

রাসেল আশরাফ's picture


অসাধারণ!!!!!!!!!

“আকাশের ঐ মিটিমিটি তারার সাথে কইব কথা, নাইবা তুমি এলে”

এত অভিমান যার জন্য দৈত্যর সমান ট্রেন দেখবেন না!!!!!!

১০

নাজমুল হুদা's picture


পুর্ব পাকিস্তানের সুরকার মোসলেহউদ্দিনের সুরে পশ্চিম পাকিস্তানী শিল্পী নাহিদ নিয়াজীর গাওয়া (তারা সম্ভবত স্বামী-স্ত্রী) এই গানটি তখন দারুন হিট, সবার মুখে মুখে । নারে ভাই, আমার কারো উপর তখন কোন অভিমান ছিলনা ।
ধন্যবাদ রাসেল ।

১১

ভাঙ্গা পেন্সিল's picture


আবারও একই মন্তব্য করবো কিনা ভাবতাছি Tongue

বোনাস জীবন সুখী হোক...হওয়া উচিৎ, পুরোটাই তো বোনাস।

১২

নাজমুল হুদা's picture


http://www.amrabondhu.com/sites/all/modules/smileys/packs/Roving/smile.png

১৩

রাসেল আশরাফ's picture


আকাশের ঐ মিটিমিটি তারার সাথে কইব কথা, নাইবা তুমি এলে”

দেইখেন আবার রেললাইনের কাছে যাইয়েন না।

১৪

নাজমুল হুদা's picture


আহা, কতদিন পরে নাহীদ নিয়াজীর কন্ঠে গানটা শুনলাম ! রেললাইনের কাছে যাচ্ছিনা, তবে আপনাকে রেললাইনের মত দীর্ঘ ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।
[অঃটঃ শিল্পী ও সুরকারের নাম সম্পূর্ণ স্মৃতি থেকে দেওয়া, মনে ভয় ছিল যথেষ্ট । ভুল হয়নি বলে বিরাট স্বস্তি পেলাম]

১৫

মীর's picture


রাসেল ভাইএর মন্তব্য লাইক্কর্লাম। Smile

১৬

সাহাদাত উদরাজী's picture


আপনি এখনো আসল বোনাস লাইফের ধারে কাছেও যাচ্ছেন না!!!!

১৭

নাজমুল হুদা's picture


আসল বোনাস লাইফের কথা আপনার কাছে শুনবো বলেই ওদিকে পা বাড়াচ্ছি না ।

১৮

মাইনুল এইচ সিরাজী's picture


পড়তে গিয়ে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছে। নোয়াখালীতে ''ফাঁড়া কাটা যাওয়া'' বলে একটা কথা চালু আছে। এসব ঘটনা সেরকমই। দরজি মামুর কোচের কাহিনিটা তো রীতিমতো ভয়ঙ্কর!

১৯

নাজমুল হুদা's picture


আসলেই ফাঁড়া কেটে যাওয়া । এমন ফাঁড়া কাটার ঘটনা জীবনে আরো ঘটেছে - ধৈর্যচ্যূতির আশঙ্কায় তা আর লিখতে ভরসা পেলামনা ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

২০

মীর's picture


অতি চমৎকার লেখা। লাইক্কর্লাম। Smile

২১

নাজমুল হুদা's picture


ধন্যবাদ মীর । আপনার লাইক পাওয়াতে ধন্য হলাম ।

২২

নাহীদ Hossain's picture


এভাবেই আপনার জীবনের বাকি সব ফাঁড়া (যদি আসে) কাটতে থাকুক। আর এত সুন্দর যার অনুভুতির প্রকাশ, সে তো কোন ভাবেই জঞ্জাল হতে পারে না ... Innocent

২৩

নাজমুল হুদা's picture


আপনার আশা পূরণ হোক ।

২৪

নুশেরা's picture


সবকিছুর ছাপিয়েও অসামান্য এক সূক্ষ ও subtle (যথাযথ প্রতিশব্দ পাচ্ছি না) রসবোধ লেখায় নিজের অস্তিত্বকে ঠিকঠাক জানান দিচ্ছে। আশা রাখি, আপনার নিয়মিত কিবোর্ডচর্চা থেকে এমন আরো অনেক লেখা আসবে।

২৫

নাজমুল হুদা's picture


কতদিন পরে নুশেরার দেখা মিলল অবশেষে । খুশী হলাম । আশা পূরণ করতে পারলে খুশির পরিমান আরো বাড়তো ।

২৬

শওকত মাসুম's picture


কেমন কেমন করে যেন এ ধরায় ধরা খেয়ে গেলাম

এই লাইনটা আলঅদা করে মনে ধরছে

২৭

নাজমুল হুদা's picture


আমার পোস্টে আছে এমন কথা ! আমিই মনে করতে পারছি না । আপনার কাছে ধরা খেলাম ।

২৮

জুলিয়ান সিদ্দিকী's picture


সবার জীবনই তাইলে বোনাস!আমি তিনমাস বয়সে মরে গেছিলাম। দিনে রাতে দুবার করে মরতাম।এভাবে টানা নয়দিন যমে মানুষে টানাটানি। পরে যম বিরক্ত হয়ে উষ্টা মেরে আমাকে ফেলে গেছে। এমন আরো আছে। Smile

২৯

নাজমুল হুদা's picture


"সবার জীবনই তাইলে বোনাস!" আপনার বলার ভঙ্গীটা মনোরম । ঘটনাগুলো আমাদের কাছে বলে ফেলুন ।

৩০

ঈশান মাহমুদ's picture


.....মামু বড় মাছটিকে মারবার জন্য কোচ হাতে ঘর থেকে বের হলেন । পানি যেখানটাতে আন্দোলিত হচ্ছে সেখানে লক্ষ্য স্থির করে দরজী মামু হাতের কোচ ছুড়বার জন্য প্রস্তুত । আর মাত্র কয়েকটি সেকেন্ড, কোচে গেঁথে তুলবেন বড় আকারের একটা মাছ । দরজী মামুর সমস্ত চেতনা একটি বিন্দুতে কেন্দ্রীভুত ।
লক্ষ্যবস্তু নিশ্চিত, লক্ষ্যও স্থির, মধ্যখানে অল্প একটুখানি দূরত্ব......
গা শিউরানো বর্ণনা, এটুকু পড়েই থমকে গিয়েছিলাম, বাকিটুকি পড়তে অনেক সাহস সন্ঞ্চয় করতে হয়েছে। ১০০ বছর বেঁচে থাকুন হুদা ভাই।

৩১

নাজমুল হুদা's picture


ধন্যবাদ ঈশান । এটুকু লিখবার সময় আমারও গা শিরশির করে উঠেছিল । সেখানে আমাকে নয়, আমি একটি শিশুকে দেখতে পাচ্ছিলাম ।

৩২

তানবীরা's picture


রোজ কতো লোকজন পৃথিবী জুড়ে কতোরকম দুর্ঘটনা ও অপঘাতে মারা যায়। সেটা ভাবলে আমাদের অনেকের জীবনই বোনাস।

হ্যাটস অফ নাজমুল ভাই। বোনাস লাইফ আরো আনন্দময় হোক এই শুভেচ্ছা

৩৩

নাজমুল হুদা's picture


আপনার মন্তব্যে অভিভুত হলাম । শুধু ধন্যবাদ জানালে আমার দীনতা প্রকাশিত হবে । তাই তা থেকে বিরত থাকলাম ।
সকলকে নিয়ে সুখে থাকবেন । নুতন বছর আনন্দ আর সাফল্যময় হোক ।

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.

বন্ধুর কথা

নাজমুল হুদা's picture

নিজের সম্পর্কে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় এমএস.সি । বিভিন্ন কলেজে অধ্যাপনা এবং অবশেষে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান । উপসচিব পদ হতে অবসরে গমন । পড়তে ভাল লাগে, আর ভাল লাগে যারা লেখে তাদের । লিখবার জন্য নয়, লেখকদের সান্নিধ্য পাবার জন্য "আমরা বন্ধু"তে আসা।