সুসন্তান একটিই যথেষ্ট(?)
বাংলা একাডেমীর বইমেলা, বিশ্বকাপ ক্রিকেট ছাড়াও নানান ধরণের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মিডিয়া তো বটেই ব্লগের আসরও এখন সরগরম। এর মধ্যে আমার মাথায় ঘুরছে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব। সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা এ দেশের মাটি বড়ই উর্বর। এ দেশের মাটি উর্বর, এ দেশের মানুষও উর্বর। কোন রকমে বীজ বপন হলেই শস্য অবধারিত। এর মধ্যে ‘ছেলে হোক মেয়ে হোক, দু’টি সন্তানই যথেষ্ট’, ‘দু’টি থাকলে আর নয়’, অতঃপর ‘একটি সন্তানই যথেষ্ট’ অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠলো। বন্ধুদের মধ্যে অনেককেই আবার বলতে শুনি (আসলে লিখতে দেখি)‘সুসন্তান একটিই যথেষ্ট’ ।
সন্তান সংখ্যা সীমিত রাখার এ প্রয়াস অনেকগুলো কারণে, যা আলোচনার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়না। এর মধ্যে একটি কারণ হচ্ছে, দেশের ক্রমবর্দ্ধমান জনসংখ্যা কমানো আর একটা হচ্ছে সন্তানকে ভালোভাবে বড় করে তুলবার সামর্থ। এখানে উল্লিখিত দু’টো কারণের মধ্যে দ্বিতীয়টির প্রতি আমরা ‘সবাই’ সচেতন। আর প্রথম কারণটি এই সচেতনতার ফলে আপনা-আপনি অর্জিত না-হবার কারণ নেই। তবে আমরা ‘সবাই’-এর সংখ্যা নিয়ে সংকট আছে। আর সংকট আছে বলেই আমার আজকের এই পোস্ট।
১৫ কোটি বা ষোল কোটি জনতার বিরাট সংখ্যা নিয়ে ফ্যাসাদে পড়বার আশঙ্কা বিদ্যমান। সংখ্যাটিকে ছোট করে ধরি হিসাবের সুবিধার্থে। ধরা যাক, দেশের জনসংখ্যা ১০০। এই ১০০ জনের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ ২০ জন। বাকী ৮০জন অর্থাৎ ৪০ জোড়া দম্পতির মধ্যে ১০ জোড়া মান্য করছেন ‘সুসন্তান একটিই যথেষ্ট’ এই শ্লোগান। আগামী ৩০ বছরে এই ১০ জোড়ার সন্তান থাকবে ১০টি
। অপর ৩০ জোড়া এই ৩০ বছরে কমপক্ষে ১৫০টি সন্তানের জন্ম দেবে। এই ১৫০টির মধ্যে ধরা যাক ৩০টি সুসন্তান থাকবে। তা’হলে মোট ১০০ জন থেকে সুসন্তান পাওয়া গেল (১০+৩০) ৪০টি আর কুসন্তান পাওয়া গেল ১২০টি। এবার ১৬ কোটির হিসাব করে দেখুন আমাদের ভবিষ্যতের হাল-হকিকত।
সু আর কু এর অনুপাত করুন আর দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবুন। আমার আর আপনার দু’টি বা একটি সন্তান অন্যদের চেয়ে ভালো থাকবার কোন সম্ভাবনা থাকবে কিনা তা নিয়ে ভাববে কে? যাদের সন্তান সংখ্যা কমানো উচিৎ তাদেরটা কমছেনা, যাদের সন্তান সংখ্যা বেশী হওয়া উচিৎ তারা সচেতনভাবে তা কমিয়ে রাখছে। আমরা আমাদের সুসন্তানদের কোন নরকে রেখে এ ধরা থেকে বিদায় নেব তা ভাববার সময় কী হয়নি?
[হিসাবে আমি বিশেষ পটু নই, তাই ভুল হওয়া স্বাভাবিক। যারা এ বিষয়ে পারদর্শী তারা মন্তব্যে সঠিক হিসাব দেবেন দয়া করে । যারা এ বিষয়ে কাজ করেন বা করবার সুযোগ আছে তাদের প্রতি অনুরোধ তারা এটাকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে করে একটু চিন্তা-ভাবনা করবেন।]
সকল সন্তানই সুসন্তান হোক।
ব্লগেও যদি হিসাব-কিতাব নিয়া বসতে হয় তো কেম্নে কী
কর্পোরেট হিসাব তো চলে ! তখন দেখি সবাই খাতা কলম নিয়ে বসে !
আরে এ হিসাব তো বাঁচা-মরার হিসাব! দোষ কী?
হেহেহে হুদাভাই আমি ফকিরনি কিসিমের মানুষ, কর্পোরেটফেট মাথার বহুত উপর দিয়া যায়। আর সন্তান-প্রসঙ্গটাও... ধরেন আমি বলতে পারি অটিস্টিক সন্তান একটিই যথেষ্ঠ-- তাই পোস্টে প্রাসঙ্গিক মন্তব্য করতে পারিনি, এই আরকি...
আপনার চিন্তাভাবনা আর তা শেয়ার করার সদিচ্ছা ভালো লাগে
ধন্যবাদ নুশেরা। সন্তানের অস্বাভাবিকতা যে কী তা হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করবার দুর্ভাগ্য আমার হয়েছে। দুঃখ করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারিনা। চোখের পানির হয়না কোন শেষ! তবুও পৃথিবীর সব কিছু চলে তার নিজ গতিতে। শুভ কামনা।
হাসলেই চলবে। দ্রুত সংখ্যা বৃদ্ধি করুন! নিজে বাঁচুন, অন্যকেও বাঁচান!
হা হা হা আমার একটি মাত্র মেয়ে, 'সুসন্তান একটিই যথেষ্ট। কিন্তু হুদা ভাই, আপনার গবেষনা দেইখা চিন্তায় পইড়া গেলাম।
হা হা হা আমার একটি মাত্র মেয়ে, 'সুসন্তান একটিই যথেষ্ট। কিন্তু হুদা ভাই, আপনার গবেষনা দেইখা চিন্তায় পইড়া গেলাম।
ভেবে-চিন্তে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবার জন্যই তো এটা লিখলাম।
আরেকটা সন্তান নেওয়া সম্ভব না আমার পক্ষে।
যত দেরী করবেন, সম্ভাব্যতা ততই কমতে থাকবে। অতএব - - - -
তারমানে কী, তিনটা সন্তান থাকবে আমার?
তেরটা থাকলেই বা ক্ষতি কী? সাহাদাত উদরাজীর পোস্ট পড়ে দেখুন।
আমি ভাবী যেই পিতা-মাতা অসৎ তারা কি ভাবে সুসন্তান আশা করেন বা সুসন্তানই সংগাই বা কি !
অসচেতনদের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। তারা সৎ হলেও সন্তানকে উপযুক্ত করে তুলবার মত মানসিক বা আর্থিক সংগতি তাদের নেই।
আমার একটি সন্তান। (লেখাটা পড়ার পর) ভেবে দেখি কী করা যায়।
ভাবতে ভাবতে সময় পার হয়ে গেলে আর কোন লাভ হবেনা। সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দশ ফোঁড়েও কিছু হবেনা।
ওরে খাইছে, অঙ্ক দেখেই ডরাইছি
ভয়কে জয় করতে হবে!
হবার কিছু নাই।
নিজের সন্তান একটাই থাকুক। অন্য বাচ্চাদেরকেও সন্তানসম স্নেহ দিয়ে তাদের ভবিষ্যত গড়ার রাস্তা করে দেই বরং।
নবাব সিরাজুদ্দৌলার বিখ্যাত উক্তি, "বাঙালী দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বোঝেনা!"

পরে কিন্তু পস্তাতে হবে। এ অধমের কথা মনে পড়বে তখন, লাভ হবেনা কিছুই।
হিসাবটা ঠিক। কিন্তু তবুও বলবো ‘সুসন্তান একটিই যথেষ্ট’।
আগে একজনকেই সুন্দর, সুস্থ ভাবে মানুষ করে নেই....
আবারও সেই একই কথা বলি,

নবাব সিরাজুদ্দৌলার বিখ্যাত উক্তি, "বাঙালী দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বোঝেনা!"
পরে কিন্তু পস্তাতে হবে। এ অধমের কথা মনে পড়বে তখন, লাভ হবেনা কিছুই।
মন্তব্য করুন