ঘর
এক জীবনে এই সত্য বারবার জেনেছি
প্রবল ঘরের নেশাই মানুষকে ঘরছাড়া করে।
শেষবেলা
মোমের ফোঁটার মতো ঝরেছিল চোখ
চৌকাঠে আজো তার দাগ পড়ে আছে।
কোন না কোন বিকেল জুড়ে ঘর-বারান্দাময় প্রখর কৃষ্ণচুড়ার ঘোর ;অন্ধকারের তর্জনী ভেদ করা দুর্দান্ত চাঁদনী এবং স্বপ্নের ঝালরে মোড়া অলৌকিক কোন রাত।
যে জীবনে স্বপ্নগুলো ঘাসফড়িংয়ের মতো পেলবমোহনসবুজ ছিল ;ছিল কুয়াশার সিঁড়ি ভেঙ্গে ভেঙ্গে ফুটে ওঠা স্নিগ্ধ রোদের মতো; সেইসব সুদূরের স্পর্শাতীত দৃশ্যকল্প
ফ্রেমবন্ধী ছবি-ইতিহাস।মায়ার কাজল মুছে গেলে পৃথিবীর ভিন্ন রং ,ভিন্ন রূপ-রস।স্মৃতির কবরে ঢাকা আনন্দের আয়ু।
বাড়ীটা তেমনি আছে। জানালার শার্সির ফাঁকে ঢুকে পড়া শিশুস্কুলের সমস্ত কলরব-খুনসুটি; শৈশব-শৈশব নস্টালজিয়ার বিকেল-দুপুর ; ঝুলবারান্দায় চড়ুইয়ের হুটোপাটি, আলস্যে গড়িয়ে পড়া এক খন্ড রোদ।
সব অবিকল।
শুধু আমিই আর এই বাড়িতে থাকিনা।
কেমন আছেন আপু?
ভাল আছি শান্ত।
শুভেচ্ছা তোমার জন্য।
সব কিছু ঠিক থাকে। সাজানো ঘর, বারান্দা, বোনা গাছগুলো। আমিই শুধু থাকতে পারিনা।
হ্যাঁ প্রিয় এটাই ।
অনেক শুভেচ্ছা।
অনেক দিন পর আপনার লেখা পড়লাম আপা।
কেমন আছেন?
শুভকামনা।
তোমার জন্যেও অনেক শুভকামনা শামীম।
মন্তব্য করুন