রান্ধা কামেল ও অন্যান্য পেচ্ছাপেচ্ছি
১
মিশর দেশে একসময় লোকজন যাইতো পিরামিড, নীল নদ আর স্ফিঙস দেখতে... সেটাই জানতাম।
কিন্তু মাসুম ভাই মিশর ঘুরে এসে জানালেন ওসব কিছুই না... মিশরে যেতে হবে রানধা কামেলকে দেখতে।
আমাদের যাদের পোড়া কপাল, তাদের তো আর মিশরে গিয়ে "সশরীরে" রানধা কামেল দেখার ভাগ্য নাই, তাই বিকল্প পথই ভরসা..
ছোটবেলায় একটা ছড়া পড়েছিলাম- এক যে বোকা শেয়ালে, মুরগী এঁকে দেয়ালে, চাটতে থাকে আপন খেয়ালে [ভুলে গেছি, মূল ভাবটা শুধু মনে আছে]। আমরাও সেইভাবেই রানধা কামেলকে দেখি। [তবে চাটি না কিন্তু ]
গুগুল মামারে বার্তা পাঠাই "রান্ধা কামেল" লিখে... মামায় মোটে পাঁচটা ছবি দেয়। তার মধ্যে মাত্র একটা রানধা কামেলের, বাকী তিনটাই আমার রান্না করা খাবারের ছবি! বিশ্বাস হয় না? তাইলে নিজে সার্চ দিয়ে দেখেন... অথবা এখানে
ব্যাপক চিন্তিত হয়ে পড়ি। লোকজন রানধা কামেলরে দেখতে আইসা যদি আমার কই মাছের প্রাণ দেখে তাইলে তো পঁচা ডিম মারবো!
পরে অবশ্য বুঝতে পারি বানান ভুলের ব্যাপারটা। "রান্ধা" না "রানধা" হবে। সঠিক বানানে সার্চ দিতেই দেখি রানধা কামেল আর মাসুম ভাই পাশাপাশি
বিশ্বাস হয় না? এই দেখেন [মাঝখানে ছোট করে জিহাদ ঢুকে গেছে অবশ্য... পোলাপান খালি বাঁওহাত ঢুকায়
২
রানধা অথবা রান্ধা নিয়া ঝামেলা শেষ করে এবার সত্যি সত্যি রানতে বইলাম। নূপুর সারাদিন অফিসে থাকে, আমি এক হাতে নিধিরে সামলাই, আরেক হাতে কাম করি।
[নিশ্চিতভাবেই মাসুম ভাই আবার এখানে ফোড়ন কাটবে... তার জন্য বলে রাখি- বাঙালিরা কাজকেও কাম বলে ]
তো যা হোক, বড় কঠিন জীবন চলতেছে। দিনের বেলা কোনো অফিসিয়াল মিটিং থাকলেও নিধিকে কোলে নিয়ে মিটিংয়ে যাই। মোটামুটি এই জীবনে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি। আজকে রাতে নূপুর বললো অনেক রান্না করবে, যাতে আগামী কয়েকদিন আমার অন্তত রান্নার কষ্টটা না করতে হয়।
বললাম করো।
নূপুর বললো তুমি কাটাকুটিগুলা করে দাও, আমি রানতেছি।
আমি বললাম তথাস্তু...
বসলাম কাটাকুটিতে। আলু কাটি, পেঁয়াজ কাটি, মাছ কাটি, মাংস কাটি, পেপে সীম ফুলকপি টমেটো কাঁচামরিচ সব কাটা শেষ করে নূপুরকে ডাকতে গিয়ে দেখি ভদ্রমহিলা আরাম করে ঘুমাচ্ছেন।
অগত্যা কী আর করা... আমাকেই কষ্টটা করতে হলো। আবারো আমি রান্ধা কামেল হইলাম।
ভাত মাছ মাংস আর শাক রান্না হইছে। এখন আমি এই ভোর ৫টার সময় যাচ্ছি আলুভর্তা বানাইতে
৩
আমরা বন্ধুর মডু বহুত কড়া লোক। ছয়মাস লগিন না করলে নাকি ব্যান কইরা দেয়। আমার কয় মাস হইছে জানি না, ইতোমধ্যে ব্যান করে দিছে নাকি চেক করতে লগিন করলাম। দেখি এখনো করে নাই...
সংসদ সদস্যরা যখন বিরোধী দলে থাকেন, তখন নব্বই দিনে একবার অধিবেশনে যোগ দেন শুধু হাজিরা দিতে। একবার হাজিরা দিলেই পরবর্তী নব্বই অধিবেশনদিবস নিশ্চিন্তি।
আমিও সেই খায়েশেই আইলাম। শুধু লগিন করলে যদি মডুর চোখে না পড়ি, তাই বিবেকানন্দের জন্মেছিস যখন একটা দাগ কেটে যা-র মতো 'লগিন করেছি যেহেতু একটা প্রমাণ রেখে যাই' মার্কা পোস্ট লিখে প্রথম পাতার একটা জায়গা নষ্ট করলাম
৪
দুজন মানুষের কাছে ঋণ স্বীকারের জন্যও এই পোস্ট। উদরাজী ভাই আর জেবীন আপা।
আরো একজন আছেন, তিনি আমাকে একটা টাকিলা গিফট করবেন বইলা জানাইলেন। আমি নাদান বান্দা, টাকিলা কী জিনিস জানি না। তাই আবারো গুগুল মামার শরণাপন্ন হইলাম। tequila লিখে সার্চ দিলাম... দেখি কী সব বেদাতী বেশরিয়তি ছবি আসে। মদ আর যৌবনবতীনীর ছবি। দেখে তো আমি তাব্দা। উনি কোন টাকিলা আমাকে দিবেন?
আমার যে দুটোর কোনোটাতেই অনাসক্তি নাই
এই বিষয়ে একটা গপ কয়ে শেষ করি।
হ্যারল্ড রবিনসের একটা উপন্যাস, দ্য পাইরেট। বহুত ছোটবেলায় পড়া... ডিটেইলস ভুলে গেছি, সংক্ষেপে ঘটনা কই।
আরবী শেখের উচ্চশিক্ষিত ভাতিজা মরুদেশে ফিরছে। তার সম্মানে চাচা আয়োজন করছে ব্যাপক নাচাগানাপানায়োজন। নাচাগানাপানা শেষে ভাতিজা ঘরে ফিরে দেখে নাচনেওয়ালী সবাই তার ঘরে উপস্থিত। [সেখানে রানধা কামেল ছিলো কী না সেই বিষয়ে হ্যারল্ড রবিন্স কিছু কন নাই] তো মক্ষীরানী এগিয়ে এসে বলে- হুজুর যাকে আপনার পছন্দ তাকে রাখুন, অন্যরা চলে যাবে।
ভাতিজা অনেকক্ষণ খুটায়া খুটায়া সবাইরে দেখে বলে- আমার যে সবাইরেই লাগবে
আবারো বলি... আমার কোনোটাকিলাতেই আপত্তি নাই
আপনেরে কে টাকিলা দিবে জানান, আমিও তার সাথে যুগাযুগ করি।
আপনি ব্যান হন নাই দেখে আমরা সবাই আনন্দিত বস
আপনেরও কি গুগুল বর্ণিত দুই পদের টাকিলাই লাগবো!
না আমারে "ঐ"টা দিলেই হপে
ঠিকাছে, আমি পাইলে ভাগ দিমুনে আপনেরে
নজরুল ভাই, টাকিলা মানে আমি মনে করিছিলাম মাথার টাকের উপর কিলাকিলিকে সংক্ষেপে রম্য করে টাকিলা...
ঠিকাছে, আপনার টাকটা ঠিকমতো পড়ুক... তারপর আমরা টাকিলাকিলি করুম নে
নজরুল ভাই পুরা রকস।

হ, আমি রকবাজ
মাস তিনেক হল এসেছি । নজরুল, নজরুল ভাই, নজু ভাই ইত্যাদি শুনতে শুনতে হাপিয়ে উঠেছি যখন,তখন তার দেখা মিলল । প্রথম দেখায় পছন্দ হল তাকে তার সুন্দর লেখাটির জন্য । আনন্দিত হলাম । তবে আমাদের একটু বেশি সময় দিলে খুব খুশী হব ।
সময় কোথা পাই?
নজরুল ভাই রকস্। আপ্নার জন্য ৬ মাসের আইন ১ মাসে নামিয়ে আনা উচিত।
বেআইনী কথা বলবেন না... এমনকি আইন নিজের হাতেও তুলে নিবেন না।
আইন সবার জন্য সমান
"দুজন মানুষের কাছে ঋণ স্বীকারের জন্যও এই পোস্ট। উদরাজী ভাই আর জেবীন আপা।" - আমি আবার কি করলাম! আমি তো আপনাকে না দেখে একটু ডাকাডাকি করছি মাত্র! নানা স্থানে নানা ব্লগে! আমরা বন্ধুতে আপনি না থাকলে কই থাকবেন!
বাংলাদেশের পোলাপাইন গুলার যে কি অবস্থা! আপনি এক কথাতে সারিয়ে দিয়েছেন। এসব গোপন কথা এত সহজে লিখেন কি করে! অবিবাহিত পোলারা ভয় পাবে তো! ইস তখন মেয়ে গুলোর কি হবে! চির কাল চির কুমারী!
"এখন আমি এই ভোর ৫টার সময় যাচ্ছি আলুভর্তা বানাইতে।" সকালের নাস্থাটা বানিয়ে আপাকে ডাক দিবেন! খবরদার আপুমনিকে কিছু বলবেন না! আপুমনি আমার 'সেই লেখা'র প্রথম কমেন্টার! ওনাকে ঘুমাতে দিন (ওনাকেও তো আজ কাল আর আমরা বুন্ধুতে দেখছি না, অফিস কি সব সময় কেড়ে নিল!)। ওনাকে কিছু বললে আপনার বারটা বাজিয়ে দিব! মাসুম ভাই, মেজবাহ ভাইরা মুখে অনেক কথা বলে! একটা ইঙ্ক্যায়ারী করলে জানা যাবে যতসব গোপন কথা। ওনাদের ভয় পাবেন না! আপনি আপনার মত করে লিখতে ও রান্না করতে থাকুন!
নজু ভাই, ভালই পেচ্ছাপেচ্ছি করলেন। আমি আপনাকে না পেয়ে ভাবছিলাম, আপনি নিশ্চয় রাগ করে আর এ ব্লগে আসছে না। তারপর পিকনিকেও যান নাই। সব মিলিয়ে মনে খটকা লাগছিলো কিন্তু আপনাকে আবার অন্য ব্লগে নিয়মিত দেখছিলাম। তাই মনে বার বার প্রশ্ন জাগছিল।
এখন দেখি উল্টা! আপনার টাকিলা লাগলে বলেন! টাকিলা খাবেন বল্লেইতো হয়!
যাক আপনাকে দেখে ভাল লাগল। বোন ও ভাগ্নি ভাল আছে জেনে খুশি হলাম। ভাল থাকুন।
আমরা সবাই কোরবানির গরু!
ঠিকাছে, এরপর টাকিলা খাওনের দরকার হইলে আপনারে আওয়াজ দিমুনে
একটু গুছায়-গাছায় বলতে চাইছিলাম আপনি ন্যাচারাল হিউমার-প্রোডিউসার। উদরাজীভাইর বক্তিমা দেখার পর আউলায় গেছে সব।
উদরাজী ভাইর বক্তিমা। এ আবার কি! আমি তো আমাদের নজুভাইরে গিয়ারাপ কর্লাম মাত্র। এখনোতো শুরুই করি নাই!
আপনার যা বলার বলেন। আমাদের নজু ভাই এত হাল্কাতে কাইত হয়ে পড়বেন না - আশা করি।
ওস্তাদ, আপনার গিয়ারাপ শুরুর আগেই যে নমুনা... শুরু করলে তো খবরই আছে...
আমি কাইত চিত কম হই
আপনের কাছে আমি নস্যি
ইচ্ছে করে আমিও সবার সাথে তাল মিলিয়ে আমরা বন্ধু'র সব খবর রাখি, আমিও সবার সব ব্লগ পড়ি....।কিন্তু আমার ঋহান এর জন্য পারি না। অকে নিয়ে কিভাবে যে দিন চলে যায়, টেরও পাইনা
অনেকদিন পরে আপনার লেখা পড়ে ভালো লাগলো
পরিবার সমেত ভাল আছেন তো?
টুটুল ভাই করে টা কী? সারাদিন বসে বসে ব্লগ পড়ে পড়ে শোনাতে পারে না? মাইর দেন
আমরা সবাই আছি, আগে ঋহানরে শান্তি দেন... নো চিন্তা
পরিবার সমেত ভালোই আছি। ভালো থাইকেন
লেখার প্রসঙ্গে আসার আগে জিগাই, কই ডুব দিছলেন? এত মজা করে লেখেন তবু পলায় থাকেন, এইটা ঠিক না।
লেখার প্রসঙ্গে বলি, হেহেহে
আমি তো ডুবে ডুবে জল খাই... জানেন না?
আছেন কেমন?
ভালো থাইকেন
'নজরুল'- নামটির সংগে পরিচিত ছিলাম, আজ লেখার মাধ্যমে মানুষটিকে জানা গেল।আপনার 'সেন্স অব হিউমার' সত্যি চমৎকার। শুধু হাজিরা দেবার জন্য নয়, এবিতে নিয়মিত হলে খুশি হবো।
সেন্স জিনিসটা কম থাকলে হিউমার দিয়ে সেই ঘাটতি পুষিয়ে নিতে হয়, কী আর করা... যাহোক, তবু ধন্যবাদ
ব্যাপক মজার পোষ্ট।নজরুল ভাইকে পোষ্ট দিতে খোঁচানোর জন্য জেব্রীল আর উদরাজি ভাইকে ধইন্যা।নজরুল ভাই ,এতদিন পর কেনো?জরিমানা হবে কিন্তু।
জরিমানা কাম ছাড়ে না...
কতদিন মগবাজারের মোড়ে যাইনা...



রায়হান ভাই, মাসুম ভাই, উদরাজীসহ যাওনের খায়েশ আছে।
আল্লাহ ভরসা...
লেখা সেরাম
আমি তো এখন মগবাজার থাকি না, কলাবাগান থাকি
খাইসে.......পুরা টাকিলা পোষ্ট!!
কোন টাকিলার সাথেই পরিচয় হয় নাই আমার।
তাইলে তো আপনের জীবনই বৃথা
আপনার খোমাখাতার প্রো-পিকের মর্মার্থ এক্ষণ এক্কেরে ফকফকা পরিস্কার!!!

হে হে হে.
আমিও মন্তব্যের ঘরে দাগ রেখে গেলাম।
যাক, দাগা তো দেন নাই, তাতেই খুশি
পোষ্ট টা কি নুপুর আপুর ঘুমন্ত থাকা অবস্হায় পোষ্টানো হয়েছিলো নজরুল ভাই ?
হ
রান্ধা করে খাওয়ান আমাদের আবার , আপনার জন্য দোয়া করুম রান্ধা কামেল যেন পান
ঠিকাছে... একদিন তাইলে রান্ধুমনি
খবর কি?
ভালো মানুষের খবর সবসময়ই ভালো থাকে
গ্রেট বস্। কিপিটাপ।
ম্যালাদিন রান্ধেন না কিছু এবিতে। আজ কিছু রান্ধেন না নজরুল ভাই।
মন্তব্য করুন