একটি বিতর্কের অবতারণা: সাহিত্য আমরা কেন করি ? কেন পড়ি ?
রাসেল ভাই এর মাসব্যাপী কার্নিভাল সিরিজের এক জায়গায় সম্প্রতি হুমায়ুন আহমেদের রচনা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে । পাঠক তৈরীতে হুমায়ুনের অবদানের কথা তিনি বলেছেন । দ্বিমতও এসেছে প্রচুর । 'হালকা' বলে হুমায়ুনকে নাকচ করে দিতে চান অনেকে । কতোটা ভারী হলে পরে বোদ্ধার ছাড়পত্র (সনদ) পাওয়া যায়- এ নিয়ে ভাবতে গিয়ে মনে হলো, আমরা সাহিত্য কেন করি ? কেন পড়ি ? যিনি লেখেন, কেন লেখেন ? পাঠক কেন পড়েন ?
*অবসর বিনোদন !
* কিঞ্চিত আনন্দ প্রাপ্তির আশায় (পড়তে ভালো লাগে বলে) !
* সাহিত্য করে 'নো-বেল' না হোক, নিদেনপক্ষে 'হ্যা -বেইল' পাবার জন্য !
* এমনি -এমনি !
* সুপ্ত বোধগুলো জাগাবার জন্য !
* সাহিত্যের ভালো-মন্দ চরিত্ররা বাস্তবের চরিত্রদের বুঝতে সহায়তা দেয়, তাই !
যাই হোক, কোন সাহিত্য সম্পাদকের সাহিত্য আসরে এই বিতর্কের অবতারণা করা সম্ভব না । । ব্লগের সুবিধা এ-ই, দশের দশ মত নিতে,-দিতে কোন বাঁধা নাই । সাহিত্য সম্পাদকের কাঁচিও নাই ! তো, হয়ে যাক একটা বিতর্ক !
এই যে এতো এতো লেখা, এতো লেখক, যিনি লেখতে জানেন,-লেখছেন । আমার মতো যে জানেনা,- সেও লেখছে ! পাঠক আবার নিজস্ব রুচিবোধের জায়গা থেকে বাচ-বিচার করেই পড়ছেন । মোটের উপর, সাহিত্য চর্চা থেমে নেই, চলছেই ।
'এই সাহিত্য চর্চাটা আমরা কেন করি ?' বন্ধুরা কি ভাবছেন ?
কেউ যদি বলেন লেখার অভ্যাস বাঙালির মজ্জাগত, তাও মানতে বাধ্য !
কারণ, লেখক বাঙালির প্রতিভার উন্মেষ যত্র-তত্র দেখা যায় । এমনকি পাবলিক টয়লেটের নিরিহ দরোজা, দেয়াল পর্যন্ত বাঙালি লেখকের হাত থেকে নিস্তার পায়না ! 'কুশ্রী' বাণী চিরন্তনি ওনারা সেখানে লেখে রাখেন ! এই বিশেষ প্রজাতিটির নাম 'বাথরুম লেখক !'
লেখা-লেখির অপচেষ্টা চালাই মূলত আনন্দের খোঁজে।
শিপন ভাই কেমন আছেন?
তাহলে হু আ বেচারা কি দোষ করলো । তিনি আনন্দের জন্য লেখেন, আর পাঠককে আনন্দ দেন !
ভালো , মীর । আপনি কেমন ?
বই পড়ে একটা পাঠপ্রতিক্রিয়া কবে দিতেছেন ?
ইয়েস্। জরুরি একটা কথা মনে করায় দেয়ার জন্য আপনারে ধইন্যপাতা।
ধইন্যাপাতার ইমোটা দিলেন না !
আমি দেই
আপনি কি পাঠকের কথা জানতে চাইলেন নাকি লেখকের কথা? একটু আউলাইছি।
দুই গোত্রের কথাই চলুক ! লেখক-পাঠক উভয়ের কথাই ।
কারণ, (বিশেষত ব্লগে) যারা লেখক, তারাই পাঠক ।
আমি ডায়রী বাদে আরকিছু লিখিনা, তাই 'সাহিত্য করি' এইটা বলতে চাইনা। তবে 'পাঠক' (শব্দটা নিয়া বিভ্রান্তিতে আছি, কে পাঠক না আর কে পাঠক সেইটা কিভাবে নির্ধারন হয় বুঝতে পারতেছিনা ঐ পোস্টের কমেন্ট পড়ার পরে) হিসাবে বলতে পারি, পড়তে ভাল লাগে তাই পড়া। মানসিক বিকাশ ইত্যাদি ইত্যাদি মহান দায়িত্ব আমি আরোপ করতে চাইনা বইপত্র কিংবা লেখকের উপর, পড়ালেখা না জানা মানুষের বিকাশ-ও আমার থেইকা অনেক বেশি হইতে পারে বইলা মনে করি।
আফসোস, মন্তব্য পছন করার অপশন নাই, থাকলে এই মন্তব্যডা পছন করতাম ।
সাহিত্য পড়ি আসলে সময় কাটানের একটা প্রক্রিয়া হিসাবে। আর যদ্দূর ব্লগ লিখি সেইটাও বেশির ভাগ সময়ে একই উদ্দেশ্যে যায়...
এখন কোনো বই পড়লে কেবল একবারের উপযোগিতা পাই, আর কিছু বইয়ের রেশ অনেক পরে গিয়াও উপযোগিতা তৈরী করে।
বই এর উপযোগিতার বিষয়টা ভাস্করদার মন্তব্যে আসছে, এই বিষয়েও আলোচনা চলতে পারে ।
কেন পড়ি? ছোটবেলা থেকে মাইর খাইয়া আর পড় পড় শুইনা অভ্যস্ত হইয়া গেছি তাই পড়ি।
আর সময় যেহেতু এখন অনেক মূল্যবান, ঘুম অর পড়া চুজ করতে হয় তাই
এমন কিছুই পড়তে চাই।
আর যা আমার মন ছোঁয়, হৃদয় ছোঁয় তাই আমার ভালো লাগে। আশাপূর্ণা, মহাশ্বেতা, বানী, সুচিত্রা, রাবেয়া, উম্মে মুসলিমা যতো তাড়াতাড়ি মনকে ছোঁয় হু আ ছোন না, এই সমস্যা।
হা হা হা । ছোডুকালেই তাইলে আপনেরে 'আউট বই' পড়ার তাগিদে মারতো !
হুমায়ুন পইড়াও কিন্তু মানুষ হাসে-কাঁদে !
ধরেন, এই চোখ ভেজাবার পর এই আবার হাসির রেখা দেখা গেলো পাঠকের ঠোঁটে, এইটাতো লেখকের অসাধারণ ক্ষমতা । ক্ষমতা না ?
আপনার মন্তব্যটা অবশ্য মজারু হইছে ।
উম্মে মুসলিমা? ওনার লেখা আপনার ভালো লাগে? অবাক হলাম।
অবাক হবার কারণ জানতে চাই
অবাক হবার কারণ জানতে চাই
অবাক হওয়ার কারণ -
১। ওনাকে বাণী বসু, মহাশ্বেতা দেবী প্রমুখের সাথে একই সারিতে দেখে
২। ওনার সাম্প্রতিক লেখা পড়িনি। কারণ এখন আমি দেশের বাইরে। একবছর আগের মূল্যায়ন তুলে দিচ্ছি -
ক। ওনার বাক্যগঠন দুর্বল। এজন্য বিশ্লেষণ করতে গেলে কখনো অতিরিক্ত কথা বলেন, কখনো যুক্তি রাখেন অসম্পূর্ণ।
খ। লেখার বিষয়বস্তু পুনরাবৃত্তির কারণে বিরক্তির উদ্রেক করে। ঘুরেফিরে একই কথা, একই ভাবে - কোন নতুনত্ব নেই। (সংক্ষেপে establishing a well established fact )
গ। সীমিত পর্যবেক্ষণ থেকে বিশাল উপসংহার টানার অভ্যাস।
ওনার লেখা যোগাযোগ পত্রিকা, প্রথম আলো ও কালি ও কলম (চিঠিপত্র বিভাগসহ) কয়েক জায়গায় পড়েছি।
# একটু তৈলাক্ত শোনাবে, কিন্তু ওনার থেকে ব্লগার ভাস্করদা, নরাধম ভাইয়ের বিশ্লেষণী ক্ষমতা ভালো। পর্যবেক্ষণ ও শব্দ নিয়ে খেলার কথা বললে সচলায়তনের শুভাশীষদা, মাহবুব লীলেন ভাই অনেক পরিণত। তুলনাটা এজন্য করলাম কারণ ওনারা নিয়মিত চর্চা করেন না, তবু গুণ বিচারে অনেক উঁচুতে। বাণী বসু আর মহাশ্বেতা দেবীর কথা না হয় নাই বললাম।
ধন্যবাদ সৎ উত্তরের জন্য। ওনার লেখা কতোটুকু সাহিত্য মানসম্পন্ন সেই দৃষ্টি থেকে ওনাকে আমি কখনো সেভাবে বিচার করিনি। ওনার লেখার বক্তব্য আমার চিন্তা ভাবনার সাথে মিলে সেজন্য ওনাকে আমার ভালো লাগে। ঘটনা বিচারের দৃষ্টিভঙ্গী আমার ভালো লাগে, যেসব জিনিস আমরা অহরহ দেখে অভ্যস্ত হয়ে গেছি, সেগুলো অভ্যস্ত হলেও যে অন্যায়, সেটা ওনি তুলে আনেন তার লেখায় সেটা আমার ভালো লাগে। লেখার পরিমিতবোধটা ভালো লাগে।
ইয়ে বাড়ি গেলে অনেক খাওয়ান, গিফট দেন এবং নিজেও সুন্দর করে সাজেন, সেটাও ভালো লাগে
দুনিয়ায় আর কয়দিনই বা বাঁচবো। যে কয়দিন বাঁচি সেই কয়দিন এসব চর্চা করে নেয়ায় ভালো। বেহেস্ত কিম্বা দোযখে সাহিত্য চর্চার কোনো বিষয় থাকবে না বলেই সাহিত্য চর্চা করি।
হা হা হা ! জোস কইছেন , বস !
জ্ঞান পিপাসায় অতিষ্ট হইয়া পড়ি বললে ভুল হইবেক। আমার পড়ার প্রধান কারণ ছোট বেলা হইতে আজতক যাবতীয় আত্মীয় স্বজন বই ছাড়া আর কিছু উপহার দেন নাই
। তাঁদের মন রক্ষা করতে গিয়া পড়তে হইছে। তাছাড়া আপনারা যখন সাহিত্য আলোচনা করেন সেই সময় দুই চারটা ফোড়ন কাটতে গেলেও অল্প বিস্তর পড়া লাগে (মহা যন্ত্রণা)।
মানু ফর্মে
ওরে ! কি লিখিলো রে !
চমৎকার। দারুণ প্রাসঙ্গিক পোস্ট।
আমি পড়ি কারণ বই পড়ে আমি তীব্র আনন্দ পাই। বেঁচে থাকা সার্থক মনে হয়। ঠিক যেমন আনন্দ পাই পেট ভরে খেয়ে।
আর কেন পড়ি এবং কেন লিখি দুইটা ভিন্ন ঘরানার প্রশ্ন। যদি কিছু মনে না করেন তাহলে অনুরোধ করি খালি একটা রাখতে। সেই সাথে আপনার আগের প্রশ্নটাই একটু বড় করেন - কী পড়ি (বা এখন কী পড়ছি) এবং কেন পড়ি। তাহলে বন্ধুদের পাঠ রুচি সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যাবে, আবার নতুন বই সম্পর্কেও জানা যাবে।
মডারেটারকে অনুরোধ - পোস্টটা স্টিকি কর হোক।
এটাই আসল কথা, আনন্দের জন্যই আমরা পড়ি । লেখকও লেখতে আনন্দ পান বলে লেখেন । আন্দদের যোগসূত্রের কারণেই দুটোকে একসঙ্গে উত্থাপন করা হয়েছে ।
এই আনন্দ আমাদের যিনি দিতে পারবেন, সাহিত্য সমালোচকের কাছে তিনি সমাদৃত না হলেও, পাঠকপ্রিয়তা পাবেন, কারো পছন্দ হোকবা না হোক ।
এটি স্টিকিযোগ্য পোস্ট না । আপনাকে ধন্যবাদ, ভাইডি ।
আলোচনা জারি থাকুক ।
স্টিকি হলে পড়তে সুবিধা হত। নাহলে খুঁজে বের করে পড়তে হয়। আমি অবশ্য প্রিয়তে যোগ করে নিয়েছি। এখানে এমন কোন উপায় আছে যে আপনা আপনি আমাকে জানাবে কোন পোস্টে নতুন মন্তব্য এসেছে - অনেকটা ফেইসবুকের মত?
পড়ার ইচ্ছাটা পেটের ক্ষুধার মতো, নিবারণ বা পূরণ না করলে শান্তি লাগে না। ইচ্ছা হয়, তাই পড়ি। ইচ্ছা কেন হয় সেইটা জানি না
পড়ার ইচ্ছাটা পেটের ক্ষুধার মতো, নিবারণ বা পূরণ না করলে শান্তি লাগে না।
লেখিতে পারিনা তাই যে পড়ি, পাঠক আমি একথা জাহির করিতে।
সব্বেনাশ ! বলেন কি !
আমাদের এখানে কন্ঠরোধের ভয় নেই । আমরা বলতে পারি !
হা হা হা !
অতি প্রাসঙ্গিক পোষ্ট দিয়েছেন শিপন ভাই। আসলে আমাদের এর কারন বের করা দরকার , কেন পড়ি কেনই বা লেখক লিখেন।
যদি আমরা এর অন্তর্নিহিত কারন অনুষন্ধান করি তো দেখতে হবে দেশে আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে এই কত খানি ভূমিকা আছে। যদি লেখা কেন পড়া হয় জিজ্ঞাস করেন তো
এই পোলা বিরাট ফাঁকিবাজী শিখছে ! হে হে হে !
আঁতলামী সহযোগে ফাঁকীবাজী !
হুমায়ুন আহমেদের কিছু অসাধারণ ছোট গল্পের বই আছে আশির দশকের দিকে, 'আনন্দ বেদনার কাব্য' যার একটা। ওরকম লেখা হুমায়ুন আহমেদ আর লিখলেন না। এই গল্পগুলো আমি বারবার পড়েছি, রসবোধ এত চমৎকার ছিল যে মাথাব্যাথার ওষুধ হিসেবেও কাজ দিত আমার
কেন পড়ি? ...মূলত তিনটা কারণে। ১.আনন্দ, ২.আনন্দ, ৩.আনন্দ।

কেন লিখি? ...বাংলা টাইপে দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা, বুড়ো বয়সে(যদি হতে পারি) একটা মোটা পুস্তক লেখার ইচ্ছা আছে।
কেন পড়ি? ...মূলত তিনটা কারণে। ১.আনন্দ, ২.আনন্দ, ৩.আনন্দ।
ঠিকাছে ।
কেন লিখি? ...বাংলা টাইপে দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা, বুড়ো বয়সে(যদি হতে পারি) একটা মোটা পুস্তক লেখার ইচ্ছা আছে।
পইড়া আনন্দ পাই তাই পড়ি। আর পোস্ট দেই পেচ্ছাপেচ্ছি করার জন্য।
পেচ্ছাপেচ্ছি-শব্দটার জনপ্রিয়তা বর্হিবিশ্বেও (ব্লগবিশ্বের বাইরে) ছড়িয়ে পড়ুক !
বন্ধুরা লেখে তাই পড়ি
যাদের বই পড়ো, তাদের অল্পই তোমার বন্ধু !
হে হে হে ।
আমিও
(
লেখিতে পারিনা তাই পড়ি
চিঠি লিখিতে পারেন না ! ঋহান এর আব্বুকে চিঠি লিখুন.. ।
চিঠি লিখলে উত্তর পাইনা

তাই, এখন আর চিঠিও লিখি না
প্রশ্নটা ইন্টারেস্টিং।
.... সাহিত্য পড়ি, কারণটা মনে হয় ছাপার অক্ষরে গভীরভাবে অনুভূতি প্রকাশ হতে দেখলে আনন্দ পাই। কিছু বই আবার ভাবনা চিন্তার পরিসর বদলে দেয়, কিছু সাহিত্য চিরকালের জন্যে সুখ বা দুঃখের একটা বোধ রেখে যায়।
প্রত্যেক সচেতন পাঠক মনে হয় নিজমনে একজন লেখক। যে কারণে নিজের বোধটাকে প্রকাশ করতে লেখালেখির খেলা খেলি।
দারুণ !
কম সিরিয়াস ধরনের পাঠকের দৃষ্টিকোণ থেকে :
১। এক সময় পড়ায় ফাঁকি দেয়ার জন্য বইয়ের ভেতর বই গুঁজে পড়তাম
২। সেবার কিশোর ক্লাসিক, অনুবাদ পরেছি নেশার কারণে
৩। অবসরে কাজ কর্ম নাই, কিছু করার নাই, তখন বই পড়তে খারাপ লাগেনা
৪। কারো রিকমেন্ডেশনে নির্দিষ্ট কোনো বই পড়া হয় (বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ধরা খাইছি)
৫। এখন ট্রেনে অফিসে যেতে যেতে পড়া হয়, নাইলে সময় কাটানো খুব কঠিন
৬। ইন্টারনেট, ব্লগ --এ সবের কারণে আজকাল ঘরে বই পড়া হয়ই না
অধিকাংশ বই পড়া শুরু হয় সমটয় কাটানোর জন্য। কিছু বই শেষ হবার পর অনেকদিন মাথায় থেকে যায়। কিছু বই খুব সিরিয়াসলি ভাবতে শেখায়। কিছু বই পড়লে মনে হয়, ইস্, কোনোদিন এরকম একটা বই লিখতে পারতাম!
ব্যক্তিগত ডায়রীতে অন্তত শ'খানেক আবোলতাবোল গল্পের প্লট জমা আছে। মাঝে মাঝে খুলে দেখি। কখনও সময় হাতে থাকলে লিখতে বসে যাই। লিখতে গেলে খুব প্রতিবন্ধকতা বোধ করি। একবার লেখার পর আবার পড়লে প্রায় প্রত্যেক বাক্য বদলাতে হয়। ব্লগিংয়ের কারণে লেখার উৎসাহ বেড়েছে এটা নিশ্চিত
আমার মতে সাহিত্যপাঠ বিষয়ে একটা রচনাকে দুটো দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করা যায়:
প্রথমতঃ লেখাটি পাঠক খাবে কিনা, মানে অনেক মানুষ পড়বে কিনা, লেখক লেখাটির দ্বারা আলোচনায় আসবেন কিনা, পপুলার হবেন কিনা। এটা লেখালেখির মূল উদ্দেশ্য পারে তাদের জন্য যারা একে জীবিকা হিসেবে নিতে চান। এঁদের জন্য মুহম্মদ জাফর ইকবাল খুব ভালো একটা উপদেশ দিয়েছেন, এদের লেখালেখি শুরু করা উচিত পত্রিকায় লিখে। দশ-বারোটা লেখা সম্পাদক কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হওয়ার অভিজ্ঞতা না থাকলে বোঝা সম্ভব না যে এ্যাভারেজ পাঠকরা কোন ধরনের লেখা গিলবে
এটা নির্ভর করে একজন লেখকের লেখা পড়ে কতটা আরাম পাওয়া যায়, আমপাঠকের জন্য লেখাটি কতটা
সহজবোধ্য। এবং রচনার কািহনীটি কতটা উৎসাহোদ্দীপক -- এই তিনটি বিষয়ের ওপর।
দ্বিতীয়ত, একটা রচনা লম্বা সময় বেঁচে থাকবে কিনা। সাহিত্য রচিত হয় অসংখ্য, বেঁচে থাকে গুটিকয়েক। আমার মতে এটা খুব কঠিন কাজ। এজন্য লেখার ধরনের চেয়েও অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ন হলো কাহিনীর বিষয়বস্তু। একটা গল্প বা উপন্যাস যদি পাঠককে সম্পূর্ণ নতুন ধরনের চিন্তার খোরাক না যোগাতে পারে, তাহলে সেটার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। এরকম একটা সাহিত্যকর্ম একটা পিএইচডি থিসিসের চেয়ে অনেক কঠিন ও অনেক বেশী ইনোভেটিভ।
আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আরেকজন আইনস্টাইনের জন্মানোর সম্ভাবনা আরেকজন শেক্সপীয়ারের জন্মানোর সম্ভাবনার চেয়ে অনেক বেশী।
দুর্দান্ত বলছেন বস ! এই পুরা মন্তব্যটাতে 'বিপ্লব'সমেত পঞ্চ তারকাখচিত হইলো ।
আপনার শেষ লাইনে কঠিন সহমত। আমাদের ঘরে ঘরে আইনস্টাইন থাকতো যদি খালেদা-হাসিনা চুলোচুলিটা না করতো। মেধাগুলো বে-লাইনে চলে যাচ্ছে
সাহিত্য কি সেই নিয়াই মনে হয় বিরাট গেজান গেজানি যাইবো
..। কোনটা সাহিত্য আর কোনটা না সে নিয়া অনেক কাউ কাউ শুনছি.। তাই সাহিত্য কেন পড়ি তা নিয়া না কয়া বরং লেখা কেন পড়ি সেইটা নিয়া কিছু বক্তব্য বিতরণ করি
...
পিচ্চি থাকতে জানার জন্য পড়তাম.. লেখার মধ্যে থাকতো হাজারো চরিত্র; পইড়া এর দুখ হের সুখ সেইসব জানতে ভাল্লাগতো.. একেক চরিত্রের একেক ভাবনা শুনার মধ্যেও আনন্দ ছিল। বড় হয়া নিজের মধ্যেই অনেক সুখ দুঃখের খোজ পাইলাম তাই এখন এইসব ''কিছুটা'' প্যাচাল মনে হয়।
এখন বই পড়ার লক্ষ্য পাল্টাইছে.. এখন দেখি কে কিভাবে তার কথাটা কয়... মানুষ তো সেই আদিকাল থিকা কথা কইতাছে.। সেই আদিকালের প্যাচালরে কে কিভাবে লিখে সেইটাই জানতে ভাল্লাগে... কে কিভাবে আলকাতরা খাওয়াইতে পারে তা দেখার আনন্দই আলাদা...
আমরাতো মেজাজ খারাপ হইলেই কই '' দূরে গিয়া মর, দরকার হইল দূরে গিয়া মরার জন্য রিকশা ভাড়াটাও দিমু'' । ঐ দিন প্যারাডাইঝ লস্ট পড়তে গিয়া (পুরা পড়িনাই, আমি এত গ্যানী না
) দেখলাম মিল্টন কাকু লিখছে - গড শয়তান রে কইতাছে '' ব্যাক টু ইয়োর পানিশমেন্ট, ফলস ফিউজিটিভ/ এন্ড টু ইয়োর স্পীড এড উইংস''
খেক খেক খেক.। সেই একই দূরে-গিয়া-মরার কথা কইলো মিল্টন কাকু , মাগার ভার্শন টা ইট্টু ডিভাইন আরকি... ভাবের এই রকম ম্যজেস্টিক প্রকাশ কম দেখা যায়... মজাই পাইছি লাইনটা পইড়া 
আবার ঠোটের প্রশংসা করতে গিয়া দেখি বাংলাদেশী ''ব্যাকডেটেড'' রা সেই একই ''কমলার কোয়া সম ঠোট'' কয়া ত্যানা প্যাচান... ঐদিন দেখি একপুলা আইসা ঠোটের প্রশংসা করতে গিয়া কইতাছে ''শী ক্যান স্টা্রট আ হার্লি ডেভিডসন বাইক জাস্ট বাই সাকিং অন দ্য ইগজস্ট''
... ইইইইইইই .. ইরাম এক্সপ্রেশান দেইখা তো মুগ্ধ.. তব্দা... চাক্কু... হ, ইট্টু এডাল্ট আমেজ, মাগার এই বর্ণনা ব্রম্মান্ডে এই পয়লা 
ব্লগ পড়ি বাংলাদেশের মানুষের থটস জানার জন্য... ব্লগটা বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্থীর একটা স্যাম্পল-ই মনে হয়। ব্লগ লিখি ... মন খারাপ থাকলে মন ভালো করার জন্য মজার কোন পোস্ট লিখার মধ্যমে, আর মন ভালো থাকলে ব্লগ লিখি এমনি এমনি।
আপাতত মাসুদ রানা ছাড়া আর কোন বই-ই কিনে পড়িনা
... জগতে মাসুদ রানাই আল্টিমেইট বইলা মানি
...
ধরেন জনৈক সলিমুদ্দি লেখলো- কষ্টে আছে আঈজুদ্দিন ।
জনৈক পান্থ প্রতিম বিপ্রতিপ লেখলো,- আঈজুদ্দির হৃদয়ের নীল, নীলাম্বরীর গায়ে ঢেলে দেয় নীলবিষ !
এই দুই প্রকাশের মধ্যে মৌলিক তপাৎ কি মনে হয় আপনার ?
মূলত অইখান থেইকাই বিতর্কের সুচনা । কেউ কেউ সাহিত্যমোড়ল সাইজা কাওরে সনদ দেন, কাওরে কাওরে দেননা ! মুশকিল হইলো পাঠক আবার তারে খায়তেছে । য্যানোত্যানো খাওয়ানা , এক্কেবারে ৫০হাজার কপি গলাধঃকরণ !
মন্তব্য উমদা এ্যান্ড বাফরীয় হইছে ।
কেন পড়ি? এর কোনো উত্তর হয় না। কী ধরণের বই কেন পড়ি সেটা নিয়ে কথা বলা যায়।
পড়ি কারণ ভাল লাগে। বইয়ের সাথে মনকে জুড়ে দেই, তারপর বই মনকে তার দিকে নিয়ে যায়, আমিও যেতে থাকি। যেতেই থাকি................
আসলে পড়া ছাড়া জীবনে আর কিছু শিখিনি।
এর উত্তর হলো,-
আমিতো এমনি এমনি পড়ি
কইতাম পারি না
চাঙ্কু বই পড়ে , 'বাঁধরামীর কলাকৌশল রপ্ত করার লাইগা'
হা হা হা

কোনো কাজ ছাড়া চুপচাপ কতক্ষণ থাকা যায়? সেই সময়টাতে লিখি। যে সময়টাকে ঠিক অবসর বলা চলে না। কিছুদিন পরপর ভাবনাগুলো অনে্কখানি জমে যায়। মনের ভেতর একটি চাপ অনুভব করি। লিখে ফেললে কিছুদিন নির্ভার মনে থাকতে পারি। আর আমার ভাবনারা কেমন ছিলো তা অন্যদের জানাতে চাই বলেই প্রকাশ করি।
সুন্দর প্রকাশ ।
ধন্যবাদ ।
ফিকশান পড়েছি অনেকবছর হয়ে গেছে! গত কয়েকবছর যা পড়ছি তা সবই নন-ফিকশান খটোমটোমার্কা বই। তবে যখন পড়তাম তখন শুধুমাত্র আনন্দ পাওয়ার জন্যই পড়তাম, অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল না।
প্রথমেই বলে নিই , সাহিত্য পড়ার পাল্লাটা আমার কখনোই সেভাবে ভারী ছিল না । যতটা পড়েছি , তা নিয়েই ভাবলাম:
ছোটবেলায় গ্রামের বাড়ি গেলে উনিশ শতক বা বিশ শতকের প্রথমভাগের লেখকদের বই পড়তে ভাল্লাগত । গ্রামের পরিবেশের সাথে সেই লেখাগুলোর পটভূমি মেলাতে পারতাম হয়ত , সে কারণে । কলকাতার কথাও যদি থাকত , গ্রামে বসে সেটার ছবি অনেকটা সহজে আঁকতে পারতাম । ৬০ এর দশকেও আমাদের গ্রাম থেকে স্টিমারে চড়ে মানুষ কলকাতায় যেত , সেসব গল্প দাদা বা বাবার কাছে শুনতাম । সব মিলিয়ে গ্রামের বাড়িতে বসে ছায়াঢাকা বাঁধানো পুকুরপাড়ে সেসব ক্লাসিক পড়ার অনুভূতিগুলো কাউকে বোঝানো কঠিন ।
নাইন-টেনে উঠার পর সাহিত্য পড়েছি পৃথিবী জয়ের নেশায় । জিওগ্রাফি নিয়ে আমার সবসময় ভীষণ আগ্রহ ছিল , ইতিহাস নিয়েও ছিল । এই সময়টায় এমন কিছু খুঁজেছি যেসবের পটভূমি সারা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে , কিংবা মধ্যযুগের ইউরোপে , আফ্রিকায় । তুমুল ভাল লাগা কাজ করত তখন ।
কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিকে জীবন-মুখী লেখা ভাল লাগত , কোন না কোনভাবে লেখার সাথে নিজেকে রিলেট করার চেষ্টা করতাম সবসময় ।কবিতা পড়তাম অনেক বেছে বেছে । কথাগুলো বুঝার চেষ্টা করতাম , নানান ভাবে নানান ডাইমেনশনে । একই কবিতা ৫ বার পড়ে ৫ রকম অর্থ পেতাম মনের সাথে , পারিপার্শিকতার সাথে মিলিয়ে । চমৎকার লাগত সেসব উপলব্ধি
এখন আর কিছুই পড়িনা সেভাবে , আসলে সেই উদ্দেশ্যগুলোর আবেদন ফুরিয়ে গেছে , নতুন করে আবেদন তৈরি হয়নি হয়ত। পড়ার সময়টাও সংকুচিত হয়ে গেছে , বা করে ফেলেছি । যতটুকু সময় পড়ার পেছনে দিই তার প্রায় পুরোটাই এখন নিউজ , ফিচার , অ্যানালাইসিস বা অন্য কোন ফ্যাক্টস পড়ার পেছনে ব্যয় করে ফেলি
চমৎকারভাবে অনেক কিছু জানিয়ে গেলেন, মেহরাব ।
আপনাকে--
মাথার উপর জ্বলজ্বল করছে শ্রদ্ধেয় সায়ীদ স্যারের উদ্ধৃতি ।
আমরা আনন্দের জন্য পড়ি । পড়তে পড়তে চিন্তার ফুরসৎ পাই, মনের খোরাক পাই, তাই পড়ি ।
সাহিত্য কেন পড়ি ? --->> কারণ এর চেয়ে নিরাপদ আর কোন সঙ্গীর দেখা পাই নাই , তাই ...
আর সাহিত্য কেন করি ? --->> নিজের জট পাকানো হিজিবিজি চিন্তাগুলোকে সুক্ষভাবে অন্যের মস্তিষ্কে ঢুকিয়ে গিট্টু লাগানোর জন্য ...
দারুণ বলেছেন, দিগন্ত !
তারকাখচিত হইলো !
আমি সাধারনত শেখার জন্য পড়ি। মাঝে মাঝে কিছু ফিকশন সাহিত্যও পড়ি vinno kono drishtivongi shomporke janar jonno.
অনেকেই বলেন যে হুমায়ুন, জে কে রাওলিং টাইপের সাহিত্যিক নতুন নতুন পাঠক তঐরী করেছেন। আমি খেয়াল করেছি যে এসব পাঠকরা সাধারনত উনাদের ছাড়া ার কারও বই পড়েন না। এরকম khondokalin pathok toiri korate ashole kono krititto nai. Prokrito pathok tarai jara shob shomoi poren. Humayun Ahmed er shahityo kormer shahityomullo ager cheye onektai kome giyeche(shahityomullo bojhate pathok er manosh k provabito korar khomotakei bujhacchi), tobe ekhono unar notun boigulo khulle purota na pore uthte pari na. Shobder jadukorder abar shahityomullo kisher!(english e comment korar jonno dukkhito, blog er bangla keyboard ta bebohar kore shosti nei).
সবাই পন্ডিত হবার জন্য পড়েন না । আনন্দের জন্য পড়েন । সেই আনন্দটা হুমায়ুন, পাঠককে ভালোমতনই দিতে পারেন । এই জায়গাটাতে হুমায়ুনের কৃতিত্ব ।
কঠিন কঠিন শব্দে জীবনবোধের উন্মেষ ঘটাবার বিরতিতে কখনও হুমায়ুনের ঝরঝরে শব্দের টানা গদ্য মন্দ লাগেনা ।
হুমায়ুনের পাঠক অন্য বই পড়ে না,--এরকম বললে খুব বেশী সরলীকরণ করা হয় । এরকম অনেক পাঠক আছেন যারা সর্বভুক । আগ্রহ নিয়েই সবকিছু পড়েন তারা ।
আপনাকে ধন্যবাদ ।
বার বার দেখে যাচ্ছি কিন্তু কিছু বলতে পারছি না!
আপনি মহা ফাঁকিবাজ।
খাওয়া-দাওয়া নিয়ে আরেকটা পোস্ট দেন তো।
কেন পারছেন না, বলে ফেলুন, প্রাণ খুলে ।
এটা উদরাজী ভাই উদ্দেশ্যে ।
সাহিত্য কি জিনিস জানি/বুঝি না।
তবে পড়ি আসলে নিজের মানসিক তৃপ্তির জন্য। এমন একটা সময় ছিল যখন সব পড়তাম। স্কুলের বই, গল্পের বই, পেপারে ক্রয় বিক্রয়ের বিজ্ঞাপন, কাগজের ঠোঙ্গার গায়ের লেখা এমনকি বিভিন্ন কৌটায় লেখা নিউট্রিশন ফ্যক্ট গুলাও। সব কিছু পড়ে আলাদা আলাদা ভাবে রস চাখতাম। এখন হয়তো এরকম সর্বভুক নাই, কিন্তু এক্কেবারে দাঁত ফুটানর অযোগ্য লেখা ছাড়া বাকি সব কিছু পড়েই আনন্দ পাই।
এত্ত ডায়লগের শেষ কথা হইল আমি যাই পড়ি সেইটা নিজের আনন্দের লাইগাই পড়ি...
এই জিনিসটাই তুইলা আনতে চাইছি । অনেক কঠিন শব্দে কঠিন সব লেখা অনেকে লেখেন । সহজ শব্দের সহজ জীবনাচারও যদি পাঠক হিসাবে আমারে মুগ্ধ করতে পারে, কার ক্ষতি কি !
চারপাশের দেখা পৃথিবী সবচেয়ে বিশ্বস্ত, কিন্তু এই পৃথিবীতে আমরা তুষ্ট না... আমরা সর্বদাই কল্পনায় একটা নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি... তাই দিয়ে ধর্মবাজরা বেহেস্ত বানায়, আমরা বানাই রূপকথার মৎসকুমারী...
শুধু বাস্তব পৃথিবীকে নিয়ে আমরা থাকতে পারি না, বাঁচতে পারি না। পাগলের সুখ যে মনে মনে রে ভাই...
এজন্যই মূলত পড়ার শুরু। আমাদের কল্পনার জগৎটাকে আরো সমৃদ্ধ করতে, নতুন কল্পিত পৃথিবীর সন্ধান পেতে।
চোখের সামনে আমাদের একটাই পৃথিবী... কিন্তু বই আমাদের সামনে খুলে দেয় অনন্ত পৃথিবীর দুয়ার। সে যে কী আনন্দ!
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কল্পনার রঙগুলো পাল্টাতে থাকে। নানারকম বই পড়ে সেই সেই বইয়ের নায়কের রঙে নিজেকে সাজাই। নিজের কান্নাটা খুঁজি অন্যের কান্নার মাঝে, ভালোবাসা ভালো লাগা, সুখটুকু আনন্দটুকু সব কিছুই খুঁজি বইয়ের মধ্যে। নিজেরে খুঁজি অন্যের মাঝে।
নিজস্ব ভাবনাগুলো অন্যের সঙ্গে মিলিয়ে নেই বই পড়ে পড়ে। অন্যের ভাবনাগুলো নিজের মধ্যে নিয়ে নেই।
মনের ভেতরে কতো কথা আকুলিয়া বিকুলিয়া মরে, বলতে পারি না। হাতে তুলে নেই বই... প্রেমিকাকে লিখে পাঠাই- "এই চাঁদের আলোতে তুমি হেসে গলে যাও"
প্রতিবাদের ভাষা খুঁজতে বই খুঁজি... খুব নিভৃতে চুপটি করে বসে বসে ভাবার জন্যও বই খুঁজি
একটা সময় বইটাই অভ্যাস হয়ে যায়। না পড়লে ভালো লাগে না। সর্বনাষটা হয়ে যায়... না পড়ে আর কোথায় যাবো তখন?
আর আছে জানার চেষ্টা। নো দাইসেলফ। নিজেকে জানার জন্যই আমাদের জানতে হয় তাবৎ বিশ্ব সংসার। আমাদের মনের অগোচরে মনের অন্দরে ভীড় করে থাকে লাখো প্রশ্ন। সক্রেটিস থেকে দেরিদার মধ্যে সেসব প্রশ্নর উত্তর খুঁজি। পাই কি না পাই, হাতড়াতে থাকি।
আবার কিন্তু দেখিয়ে দেওয়াটাও আছে... অন্যের চেয়ে আমি অনেক জ্ঞানী, অনেক পড়ে ফেলেছি, এটুকু প্রমাণ করার জন্যও তো পড়তে হয় রে ভাই...
কমেন্টা পোষ্টের চেয়েও জটিল হয়েছে। দারুণ লাইক কর্লাম!
দাদা, গতবার বইমেলায় দেখা হইছিলো, এবার আসবেন না?
যাইতে চাই, কিন্তু অফিস ফাঁকি দেবার দিনক্ষণ পাচ্ছিনা, গেলে তো আপনারে অবশ্যই ফোনামু
উপস ! জটিল বলেছেন ! এই মন্তব্যটা টানায়া রাখার মতন হইছে !
সালাম !
এরকম একটা পোস্টের জন্য লেখককে আবারো ধন্যবাদ। মন্তব্যগুলো পড়তে দারুণ লাগলো।
পোস্ট ও মন্তব্যগুলো আবারো পড়লাম। অনেক জ্ঞানের কথা লিখেছেন বন্ধুরা, কিন্তু আসল কথা কেউই লিখেন নি দেখে বিস্মিত হলাম। আসল কথাটি হচ্ছে, ঘুমাবার জন্য পড়ি। আমাদের একজন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে, বই না পড়লে তাঁর ঘুমই আসেনা । অর্থাৎ ঘুম আসাতে হলে পড়া আবশ্যকীয় একটা কাজ!
আর কেন লিখি? আমি তো লিখি আপনাদের সহানুভূতি আর প্রশংসা পাবার জন্য, যদি বিশ্বাস না করেন তবে আমার পোস্ট "চন্দ্রাবতীর গুণাবলী"তে বাফড়ার মন্তব্য (মন্তব্য নং ১১) দেখতে পারেন ।
এইটা মনে রাইখেন না হুদা ভাই । আপনি আমগো সবার প্রিয় ।
বিভিন্ন বিষয়ের (গল্প, উপন্যাস, ভ্রমন ইত্যাদি) প্রতি অদ্ভুত এক আকর্ষনের জন্য পড়ি । সুন্দর প্রচ্ছদঅলা কোন বই দেখলে লোভ জাগে, তখন পড়ি । শেখার জন্য কমই পড়ি ।
ধন্যবাদ ।
লিখি আনন্দের জন্য।
পড়ি লেখার জন্য।
যখন লেখতেন না, তখন কি জন্য পড়তেন ?
শিপন ভাই, খবর কি? অনেকদিন দেখি না আপনাকে।
মন্তব্য করুন