ইউজার লগইন

স্বচ্ছ জলের কোলাহল পেরিয়ে পূর্বমুখী যাত্রাপথে

পূর্ব ঘটনা...... এক............দুই...........তিন


চার.

দেরী হয়ে গেছে অনেক। কুঁড়েতে গিয়ে ব্যাগটা নিয়ে আসতে অনেক সময় লেগে গেল। এক মাইল হাঁটতে এক ঘন্টা লাগে এখানে। তাড়াতাড়ি দাঁড় বাইতে শুরু করলো ধনু। বিকেলের হিম শীতল হাওয়া দিতে শুরু করেছে। সূর্যকে পেছনে রেখে নৌকা এগিয়ে চললো সামনে। আমি ছইয়ের নীচে হেলান দিয়ে ফোকর দিয়ে আকাশ দেখছি। আকাশের এই নীলটা শুধু এখানে না, সারা পৃথিবীতেই আছে। কিন্তু শংখ নদী ছাড়া দেশের অন্য কোন নদীতে এই নীলের এতটা স্ফটিকস্বচ্ছ বিচ্ছুরণ দেখিনি। পাহাড় চুড়া থেকে থেকে নদীটা দেখে মনে হয় সবুজ পাহাড়ের মাঝখানে কেউ আঁকাবাঁকা নীল আঁচল বিছিয়ে দিয়েছে।

ধনু বললো এখানে নৌকা বাইতে আরাম। কিন্তু আরো গভীরে গিয়ে নৌকা বাওয়া কঠিন হবে। নদীর গভীরতা কমে আসছে। বছরের এই সময়ে নদীতে পানির প্রবাহ থাকে না। নদীটা সচল থাকে বর্ষাকালেই। বৃষ্টিজলের উপর এত নির্ভরশীলতা আর কোন নদীর নেই। যেখানে গভীরতা কম সেখানে নৌকা টেনে নিয়ে যেতে হয়। পরিশ্রমের কাজ। পরিশ্রমে আপত্তি নেই আমার। কিন্তু মাইলের পর মাইল বরফশীতল জলে নৌকা টেনে নিয়ে যাবার কথা ভাবতেই শিউরে উঠলাম।

নৌকাটা ধনু কিনেছে এক কারবারীর কাছ থেকে। কারবারী সৌখিন মানুষ ছিল। তাই এই নৌকায় সাধারন ডিঙির চেয়ে সুযোগ সুবিধা একটু বেশী। শোবার জায়গাটা বেশ আরামদায়ক। আবার শোবার জায়গায় তক্তা সরালে এক খন্ড বাক্সমতোন, যেখানে দরকারী জিনিসপত্র খাবার ইত্যাদি রাখা যায়। মাথার উপরে ছইটা বেড়া এবং কাঠের যৌথ নির্মান। নির্মান কৌশলও মুগ্ধ করার মতো। ছাদের দিকে অনেকগুলো হুক। সেখানে ঝুলছে হারিকেন, কাপড়চোপড়, এক কাঁদি কলা এবং একটা কাঠের ঘড়ি।

ঘড়িটা আমাকে কৌতুহলী করে তুললো। এরকম অদ্ভুত কিসিমের ঘড়ি কোথাও দেখিনি। গোলগাল কাঠের ফ্রেমের ভেতরে পেতলের একটা পাত। তার ভেতরে ঘড়ির সেকেন্ড মিনিটের কাঁটা। ঘন্টার কাঁটা সবচেয়ে বড়, তার ছোট মিনিট, তার ছোট সেকেন্ড। সেকেন্ডের কাঁটাটা অদ্ভুত। ওটা যেন একটা পাখির ঠোঁট। এরকম উল্টো চেহারার ঘড়ি দেখিনি কখনো। তাছাড়াও ঘড়িটার বাইরের দিকের কাঠের মধ্যে কারুকাজ যা শতবর্ষী পুরোনো হবে মনে হয়। তবে ঘড়িটা বন্ধ। মনে হয় দম দেয়া ঘড়ি, ধনু ভুলে গেছে দম দিতে। অথবা দম ফুরিয়ে গেছে চিরতরে।

আমার কৌতুহলী দৃষ্টি লক্ষ্য করে ধনু বললো, ঘড়িটার একটা ইতিহাস আছে।

-কি ইতিহাস বল
-শুনবি?
-শুনব
-অবিশ্বাস করবি না তো?
-না
-এটা এক পবিত্র ঘড়ি। কাহিনী যদি অবিশ্বাস করিস, তাইলে তোর সর্বনাশ হয়ে যাবে, তুই আর বাড়ী ফিরতে পারবি না জীবনে।
-আমি বিশ্বাস করবো
-ঠিকাছে, তবে তার আগে আমার পরিবারের গল্প বলি

আমাদের আদিগ্রাম ছিল এখন যেখানে থাকি সেখান থেকে অনেক উত্তরে। সাতদিনের হাঁটা পথ। সেই গ্রামে বিরাট সংসার ছিল আমাদের। বাপ ছিল জুমিয়া। জুম চাষে এত পারদর্শী ছিল যে এই পার্বত্য অঞ্চলের এমন কোন এলাকা নাই বাবা জুমচাষ করেনি। বাবার সুনাম ছিল পাহাড়ময়। কিন্তু সে ছিল উড়নচন্ডী টাইপ। আজ এখানে তো কাল ওখানে।

কোথাও স্থিরতা না থাকলেও মানুষ হিসেবে সফল ছিল। তবু ছোট্ট একটা ভুল তাকে জন্মভূমি থেকে উচ্ছেদ করলো। সেই ভুলটা কিভাবে ঘটলো বলি।

বাউন্ডুলে হলেও মাসে অন্তত একবার বাড়ীতে আসতো। কিন্তু একবার এমন উধাও হলো যে দু বছর কোন খবর নেই। সবাই ধরে নিল, তাকে বাঘে খেয়েছে নয়তো মিলিটারীতে। তখন মিলিটারী পাহাড়ে হানা দিতে শুরু করেছিল। লোক ধরে ধরে কাজ করায় ক্যাম্পে নিয়ে। কেউ বিরুদ্ধে গেলেই ঠুশ। এরকম ভীতিকর প্রচারণা খুব জনপ্রিয় পাহাড়ে। তাই কেউ 'না' করতো না।

ঘটনা আংশিক সত্যি। আসলে বাবা ঘুরতে ঘুরতে রাঙামাটিতে স্থিত হয়েছিল কিছুদিনের জন্য। যখন কাপ্তাইয়ে চাকমাদের সাথে চাষের কাজ করতো তখন হঠাৎ খবর এলো তাদের চাষের জমিগুলো ছেড়ে দিতে হবে সরকারের কাছে। সরকার এখানে নদীর মধ্যে বাঁধ দেবে। সেই বাঁধে পানি আটকে থাকবে। সেই আটকানো পানি দিয়ে কি জানি করবে। তাতে নাকি এলাকার চেহারা বদলে যাবে। উপজাতিদের ভাগ্যের আমূল পরিবর্তন ঘটবে।

এই জাতীয় কথাগুলো অনেক উপর থেকে সাধারণ মানুষের কাতারে আসতে আসতে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যায় নয়তো ফুলে ফেঁপে ঢোল হয়ে যায়। তাই গ্রামের মানুষ আসল ঘটনা জানতে পেল না। কিন্তু তারা প্রতিবাদে ফেটে পড়লো। বাপদাদার জমি ফেলে দিয়ে পাহাড়ে উঠে বসে থাকতে হবে। পেটে দানাপানি দেবার কি হবে। জুম চাষ করে কটা ধান হবে। এতে বছর কাটবে কি করে? এটা কিছুতেই মানা যায় না।

বয়ষ্করা বললো, ঝামেলায় গিয়ে কাজ নেই। তারা ঝামেলা চায় না। সমতলের মানুষদের চেনা আছে ওদের। ইতিহাস বলে ওদের চোখ একবার যেদিকে পড়েছে, সেদিক ছারখার করেছে। মোগলরা তাদের তাড়িয়ে পাহাড়ে তুলে দিয়েছে। ইংরেজরা তাদের কোনঠাসা করে রেখেছে। আর এখন পাকিস্তানীরা তাদের পাহাড় থেকেও উচ্ছেদ করে কোন নরকে পাঠাতে চায়। না চাইলেও সেই নরকেই বাস করতে হবে। ওদের জাতির কোন স্বীকৃতি নেই, তাই ওরা 'উপজাতি'।
আপোষকামী বয়স্কদের এই মতে সায় দিল না তরুনেরা। তরুনেরা সংখ্যাগরিষ্ট। তারা মানলো না। ভেতরে ভেতরে ফুসতে থাকে তারা। ভিন্নজাতির লোক হয়েও বাবা তাদের সাথে যোগ দিল।

বাবার এই চাকমা জাতির ভেতর ঢুকে যাওয়ার পেছনে অন্য একটা কাহিনী জড়িত ছিল তখন কেউ জানতো না। যে গ্রামে বাবা চাষবাস করতো, সেই গ্রামের একটা মেয়ের সাথে বাবার সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং সেই মেয়েটি গর্ভবতী হয়। ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় কেলেংকারী লেগে যায়। তাকে খুন করার জন্য ছুটে আসে কেউ কেউ। অবশেষে ধরে নিয়ে মিলিটারীর হাতে তুলে দেয়। মিলিটারী বাবাকে ধরে নিয়ে যায়।গ্রামে কেবল এই খবর পৌছে যে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে দেশদ্রোহীতার কারণে। কাপ্তাই এলাকায় যে বাঁধ দেয়া হচ্ছে সেই বাঁধ নির্মানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে দেশের স্বার্থবিরোধী কাজ করেছে।

ব্যাপারটাতে রাজনৈতিক প্রলেপ দেয়াতে কেলেংকারীর সংবাদটা চাপা পড়ে যায়। বছর দুয়েক জেলে থাকার পর মুক্তি পেয়ে বাবা প্রথমেই কাপ্তাই গিয়ে দেখে সমস্ত এলাকা তলিয়ে গেছে কর্নফুলীর নীচে। বন্যার পানি থৈ থৈ করছে চারপাশে। এখান ওখানে বিশাল পাহাড়গুলো এখন কেবল কোনমতে মাথাটা উচিয়ে দাঁড়িয়ে। যেখানে ছিল সজীব সবুজ ফসলী জমি সেখানে মাইলের পর মাইল থৈ থৈ করছে অঢেল পানি। এত বাড়ী ঘর মানুষ গরু ছাগল কোথায় গেল?

আর মিতিয়া? তার পেটের সন্তান? পাগলের মতো হয়ে গেল সে। এতগুলো মানুষ স্রেফ ডুবে মারা যেতে পারে না।

ছোটাছুটি করে খোঁজ খবর নিয়ে জানলো কিভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে হাজার হাজার জুম্ম পরিবার এদেশ ছেড়ে চলে গেছে।

খোঁজ করতে করতে প্রায় চারমাস পর সীমান্তের ওই পাড়ের একটা গ্রামে খোঁজ পেল তার মিতিয়ার। ধোঁয়া ওঠা রান্নাঘরে বসে শাকপাতা সেদ্ধ করছে,পাশে দাঁড়ানো উস্কোখুশকো চুলের এক বালক। গায়ের রং তারই মতো, চিনতে বাকী রইলো না তার। ঘরে পুরুষ কেউ ছিল না তখন। সে মিতিয়াকে নিয়ে পালিয়ে চলে আসে নিজের গ্রামে। কিন্তু গ্রামে ফিরে ঠাই হয়না বাবার নতুন বউয়ের। চাকমা মেয়ে বিয়ে করেছে বলে বাবাকে সবাই মিলে গ্রাম থেকে বের করে দেয়। সে গ্রাম ছেড়ে মিতিয়াকে নিয়ে চলে যায় দক্ষিনের অজানা উপত্যকার দিকে যেখানে কোন মার্মা পল্লী নেই।

মুরংদের এলাকায় এসে নতুন করে ঘর বাধলো বউ ছেলে নিয়ে এবং সেই ছেলেটি হলো এই ধনু মার্মা।

এটুকু বলে থেমে গেল ধনু। গল্প শেষ? আমার চোখে প্রশ্ন। ধনুর গল্প হলো, কিন্তু ঘড়ির গল্প কই? ধনুর চোখে কেমন যেন একটা হঠাৎ বিরক্তি। সামনের দিকে তাকিয়ে কি যেন দেখে একটা হতাশা দেখা গেল তার চোখে। গল্পের ভেতর এতটা ডুবে গেছিলাম যে কখন অন্ধকার নেমে এসেছে টেরই পাইনি। ধনু নৌকাটাকে তীরের একটা জায়গায় লাগালো।

-এটা কোন জায়গা? জানতে চাইলাম আমি।
-নাম জানি না এই জায়গার, তবে থিন্ডু পাড়া এখনো আসেনি। থিন্ডু পাড়ার আগে একটা কালো পাথর আছে বাম পাড়ে। ওই জায়গা এখনো আসেনি। ভাবছিলাম থিন্ডু পাড়ায় গিয়ে নাপ্পি খেয়ে গা গরম করবো। তোকে নিতে গিয়েই হলো না।

তাকে অসন্তুষ্ট মনে হলো রুটিন প্ল্যানে ব্যাঘাত ঘটাতে। রাতের বেলা এই জিনিস না হলে অনেকেরই চলে না। আমি নিজে ওই পানীয়তে আসক্ত নই বলে ধনুর ক্ষতিটা পরিমাপ করতে পারলাম না। কেবল তার গল্পের বাকী অংশটা শোনার জন্য চুপচাপ অপেক্ষা করছি। কিন্তু সে গম্ভীর। বাকী গল্পটা বলবে কিনা সন্দেহ আছে। তবু জিজ্ঞেস করলাম।

-তারপর? ঘড়িটার কথা বল।

ধনু নিরুত্তর। নৌকাটা একটা গাছের সাথে বেঁধে রেখে লাফ দিয়ে নেমে জঙ্গলের ভেতর হারিয়ে গেল। আমি কেডসের ফিতাটা আলগা করে আয়েশ করে বসলাম। জঙ্গলের এই নিকষ কালো অন্ধকার রূপটাকে মোটেই ভীতিকর মনে হচ্ছে না। ভেতরটা নিরেট অন্ধকার হলেও নদীর অংশে আলোর আভা। তীরের জঙ্গলে লক্ষ লক্ষ জোনাকীর আলো উৎসব। মুগ্ধ হয়ে দেখছি।

ধনু গেল কোথায়? ব্যাটার মর্জি বোঝা ভার। তুই নৌকা আস্তে চালাইছস, সেজন্য দেরী হইছে, আমি কি জানি তোর থিন্ডুপাড়া কয় মাইল? আরে একরাত নাপ্পি না খেলে কি মরে যাবি নাকি? মনে মনে ঝগড়া শুরু করে দিলাম ওর সাথে। কিন্তু গেল কই ব্যাটা?

ঠিক সেসময় জঙ্গলের ভেতর থেকে একটা প্রবল আলোড়ন সাথে একটা অচেনা গর্জন ভেসে এলো। খাইছে, ওখানে কি হচ্ছে? ভয়ে আমার কলিজাটা পিঠের দিকে লাফ দিল। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সেই গর্জনের সাথে ধনুর আর্তনাদ যোগ হয়ে আরো ভয়াবহ আবহ সৃষ্টি করলো। আমি উঠে দাঁড়াতে গিয়ে দেখি অন্ধকার চিরে তীরের মতো জঙ্গল ফুড়ে বেরিয়ে আসছে ধনু। এক লাফে নৌকায় উঠে টান দিয়ে দড়ি খুলে বৈঠা দিয়ে ঝড় তুললো নদীর পানিতে। তীর থেকে বেশ কয়েক গজ দূরে যাবার পর থামলো। ভোস ভোস করে নিঃশ্বাস ফেলছে সে। আমি তখনো ভয়ে পাথর, নড়াচড়া করতেও ভুলে গেছি। ব্যাপার কি, কিছুই বুঝতে পারছি না।

খানিক থিতু হয়ে ধনু খিক খিক করে হারামি টাইপের হাসি দিল একটা। বললো সে গেছিল প্রাকৃতিক কর্ম করতে। কিন্তু ঢালুতে যে একটা বদরাগী শুয়োর ঘুমিয়ে ছিল সে দেখেনি অন্ধকারে। শুয়োরের গায়ের উপর সরসর করে পড়া মাত্রই জেগে উঠে এমন ক্ষ্যাপাটে দাবড়ানি দিয়েছে ধনুকে....বলতে বলতে আবারো হাসিতে গড়িয়ে পড়ছে ধনু। এতক্ষণে আমিও হাসিতে যোগ দিতে পারলাম যদিও ভেতরে কলিজা আর ফুসফুসের মধ্যে তুমুল আন্দোলন চলছে তখনো।

ধনুকে গল্পের বাকী অংশের জন্য তৈরী করার জন্য আমি একটা সিগারেট জ্বালিয়ে বাড়িয়ে দিলাম ওর দিকে।

ধনু বললো, রাতের বেলা নৌকা তীরে ভিড়ানোর চেয়ে মাঝনদীতে রাখাই নিরাপদ। ব্যবস্থাটা আমারও পছন্দ হলো। নদীতে রাত কাটানোর ব্যাপারটা দারুণ মজার। হালকা চালে দুলতে দুলতে ঘুমিয়ে পড়া।

কিন্তু এখন ঘুমোলে চলবে না। গল্পের এখনো অনেক বাকী। ধনু বললো, খিদা পেয়েছে, রান্না করা লাগবে। খাওয়াদাওয়া সেরে গল্প হবে। সে রান্না করতে লেগে গেল নৌকাটা যুতসই একটা জায়গায় বেধে।

আমি একপাশে হেলান দিয়ে বসে অনির্দিষ্ট চোখে বাইরে তাকিয়ে আছি। প্রাগৈতিহাসিক আমলের ছোট্ট একটা হারিকেন জ্বলছে ছইয়ের সাথে আটকানো হুকের সাথে ঝুলে। মনে হয় জন্মাবধি চিমনিটায় কেউ হাত দেয়নি। এমন কালো হয়েছে ওটা ছেদ করে আলোর কনাগুলো আমার কাছে আসতেই খাবি খাচ্ছে। আলোর সাথে অন্তত অর্ধেক আসছে আঁধারের কনা।

আচ্ছা এই টিমটিমে হারিকেনের আলোর গতিও কি সেকেন্ডে এক লক্ষ ছিয়াশি হাজার মাইল? অলস মস্তিষ্কটা শয়তানের কারখানা হলেই বুঝি এ জাতীয় উর্বর চিন্তা ভাবনার আগমন ঘটে।

পোস্টটি ১৪ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

লীনা দিলরুবা's picture


এই পর্ব দেরীতে এলো।
কাপ্তাই লেকের গহীন সবুজাভ জলের উপর দিয়ে শুভলঙ যেতে যেতে আমার খুব রহস্যময় লেগেছিল চারদিক.......
শুয়োরের থাবা থেকে কিভাবে বাঁচলো ধনু Thinking

নীড় সন্ধানী's picture


লিখছি তো বোধহয়, বিজলীর মতো দৌড় মেরে নৌকায় উঠে বসে বেঁচেছে Smile

হাসান রায়হান's picture


অনেক সময় নিলেন।

মীর's picture


তাও একজন চাপ দিসিলো বলে নীড়দা' এই পর্বটা ছাড়ছে। নাইলে যে কবে দিতো আল্লাই জানে। @ রায়হান ভাই্

নীড় সন্ধানী's picture


লেখা তৈরী ছিল, কিন্তু কেউ চাপ দিচ্ছিল না বলে পোষ্ট করা যাচ্ছিল না, একটা ভাব আছে না? Cool

মীর's picture


আচ্ছা এই টিমটিমে হারিকেনের আলোর গতিও কি সেকেন্ডে এক লক্ষ ছিয়াশি হাজার মাইল

এই পর্ব প্রিয়তে। লেখাটার পটভূমি জানতে ইচ্ছে করছে দাদা। এরকম ঘটনা কি সত্যিই আপনার জীবনে ঘটেছিলো?

নীড় সন্ধানী's picture


পটভূমিটা বিব্রতকর, আবুল হোসেন তাই নিরুত্তর Smile

মীর's picture


আমি কিন্তু বিব্রতভাবকে বেশি পাত্তা দিই না। Tongue out

যাই হোক, কিছু কিছু জায়গা পড়ে মনে হলো প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা ছাড়া লেখা সম্ভব না। উদাহরণ:

নদীটা সচল থাকে বর্ষাকালেই। বৃষ্টিজলের উপর এত নির্ভরশীলতা আর কোন নদীর
নেই। যেখানে গভীরতা কম সেখানে নৌকা টেনে নিয়ে যেতে হয়। পরিশ্রমের কাজ।
পরিশ্রমে আপত্তি নেই আমার। কিন্তু মাইলের পর মাইল বরফশীতল জলে নৌকা টেনে নিয়ে যাবার কথা ভাবতেই শিউরে উঠলাম।

আপনার লেখনীর গুণগান করে শেষ করা যাবে না। পড়ি আর উত্তরোত্তর মুগ্ধ হই। যে কুশ্চেনটা আন্সার কর্তেই হবে সেটা হচ্ছে, কিভাবে পারেন?

হাসান রায়হান's picture


নীড়দা একটা জটিল। ঢাকা আইসা যদি ফোন দেয়, কী খাওয়ান যায় চিন্তা করতেছি।

১০

নীড় সন্ধানী's picture


ঢাকাই খিচুড়ীর সাথে চা খাওয়াইলেই চলবে Tongue

১১

জ্যোতি's picture


কুকারস 7 এর খিচুড়ী+লামছাম + ম্যাংগোর মিষ্টি কুমড়া দিয়ে ডিম পোচ আপনার জন্য বরাদ্দ হলো। Party

১২

মীর's picture


খিচুড়ি একজায়গায়, ডিম আরেক জায়গায়!!
জয়িতা'পুর বুদ্ধির তারিফ না করে উপায় নাই।

১৩

হাসান রায়হান's picture


Laughing out loud

১৪

নুশেরা's picture


নীড়দা আপনি জিনিয়াস।

১৫

নীড় সন্ধানী's picture


কমেন্ট পড়ে ডরাইছি Shock

১৬

সাহাদাত উদরাজী's picture


ভাল লাগল। কথা গুলো খাঁটি।

১৭

নীড় সন্ধানী's picture


চুপচাপ শুনে গেলাম Cool

১৮

মাইনুল এইচ সিরাজী's picture


আচ্ছা এই টিমটিমে হারিকেনের আলোর গতিও কি সেকেন্ডে এক লক্ষ ছিয়াশি হাজার মাইল?

অসাধারণ নীড়দা। সব মিলিয়ে একটা বই চাই।

১৯

নীড় সন্ধানী's picture


বই লিখতে হলে আরো বড় হতে হয়। আপনার এবারের বইয়ের নামধাম জানায়েন। আগাম বুকিং দিলাম।

২০

তানবীরা's picture


অসাধারণ। কিন্তু আবুল হোসেন পেম হতেই হবে আদিবাসি মেয়ের সাথে। এক কথা এক দাবী

২১

নীড় সন্ধানী's picture


আবুল হোসেন তো ছ্যাকা খেয়ে পাহাড়ে যায় নাই। Cool

২২

জ্যোতি's picture


নীড়দা গ্রেট তবে পাঠকরে অপেক্ষায় রাখে দীর্ঘদিন। Sad
নীড়দা, প্রেমটা তাইলে ঘটায়া দেন। দাবী বলে কথা।

২৩

নীড় সন্ধানী's picture


হ আবুল হোসেন আদিবাসীর পেমে পড়ুক আর তার গার্লফেরেন্ড ট্রেনের লাইনে ঝাপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করুক Crazy Crazy

২৪

রুমিয়া's picture


নীড়দা আপনি আসলেই জিনিয়াস।নীড়দার সাথে আমার দেখা হয়েছে,পরিচয়ও হয়েছে।ভাবতেই ভাল্লাগে Smile সাঈদ ভাই ছবিগুলা কবে দিবো কে জানে Thinking

২৫

নীড় সন্ধানী's picture


সাঈদ ভাই ঢাকা যাবার আগে ছবি আপলোড করার সুযোগ পাচ্ছেন না। সেজন্যই দেননি। Smile

২৬

নাজমুল হুদা's picture


আচ্ছা এই টিমটিমে হারিকেনের আলোর গতিও কি সেকেন্ডে এক লক্ষ ছিয়াশি হাজার মাইল? এমন যৌক্তিক প্রশ্ন যার মাথায় আসতে পারে, তার কল্পনা ও চিন্তাশক্তি যে অসাধারন তা বলাই বাহুল্য । দেরীতে পোস্ট পাবার আক্ষেপ মিটে যাচ্ছে প্রতিটা পর্ব পড়ে । প্রত্যেকটা বক্তব্য এত সুন্দর করে বর্ণনা করা হচ্ছে যে, নিছক কল্পনা বলে ভাবতে পারছিনা। যদি সত্য কাহিনী হয়, তবে মীরের মত আমারও জানতে ইচ্ছে করে, কিভাবে পারেন?

২৭

নীড় সন্ধানী's picture


আমার আবজাব লেখা নিয়ে বোদ্ধা মানুষের কাছ থেকে এরকম মন্তব্য পেলে সত্যি সত্যি লেখক হয়ে যেতে ইচ্ছে করে Laughing out loud

২৮

নাজমুল হুদা's picture


হাসির কথা নয়, আপনি একজন লেখক হয়ে উঠবার যোগ্যতা অর্জন করেছেন, অথবা কমিয়ে বললে, যোগ্যতা অর্জন করতে চলেছেন । এই যোগ্যতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস ।

২৯

লিজা's picture


কিন্তু এখন ঘুমোলে চলবে না। গল্পের এখনো অনেক বাকী। ধনু বললো, খিদা পেয়েছে, রান্না করা লাগবে। খাওয়াদাওয়া সেরে গল্প হবে। সে রান্না করতে লেগে গেল নৌকাটা যুতসই একটা জায়গায় বেধে।

এই বাকি গল্প কবে পাবো কে জানে !! Shock

৩০

নীড় সন্ধানী's picture


এবার আর দেরী হবে না ফেব্রুয়ারীর মধ্যেই........ Cool

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.

বন্ধুর কথা

নীড় সন্ধানী's picture

নিজের সম্পর্কে

ভুল ভূগোলে জন্ম নেয়া একজন অতৃপ্ত কিন্তু স্বঘোষিত সুখী মানুষ!