সাতকাহন- ১
.................................................................................................................................
১
একদিকে অনুভূতি ঘেরা উচুঁ দেয়াল,
অন্যদিকে বাস্তবতার আকাশ-পাতাল ফারাক।
আমি না পারি অনুভূতির পাঁছিল টপকাতে,
না পারি আকাশ-পাতালের দূরত্ব ঘোঁচাতে।
শুধু প্রত্যাশায় থাকি,
একদিন হয়তো বিশাল আকাশ হূড়মূড় করে।
নেমে আসবে এই মাটির বুকে।
অপেক্ষায় আছি, অনন্ত অপেক্ষায় ।।
২
পথ চলতে হয় বলেই হয়তো পথ চলা।
সুখে থাকার অভিনয় করতে হয় বলেই,
হাসিমুখে কথা বলা।
জানি, তোমার বলার মতো কেউ হয়তো নই।
তবুও জেনে নিও,
আমার ভিতর বাহির বলে কিছু নেই,
যদি কিছু থেকেও থাকে, তা সবই তোমার।
আমার আনন্দ তুমি,
তাই এতো ভালোবাসি তোমায়।।
৩
সময়টা অকারণে থমকে গেছে,
দম দেয়া ঘড়িটা যেনো হারিয়েছে তার দম।
বড্ড অস্থির এই সময়টা।
মনের দরজায় উকিঁ দিয়ে যাচ্ছে হাজারো স্মৃতি,
জন্ম দিচ্ছে হাজারো প্রশ্নের।
স্মৃতিগুলোকে ঘুম পাড়িয়ে,
সকল প্রশ্ন সচেতনে এড়িয়ে দেখি,
আমার জীবনে আছে শুধু অসীম শুন্যতা।।
৪
ভালোবাসাতে নাকি কোনো ব্যবধান থাকেনা,
কিংবা কোনো ব্যবধান থাকতে নেই।
কখনো সেই ব্যবধান নিয়ে ভাবিওনি।
অনেক দূর হেটে এসে আজ কেবলি মনে হচ্ছে,
আমার ব্যবধান অনেক।
সেটা শুধু দিন আর রাত্রির ব্যবধান ই নয়,
শুরু কিংবা শেষের ব্যবধান ও নয়,
এই ব্যবধানটা নিতান্তই অনুভূতির।
সত্যিই তুমি আজ অনেক দূরের কেউ হয়ে গেছো।
খুব জানতে ইচ্ছে করে,
তোমার সেই অনুভূতি কি আজ মৃত?
নাকি অন্য কারো ছায়ায় সেই অনুভুতিগুলো,
আজও খেলা করে বেড়ায়।।
৫
খুব ইচ্ছে করছে তোমায় আঁলতো করে ছুয়েঁ দিতে,
তোমার মাথার চুলে বিলি কাঁটতে,
তোমার চুলের গন্ধ প্রাণ ভরে নিতে,
তোমার ঘুমন্ত মুখে ভালোবাসার আল্পনা এঁকে দিতে,
কিংবা অপলক নয়নে ওই নিঃষ্পাপ মুখখানা দেখতে।।
৬
যার জন্যে সারাটা জীবন বাজি,
রক্তবিন্দুর প্রতিটি রক্ত কণায়,
সন্ন্যাসী মন এই ভুলের সাঝিঁ,
তার কাছেই থেকে গেলাম অজানা।
কত দূর্নিবার পথ পেরিয়ে,
এসে দেখি সে এখন অন্য মেয়ে।
একটুও আমার কথা ভাবেনি,
বাঁচি কি নিয়ে, তার পথ চেয়ে,
সে এখন অন্য গ্রহের অন্য মেয়ে ।।
৭
হৃদয়ে অনেক কথা বলার থাকলেও,তা গুছিয়ে বলা হয়ে উঠেনা।
হাজারো মানুষের মাঝে দাঁড়িয়ে যদি সব নিঃসঙ্গতা মুছে দেয়া যেতো,
তবে তোমার দ্বারে হয়তো কাঙ্গালের মতো দাঁড়াতাম না।
যদি অমোঘ কাল বোশেখীর মুখে দাঁড়িয়ে ,
উড়িয়ে দেয়া যেতো সব অনুভুতি,
তবে হয়তো তার সামনেই দাঁড়িয়ে যেতাম।
অন্য কাউকে কাছে পেলে যদি, নিসঙ্গতা মুছে যেতো,
তবে হয়তো তোমাকে ভালোবাসি বলতাম না।
সারা পৃথিবীকে এক পাশে রেখে,
তোমাকে আরেক পাশে রাখতাম না।
তোমার পদচিহ্নে আমার পথ খুজতাম না।
তোমার তুলনা তুমি নিজেই।
গভীর প্রেম।
জটিল কথা।
জীবন মানেই তো জটিলতার মার প্যাঁচ। যতই সহজ সরল থাকার চেষ্টাই করুন না কেনো জীবন আপনাকে জটিলতায় টেনে নিবেই।
গভীর প্রেমের ভাষা টুকু আজ কবিতার মাধ্যমে ফুটে উঠে আসল।
খুব ভাল লাগলো।
ঠিক কবিতা নয়। কবিতা লেখার মতোন প্রতিভা কিংবা সাহস কোনোটাই নেই।
মন্তব্য আর প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন