রুদ্র আসিফ'এর ব্লগ
জানালা ও কিছু বিকেলের গল্প
একটা মিস্টি কন্ঠের গুঞ্জনে শেষ
বিকেলের দিকে ঘুম ভাংলো রুদ্রর,
ঘড়িতে ৪:১৭ বাজে।
জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখলো
পাশের ছাদে একটা মেয়ে
রেলিংয়ে হাত দিয়ে দাড়িয়ে
রবীন্দ্র সংগীত গাইছে,
মেয়েটার কন্ঠে যেন বিধাতা মধু
ঢেলে দিয়েছে।
অপূর্ব সেই সুরের সুধা রুদ্র মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে
গিলতে লাগলো,
শেষ বিকেলের সোনালী আলো এসে
পড়েছে মেয়েটার চোখে মুখে।
রুদ্রদের জানালা থেকে মেয়েটার
মুখটা দেখা যাচ্ছিলনা।
ছাদের এক কোনে কয়েকটা ফুলের টব,
তার একপাশে একটা পাখির খাচা
ঝুলানো,
তাতে একজোরা পাখি,
এমন সময় রুদ্রর ফোন বেঝে উঠলো,,
রুদ্র ফোনে কথা বলে আবার জানালার
সামনে এসে দাড়ালো,
মেয়েটা নেই, চলে গেছে
রুদ্র এদিক ওদিক তাকিয়ে রুমের ভেতর
চলে গেল।
এই মেয়েটাকে রুদ্র এই ছাদে আর কখনো
দেখেনি,
সম্ভবত ওই বিল্ডিং য়ে নতুন এসেছে।
পরদিন বিকেলবেলা রুদ্র আগ্রহ নিয়ে
জানালার পাশে গিয়ে দাড়ালো,,
মস্তিষ্কে তারুণ্য ধরে রাখার 6টি উপায়
২৫ বছর বয়সের পর মানুষের মস্তিষ্ক
স্বাভাবিকভাবেই ক্ষয় হতে শুরু করে।
এটাকে বন্ধ করার কোন উপায়
এখনো মানুষ আবিষ্কার করতে পারে নি।
কিন্তু কিছু উপায়ে মস্তিষ্ক ক্ষয়ের
গতিকে মন্থর করে তারুণ্য
ধরে রাখা যায়। এই ক্ষয়ের জন্য প্রধানত
দায়ী করা হয় ফ্রি-র্যাডিক্যালকে।
মানুষের শরিরে ফ্রি-
র্যাডিক্যালগুলো প্রবেশ করে ধূমপান, দূষণ
এবং চর্বিজাতীয় খাবার থেকে।
ক্ষতি থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভাল উপায়
হল চর্বিযুক্ত মাংস পরিহার করা,
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার যেমন
ফলমূল ও
শাকসবজি বেশি পরিমানে খাওয়া।
নিয়মিত ব্যায়াম: ব্যায়াম আমাদের
শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক
রাখতে সাহায্য করে। হার্ট সুস্থ রাখার
জন্য নিয়মিত ব্যায়ামের কোন বিকল্প
নেই। মস্তিষ্ক সুস্থ রাখার জন্যও পরিমিত
ব্যায়াম প্রয়োজনীয়।
শখের কাজ করুন: পেশাগত কাজ
করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে আমাদের
মস্তিষ্ক। প্রয়োজন পড়ে বিশ্রামের। আর এই
««একটি অবুজ প্রেমের শেষ পরিনতি»»
কি খাবে?
- কিচ্ছুনা! আগে বলো এত
দেরী করলে কেন?
- বাবারে, এখনি এত জেরা..বিয়ের
পরে বাসায়
ফিরতে দেরী হলে কিযে করবে..
- পরের কথা পরে! এখন বলো কেন এত
দেরী করেছো!
অভিমানে বাচ্চাদের মত গাল
ফুলিয়ে মুখ ভার করে বসে রইলো দীপ্তি।
যেন শ্রাবণের আকাশের একরাশ মেঘ!
- সরি, সরি,
সরি..একটা কাজে আটকা পড়েছিলাম।
তাছাড়া দেখতেও চাইছিলাম আমার
প্রতি তোমার কতটা টান! তাই..
- কিহ! এটা দেখার জন্য
আমাকে এভাবে কষ্ট দেবে! চোখে অশ্রু
টলমল করে দীপ্তির।
- আর করবোনা প্রিয়া...মাফ করে দাও,
প্লীইইইজ! এইযে দুই কানে ধরলাম, দেখো!
শান্তকে সত্যি সত্যি কানে ধরতে দেখে স্কুলের
পড়া না পারা ছাত্রের
কথা মনে পড়লো দীপ্তির।
কান্নাভেজা চোখ মেলে হাসে সে।
মেয়েরা যখন
কান্নাভেজা চোখে হেসে ফেলে, তখন
নাকি দেখতে অনেক সুন্দর দেখায়!
দীপ্তির দিকে অপলক
চেয়ে থেকে সে কথাটাকে সত্য মনে হয়
শান্তের।
- কি দেখছো এমন হা করে?
শিরোনাম হীন
"তোমাকে সবাই
বুঝবে না ...হাসিমুখে তোমাকে দেখে
সবাই
ধরে নেবে, তুমি সুখে আছো ...
মেসেজে ছোট্ট করে যখন
তুমি লিখোঃ "ভালো আছি" , সবাই
ভেবে নিবে তুমি সত্যি বলছো ...
তোমার অভিনয় সবাই ধরতে পারবে না !!
চোখের দিকে সবাই দুই সেকেন্ড
বেশি সময় নিয়ে মনোযোগ
দিয়ে তাকিয়ে থাকবে না ... চোখের
নিচের কালি দেখে সবাই প্রশ্ন
করবে না, "রাতে কেন ঘুম হয় নি ??" ...
এলোমেলো চুল দেখে সবাই
ধরে নেবে না, তুমি ভালো নেই ...
অতকিছু খেয়াল করার সময় সবার নেই ... অত
কিছু সবাই খেয়াল করে না !!
সবাই ব্যস্ত ... সবাই স্বার্থপর ... তোমার
সাথে কাজের কথা বলে চলে যাবে ...
হয়তো জিজ্ঞেস করবে "কেমন আছো ??" ... ঐ
"কেমন আছো" টায় "ভদ্রতা" মিশে থাকে,
"আবেগ" এর ছিটেফোঁটাও থাকে না !!
পৃথিবী তার নিজের মত ঘুরছে ...
মানুষগুলোও ঘুরছে নিজের মত ... নিজের মত
ঘুরতে থাকা সব মানুষের
মাঝে হয়তো কেউ
তোমাকে বুঝতে চাইছে ... হয়তো কেউ
জীবন,স্বপ্ন, এবং আমি
জীবনের 18 টি বছর কেটে গেছে বড়
রকমের কোনো ধাক্কা ছাড়াই।
তবে জীবন সংগ্রাম যতটা সহজ
ভেবেছিলাম ততটা সহজ কিন্তু নয়, জীবনের
একটা পর্যায়ে এসে সবাই
বুঝতে পারে যেমনটা আমি পারছি। আশা-
নিরাশা নিয়ে জীবন
সেইটা জানি কিন্তু স্বপ্নের মৃত্যু
কিভাবে মেনে নেওয়া যায়?
যখন খুব ছোটো ছিলাম মায়ের হাত
ধরে স্কুলে গিয়েছি। গ্রামের একটা স্কুল,
সেখানে আমিই ছিলাম দ্যা বস।
কালক্রমে যখন মায়ের বদলির সুবাদে অন্য
যায়গায় গেলাম তখন সবে মাত্র ক্লাস
থ্রিতে পড়ি আমি! নতুন জায়গা তাই
মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়েছিলো, তারপরও
বছর দুয়েকের মধ্যে সেখানেও রাজত্ব
করেছি। সপ্তম শ্রেনীতে আবার আরেকবার
শিফট করতে হলো।
সেখানে মানিয়ে নেওয়টাও অবশ্য কষ্টের
কিছু ছিলো না। প্রথম থেকে দশম
শ্রেণী ভিন্ন ভিন্ন
পরিবেশে পড়াশুনা করলেও একটা জিনিস
কমন ছিলো, সব জায়গায় পূরণ হয়েছে সকল
স্বপ্ন। কলেজ
লাইফটা ছিলো সবচেয়ে এনজয়েবেল।
বৃদ্ধাশ্রম
আজকাল লিলির সাথে সম্পর্কটা আমার
ভালো যাচ্ছে না ।
লিলি আমার বিয়ে করা বউ ।
দেখতে অসম্ভব সুন্দরী সে , আধুনিকা ,
স্মার্ট আর অত্যন্ত
রুচিশীল এই
মেয়েটাকে ভার্সিটি লাইফের প্রথম
থেকেই
আমি পছন্দ করতাম ।
আমেরিকা থেকে পি এইচ ডি করে আসার
পর নামকরা এক
ভার্সিটিতে আমি লেকচারার
হিসেবে জয়েন করি ।
তার কিছুদিন পরেই লিলির সাথে আমার
বিয়ে হয় ।
এবার লিলির সাথে আমার সম্পর্কের
অবনতির
কারণটা ক্লিয়ার করছি ।
আমার বাবার বয়স প্রায় ৬৫ বছর। মা অনেক
আগেই
মারা গিয়েছেন । আমার
বাবা আলঝেইমার্স নামের এক কঠিন
রোগে আক্রান্ত । এই রোগে আক্রান্ত
হলে মানুষের
হিতাহিত জ্ঞান থাকেনা ।
সে কাউকে চিনতে পারেনা, ঠিকমত
কথা বলতে পারেনা, সবকিছু
ভুলে যায়।
বাবার সেবা যাতে ঠিকমত করা হয় এ জন্য
আমি এক
মহিলা পরিচারিকাকে ঠিক
করেছিলাম। একবার গুরুত্বপূর্ণ এক
সেমিনারে যোগ দেয়ার জন্য
আমাকে কয়েকদিন
নিশি সহচর
রাতের খাবার খেয়ে মেস
বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পরলাম..
বাসা থেকে কিছুটা দুরে একটা ছোট্ট
চা দোকান আছে ।
প্রায় সময় রাতের বেলা ওখানেই
আড্ডা দেই..
ঐ দোকানের চা টা অসাধারণ!!!
চা খেতে খেতে সিগারেট
খাওয়াটা আমার অভ্যাস।
দোকানীর কাছে অনেক
টাকা বাকি পরে আছে..
টাকার জন্য খালি ঘ্যান ঘ্যান করে
হঠাৎ গলিতে কয়েকটা কুকুরের চিৎকার
শোনতে পেয়ে বা দিকে তাকালাম.....
একটা পুলিশের গাড়ি দেখা যাচ্ছে বড়
রাস্তায়!
দুজন পুলিশকে দেখলাম এদিকেই আসছে..
সিগারেট টা ফেলে দিয়ে চায়ের
কাপে শেষ চুমুক দিলাম ।
পুলিশ দুজন
কাছে এসে দোকানিকে জিগেস করল--
কালু কসাইয়ের বাসা কোনটা??
দোকানি হাত
দিয়ে ইশারা দিয়ে দেখিয়ে দিল ।
পুলিশ দুজন চলে গেছে..
ইতিমধ্যেই আমি ঘামতে শুরু করেছিলাম!!
সারাদিন কত অপরাধই করেছি..
আর অপরাধী পুলিশ দেখলেতো ভয় ই
পাবে । গত সপ্তাহে এই চা দোকানের
সামনে রফিক নামে এক সি এন
জি ড্রাইভারকে পিটিয়েছিলাম,
পরিনতি
এখানে পোকামাকড়েরা বাসা বাঁধে,
একসময়।
শরীরের
পরতে পরতে লেগে থাকা মার্সিডিজের
অহংকার। দ্বিতল বাড়ির
প্যাঁচানো সিঁড়িতে লুকায়িত
বৈভবের অমৃত। শান
বাঁধানো ঘাটে পড়ে থাকা ধূমায়িত
চায়ের আফিম। শত শত ঘামের বিন্দুর
গড়ে তোলা
সমুদ্রের উত্তরীয়। নামে না কখনও কাঁধ
বেয়ে একবিন্দুও।
ধবধবে সাদা সারসের বুকের উপর
চেপে থাকা
মানুষসকল হেঁটে যায়। বাতাসে তখন
পারফিউমের
গন্ধ। কেউ কেউ নাক চেপে ধরে, বিষাক্ত
রক্তের
বোটকা গন্ধ ভেসে আসে। কেউ কেউ
বুঝতে পারে, কেউ কেউ পারেনা।
একদিন সব মিলিয়ে যায়। দাম্ভিকতার
মুখোশ বাতাসে
ভেসে যায়।
খসে পড়ে রক্তে ভেজা অভিশপ্ত উত্তরীয়।
সাদা
কাফনে ছোপ ছোপ রক্ত পড়ে। কেউ কেউ
দেখে, কেউ কেউ দেখে না।
এখানে পোকামাকড়ের ঘর বসতি হয়,
একসময়।
জীবন পথের যাত্রী
সেই ট্রেন, সেই ঝিকঝিক....
কোন এক রৌদ্রকরোজ্জ্বল সকালে আবার
উঠে পড়েছিলাম নাম না জানা কোন এক
বগিতে..
কত মানুষ! কেউ বসে বসে ঝিমোয়, কেউ বা
সুযোগের অপেক্ষায় দাড়িয়ে সটান, মুখে
খিস্তি ফুটে অবিরাম। কান্নারত
বাচ্চা কোলে
মা চাদর বিছিয়ে পাটাতনে বসে আছে,
তাকিয়ে আছে
অনাগত ভবিষ্যতের দিকে নির্ণিমেষ।
কোন এক ধনীর দুলাল কানে হেডফোন
লাগিয়ে
মেটাল গান শুনছে, দূর থেকেও
ঝাকড়া চুলের
দুলানো দেখা যাচ্ছে স্পষ্ট। কোন এক
ভিখারীর
স্পষ্ট ভরাট গলার মোহমীয় গান
ভেসে আসছে কানে।
এই ট্রেন, ট্রেনে চেপে থাকা উঁচুনিচু
যাত্রীসকল
এরা সবাই স্বভাবতই প্রগাঢ় নিগূঢ় অর্থ বহন
করে।
এরা সবাই জীবন পথের যাত্রী,
এগিয়ে চলে এক
অনিশ্চিত ভবিষ্যত পানে।
↓↓ বৃষ্টিবিলাস ↓↓
শুক্র বার, সময় সকাল ১০ টা। আদ্রিতা পড়ার
টেবিলে, কিন্তু কিছুতেই কনসেন্ট্রেশন
টা পড়ার দিকে রাখতে পারছে না। এর
কারন হচ্ছে জানালা দিয়ে গানের শব্দ
আসছে।
"".. সারাটা পথ জুড়ে আমি একা
হেটে যাই আকাশ তারার পানে চেয়ে
নীল জোছনায় স্মৃতিরও ভীড়ে...""
এই টাইপ একটা গান। এত জোরে কেউ গান
বাজায়। মেজাজ টা প্রচন্ড রকমের খারাপ
হচ্ছে তার। আগের বাসাটাই
ভালো ছিলো। এই রকম কোন
সমস্যা ছিলো না এই বাসাটায় আজ প্রায়
এক মাস। সেই প্রথম দিন থেকেই এই প্রবলেম
টা হচ্ছে। প্রতিদিন দুই টাইম পাশের
বাসার কে জানি প্রচন্ড জোরে গান
বাজায়। আসলে তার রুম টা তাদের বাসার
একটা কর্ণারে। বেলকনি আছে। পাশের
বাসার যে রুমে গান বাজে সেটা তার
রুমের সোজা। অদ্ভুত ব্যাপার
হলো সে আজো ঐ
রুমে কে থাকে বা কে এত জোরে গান
বাজায় সেই ব্যক্তি টাকে দেখার
সৌভাগ্য তার হয় নি। যদি হত
তবে আচ্ছা মত বকে দেয়া যেত।
রাজনৈতিক স্বপ্ন
তড়িঘড়ি করেই
ঘুমটা ভাঙলো শিহাবের। অনেক মজার
একটা সপ্ন দেখতেছিল সে।
একটা মেয়ে তার দিকে কেমন নিশ্চুপ
চোখে তাকিয়ে ছিল।
মেয়েটাকে মনের ছোট্ট
কুঠিরে নিমিষেই স্থান দিয়ে দেয়
সে! চেয়েছিল ওর সাথে কথা বলবে।
যেই ওর কাছে যাবে ঠিক তখনই
মোবাইলের ভাইব্রেশন ঠের
পেলো সে। কয়েক হাজার বার আভিশাপ
দিয়ে ঘুম ঘুম চোখে দেখে মোবাইলের
স্ক্রিনে তার বন্ধু ঈশানের নাম।
- হ্যালো।
- দোস্ত। তু
ই কই? ঘুমাইতাছস নাকি?
- নারে। আমি ধানক্ষেতে তিমি মাছ
ধরতেছি।
- আরে, ফাইজলামি করিস না তো।
ভালো কইরা কথা বল।
- আরে দোস্ত। আমি ঘুমাইতেছিলাম।
ভালো একটা সপ্ন দেখতেছিলাম।
মেয়েটার কাছাকাছি যাইতেছিলাম
খালি আর তুই বদ আমার সপ্নটার মধ্যে বাম
হাত ঢুকাইয়া দিলি। বল, কি হইছে?
- দোস্ত। ৯ টা কাজে।
জলদি ক্যাম্পাসে আয়। ১১টার সময়
ক্যাম্পাসে আজকে ধরীত্রির অষ্টম আশ্চর্য
দেখবি। মিসাইছ না কিন্তু।